রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বান্ধবীকে ভিডিও কল দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা যায়। নিহত শিক্ষার্থীর নাম রুবিনা ইয়াসমিন নদী (২১)।
বুধবার বিকালে এই ঘটনা।
রুবিনা বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার পুলিশের উপ পরিদর্শক (এস আই) রফিকুল ইসলাম এর মেয়ে।
আরও পড়ুনঃ ঋণের চাপ সইতে না পেরে সুপারি বিক্রেতার আত্মহত্যা
তার রুমমেট মারিয়াম সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে শাহজাহানপুর মালিবাগের ৩৯১ গুলবাগে এক বান্ধবীর সাথে ওই ভবনের পঞ্চম তলায় সাবলেট থাকত রুবিনা। এছাড়া পড়াশোনার পাশাপাশি আমজারা নামে একটি বোরকা'র কোম্পানিতে মারিয়াম সহ দু'জনে চাকরি করতেন।
তিনি আরও বলেন, রুবিনা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়াশোনা করতো। একই বিভাগের সায়েম নামে এক শিক্ষার্থীর সাথে সম্পর্ক করে ২০১৯ সালে বিয়ে করে রুবিনা। বিয়ের তিন মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়।
রুবিনার খালাতো বোন শরিফা সুলতানা বলেন, ঐ ছেলের সাথে ডিভোর্স হওয়ার পরও বিভিন্ন সময় রুবিনার বান্ধবী মারিয়ামের ফোনে তাদের বিশেষ মুহুর্তের ছবি, ভিডিও পাঠাতো সায়েম, পরে তা ডিলিট করে দিয়েছিল। এসব নিয়ে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত থাকতো রুবিনা। তার দাবি ঐ ছেলের কারণেই রুবিনা আত্মহত্যা করেছে।
আরও পড়ুনঃ স্মার্ট ফোন কিনে না দেয়ায় যুবকের আত্মহত্যা
মারিয়ম বলেন, ‘রুবিনা আজ কাজে যায়নি। আমি কাজে চলে যাই। বিকাল তিনটার সময়ে ফোন করে সে জানায়, আমার ভালো লাগছে না, তুই দ্রুত চলে আয়, আমি মরে যাবো। পরে ভিডিও কলে সে দেখায় ফ্যানের সাথে ওড়না বাঁধছিল। পরে দ্রুত গিয়ে দেখি ভিতর দিয়ে দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি করে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় ছিটকানি ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই তাকে।
পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল, সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুনঃ স্মার্ট ফোন না পেয়ে কুড়িগ্রাম স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে সবুজবাগ ডিভিশনের এসি মনতোষ বিশ্বাস বলেন, ‘ঘটনা শুনে এসেছি, প্রাথমিকভাবে শুনেছি সে আত্মহত্যা করেছে, প্রকৃতপক্ষে আত্মহত্যা, না অন্য কিছু, তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।’