দেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বর্ষণে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর প্রভাবে পিরোজপুর ও মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে।
সোমবার ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডব্লিউজেডপিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজহারুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘পিরোজপুর ও মাদারীপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। আমাদের প্রকৌশলীরা সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা করছেন’।
তিনি আরও জানান যে ডব্লিউজেডপিডিসি বিদ্যুৎ বিতরণ নেটওয়ার্কের আওতাধীন মোট ২১টি জেলার মধ্যে পাঁচটি উপকূলীয় জেলা বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর এখন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: লক্ষ্মীপুরে ১৮৫ আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬৬ মেডিকেল টিম প্রস্তুত
ডব্লিউজেডপিডিসিএল প্রধান উল্লেখ করেছেন যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে এবং পরে বিদ্যুৎ সরবরাহে যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তার সংস্থা প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘কোনও বিঘ্ন ঘটলে অবিলম্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ আমরা আমাদের দলগুলোকে প্রস্তুত রেখেছি।’
তিনি বলেন, ডব্লিউজেডপিডিসিএলের আওতাধীন জেলাগুলোতে সাধারণ দিনের তুলনায় বিদ্যুতের চাহিদা তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
ডব্লিউজেডপিডিসিএল নেটওয়ার্কের আওতাধীন জেলাগুলোতে সাধারণত ৪০০ মেগাওয়াটের চাহিদার বিপরীতে সোমবার এটি প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট এবং এটি আরও কমতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কোন নির্ধারিত লোডশেডিং নেই। কিন্তু ১১ কেভি ফিডার লাইনে ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের কারণে ব্যাহত হওয়ার ফলে অনেক জায়গায় ব্ল্যাকআউট হয়।’
এদিকে ঢাকা পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) এবং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) উভয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তাদের কোনও এলাকায় লোডশেডিংয়ের সময়সূচি নেই। কারণ বিদ্যুতের চাহিদা অনেক কম এবং চাহিদা ও সরবরাহের ব্যবধান নেই।
ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কাউসার আমীর আলী বলেন, ‘আমরা এখন একই চাহিদার বিপরীতে ৭৫০ মেগাওয়াট পাচ্ছি, যখন অন্য দিনে সাধারণত চাহিদা ১০৫০ মেগাওয়াট থাকে এবং আমাদের প্রায় ৩০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়।’