বাল্কহেডডুবি
বঙ্গবন্ধু সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় বালুবোঝাই বাল্কহেডডুবি
সিরাজগঞ্জে দুদিনের ব্যবধানে আরও একটি বালু বোঝাই বাল্কহেড যমুনা নদীতে ডুবে যায় বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বালু বোঝাই বাল্কহেডটি সেতুর ৯ নম্বর পিলারে ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত ও নিখোঁজ হয়নি বলেও জানা যায়।
জানা গেছে, বাল্কহেডে থাকা শ্রমিকদের সকলেই সাঁতরে নিকটবর্তী রান্ধুনীবাড়ী চরে উঠে জীবন বাঁচাতে সক্ষম হয়েছে।
আরও পড়ুন:অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
উল্লেখ্য, এর আগে গত রবিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ থেকে বালু নিয়ে মানিকগঞ্জ যাওয়ার পথে বঙ্গবন্ধু সেতুর সেই একই অর্থাৎ ৯ নম্বর পিলারে ধাক্কা লেগে অপর একটি বাল্কহেড ডুবে যায়। এ সময় তাৎক্ষণিকভাবে তিন শ্রমিক সাঁতরিয়ে নদীর তীরে উঠলেও মানিকগঞ্জ জেলার গ্রাবনিয়া গ্রামের রহিম সিকদারের ছেলে আবুল শিকদার নামে এক শ্রমিক নিখোঁজ হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট নৌ ফাঁড়িতে একটি জিডি করা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানান নৌ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্য। তবে এখনও নিখোঁজ ওই শ্রমিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আতাউর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ থেকে আসা একটি বাল্কহেড যমুনার প্রবল স্রোতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৯ নম্বর পিলারে ধাক্কা খেয়ে বেশ কিছুক্ষণ পিলারের সঙ্গে বাল্কহেডটি আটকে থাকার পর ধীরে ধীরে ডুবে যায়।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী ইউএনবিকে বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্বাভাবিক স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এ স্রোতের কারণেই ওই বালুবোঝাই বাল্কহেডটি ৯ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় সিসি ক্যামেরায় এমনটিই দেখা যায়। যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নৌযান চলাচলও বাড়ছে। তবে বঙ্গবন্ধু সেতুর নিচ দিয়ে নৌযান চলাচলে বিধিনিষেধের কোন নির্দেশনা নেই। যে কারণে এসব নৌযান অবাধে চলাচল করছে। ইতিমধ্যেই এ দুর্ঘটনার বিষয়টিও সেতু কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন:কঁচা নদীর ওপর বঙ্গমাতা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
পদ্মা সেতু: দক্ষিণাঞ্চলমুখী নৌপথে যাত্রী কমায় ৩০টি লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে বালুবোঝাই বাল্কহেড ডুবি: ৫ নাবিক উদ্ধার
কালবৈশাখী ঝড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বালুবোঝাই বাল্কহেড ডুবে গেছে। এ ঘটনায় পাঁচ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। বুধবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় বন্দরের বহির্নোঙরের চার্লি অ্যাংকোরেজে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বন্দরের বহির্নোঙরের চার্লি অ্যাংকোরেজে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। বাল্কহেডে পাঁচজন নাবিক ছিল। সবাইকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা ও আশপাশের এলাকায় কালবৈশাখীর ঝড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে বালুবোঝাই বাল্কহেড জাহাজটি ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বাল্কহেড জাহাজ ডুবে যাওয়ার কারণে বন্দরে জাহাজ চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। দুর্ঘটনা এড়াতে বয়া দিয়ে ওই জায়গাটা চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে এবং জাহাজ চলাচলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডাকাতিয়া নদীতে বাল্কহেড-ট্রলার সংঘর্ষ, নিহত ৫
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার
২ বছর আগে