বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য নির্দিষ্ট দিনে বাড়ি থেকে কাজ করার নিয়ম চালু করার পাশাপাশি অফিসের সময়সীমা পুনর্নির্ধারণ করা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং এর অধীনস্ত সংস্থার উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী এ ইঙ্গিত দেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সরকারকে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত অফিসের সময় পুনঃনির্ধারণ করার জন্য সুপারিশ করব এবং কর্মকর্তাদের সপ্তাহে দুই বা তিন দিন বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেব।’
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বেশ কয়েকটি কঠোর ব্যবস্থার ঘোষণাও দিয়েছেন যেমন- এরমধ্যে অফিস, বাজার ও মসজিদে এয়ার কন্ডিশনারের শীতলতার মাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখা এবং বিদ্যুৎ খরচ ব্যবস্থাপনার জন্য ঈদের পর থেকে মার্কেট রাত ৮টায় বন্ধের সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে মেনে চলার সুপারিশ করবে।
এছাড়া সন্ধ্যা ৭ থেকে ৮টার মধ্যে এক ঘণ্টার মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: কঠিন সময়ে বিদ্যুৎ ভর্তুকি কমাতে জনগণের সমর্থন কামনা প্রধানমন্ত্রীর
সারাদেশে ক্রমবর্ধমান লোডশেডিং ও গ্যাস সংকটের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা এ বৈঠক ডেকেছেন।
তিনি বলেন, কোভিডের সমযয়ের মতো সবাইকে সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে হবে। ‘এখন আবার কোভিড বাড়ছে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমরা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি বলে সবাইকে দায়িত্ববান হতে হবে’।
উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে দৈনিক লোডশেডিং ৫০০ মেগাওয়াটের মধ্যে রাখা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের লোডশেডিং ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে একটি ন্যায়সঙ্গত নীতি অনুসরণ করতে বলেছেন। যাতে গ্রামীণ ও শহুরে এলাকার মানুষ ন্যায়সঙ্গত ভিত্তিতে বিদ্যুতবিহীন থাকে।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি পুস্তিকা মেনে চলার পুরানো অভ্যাসে ফিরে যাব যুক্তিসঙ্গত উপায়ে লোডশেডিং করার জন্য যেটি ডিজাইন করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর থেকে রামপাল, পায়রাসহ কয়েকটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে এবং ভারত থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেশে আসা শুরু হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তৌফিক এলাহী স্থানীয় গ্যাস উত্তোলনের পরিবর্তে গ্যাস আমদানিকে অগ্রাধিকার দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ব্রিফিংকালে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন ও বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান নসরুল হামিদের
বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সংকটের কারণে দেশব্যাপী লোডশেডিং বাড়ছে