শিক্ষার্থী
বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের টিকার আবেদনের সময় বাড়ল
বিদেশে অধ্যয়নরত বা বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টিকা নিবন্ধনের সময়সীমা ২৬ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিদেশে অধ্যয়নরত ও গমনে ইচ্ছুকরা টিকার জন্য ১৭ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট বিকেল ৫ টা পর্যন্ত অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবে। কিন্তু এরপর আর কোন আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
শিক্ষার্থীদের [email protected] – এই ইমেইল ঠিকানায় তাদের বিস্তারিত পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া বাধ্যতামূলকভাবে
https://forms.gle/KPa33LddmSKFPezd7- এই ঠিকানায় গিয়ে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা: দেশে সিনোফার্মের টিকা দেয়া শুরু
শাবিপ্রবির ১১ শিক্ষক-শিক্ষার্থী পেলেন ইরাসমাস স্কলারশিপ
ইউরোপের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও জনপ্রিয় ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ পেয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী।
সম্প্রতি ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ শাবিপ্রবিকে সিসিকের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত
এ স্কলারশিপের আওতায় তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলেন। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১৩৯ জন এ স্কলারশিপ পেয়েছেন।
স্কলারশিপপ্রাপ্তরা হলেন- ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, মোঃ ইয়াসিন, প্রভাষক মাহাবুব আলম, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জুবায়ের হোসেন, আহনাফ মুজিব সামিন, সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিইই) বিভাগের কামরুল হাসান, পলিটিক্যাল স্ট্যাডিজ বিভাগের সুহেদা বেগম, সমাজকর্ম বিভাগের সিদরাতুল মুনতাহা চৌধুরী, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সাবিহা তাসনিম, মেহবুবা জান্নাহ ও জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুনঃ শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা গ্রহণ শুরু
স্কলারশিপ পাওয়ায় সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে ওপরের দিকে থাকা ইউরোপের চারটি দেশের চারটি ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা নি:সন্দেহে আমার জ্ঞান ভান্ডারকে অনেক সমৃদ্ধ করবে, যা পরবর্তীতে আমার শিক্ষকতার কাজে সহায়তা করবে।'
ফুলবাড়ীতে চিরকুট লিখে স্কুল শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে গলায় ওড়না পেঁচানো দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের তালুক শিমুলবাড়ী এলাকা থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ সময় তার লেখা একটি চিঠি পাওয়া যায়। এই চিঠিতে তার আত্মহত্যার কারণ লিখে গেছে।
আরও পড়ুনঃ চাঁদপুরে নারী করোনা রোগীর ‘আত্মহত্যার’ চেষ্টা
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তালুক-শিমুলবাড়ী এলাকার ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে একই এলাকার কলেজ পড়ুয়া যুবক রাজুর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি ওই যুবক অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করে। এই খবর পাওয়ার পর পরিবারের অজান্তে নিজ ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, কিশোরীর লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। যেখানে নিজের মৃত্যুর জন্য ওই যুবক ও তার পরিবারকে দায়ী করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই যুবকের শাস্তির দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ জয়পুরহাটে স্ত্রীকে ‘হত্যার’ পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা
স্থানীয় রজব আলী কুলু ও আশরাফুল ইসলাম বলেন, মেয়েটির বাবা নেই। এতিম মেয়েটির প্রতি রাজু অবিচার করেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায় জানান, যে চিরকুট পাওয়া গেছে সেটা এক্সপার্ট দিয়ে পরীক্ষা করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। এটা তারই লেখা কিনা।
আরও পড়ুনঃ বিয়ানীবাজারে কীটনাশক পানে কিশোরীর ‘আত্মহত্যা
এদিকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেয়ার অপরাধে কিশোরীর মামা চার জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানায় ওসি।
পঞ্চগড়ে শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ‘প্রেমিক’ গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ‘প্রেমিক’ জুয়েল রানা (২৬) গ্রেপ্তার হয়েছে। গত ৩১ জুলাই বিকেলে উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের মৌমারী লোহাগাড়া গ্রামে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে এই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার হওয়া জুয়েল রানা দেবীগঞ্জ পৌরসভার নতুন বন্দর এলাকার খোকা মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুনঃ মাগুরায় অন্তঃসত্ত্বাকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১
মামলার এজাহার ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বিবাহিত জুয়েল প্রেমের ফাঁদে ফেলে নবম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে গত ৩১ জুলাই বিকেলে মৌমারি এলাকায় তার বন্ধু নিশাতের একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জুয়েল প্রথমে ধর্ষণ করে। জুয়েলের বন্ধু মুন্না কৌশলে মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে মুন্না, পরে মৌমারি এলাকার নুরু, রিমন, নিশাত পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুনঃ যশোরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
সেইরাতে ওই কিশোরী তার মাকে বিষয়টি জানায়। পরদিন কিশোরীর মা বাদী হয়ে জুয়েল রানা, মৌমারী লোহাগাড়া গ্রামের নুরু (২২) ও মুন্না (২২), কালীগঞ্জ কলেজপাড়া এলাকার রিমন (২৩) এবং কালীগঞ্জ বাজারের নিশাতের (২০) নামে ধর্ষন মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বজলুর রশিদ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনের নামে মামলা হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি জুয়েল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
গুলশানে বাসা থেকে মেডিকেল শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
রাজধানীর গুলশানের নিকেতন এলাকায় মেডিকেল শিক্ষার্থী ফারিয়া হায়দারের (২১) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাসা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফারিয়া আলম হায়দারের মেয়ে। তিনি মালয়েশিয়ার একটি মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। অনলাইনেই তাঁর পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
আলম হায়দার জানান, ফারিয়া রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে গিয়েছিল। সকাল ৮টার দিকে তাঁরা তাকে তাঁর ঘরে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ক্যাম্পাসের বাসে বাড়ি ফিরছে ইবি শিক্ষার্থীরা
ক্যাম্পাসের বাসে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মেসে আটকে পড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার সকাল ৬টায় লকডাউনে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি বাস।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে বাড়ি ফিরবে ইবি শিক্ষার্থীরা
বাসগুলোর মধ্যে তিনটি ঢাকা এবং দু’টি বাস খুলনা বিভাগে যাবে বলে জানিয়েছেন ইবির পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেনন, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের কথা ভেবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা উদ্যোগটি গ্রহণ করেছি। কোনও সমস্যা যেন না হয় সেজন্যে গাড়ির চালক ও তার সহযোগীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
এছাড়াও আগামী ১৮ তারিখ শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় দফায় আরও ছয়টি বাস দিবে প্রশাসন। ওইদিন তিনটি করে বাস রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
আরও পড়ুন: ইবি শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ শুরু
এর আগে, গত ৭ জুলাই আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে বিভাগীয় শহরে পৌঁছানোর দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের তালিকার ভিত্তিতে পরিকল্পনা করার নির্দেশনা দেন।
শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা শিক্ষার্থীদেরও সংক্রামিত করতে পারে, এটা জেনেও সরকার তাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে পারে না। শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে।
শনিবার সংসদের বাজেট অধিবেশনে বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদেরসহ একাধিক বিরোধী সংসদ সদস্যদের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। এ সময় তিনি দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের জন্য বাংলাদেশের শিক্ষাক্ষেত্রে যে ক্ষতি হয়েছে তা স্বীকার করেন।
আরও পড়ুনঃ জুলাই মাসে ব্যাপকভাবে টিকাদান শুরু হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিশুরাও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। এটি ভাল কথা যে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে শিখবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই ভাইরাসও তাদের সংক্রামিত করতে পারে জেনেও তাদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া উচিত হবে কি?
সংসদে জিএম কাদেরসহ একাধিক বিরোধী দলীয় উপনেতা অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করবে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে আগ্রহী নন। যাঁরা এ ব্যাপারে বেশি সোচ্চার তাদের কোন শিশু স্কুলে যায় না কিংবা ইতিমধ্যে পড়াশোনা শেষ করেছে।
আরও পড়ুনঃ জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ইতিমধ্যে শিক্ষকদের টিকা দিয়েছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিএইচও) নির্দেশনা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের টিকা দেবে। আমরা ডব্লিউএইচও’র নির্দেশনা অনুসরণ করছি। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে কাজ শুরু করেছি।
করোনা টিকা পাওয়ার সমস্যা সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন, সরকার নগদ অর্থ দিয়েও ভারতের কাছ থেকে সব টিকা পায়নি।হঠাৎ ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির সরকার টিকা রপ্তানিতে বাধা দেয়। এ কারণে আমরা কিছুদিন সমস্যায় পড়েছিলাম।
আরও পড়ুনঃ ধৈর্য ধরুন, দেখেন কী করতে পারি: টিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা সংসদে জানান, ইতিমধ্যে দেশে ফাইজার, মডার্না ও সিনোফার্ম টিকার প্রচুর পরিমাণ ডোজ পৌঁছেছে। তিনি বলেন, যেসব দেশগুলিতে করোনার টিকা পাওয়া যায় আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ করছি। আমরা আরও টিকা সংগ্রহ করব। যত টাকা লাগুক না কেনো, আমরা কিনব। তার জন্য আমরা আলাদা তহবিল বরাদ্দ দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা সংগ্রহের জন্য সরকার চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে যোগাযোগ করছে এবং সরকার ৮০ শতাংশ মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দেবে। তিনি আরও যোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে জেলা পর্যায়ে সংক্রামিত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে বলে আমরা বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি।
বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশনের দ্বিতীয় পর্বে ১২৭ শিক্ষার্থী
হুয়াওয়ে ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল আয়োজিত ‘বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশন’ এর দ্বিতীয় পর্বে শীর্ষ ১২৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিবে। দ্বিতীয় পর্ব এ সপ্তাহে শুরু হবে।
এ বছর জানুয়ারিতে এ প্রতিযোগিতার প্রথম পর্ব শুরু হয়, যেখানে দেশের প্রায় ত্রিশটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চতুর্থ বর্ষের প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এ ছয় মাসে শিক্ষার্থীরা আইসিটি খাতে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের একটি নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টালে বিভিন্ন অনলাইন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন এবং দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচিত হওয়ার জন্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক ঢাকা নর্থ জোনের শরী‘আহ পরিপালন বিষয়ক ওয়েবিনার
প্রথম পর্বে প্রশিক্ষণের সময়, ধারাবাহিকতা ও পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ১২৭ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্বের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ পর্বে শিক্ষার্থীরা এইচসিআইএ (হুয়াওয়ে সার্টিফায়েড আইসিটি অ্যাসোসিয়েট) থেকে ১৫ দিনের অনলাইন কোর্সে অংশগ্রহণ করবেন এবং পরবর্তীতে প্রতিযোগিতার তৃতীয় পর্বে উন্নীত হতে তাদের আরেকটি পরীক্ষা দিতে হবে।
হুয়াওয়ের টেকনোলোজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধি ও টেকসই অবস্থা নিশ্চিত হওয়া নির্ভর করে। বাংলাদেশ আইসিটি কম্পিটিশনের মূল উদ্দেশ্য হল এ দেশের আইসিটি ক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল ভিত্তি দৃঢ় করা। হুয়াওয়ে বাংলাদেশে বাংলাদেশের জন্যই কাজ করছে। বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এমন কিছু করতে পেরে আমরা গর্বিত।
আরও পড়ুন: ‘উপায়ে’ কর্মীদের বেতন দেবে ফ্যালকন গ্রুপ
এ প্রতিযোগিতার তৃতীয় ও ফাইনাল পর্ব জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় পর্ব থেকে নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীরা দল গঠন করবেন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক দলে থাকবেন তিনজন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক।
হুয়াওয়ে হেডকোয়ার্টার থেকে প্রশিক্ষকরা প্রতিযোগীদের প্রশিক্ষণ দেবেন এবং পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের একটি সিমুলেশন টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। এরপর তিনটি দলকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
আরও পড়ুন: আনসাং ওমেন ন্যাশন বিল্ডার্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৬ নারী
বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে হুয়াওয়ে ল্যাপটপ অথবা হুয়াওয়ে মোবাইল ও হুয়াওয়ে স্মার্টওয়াচ কিংবা স্মার্ট ব্যান্ড প্রদান করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন দল হুয়াওয়ে আইসিটি কম্পিটিশনের আঞ্চলিক ফাইনাল ও বৈশ্বিক ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে তারা চীনের শেনঝেনে হুয়াওয়ের হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনে যাবে। ভবিষ্যতে তাদের হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাথে কাজ করার সুযোগও থাকতে পারে।
প্রতিযোগিতাটি দু’টি ভাগে হচ্ছে – ‘প্র্যাকটিক্যাল কম্পিটিশন’ ও ‘থিওরি কম্পিটিশন’। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং প্রোগ্রাম ডিজাইন করার সক্ষমতা মূল্যায়নে তাত্ত্বিক বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা এবং হাতে-কলমে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এ বছর এ প্রতিযোগিতায় নেটওয়ার্ক সুইচিং ও রাউটিং টেকনিক্যাল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এবং পরবর্তীতে, বিগ ডেটা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ও ক্লাউড বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
চবির সব পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত
করোনা পরিস্থিতির অবনতি ও কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চলমান সকল পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
এ অবস্থায় চবি ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ঢাকায় পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বাস করে শিক্ষার্থীদের ঢাকায় পৌঁছে দেয়া হবে। বাসগুলো আজ দুপুর ১২টায় জিরো পয়েন্ট (স্মরণ চত্বর) থেকে ছাড়বে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই : শিক্ষামন্ত্রী
শনিবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় চবি উপউপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং প্রক্টররা অংশগ্রহণ করেন।
চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৭ জুন থেকে অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাসমূহ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষাবর্ষের সময় কমানো, ছুটি বাতিলের পরামর্শ ইউজিসির
তিনি বলেন, ‘দূরাগত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করার জন্য ২৭ জুন দুপুর ১২ টায় চবি প্রক্টরের তত্ত্বাবধানে চারটি বাস শিক্ষার্থীদের নিয়ে চবি ক্যাম্পাস থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঢাকার সায়েদাবাদ পর্যন্ত বাসগুলো যাবে।’
চবি প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলোতে ঢাকাগামী শিক্ষার্থী ছাড়াও সংশ্লিষ্ট রুটের শিক্ষার্থীরা যেতে পারবে। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ আইডি কার্ড সাথে রাখতে হবে। আমরা প্রক্টরিয়াল বডি এ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করব।’
রাজধানীতে ভিডিও কলে এসে শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বান্ধবীকে ভিডিও কল দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা যায়। নিহত শিক্ষার্থীর নাম রুবিনা ইয়াসমিন নদী (২১)।
বুধবার বিকালে এই ঘটনা।
রুবিনা বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার পুলিশের উপ পরিদর্শক (এস আই) রফিকুল ইসলাম এর মেয়ে।
আরও পড়ুনঃ ঋণের চাপ সইতে না পেরে সুপারি বিক্রেতার আত্মহত্যা
তার রুমমেট মারিয়াম সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে শাহজাহানপুর মালিবাগের ৩৯১ গুলবাগে এক বান্ধবীর সাথে ওই ভবনের পঞ্চম তলায় সাবলেট থাকত রুবিনা। এছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি আমজারা নামে একটি বোরকা'র কোম্পানিতে মারিয়াম সহ দু'জনে চাকরি করতেন।
তিনি আরও বলেন, রুবিনা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়াশোনা করতো। একই বিভাগের সায়েম নামে এক শিক্ষার্থীর সাথে সম্পর্ক করে ২০১৯ সালে বিয়ে করে রুবিনা। বিয়ের তিন মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়।
রুবিনার খালাতো বোন শরিফা সুলতানা বলেন, ঐ ছেলের সাথে ডিভোর্স হওয়ার পরও বিভিন্ন সময় রুবিনার বান্ধবী মারিয়ামের ফোনে তাদের বিশেষ মুহুর্তের ছবি, ভিডিও পাঠাতো সায়েম, পরে তা ডিলিট করে দিয়েছিল। এসব নিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত থাকতো রুবিনা। তার দাবি ঐ ছেলের কারণেই রুবিনা আত্মহত্যা করেছে।
আরও পড়ুনঃ স্মার্ট ফোন কিনে না দেয়ায় যুবকের আত্মহত্যা
মারিয়ম বলেন, ‘রুবিনা আজ কাজে যায়নি। আমি কাজে চলে যাই। বিকাল তিনটার সময়ে ফোন করে সে জানায়, আমার ভালো লাগছে না, তুই দ্রুত চলে আয়, আমি মরে যাবো। পরে ভিডিও কলে সে দেখায় ফ্যানের সাথে ওড়না বাঁধছিল। পরে দ্রুত গিয়ে দেখি ভিতর দিয়ে দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় ছিটকানি ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই তাকে।
পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল, সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ স্মার্ট ফোন না পেয়ে কুড়িগ্রাম স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে সবুজবাগ ডিভিশনের এসি মনতোষ বিশ্বাস বলেন, ‘ঘটনা শুনে এসেছি, প্রাথমিকভাবে শুনেছি সে আত্মহত্যা করেছে, প্রকৃতপক্ষে আত্মহত্যা, না অন্য কিছু, তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।’