রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
এই বছরের জুলাই-আগস্টে আরএমজি রপ্তানি ১২.৪৬% বেড়েছে: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি)পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-আগস্টের সময়ের মধ্যে পোশাক রপ্তানি বছরে ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭ দশমিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই বছরের ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট সময়ের মধ্যে পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।
পোশাক খাত ৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি।
ইপিবি এর তথ্য অনুযায়ী, নিটওয়্যারের রপ্তানি ছিল ৪ দশমিক ৫৮বিলিয়ন ডলার, যেখানে ওভেন পোশাকের রপ্তানি ছিল ৩ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় যথাক্রমে ১৭ দশমিক ০২ শতাংশ ও ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে ৪৩টি পণ্যের জন্য সর্বোচ্চ ২০% নগদ সহায়তা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত
২০২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ
বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য ও পরিষেবা রপ্তানি করেছে, যা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বছরে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার (৩ জুলাই) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য জানিয়েছে।
২২’ অর্থবছরের তুলনায় ২৩’ অর্থবছরে রপ্তানি ৩ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার বা ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে, যখন রপ্তানি আয় ছিল ৫২ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার।
২৩’ অর্থবছরে সংখ্যাটি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তবে, এই অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮ বিলিয়ন ডলার। সেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ২১ শতাংশ বা ২ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার কম রপ্তানি আয় হয়েছে।
ইপিবির তথ্যে দেখা গেছে, জুন মাসে ৫ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের জুনের তুলনায় এই রপ্তানি ছিল ২ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি।
ডলার সংকটের কারণে দেশের অর্থনীতি চাপে পড়েছে। আর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুটি উৎস হচ্ছে প্রবাসী আয় রেমিটেন্স ও পণ্য রপ্তানি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত অর্থবছরে উভয় উৎস থেকে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ কিছুটা কমলেও, পরে আবার ঘুরে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: রপ্তানি আয়ের জন্য ডলারের বিনিময় হার বেড়ে ১০৭.৫ টাকা
২৩’ অর্থবছরে প্রাপ্ত রেমিটেন্স ছিল ২১ দমমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার, যা আগের ২২’ অর্থবছরের তুলনায় ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইপিবির তথ্যে দেখা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য ও চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি বেড়েছে।
অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের তুলনায় ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি।
তৈরি পোশাকের পর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি ছিল ১ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। এ ক্ষেত্রে রপ্তানি কমেছে ২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মে মাসে ৪.০৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে
১১ মাসে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৫০.৫২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: ইপিবি
১১ মাসে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৫০.৫২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: ইপিবি
বাংলাদেশ মে মাসে পণ্য রপ্তানি করে ৪ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা বছরে ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
দেশে ২০২২ সালের মে মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যে রপ্তানি খাত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে।
রবিবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের এপ্রিলে পণ্য রপ্তানি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়, কারণ হঠাৎ করেই রপ্তানি ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৩ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। তবে মে মাসে রপ্তানি বেড়েছে ৮৯০ মিলিয়ন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের ২০২২-২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৫০ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ রপ্তানি ৭ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৪৭ দমমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের।
আরও পড়ুন: আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয় ১.৭ বিলিয়ন ডলার: প্রধানমন্ত্রী
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, নন-লেদার জুতা ও প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে।
তবে পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছর ২০২১-২২ এর একই সময়ের তুলনায় ১০ দমমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি পণ্য ছিল ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এইখাতে প্রবৃদ্ধি ৪২ শতাংশ।
তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকৃত পণ্য হল ১ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের হোম টেক্সটাইল পণ্য। এ খাতের রপ্তানি কমেছে ৩০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাধার সম্মুখীন হতে পারে: বাণিজ্য সচিব
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে তৈরি পোশাক রপ্তানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে
রপ্তানি আয় ১০ মাসে রেকর্ড ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়াল
চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে ৪৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে যা ২০২১ অর্থবছরের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) চলতি অর্থবছরে ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের মাইলফলক তৈরি করবে বলে আশা করছে।
সোমবার প্রকাশিত ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে এক মাসে পণ্য ও সেবা রপ্তানি করে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা চার দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছেন।
আরও পড়ুন: নেপালে বিদ্যুৎ রপ্তানির পাশাপাশি আমদানির প্রস্তাব বাংলাদেশের
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সত্ত্বেও কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়ে বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে দেশের উদ্যোক্তারা এই রেকর্ড অর্জন করেছেন।
এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরের শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে রপ্তানি বাণিজ্যে ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
উচ্চ রপ্তানি আয়ের একক মাস হিসেবে এপ্রিল বাংলাদেশের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ মাস।
চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ আয় ছিল চার দশমিক ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছিল জানুয়ারিতে চার দশমিক ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মার্চে ছিল চার দশমিক ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা ফেব্রুয়ারিতে চার দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।