বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৫ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য ও পরিষেবা রপ্তানি করেছে, যা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বছরে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার (৩ জুলাই) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এ তথ্য জানিয়েছে।
২২’ অর্থবছরের তুলনায় ২৩’ অর্থবছরে রপ্তানি ৩ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার বা ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে, যখন রপ্তানি আয় ছিল ৫২ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার।
২৩’ অর্থবছরে সংখ্যাটি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। তবে, এই অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮ বিলিয়ন ডলার। সেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ২১ শতাংশ বা ২ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার কম রপ্তানি আয় হয়েছে।
ইপিবির তথ্যে দেখা গেছে, জুন মাসে ৫ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের জুনের তুলনায় এই রপ্তানি ছিল ২ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি।
ডলার সংকটের কারণে দেশের অর্থনীতি চাপে পড়েছে। আর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুটি উৎস হচ্ছে প্রবাসী আয় রেমিটেন্স ও পণ্য রপ্তানি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত অর্থবছরে উভয় উৎস থেকে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ কিছুটা কমলেও, পরে আবার ঘুরে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুন: রপ্তানি আয়ের জন্য ডলারের বিনিময় হার বেড়ে ১০৭.৫ টাকা
২৩’ অর্থবছরে প্রাপ্ত রেমিটেন্স ছিল ২১ দমমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার, যা আগের ২২’ অর্থবছরের তুলনায় ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইপিবির তথ্যে দেখা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য ও চামড়াবিহীন জুতা রপ্তানি বেড়েছে।
অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল এবং প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের তুলনায় ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি।
তৈরি পোশাকের পর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি ছিল ১ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার। এ ক্ষেত্রে রপ্তানি কমেছে ২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মে মাসে ৪.০৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে
১১ মাসে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ৫০.৫২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: ইপিবি