পণ্য লোড-আনলোড
হিলি স্থলবন্দরে ৬দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি
ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৬ দিনের ছুটি ঘোষণায় আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে হিলি স্থলবন্দরে।
সেই সঙ্গে বন্দরে পণ্য লোড-আনলোডসহ সব প্রকার কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, আগামী ৯ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতরের ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে টানা ৬ দিন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পূজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ৭ দিন
১৫ এপ্রিল সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের সহব্যবস্থাপক এস এম হায়দার বলেন, এই কয়দিন সরকারি ছুটির কারণে বন্দরে পণ্য লোড-আনলোডসহ সব কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। তবে এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, তবে সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম চালু থাকবে। এ সময় আমদানিকারকরা চাইলে তাদের আমদানি করা পণ্যের চালান বন্দর থেকে খালাস করে নিতে পারবেন।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল বলেন, যেকোনো সরকারি ছুটিতে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ সময়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ইমিগ্রেশনের সব কার্যক্রম সব ধরনের সরকারি ছুটির আওতামুক্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে। এই সময়ের মধ্যে যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন।
এদিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের একজন রাজস্ব কর্মকর্তা বলেন, সরকারি ছুটি ব্যতিত দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন, পণ্যের পরীক্ষায়ণ ও শুল্কায়ণসহ অফিসিয়াল কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। তবে প্রতিদিন কাস্টমসের পাসপোর্ট ব্যাগেজ শাখায় পাসপোর্ট যাত্রীদের ট্রাভেল ট্যাক্স গ্রহণ কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে। ট্রাভেল ট্যাক্স জমা দিয়ে যাত্রীরা প্রতিদিনের মতো বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে ৬দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি
হিলি স্থলবন্দরে আজ বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি
৬ মাস আগে
বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন দখলে নিতে সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারত বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার একদিন পর বন্দরে পণ্য লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক নেতারা ও বহিরাগত একটি দল সোমবার সকালে বন্দর এলাকায় শতাধিক শক্তিশালী হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনার পর বন্দরে আমদানি রপ্তানি ও লোড-আনলোড বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শ্রমিককে মারধর, বেনাপোল বন্দরে লোড-আনলোড বন্ধ
এবিষয়ে ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ জানান, বর্তমানে শ্রমিকরা বন্দরে শান্তির সঙ্গে কাজ চলছে কিন্তু একটি পক্ষ তা ভালোভাবে না নিয়ে ষড়যন্ত্র করে বন্দরের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করতে চাইছে। এ ঘটনায় সোমবার বন্দরে লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে শ্রমিকরা পুরোদমে কাজ শুরু করেছে।
এব্যাপারে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, সোমবার বন্দরের দখলকে কেন্দ্র করে বন্দরে দুটি শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বন্দরে লোড-আনলোড ও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকে। মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দু’দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, সোমবার বন্দরে বোমাবর্ষণের ঘটনায় থানায় ৩৬ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে এবং ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি গতরাতে বন্দর এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারসহ একটি বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও ৪টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়ন দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ সময় দূর্বৃত্তরা প্রায় শতাধিক বোমাবর্ষণ করে। এতে পুলিশসহ সাত জন শ্রমিক আহত হন।
২ বছর আগে