সিংহ
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার নতুন অতিথি আফ্রিকার ২ সিংহ ও ৮ ওয়াইল্ড বিস্ট
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি হয়ে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার এক জোড়া সিংহ এবং ৮টি ওয়াইল্ড বিস্ট। সিংহ জোড়ার মধ্যে একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রী। ওয়াইল্ড বিস্টের মধ্যে তিনটি পুরুষ ও পাঁচটি স্ত্রী।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে বিশেষ বাক্সে করে প্রাণিগুলো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে। তবে আপাততে এগুলো দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শন করা হবে না। ১৫ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এসব বন্যপ্রাণী সরবরাহকারীর তত্ত্বাবধানে চিড়িয়াখানায় থাকবে। কোয়ারেন্টাইন শেষ হলে চিড়িয়াখানায় প্রাণীগুলো হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, ‘বর্তমানে চিড়িয়াখানায় নোভা নামের একটি সিংহী রয়েছে। সে বয়সের ভারে ন্যুব্জ। তার সঙ্গী বাদশাহ নামের সিংহটি দুই মাস আগে মারা যায়। এ অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কম বয়সী সিংহ-সিংহী জুটি আনা হয়েছে। এ জুটি সংগ্রহের জন্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সাফারি পার্কে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু দেশের কোথাও থেকে না পাওয়া আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’
আরও পড়ুন: দর্শনার্থীদের টাকায় বদলে গেছে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
১ বছর আগে
কক্সবাজার: সিংহী নদীর অবস্থা আশঙ্কাজনক
কক্সবাজারের ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে নদী নামে এক সিংহী আড়াই মাস ধরে ঘাড়ে গুরুতর আঘাতে ভুগছে।
ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের ইনচার্জ মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, ১১ বছর বয়সী সিংহীটির শারীরিক অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। যদিও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে তার চিকিৎসা চলছে।
তিনি বলেন, ‘আড়াই মাস ধরে চিকিৎসার পরও নদীর কোনো উন্নতি হয়নি। এখন সিংহী খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।’
পার্ক ইনচার্জ জানান, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি নদী তার সঙ্গী সম্রাটের (সিংহ) সঙ্গে মারামারিতে আহত হন। এই সময় সম্রাটও আহত হয়। আহত দম্পতিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দী চিকিৎসা দেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে উদ্ধার হওয়া কুমির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে
পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি সিংহ দম্পতি শারীরিক মিলনের সময় আবারও মারামারি করে আহত হয়। এ সময় নদী ঘাড়ে গুরুতর আঘাত পায়। পরে সাফারি পার্কের ভেটেরেনারি সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমানের চিকিৎসায় সম্রাট সুস্থ হয়। অন্যদিকে, নদীর ক্ষতবিক্ষত ঘাড় থেকে পানি ঝরতে থাকায় তার শারীরিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি নদীর চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। বোর্ডে ছিলেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন ভেটেরিনারি সার্জন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দী ও পার্ক সার্জন ডা. হাতেম সাজ্জাদ জুলকার নাইন।
চকরিয়া উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দীর জানান, সিংহ সাধারণত ১২ থেকে ১৮ বছর বেঁচে থাকে। নদী এখন বার্ধক্য পৌঁছে গেছে। খাবারে তার কোনো রুচি নেই। প্রতিদিনই তার অ্যান্টিবডি কমছে। সে কারণেই সিংহীর অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে সাফারি পার্কে প্রবেশ মূল্য ফ্রি
মাজহারুল ইসলাম জানান, নদীর উন্নত চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
২০১১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর হীরার গর্ভে সিংহী নদীর জন্মগ্রহণ করে। তার ও সম্রাটের ঘরে একটি বাচ্চা আছে।
২ বছর আগে