রানি
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ বিদায় জানাল ব্রিটেন ও সারাবিশ্ব
রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মধ্যদিয়ে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ বিদায় জানিয়েছে ব্রিটেন ও সারাবিশ্ব। সোমবারের এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট, রাজা, রাজপুত্র এবং প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। প্রিয় রানিকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে শোকার্ত জনতা লন্ডনের রাস্তায় ভিড় করেছিল।
উইনস্টন চার্চিলের পর প্রথমবার রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সাক্ষী হলো ব্রিটেন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের প্রতিটি বছরের জন্য একবার করে ৯৬ বার তোপধ্বনি দেয়া হয়। তারপরে ১৪২ জন রয়্যাল নেভির সদস্য কামানবাহী গাড়িতে করে রানির কফিন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে নিয়ে আসা হয়। এরপর ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে গির্জার ভিতরে কফিনটি নিয়ে যাওয়ার আগে বিশ্ব নেতা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা কর্মী পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার মানুষ রানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হয়েছিল।
রানিকে বহনকারী কফিনটি রাজকীয় পতাকা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল এবং এর ওপর ইম্পেরিয়াল স্টেট ক্রাউন বসানো ছিল।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যারা থাকছেন
কফিনটির পেছনে এলিজাবেথের বংশধররা একে একে গির্জায় প্রবেশ করেন। কফিনের ওপরে একটি ফুলের তোড়ার ওপরে একটি হাতে লেখা নোট ছিল। যাতে লেখা ছিল ‘ইন লাভিং এন্ড ডেভোটেড মেমোরি’ এবং তাতে চার্লস আর (রেক্স বা রাজা) বলে স্বাক্ষর রয়েছে।
শেষকৃত্যের শুরুতে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে-র ডিন ডেভিড হোয়েল শোকার্তদের বলেন, ‘এই সেই স্থান, যেখানে রানি এলিজাবেথের বিয়ে হয়েছিল এবং তাকে মুকুট পরানো হয়েছিল। আমরা সারা দেশ থেকে, কমনওয়েলথ থেকে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে, আমাদের ক্ষতির জন্য শোক করতে এবং দীর্ঘজীবনে তার নিঃস্বার্থ সেবার স্মরণ করার জন্য একত্রিত হয়েছি।’
যুক্তরাজ্যজুড়ে দুই মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। তারপর উপস্থিতরা জাতীয় সঙ্গীত গায়, যার শিরোনাম এখন ‘গড সেভ দ্য কিং’।
সোমবার এলিজাবেথের সম্মানে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ৯৬ বছর বয়সে মারা যান রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ঐতিহাসিক মুহুর্তে অংশ নিতে কয়েক হাজার লোক সেন্ট্রাল লন্ডনের রাস্তায় নেমেছিল। রাজধানীর রাস্তা দিয়ে কফিন নিয়ে যাওয়া দেখতে তারা ফুটপাতে ভিড় করে দাঁড়ায়। কফিনবাহী মিছিলটি শহরের রানির সরকারি বাসভবন বাকিংহাম প্যালেস অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে সকলে মাথা নত করে এবং সম্মান জানায়।
টেলিভিশনে লাইভ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় আরও কয়েক লাখ মানুষকে দেখা যায়। লাইভে রানির কফিনবাহী মিছিল দেখতে যুক্তরাজ্য জুড়ে পার্ক ও পাবলিক স্পেসে মানুষ ভিড় জমায়। এমনকি গুগল তাদের ডুডলটি আজকের জন্য রানির সম্মানে কালো করেছে।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে সন্ধ্যায়, চার্লস যুক্তরাজ্য ও সারা বিশ্বের লোকদের ধন্যবাদ জানিয়ে একটি বার্তা দেন।
তিনি তাতে বলেন, তিনি ও তার স্ত্রী ক্যামিলা রানিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছেন।
ব্রিটেনজুড়ে মানুষেরা রাত ৮টায় এক মিনিটের নীরবতা পালন করে।
আরও পড়ুন: পর্দায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এখন কি করা হবে?
২ বছর আগে
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দেন।
এসময় ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে-তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও ছিলেন শত শত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে। এখানেই ১৯৮৭ সালে রানির বিয়ে হয়েছিল এবং ১৯৫৩ সালে রানি হিসেবে তার অভিষেক হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘একজন অভিভাবকের বিদায়’: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
পতাকায় মোড়া রানির কফিনের ওপর ইম্পেরিয়াল স্টেট ক্রাউন রেখে রয়্যাল নেভির নাবিকেরা একটি কামানবাহী গাড়িতে করে চার্চে নিয়ে আসে।
এর আগে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দিতে শেখ হাসিনা তার রাষ্ট্রীয় সফরে ১৫ সেপ্টেম্বর লন্ডন পৌঁছান।
যখন রানির কফিনটি নিয়ে যাওয়া হয় তা দেখার জন্য শোকার্তরা বাকিংহাম প্যালেসের চারপাশের রাস্তায় সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
শেষ যাত্রায় কফিনটি লন্ডনের মধ্য দিয়ে যাবে এবং দ্বিতীয় আনুষ্ঠিকতার জন্য উইন্ডসর ক্যাসেলে নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার নিরাপত্তায় খরচ হবে ৭ মিলিয়ন ডলার!
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যারা থাকছেন
২ বছর আগে
‘একজন অভিভাবকের বিদায়’: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগ দিতে ১৫ সেপ্টেম্বর সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছান।
যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ওয়েস্টমিনস্টারের প্রাসাদে গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
শেখ হাসিনা রাজপ্রাসাদের ওয়েস্টমিনস্টার হলে যেখানে দ্বিতীয় এলিজাবেথের মরদেহ শায়িত অবস্থায় রাখা হয়েছিল সেখানে প্রয়াত রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ টিকা গবেষণা ও উন্নয়নে অংশ নিতে আগ্রহী: প্রধানমন্ত্রী
এর আগে, ওয়েস্টমিনস্টারে পৌঁছালে ব্রিটিশ স্পিকারের প্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রী ও তার ছোট বোনকে স্বাগত জানান।
পরে ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে খোলা শোক বইয়ে বাংলায় শোকবার্তা লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর প্রধানমন্ত্রীকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে ক্যামেরার সামনে তিনি রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভিকি ফোর্ড তাকে স্বাগত জানান।
এসময় প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করেন যে তিনি প্রয়াত রানির সঙ্গে আট বা নয়বার দেখা করেছিলেন এবং পরবর্তীতে তাকে তার প্রথম নামেই চিনতেন।
তিনি যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে রানির বিষয়ে বলেন,‘তিনি আমার কাছে একজন মাতৃতুল্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন।…মনে হচ্ছে একজন অভিভাবক চলে গেছে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লস
সৈয়দা মুনা তাসনীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা দু’জনেই ১৯৬১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) সফরকালে রানিকে দেখেছিলেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্রয়াত রানি একজন ‘বৈশ্বিক অভিভাবক’ ছিলেন এবং তার মৃত্যুতে একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
শোক বইয়ে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি বাংলাদেশের জনগণ, আমার পরিবার এবং আমার ছোট বোন শেখ রেহানার পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার বলেন, ‘শেখ রেহানা একজন ব্রিটিশ নাগরিক, তিনি লিখেছেন ‘তিনি আমাদের হৃদয়ের রানি এবং সর্বদাই হৃদয়ে থাকবেন’।
আরও পড়ুন: আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
২ বছর আগে
রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার নিরাপত্তায় খরচ হবে ৭ মিলিয়ন ডলার!
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার নিরাপত্তা জোরদার করতে সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ব্যয় করা হবে। বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতারা উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে। আর তাই তাদের নিরাপত্তায় কোনো ত্রুটি রাখছে না যুক্তরাজ্য।
সোমবারের এই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ব্রিটিশ এমআই ৫ ও এমআই ৬ গোয়েন্দা সংস্থা, লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সিক্রেট সার্ভিস একসঙ্গে কাজ করবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই নিউজ রাজপরিবারের সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাইমন মরগানকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ‘এটি যুক্তরাজ্যের পুলিশের জন্য সর্বকালের সবচেয়ে বড় পুলিশি অপারেশন।
সাইমন মরগান বর্তমানে বেসরকারি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সংস্থা ট্রোজান কনসালটেন্সি’র তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ‘এর আগেও কয়েকটি বড় অনুষ্ঠানে আমরা দায়িত্ব পালন করেছি। যেমন ২০১১ সালে প্রিন্স অব ওয়েলস প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডেলটনের বিয়েটাও বড় ঘটনা ছিল, কিন্তু তার সঙ্গে আপনি এটার তুলনা করতে পারবেন না।’
ওই বিয়েতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
এএনআইয়ের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউ ইয়র্ক পোস্টের মতে ২০১১ সালের বিয়ের জন্য পুলিশের খরচ ছিল আনুমানিক ৭ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
মরগান জানান, অন্তেষ্ট্যিক্রিয়ার দিন লন্ডনকে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ছেয়ে ফেলা হবে। বাড়ির ছাদ ও দর্শণার্থীদের জন্য নির্ধারিত পয়েন্টগুলো থেকে শুরু করে ভিড়ের মধ্যেও পুলিশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবেন। কারণ পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ‘সন্ত্রাসবাদের’ আশঙ্কা করছেন।
এএনআই জানায়, লন্ডনের স্থানীয় কিছু অনলাইন পোর্টালের তথ্যমতে, শহরের কিছু অংশ ইতোমধ্যে ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং সম্ভবত অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে আরও রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে।
মরগান আরও বলেন, সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা উইলিয়াম ও কেটের বিয়ের চেয়েও অনেক বেশি।
অন্যদিকে, প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলকেও রাজকীয় সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে। তবে তারা তাদের রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার সময়, রাজকীয় নিরাপত্তার অধিকার হারিয়েছিলেন।
বেশিরভাগ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সম্ভবত অন্তেষ্ট্যিক্রিয়ায় একসঙ্গে বাসে করে যাবেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মতো কেউ কেউ তাদের নিজস্ব পরিবহনে করেই সেখানে উপস্থিত হবেন।
আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যারা থাকছেন
ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৫ সিরীয় সেনা নিহত: সানা
জোরপূর্বক গুম: জাতিসংঘ ২১ দেশের ৬৯৬ মামলা পর্যালোচনা করবে
২ বছর আগে
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যারা থাকছেন
ব্রিটেনের রাজ পরিবারকে নিয়ে বিশ্বের মানুষ ও মিডিয়ার যে আগ্রহের শেষ নেই তা আলাদা করে বলতে হয় না। বিশেষ করে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে নিয়ে। বিশ্ব প্রমাণ পেয়েছে তার মৃত্যুতে। শোক যেমন আছে, শেষযাত্রার প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে খুঁটিনাটি কী হচ্ছে তাও জানতে নেট দুনিয়ায় ঘুরে আসতে ভুল হচ্ছে না।
সোমবার হচ্ছে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। বিশ্বের বিভিন্ন নেতাদের যানজট এড়াতে তাদের বাসে করে চলাচল করার অনুরোধ করা হয়েছে। বিষয়টি মানুষের মাঝে বেশ আগ্রহ জাগিয়েছে। একইভাবে এই আয়োজনে কে থাকবেন আর কে থাকবেন না তা নিয়েও খোঁজখবর শুরু হয়েছে।
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে অতিথিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। বরং যারা আয়োজনে অংশ নিবেন তাদেরকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে।
আারও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রম
রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যারা থাকবেন
শুধু যুক্তরাজ্য নয়, বিশ্বের মানুষ সোমবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় তার গৌরবময় জীবন ও উত্তরাধিকারকে স্মরণ করবে। রানি ৯ সেপ্টেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং তখন থেকেই রাজপরিবার ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের মানুষ শোক পালন করছে।
১৯৬৫ সালে উইনস্টন চার্চিলের পর রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াই যুক্তরাজ্যে প্রথম রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। একটি রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া মানে যুক্তরাজ্য সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করে। যা শোক প্রকাশের জন্য করা হয়।
ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। এখানেই প্রিন্স উইলিয়ামস ও কেট মিডলটনের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।
আারও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যখন প্রথমবার বাংলাদেশে আসেন
রাজপরিবারের সদস্যরা
রানির পরিবারের অধিকাংশই উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থার (এএনআই) মতে, তালিকায় রাজা চার্লস তৃতীয় এবং রানি কনসোর্ট ক্যামিলা পার্কার বোলস, প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল, প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটন, রানির কন্যা প্রিন্সেস অ্যানে ও স্যার টিমোথি লরেন্স, প্রিন্সের মতো রানির সবচেয়ে কাছের পরিবারের সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অ্যান্ড্রু ও সারা এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড ও সোফি।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য সরকারের সিনিয়র সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
বিশ্ব নেতারা
এএনআই অনুসারে, প্রায় ৫০০ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, আইরিশ প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি হিগিন্স, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন।
অন্যান্য দেশের রাজ পরিবার
এএনআই আরও জানায় যে ইউরোপজুড়ে রাজপরিবারদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ ও রানি ম্যাথিল্ড, নেদারল্যান্ডের রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার এবং রানি ম্যাক্সিমা, স্পেনের রাজা ফিলিপ ষষ্ঠ ও রানি লেটিয়া, সুইডেনের রাজা কার্ল গুস্তাফ ও রানি সিলভিয়া এবং মোনাকোর প্রিন্স আলবার্ট ও রাজকুমারী শার্লিন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শেষকৃত্যের জন্য ১৭ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যুক্তরাজ্যে থাকবেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও তার যুক্তরাজ্য সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নেপাল থেকে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ খাডকা সেখানে থাকবেন এবং শ্রীলঙ্কা থেকে রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে শেষকৃত্যে অংশ নিতে যুক্তরাজ্যে যাবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রানির শেষযাত্রায় অন্যান্যদের সঙ্গে অংশ নিবেন।
আারও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি বিশিষ্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুদ্রার এখন কি করা হবে?
রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যারা থাকবেন না
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য দেশের রাজনৈতিক প্রধান থেকে শুরু করে রাজপরিবারের স্বতন্ত্র সদস্য এবং বিশ্বজুড়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অনেক অতিথি যুক্তরাজ্যে উপস্থিত হতে শুরু করেছে।
যদিও আনুষ্ঠানিক অতিথির তালিকা প্রকাশ করা হয়নি, তবুও এএনআই একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যারা রানিকে বিদায় জানাতে যুক্তরাজ্যে যাবেন না। এর মধ্যে দেশের তালিকায় যে দেশগুলো থাকছে:
রাশিয়া
বেলারুশ
আফগানিস্তান
মিয়ানমার
সিরিয়া
ভেনেজুয়েলা
আারও পড়ুন: পর্দায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি রাজা চার্লস তৃতীয়কে তার সিংহাসনে আরোহণে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু পুতিনের এই শুভেচ্ছা যুক্তরাজ্যের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। স্বাভাবিকভাবেই পুতিন যুক্তরাজ্যে থাকছেন না।
এখানে এটাও লক্ষণীয় যে উত্তর কোরিয়া, ইরান এবং নিকারাগুয়াকে আমন্ত্রণ পাঠানো হলেও তা শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতদের, ওই দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানদের নয়।
আরেকটি খবর যা সম্প্রতি ছড়িয়েছে তা হল সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও উপস্থিত থাকবেন।
তবে এএনআইয়ের মতে, যুক্তরাজ্য সরকার এই গুজবকে বাতিল করেছে। বরং শুধুমাত্র বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী উপস্থিত থাকবেন।
এএনআই জানিয়েছে, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় সাত লাখ ৫০ হাজার মানুষ উপস্থিত থাকবে।
আারও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
কমনওয়েলথের অবশ্যই রানির স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখা উচিৎ: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,কমনওয়েলথের জন্য বহু বছর ধরে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের নিবেদিত সেবার স্মরণে সংস্থাটির অবশ্যই কিছু করা উচিত।
কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের বাসভবনে তার সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা বলেন তিনি।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রানিকে একজন ‘মাতৃতুল্য ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং রানির সঙ্গে তার ব্যক্তিগত স্মৃতিসমূহ স্মরণ করেছেন।
কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল কমনওয়েলথের প্রতি তার অবিচল প্রতিশ্রুতির জন্য রানির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং প্রধান হিসেবে রাজা তৃতীয় চার্লস রানির উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে তিনি আস্থা প্রকাশ করেন।
চলতি বছরের জুনে রুয়ান্ডায় কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে মহাসচিব হিসেবে পুননির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী ।
প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু বিকাশ, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই ও সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলায় শেখ হাসিনার অবদানের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ টিকা গবেষণা ও উন্নয়নে অংশ নিতে আগ্রহী: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আবারও কোভিড-১৯ মহামারি সফলভাবে মোকাবিলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। এবং উল্লেখ করেন যে কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে এই সঙ্কটের সময় তারা বেশি ভাল করেছে, যেগুলোর নেতৃত্বে নারীরা ছিলেন বা সিদ্ধান্ত প্রণয়নে নারীর অংশগ্রহণ ছিল।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে কমনওয়েলথ পরিবারের নারী নেতৃত্ব বিশ্বসভায় তুলে ধরার বিষয়ে মহাসচিবের দেয়া পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মত হয়েছেন। তিনি আগামী বছর স্মারক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘শান্তির বছর’ ও ‘তারুণ্যের বছর’ পালন করতে কমনওয়েলথের সঙ্গে অংশীদার হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
প্রকৃতি সংরক্ষণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কমনওয়েলথের ‘লিভিং ল্যান্ডস’ উদ্যোগে ভূমিকার রাখার আহ্বান জানান কমনওয়েলথ মহাসচিব। সংস্থাটির ‘ব্লু চার্টার’-এ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেয়ার কথাটিও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
কমনওয়েলথের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের প্রস্তাব মেনে পারস্পরিক ব্যবসায়িক সম্পর্কের উন্নয়নে কমনওয়েলথ কাজ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যাওয়ার পথে লন্ডন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
পর্দায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ প্রয়াত হয়েছেন কিছুদিন হলো। তার ঐতিহাসিক জীবন সম্পর্কে জানতে পুরো বিশ্বের অনেকের আগ্রহের কোনো কমতি নেই। আর তাকে জানা আরও সহজ হয়েছে সিনেমা ও সিরিজের পর্দায় তার জীবন দেখার পর। মূলত সেগুলো নিয়েই এই লেখা সাজানো হবে। তবে এর আগে একটা বিষয় জানিয়ে রাখি।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিজেও কিন্তু মঞ্চে অভিনয় করেছেন। আর সেটি মাত্র ১৫ বছর বয়সে।
২ বছর আগে
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শোকবইয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্য খোলা শোকবইয়ে সাক্ষর করছেন।
বুধবার বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন নিজ বাসভবনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেখেন, রানি ‘মানব ইতিহাসে অতুলনীয় উত্তরাধিকার রেখে গেছেন এবং সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে ছিলেন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’বার রানির সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা স্মরণ করেন। একবার ১৯৬১ সালে যখন রানি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সফর করেছিলেন এবং পরে ২০১০ সালে যখন রানি নিউইয়র্কে জাতিসংঘে সফর করেছিলেন।
হাইকমিশনার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার বাসভবনে গিয়ে রানির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বাকিংহাম প্যালেসে রানির মরদেহ
রানির প্রতি শোক জানাতে ব্রিটিশ হাইকমিশনে প্রধানমন্ত্রী
রানির জন্য শোক বই খুলছে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন
২ বছর আগে
রানির প্রতি শোক জানাতে ব্রিটিশ হাইকমিশনে প্রধানমন্ত্রী
ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মঙ্গলবার গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে ব্রিটিশ হাইকমিশনে খোলা শোক বইতে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের জানান, পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন:রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে ফখরুলের শোক
সমবেদনা জানানোর পর হাসিনা রানির সঙ্গে তার মনোরম স্মৃতি স্মরণ করেন।
এর আগে বারিধারা মিশনে পৌঁছালে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন তাকে স্বাগত জানান।
হাইকমিশনার রানিকে সম্মান দেখানোর জন্য মিশন পরিদর্শন করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এই প্রথম দেশের কোনো প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে গেলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস ও সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
২ বছর আগে
রানির জন্য শোক বই খুলছে ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে শোক বই প্রকাশ করেছে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন। রবিবার এ শোক বই খোলা হয়।
আরও পড়ুন: এটি বাংলাদেশের জন্য বড় এক বছর: ব্রিটিশ হাইকমিশনার ডিকসন
চলতি সপ্তাহের রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাই কমিশনারের বাসভবনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শোক বই খোলা থাকবে বলে জানা গেছে।
৯৬ বছর বয়সে মারা যাওয়া রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি বিভিন্ন বিশ্বনেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তারা রানির গভীর কর্তব্যবোধ, দৃঢ়তা, রসবোধ ও দয়াদ্রতার কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে বিভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
জলবায়ু কার্যক্রম যুক্তরাজ্যের জন্য অগ্রাধিকার: ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার
২ বছর আগে