বিদ্যুৎ সরবরাহ
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে
ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহে মঙ্গলবার দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ এক হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এবারই প্রথম বিদ্যুতের ঘাটতি এত বেশি দেখা দিয়েছে। সোমবার সর্বোচ্চ ৯৬৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়। অথচ এদিন ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নতুন রেকর্ড গড়ে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় দেশে চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, তখন লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।
এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে সেগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।
সেচ ও রমজানের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ পর্যবেক্ষণে কন্ট্রোল রুম চালু
চলতি সেচ মৌসুম, পবিত্র রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতরে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করতে বিদ্যুৎ ভবনে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
সরকারি ছুটির দিনসহ প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে।
৫ এপ্রিল জারি করা অফিস আদেশে বলা হয়েছে, কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে মোবাইল ফোন যোগাযোগ এই অফিস সময়ের পরেও চালু থাকবে।
কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগের নম্বরগুলো হলো: ০২-৪৭১২০৩০৯ এবং ০১৭৩৯০০০২৯৩।
বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন ১৮ জন কর্মকর্তা ধারাবাহিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত যেকোনো অভিযোগের সমাধান প্রদান করবেন। যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।
আদেশে বলা হয়েছে, নতুন অফিস আদেশ ৬ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
আররও পড়ুন: জ্বালানির দাম স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম কমানো যাবে না: তৌফিক ইলাহী
প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে: নসরুল
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: পিরোজপুর ও মাদারীপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত
দেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বর্ষণে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর প্রভাবে পিরোজপুর ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে।
সোমবার ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডব্লিউজেডপিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজহারুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘পিরোজপুর ও মাদারীপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। আমাদের প্রকৌশলীরা সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা করছেন’।
তিনি আরও জানান যে ডব্লিউজেডপিডিসি বিদ্যুৎ বিতরণ নেটওয়ার্কের আওতাধীন মোট ২১টি জেলার মধ্যে পাঁচটি উপকূলীয় জেলা বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর এখন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: লক্ষ্মীপুরে ১৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬ মেডিকেল টিম প্রস্তুত
ডব্লিউজেডপিডিসিএল প্রধান উল্লেখ করেছেন যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে এবং পরে বিদ্যুৎ সরবরাহে যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তার সংস্থা প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘কোনও বিঘ্ন ঘটলে অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ আমরা আমাদের দলগুলোকে প্রস্তুত রেখেছি।’
তিনি বলেন, ডব্লিউজেডপিডিসিএলের আওতাধীন জেলাগুলোতে সাধারণ দিনের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
ডব্লিউজেডপিডিসিএল নেটওয়ার্কের আওতাধীন জেলাগুলোতে সাধারণত ৪০০ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে সোমবার এটি প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট এবং এটি আরও কমতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কোন নির্ধারিত লোডশেডিং নেই। কিন্তু ১১ কেভি ফিডার লাইনে ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের কারণে ব্যাহত হওয়ার ফলে অনেক জায়গায় ব্ল্যাকআউট হয়।’
এদিকে ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এবং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) উভয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তাদের কোনও এলাকায় লোডশেডিংয়ের সময়সূচি নেই। কারণ বিদ্যুতের চাহিদা অনেক কম এবং চাহিদা ও সরবরাহের ব্যবধান নেই।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কাউসার আমীর আলী বলেন, ‘আমরা এখন একই চাহিদার বিপরীতে ৭৫০ মেগাওয়াট পাচ্ছি, যখন অন্য দিনে সাধারণত চাহিদা ১০৫০ মেগাওয়াট থাকে এবং আমাদের প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’: সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বাগেরহাটে ৩৪৪ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
কর্ম সপ্তাহের শুরুতে ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আরও খারাপ
তিন দিনের ছুটির পর কর্মসপ্তাহ শুরু হওয়ায় সোমবার ঢাকা মহানগরী এবং অন্যান্য স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দুটি সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) -এর কর্মকর্তারা বলছেন, অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার পর সকাল থেকে ঢাকা শহর ও আশেপাশের এলাকায় বাড়তি চাহিদা মোকাবিলায় তাদের আরও বেশি লোডশেডিং করতে হবে।
ফলস্বরূপ, ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায় প্রায় ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতির মুখোমুখি হতে হয়। এই এলাকাগুলোতে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার ৯০০ মেগাওয়াটের চাহিদা রয়েছে। সারা দিন ন্যূনতম পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা দীর্ঘ লোডশেডিং করতে হয়।
এছাড়া ছুটির দিনে নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গী শিল্প এলাকাসহ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে ৫০০ থেকে ৬০০ মেগাওয়াট ঘাটতি ছিল।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান জানান, আজ সকাল থেকে তার কোম্পানির আওতাধীন এলাকায় দিনের বেলায় ৬০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা মহানগরীতে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা ১৭৫০ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে ১১৫০ মেগাওয়াট পাচ্ছি। গরম আবহাওয়ায় মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদার আলোকে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে’।
সপ্তাহের শেষে এবং ছুটির দিনে লোডশেডিং ছিল প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট এবং ডিপিডিসি এলাকায় চাহিদা ছিল ১৪০০ মেগাওয়াট।
ডিপিডিসি’র প্রধান নির্বাহী স্বীকার করেছেন যে ডিপিডিসির পরিষেবা দেয়া কিছু এলাকায় গ্রাহকরা দিনে পাঁচ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎহীন থাকছেন।
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আন্তরিক দুঃখপ্রকাশ করা ছাড়া আমাদের কিছু করার নাই… আমরা যা পাই তা সরবরাহ করি।
ডিপিডিসি ঢাকা শহরের মধ্য, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ এবং নারায়ণগঞ্জের কিছু অংশে বিদ্যুৎ বিতরণ করে থাকে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন, সেনানিবাস এবং বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালসহ বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ প্রধান স্থাপনা (কেপিআই) ডিপিডিসি এলাকায় অবস্থিত।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কাউসার আমীর আলী তার এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় একই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
ক্ষেত্র বিশেষে ডেসকো এলাকার গ্রাহকদের সারাদিনে পাঁচ ঘন্টার বেশি লোডশেডিং পোহাতে হয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ছুটির শেষ তিন দিনের তুলনায় আজ লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেশি।
ডেসকো ঢাকা শহরের উত্তর ও পূর্বাঞ্চল এবং টঙ্গী শিল্প কেন্দ্রে বিদ্যুৎ বিতরণ করে।
কাউসার উল্লেখ করেন, ডেসকোর সরবরাহ অঞ্চলের দৈনিক ১০৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ২৯৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়। গরমের কারণে ঢাকা শহরে বিদ্যুত সরবরাহের চাহিদা আরও বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আগামী মাসে আরও উন্নতি হবে: নসরুল হামিদ
সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী
সিলেটের কুমারগাওয়ের বিদ্যুতের গ্রিড লাইনের সাব স্টেশনে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পুরো সিলেট ও সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, সিলেট সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগ।
শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুর থেকে কুমারগাও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের চারপাশে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী। এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের সাকার মেশিন দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঢুকে পড়া পানি শুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে কুমারগাও সাব স্টেশন তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এটি তলিয়ে গেলে পুরো সিলেট বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে। এতে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাই আমরা এই কেন্দ্রটি চালু রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। যাতে অন্তত নগরের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন, সেনাবাহিনী ও বিদ্যুৎ বিভাগ একসাথে মিলে এই কেন্দ্র সচল রাখার চেষ্টা করছি।
পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার শঙ্কা
বিদ্যুৎ বিভাগের সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির শুক্রবার দুপুরে বলেন, গত বুধবার রাতেই কুমারগাও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি ঢুকে পড়েছে। আর চার ইঞ্চি পানি বাড়লেই এই কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হবে। ইতোধ্যে সুনামগঞ্জ, ছাতক, কোম্পানীগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কুমারগাও উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেলে পুরো সিলেট বিদ্যুৎহীন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি এই কেন্দ্রটি সচল রাখার। বালির বস্তা দিয়ে কেন্দ্রের চারপাশে বাঁধ দেয়া হচ্ছে। কেন্দ্রে ঢুকে পড়া পানি সেচে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী ও সিটি করপোরেশন আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করছে।
শুক্রবার দুপুরে কুমারগাও সাব স্টেশন পরিদর্শনে যান সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
তিনি বলেন, বন্যায় সিলেটের সবগুলো উপজেলাই পানি প্রবেশ করেছে। অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। সিলেট নগরে যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে আমরা সেই চেষ্টা করছি।
পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতিতে শাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা