পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আশা প্রকাশ করেছেন যে, পাকিস্তানের নতুন প্রজন্ম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যার বিষয়টি বুঝতে পারবে এবং অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি জান্তা যারা গণহত্যা করেছিল তারা শাস্তি পায়নি। এটা খুবই দুঃখ এবং লজ্জাজনক। এটা পাকিস্তানের জন্যও লজ্জার।’
শুক্রবার রাজধানীতে একটি সেমিনারে যোগ দেয়ার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে তিনি আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশ গণহত্যা’ শীর্ষক সেমিনারে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিষয়টি এখন আলোচিত এবং সরকার এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্মরণ করা শুধুমাত্র ১৯৭১ সালের মহান ও বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনই নয় বরং সারা বিশ্বে ঘটে যাওয়া গণহত্যার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে।’
‘জেনোসাইড ওয়াচ’ ‘বাংলাদেশ গণহত্যার ৫০তম বার্ষিকী স্মরণে ঘোষণাপত্র’ জারি করেছে এবং ‘লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন’ কয়েক মাস আগে ‘বাংলাদেশ গণহত্যার বিষয়ে বিবৃতি’ জারি করেছে।
আরও পড়ুন: মানবিক কারণে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী