বিদ্যুৎ সরবরাহ
দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে স্মার্ট গ্রিড সিস্টেম প্রয়োজন: জ্বালানি উপদেষ্টা
জ্বালানি উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, কয়েক বছর ধরে বিদ্যুতের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন হওয়ায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউআইইউ) 'দ্য রোল অব স্মার্ট গ্রিড ইন দ্য ফিউচার পাওয়ার সিস্টেম' শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফাওজুল বলেন, 'চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের একটি স্মার্ট গ্রিড সিস্টেমের দিকে যেতে হবে, যা বিদ্যুৎ সরবরাহে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।’
ইউআইইউ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশে ইএসএস সুবিধাসহ প্রথম সোলার এনার্জি ল্যাব উদ্বোধন উপলক্ষে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ে এবং ইউআইইউর সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ (সিইআর) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
এই অগ্রণী সোলার ল্যাবটি নবায়নযোগ্য এবং টেকসই শক্তি খাতে শীর্ষস্থানীয় প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার সুযোগ দেবে।
ফাওজুল কবির বলেন, সরকার সৌর ও বায়ুর মতো নবায়নযোগ্য উৎস চালু করছে। ‘এখন আমাদের স্মার্ট গ্রিডের দিকে যেতে হবে, যা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা ব্যাটারি স্টোরেজ সিস্টেমকেও প্রাধান্য দিচ্ছি।’
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাশেম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম রেজওয়ান খান এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও প্যান জুনফেং।
আরও পড়ুন: ভোলায় আরও ১৯টি গ্যাসকূপ খনন করা হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
হুয়াওয়ে-সিইআর, ইউআইইউ সোলার ল্যাবটি হুয়াওয়ের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম লক্ষ্য হলো সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
হুয়াওয়ে এবং সিইআর, ইউআইইউ যৌথভাবে বাংলাদেশের বাজারের উদ্দেশ্য পূরণকারী প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য বিভিন্ন কোর্স কনটেন্ট তৈরি করবে।
কোর্সের বিষয়বস্তুতে নবায়নযোগ্য শক্তি প্রযুক্তি, ডিজিটাল শক্তি এবং স্মার্ট শক্তি সমাধানের ক্ষেত্রে সর্বশেষ গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত বিকাশও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইএসএস সিস্টেম সহ প্রথম সোলার ল্যাব উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা নবায়ণযোগ্য জ্বালানি খাতে আমাদের তরুণদের সম্পৃক্ততার দিকে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইএসএস সিস্টেমসহ প্রথম সোলার ল্যাব উদ্বোধনকালে চীন-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
ইয়াও ওয়েন উল্লেখ করেন, এই সহযোগিতা কেবল চীনা বিনিয়োগের মাধ্যমে স্থানীয় প্রতিভা বিকাশের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে না বরং সৌর শক্তি খাতকে এগিয়ে নিতে ইউআইইউর শক্তি গবেষণা কেন্দ্রে দীর্ঘকালীন অবদানকেও তুলে ধরে।
প্যান জুনফেং বলেন, 'আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উত্তরণের ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।’
তিনি আরও বলেন, সেই আলোকে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হুয়াওয়ে ডিজিটাল পাওয়ার বাংলাদেশের গ্রাহকদের ৬০০ মেগাওয়াট+ ডিজিটাল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণে সহায়তা করেছে। যা ৪৩৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। এতে কার্বন নিঃসরণ ২ লাখ ৭ হাজার ৮৬৭ টন কমেছে, যা ২ লাখ ৮৪ হাজার ৪৫০টি গাছ লাগানোর সমতুল্য।
তিনি বলেন, আইসিটি ও ডিজিটাল পাওয়ারের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে এবং দেশের স্বনামধন্য জ্বালানি গবেষণা কেন্দ্র ইউআইইউ'র সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ যৌথভাবে এই সোলার ল্যাবের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পর্কে জানার, বেড়ে উঠতে ও অবদান রাখতে পেশাদারদের ব্যাপক সুযোগ করে দিতে পারে।
ইউআইইউ সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চের (সিইআর) পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। সৌর বিদ্যুৎ ক্রমবর্ধমান ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আগামী বছরগুলোতে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার নতুন সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখেছে। শুধুমাত্র ২০২৩ সালেই নতুন ছাদে রেকর্ড ৪২ মেগাওয়াট (মেগাওয়াট) সৌর ক্ষমতা যুক্ত করেছে।
শাহরিয়ার আলম অবশ্য বলেন, পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতায় সজ্জিত করতে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রয়োজন। এই খাতে আমাদের শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের বাস্তব জ্ঞানার্জনে এই ল্যাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
নবায়নযোগ্য ও টেকসই জ্বালানির ক্ষেত্রে গবেষণা বৃদ্ধি, এর ব্যবহার ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা এবং গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে ২০১০ সালে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ (সিইআর) প্রতিষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য প্রায় সব সোলার ডিজেল হাইব্রিড মিনি-গ্রিড ডিজাইন করেছে সিইআর, ইউআইইউ।
সিইআর ইডকল মানদন্ড অনুযায়ী সোলার পিভি সরঞ্জামের সার্টিফিকেশনের জন্য বাংলাদেশে সোলার হোম সিস্টেম (এসএইচএস) সরঞ্জামের অন্যতম পরীক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করা হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
১ সপ্তাহ আগে
বিদ্যুৎ খাতের বকেয়া পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার বন্ড দেবে সরকার
বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য সরকার পাঁচ হাজার কোটি টাকার নতুন বন্ড ইস্যু করতে যাচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে সরকারি কিছু সূত্র।
বর্তমানে এই পদক্ষেপটি বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, 'আমরা পাঁচ হাজার কোটি টাকার নতুন বন্ড ইস্যু করার জন্য আমাদের দিক থেকে প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এটি এখন অর্থ মন্ত্রণালয়ে আছে।’
চলতি সপ্তাহের মধ্যেই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে চূড়ান্ত ছাড়পত্র পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিপিডিবির এই কর্মকর্তা।
তিনি আরও বলেন, আগের মতো এবারও সরকারি-বেসরকারি খাতের ২৫-২৭টি ব্যাংক বন্ড ইস্যু প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে।
স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের (আইপিপি) ওপর থেকে আর্থিক চাপ কমানো এবং দেশের বিদ্যুৎ খাতকে স্থিতিশীল করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
তাদের মতে, বিপিডিবি এই পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বিদ্যুৎ বিভাগকে বিষয়টি নিয়ে অর্থ বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করতে পরামর্শ দিয়েছে।
বিপিডিবির আরেক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, 'স্বতন্ত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী (আইপিপি) হিসেবে পরিচিত বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীরা বিপিডিবির কাছ থেকে কত টাকা পাবে আমরা হিসাব করছি।’
আরও পড়ুন: ঝুলে আছে ১০টি গ্রিড সংযুক্ত সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে বিপিডিবির দরপত্র আহ্বান
তিনি আরও জানান, বর্তমানে বিপিডিবির মোট অপরিশোধিত বিলের পরিমাণ প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে বেসরকারি উৎপাদনকারীদের পাওনা প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।
বাকি অর্থের মধ্যে গ্যাস বিল ১৭ হাজার কোটি টাকা এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর পাওনা ১০ হাজার কোটি টাকা।
আদানি গ্রুপসহ ভারতের সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা পাবে।
এর আগে বিদ্যুৎ খাতকে স্থিতিশীল করতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বিশেষ বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ২০ হাজার ৬২০ কোটি টাকা পেয়েছিল। বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বকেয়া দায় পরিশোধের লক্ষ্যে এই উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত ছিল সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক।
বিদ্যুৎ খাতের আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ২৫ জানুয়ারি একটি চুক্তি সই হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, চুক্তি অনুযায়ী সরকার সিটি ব্যাংককে ১৯ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা এবং পূবালী ব্যাংককে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার বন্ড ইস্যু করে।
ভর্তুকি তহবিল বিতরণে সরকারের অক্ষমতার কারণে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো তাদের আর্থিক প্রয়োজন মেটাতে যার ফলে কেউ কেউ দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।
এ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত রেপো রেট অনুযায়ী ৮ শতাংশ কুপন হারে বিশেষ বন্ড ইস্যু চালু করা হয়। ভবিষ্যতে রেপো রেটে যে কোনো পরিবর্তন হলে সে অনুযায়ী বন্ডের সুদের হার সমন্বয় করবে।
বন্ডের মেয়াদ শেষে সরকার সুদসহ ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করে বন্ডগুলো পুনরুদ্ধার করবে। সাধারণত বন্ডগুলো ১৫-২০ বছর মেয়াদি হলেও বিদ্যুৎ খাতের জরুরি চাহিদা মেটাতে এই বিশেষ বন্ডগুলোর সর্বোচ্চ মেয়াদ ১০ বছর।
সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, কনফিডেন্স পাওয়ার, বারাকা, কুশিয়ারা, ডরিন ও অ্যাক্রন পাওয়ারসহ বিদ্যুৎ খাতের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো এই উদ্যোগের সুবিধাভোগীদের মধ্যে অন্যতম।
অর্থ বিভাগ ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়াসহ অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে চুক্তির পরিকল্পনার কথাও প্রকাশ করেছে।
চুক্তির গুরুত্ব নিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা আশাবাদী।
ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এসব বন্ড পেতে পারে, একই সঙ্গে সরকারও আর্থিক দিক দিয়ে কঠিন সময় মোকাবিলা করতে পারে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের কাছে বিপিডিবির বকেয়া পরিশোধে নতুন বন্ড ইস্যুর কথা ভাবছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
১ মাস আগে
বিদ্যুৎ সরবরাহ ৩-৪ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে ও গ্যাস সরবরাহ জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে গ্যাস সরবরাহও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
জ্বালানি পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে চলমান প্রচেষ্টার বিষয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা এখন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ১৫-১৬ জুলাইয়ের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন থাকবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতি এরইমধ্যে দেখা যাচ্ছে। আদানির পক্ষ থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রও আবার চালু হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে সম্ভাব্য বন্যার ক্ষতি কমাতে প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কারিগরি ও অন্যান্য কারণে মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে: নসরুল হামিদ
এই ক্ষতি কমিয়ে আনতে কাজ চলছে জানিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ৭০০ নদীর দেশ। সাম্প্রতিক ঝড় ও বন্যায় সিলেট অঞ্চলের ৩০ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি ধ্বংস হয়েছে এবং সব সাবস্টেশন ডুবে গেছে।’
গ্যাসের চাপ কম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে হামিদ বলেন, ‘ঝড়ের কারণে আমাদের একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৪ থেকে ১৫ জুলাই টার্মিনালে আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে গ্যাস সমস্যার সমাধান হবে।’
বিদ্যুতের মূল্য বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আইএমএফ বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর শর্ত দিয়েছে। এ কারণে দুইবার দাম বাড়ানো হয়েছে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। সরকার চাইলে আমরা দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেব।’ তবে এখনই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
আগামী ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্ধারিত চীন সফরকে সামনে রেখে জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনার কথা জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
মহেশখালী থেকে গ্রিডের সমান্তরালে ৮টি পাইপলাইন সংযুক্ত করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, সম্ভাব্য এক বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ও চুক্তি আশা করা হচ্ছে। মূলত বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ প্রকল্পগুলোর জন্য এই চুক্তিগুলো করা হবে।
২০২৭ সালের মধ্যে গ্যাস সংকট সমাধান, আরও দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা এবং স্থল ও অগভীর সমুদ্র এলাকায় নতুন কূপ খননের উদ্যোগ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নসরুল হামিদ।
আরও পড়ুন: ২০৩৫ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় বাংলাদেশ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
৪ মাস আগে
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে
ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহে মঙ্গলবার দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ এক হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে এবারই প্রথম বিদ্যুতের ঘাটতি এত বেশি দেখা দিয়েছে। সোমবার সর্বোচ্চ ৯৬৬ মেগাওয়াট লোডশেডিং রেকর্ড করা হয়। অথচ এদিন ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নতুন রেকর্ড গড়ে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় দেশে চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট, তখন লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।
অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।
এতে দেখা যায়, বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে সেগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।
৬ মাস আগে
সেচ ও রমজানের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ পর্যবেক্ষণে কন্ট্রোল রুম চালু
চলতি সেচ মৌসুম, পবিত্র রমজান ও পবিত্র ঈদুল ফিতরে সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ পর্যবেক্ষণ ও তদারকি করতে বিদ্যুৎ ভবনে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
সরকারি ছুটির দিনসহ প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে।
৫ এপ্রিল জারি করা অফিস আদেশে বলা হয়েছে, কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে মোবাইল ফোন যোগাযোগ এই অফিস সময়ের পরেও চালু থাকবে।
কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগের নম্বরগুলো হলো: ০২-৪৭১২০৩০৯ এবং ০১৭৩৯০০০২৯৩।
বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন ১৮ জন কর্মকর্তা ধারাবাহিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত যেকোনো অভিযোগের সমাধান প্রদান করবেন। যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন।
আদেশে বলা হয়েছে, নতুন অফিস আদেশ ৬ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
আররও পড়ুন: জ্বালানির দাম স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুত ও গ্যাসের দাম কমানো যাবে না: তৌফিক ইলাহী
প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে: নসরুল
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: পিরোজপুর ও মাদারীপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত
দেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বর্ষণে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর প্রভাবে পিরোজপুর ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে।
সোমবার ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডব্লিউজেডপিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজহারুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘পিরোজপুর ও মাদারীপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। আমাদের প্রকৌশলীরা সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা করছেন’।
তিনি আরও জানান যে ডব্লিউজেডপিডিসি বিদ্যুৎ বিতরণ নেটওয়ার্কের আওতাধীন মোট ২১টি জেলার মধ্যে পাঁচটি উপকূলীয় জেলা বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর এখন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: লক্ষ্মীপুরে ১৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬ মেডিকেল টিম প্রস্তুত
ডব্লিউজেডপিডিসিএল প্রধান উল্লেখ করেছেন যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে এবং পরে বিদ্যুৎ সরবরাহে যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তার সংস্থা প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘কোনও বিঘ্ন ঘটলে অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ আমরা আমাদের দলগুলোকে প্রস্তুত রেখেছি।’
তিনি বলেন, ডব্লিউজেডপিডিসিএলের আওতাধীন জেলাগুলোতে সাধারণ দিনের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
ডব্লিউজেডপিডিসিএল নেটওয়ার্কের আওতাধীন জেলাগুলোতে সাধারণত ৪০০ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে সোমবার এটি প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট এবং এটি আরও কমতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কোন নির্ধারিত লোডশেডিং নেই। কিন্তু ১১ কেভি ফিডার লাইনে ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের কারণে ব্যাহত হওয়ার ফলে অনেক জায়গায় ব্ল্যাকআউট হয়।’
এদিকে ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এবং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) উভয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তাদের কোনও এলাকায় লোডশেডিংয়ের সময়সূচি নেই। কারণ বিদ্যুতের চাহিদা অনেক কম এবং চাহিদা ও সরবরাহের ব্যবধান নেই।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কাউসার আমীর আলী বলেন, ‘আমরা এখন একই চাহিদার বিপরীতে ৭৫০ মেগাওয়াট পাচ্ছি, যখন অন্য দিনে সাধারণত চাহিদা ১০৫০ মেগাওয়াট থাকে এবং আমাদের প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’: সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: বাগেরহাটে ৩৪৪ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
২ বছর আগে
কর্ম সপ্তাহের শুরুতে ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আরও খারাপ
তিন দিনের ছুটির পর কর্মসপ্তাহ শুরু হওয়ায় সোমবার ঢাকা মহানগরী এবং অন্যান্য স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দুটি সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) এবং ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) -এর কর্মকর্তারা বলছেন, অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার পর সকাল থেকে ঢাকা শহর ও আশেপাশের এলাকায় বাড়তি চাহিদা মোকাবিলায় তাদের আরও বেশি লোডশেডিং করতে হবে।
ফলস্বরূপ, ঢাকা এবং আশেপাশের এলাকায় প্রায় ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতির মুখোমুখি হতে হয়। এই এলাকাগুলোতে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার ৯০০ মেগাওয়াটের চাহিদা রয়েছে। সারা দিন ন্যূনতম পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা দীর্ঘ লোডশেডিং করতে হয়।
এছাড়া ছুটির দিনে নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গী শিল্প এলাকাসহ ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে ৫০০ থেকে ৬০০ মেগাওয়াট ঘাটতি ছিল।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান জানান, আজ সকাল থেকে তার কোম্পানির আওতাধীন এলাকায় দিনের বেলায় ৬০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা মহানগরীতে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা ১৭৫০ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে ১১৫০ মেগাওয়াট পাচ্ছি। গরম আবহাওয়ায় মানুষের ক্রমবর্ধমান চাহিদার আলোকে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে’।
সপ্তাহের শেষে এবং ছুটির দিনে লোডশেডিং ছিল প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট এবং ডিপিডিসি এলাকায় চাহিদা ছিল ১৪০০ মেগাওয়াট।
ডিপিডিসি’র প্রধান নির্বাহী স্বীকার করেছেন যে ডিপিডিসির পরিষেবা দেয়া কিছু এলাকায় গ্রাহকরা দিনে পাঁচ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎহীন থাকছেন।
তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে আন্তরিক দুঃখপ্রকাশ করা ছাড়া আমাদের কিছু করার নাই… আমরা যা পাই তা সরবরাহ করি।
ডিপিডিসি ঢাকা শহরের মধ্য, পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ এবং নারায়ণগঞ্জের কিছু অংশে বিদ্যুৎ বিতরণ করে থাকে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন, সেনানিবাস এবং বেশিরভাগ সরকারি হাসপাতালসহ বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ প্রধান স্থাপনা (কেপিআই) ডিপিডিসি এলাকায় অবস্থিত।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কাউসার আমীর আলী তার এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় একই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।
ক্ষেত্র বিশেষে ডেসকো এলাকার গ্রাহকদের সারাদিনে পাঁচ ঘন্টার বেশি লোডশেডিং পোহাতে হয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ছুটির শেষ তিন দিনের তুলনায় আজ লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেশি।
ডেসকো ঢাকা শহরের উত্তর ও পূর্বাঞ্চল এবং টঙ্গী শিল্প কেন্দ্রে বিদ্যুৎ বিতরণ করে।
কাউসার উল্লেখ করেন, ডেসকোর সরবরাহ অঞ্চলের দৈনিক ১০৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ২৯৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়। গরমের কারণে ঢাকা শহরে বিদ্যুত সরবরাহের চাহিদা আরও বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আগামী মাসে আরও উন্নতি হবে: নসরুল হামিদ
২ বছর আগে
সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী
সিলেটের কুমারগাওয়ের বিদ্যুতের গ্রিড লাইনের সাব স্টেশনে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এতে পুরো সিলেট ও সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় সিলেটের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, সিলেট সিটি করপোরেশন ও বিদ্যুৎ বিভাগ।
শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুর থেকে কুমারগাও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের চারপাশে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী। এছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের সাকার মেশিন দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঢুকে পড়া পানি শুকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে কুমারগাও সাব স্টেশন তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এটি তলিয়ে গেলে পুরো সিলেট বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে। এতে যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। তাই আমরা এই কেন্দ্রটি চালু রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। যাতে অন্তত নগরের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন, সেনাবাহিনী ও বিদ্যুৎ বিভাগ একসাথে মিলে এই কেন্দ্র সচল রাখার চেষ্টা করছি।
পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হওয়ার শঙ্কা
বিদ্যুৎ বিভাগের সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদির শুক্রবার দুপুরে বলেন, গত বুধবার রাতেই কুমারগাও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে পানি ঢুকে পড়েছে। আর চার ইঞ্চি পানি বাড়লেই এই কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হবে। ইতোধ্যে সুনামগঞ্জ, ছাতক, কোম্পানীগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কুমারগাও উপকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেলে পুরো সিলেট বিদ্যুৎহীন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি এই কেন্দ্রটি সচল রাখার। বালির বস্তা দিয়ে কেন্দ্রের চারপাশে বাঁধ দেয়া হচ্ছে। কেন্দ্রে ঢুকে পড়া পানি সেচে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী ও সিটি করপোরেশন আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করছে।
শুক্রবার দুপুরে কুমারগাও সাব স্টেশন পরিদর্শনে যান সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
তিনি বলেন, বন্যায় সিলেটের সবগুলো উপজেলাই পানি প্রবেশ করেছে। অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। সিলেট নগরে যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকে আমরা সেই চেষ্টা করছি।
পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতিতে শাবিপ্রবি বন্ধ ঘোষণা
২ বছর আগে