লজ্জাজনক
সীমান্ত হত্যা ভারতের জন্য লজ্জাজনক: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আবারও বলেছেন, সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যে কোনও হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নিয়মিতভাবে মানুষ নিহত হচ্ছে। সীমান্তে দুর্ঘটনা ঘটলেও সর্বোচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে যে তারা কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটাতে চান না।’
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থের তুলনায় কাজ উন্নত হয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবসময় বলি...আমি আগেও বলেছি...এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং ভারতের জন্য লজ্জাজনক। তারা যদি তাদের (ভারতীয় পক্ষ) জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে, তাহলে তা তাদের জন্য লজ্জাজনক এবং দুর্ভাগ্যজনকও।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।
চার দিনের সফর শেষে দেশে ফেরার পর শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠক নিয়ে প্রচারিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সীমান্তে প্রাণহানির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাওয়ায় দুই শীর্ষ নেতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। দুই পক্ষই সীমান্ত হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন।
উভয় পক্ষ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, জাল মুদ্রার চোরাচালানের বিরুদ্ধে এবং বিশেষ করে নারী ও শিশুদের পাচার রোধে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জোর প্রচেষ্টা প্রশংসার সঙ্গে উল্লেখ করেছে।
তবে সর্বশেষ ঘটনায়, রবিবার ভোরে সাতক্ষীরা সদরের খৈতলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক খাদ্য সংকটে বাংলাদেশের ক্ষতি হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভার্জিনিয়ায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
গণহত্যাকারীদের বিচার না করা পাকিস্তানের জন্যও লজ্জাজনক: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আশা প্রকাশ করেছেন যে, পাকিস্তানের নতুন প্রজন্ম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিষয়টি বুঝতে পারবে এবং অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি জান্তা যারা গণহত্যা করেছিল তারা শাস্তি পায়নি। এটা খুবই দুঃখ এবং লজ্জাজনক। এটা পাকিস্তানের জন্যও লজ্জার।’
শুক্রবার রাজধানীতে একটি সেমিনারে যোগ দেয়ার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে তিনি আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশ গণহত্যা’ শীর্ষক সেমিনারে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিষয়টি এখন আলোচিত এবং সরকার এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্মরণ করা শুধুমাত্র ১৯৭১ সালের মহান ও বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনই নয় বরং সারা বিশ্বে ঘটে যাওয়া গণহত্যার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে।’
‘জেনোসাইড ওয়াচ’ ‘বাংলাদেশ গণহত্যার ৫০তম বার্ষিকী স্মরণে ঘোষণাপত্র’ জারি করেছে এবং ‘লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন’ কয়েক মাস আগে ‘বাংলাদেশ গণহত্যার বিষয়ে বিবৃতি’ জারি করেছে।
আরও পড়ুন: মানবিক কারণে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে