উপনেতা
সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হলেন জিএম কাদের, উপনেতা আনিসুল ইসলাম
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরকে সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা এবং আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে উপনেতা করা হয়েছে।
রবিবার সংসদ সচিবালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে জিএম কাদের এবং উপনেতা হিসেবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে স্বীকৃতি দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাকের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ
এর আগে রবিবার জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ নিজেকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা দিয়ে দলের বর্তমান সভাপতি ও মহাসচিবকে তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেন।
তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদকে দলের মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
তবে এক সংবাদ সম্মেলনে চুন্নু বলেন, রওশনের এই ভিত্তিহীন পদক্ষেপ নিয়ে তারা অন্তত বিরক্ত, কারণ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার তার নেই।
আরও পড়ুন: জাপা চেয়ারম্যানের পদ থেকে জিএম কাদেরকে বরখাস্ত করলেন রওশন
জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন ষড়যন্ত্রের শিকার: জিএম কাদের
৯ মাস আগে
পরবর্তী সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী
সংসদের পরবর্তী উপনেতা হতে যাচ্ছেন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা,আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই পদের জন্য মতিয়া চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন, যা সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন সমর্থন করেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে উপনেতার পদটি শূন্য হয়।
ক্ষমতাসীন দলের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজেদা টানা তৃতীয়বারের মতো একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা নির্বাচিত হয়েছেন।
শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃষিমন্ত্রী ছিলেন।
সংসদে উপনেতা পদে কাউকে নিয়োগ দিতে বাধ্যতামূলক আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।
২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কাউকে উপনেতা হিসেবে নিয়োগ দেননি।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয়বার সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী
তবে আওয়ামী লীগ বরাবরই একজন সিনিয়র নেতাকে মন্ত্রী পদে বসিয়েছে।
মতিয়া পাঁচবারের সংসদ সদস্য।
এসময় আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের জনগণের কাছাকাছি থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন প্রণেতাদের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে তার কাছে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট কার্ড রয়েছে এবং যারা জনগণের সঙ্গে যুক্ত এবং তাদের নির্বাচনী এলাকায় ভালো কাজ করছেন, তারাই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন বলে বৈঠক সূত্র জানায়।
প্রধানমন্ত্রী সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ‘যারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, তাদের মনোনয়নের জন্য বিবেচনা করা হবে না।’
বিএনপির চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের চলমান আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চললে তাতে সরকারের কোনো আপত্তি নেই।
বৈঠকে শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে একজন আইনপ্রণেতা বলেছেন, ‘তবে তারা যদি অতীতে যেভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলন চালিয়েছিল, একইভাবে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের পথ অবলম্বন করে; তবে তাদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে তার সরকার এই মুহূর্তে নতুন কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে অংশ নেবে না। বরং চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করার ওপর জোর দেবে সরকার।
এদিন রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে।
প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের জনগণের সঙ্গে কথা বলতে এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবাইকে জানানোর আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সরকার আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন: সংসদ উপনেতা নির্বাচিত হওয়ায় সাজেদা চৌধুরীকে অভিনন্দন
আ.লীগ নেত্রী সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন
১ বছর আগে
সৈয়দা সাজেদার দাফন সম্পন্ন
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদীয় উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দ্বিতীয় জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে বনানীর কবরস্থানে দাফন করা হয়। কবরে শায়িত করার আগে পুলিশ বাহিনী তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে সকাল ১১টায় ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার এমএন একাডেমি স্কুলে তার প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ জানাযায় অংশ নেয়।
পড়ুন: আ.লীগ নেত্রী সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন
জানাযা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাজেদা চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে ঢাকায় পৌঁছান দুপুর ১২টার দিকে। এরপর তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২টা ৪০ মিনিট থেকে ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়।
দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতির পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সালাউদ্দিন ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কিবরিয়া আহমাদ সাজেদা চৌধুরীর কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আওয়মী লীগের পক্ষ থেকে দলের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সেক্রেটারি লেখক ভট্টাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ডা. শরীফু্দ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ড. মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে এফবিসিসিআই সভাপতির শোক
সাজেদা চৌধুরির মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাজেদা দলের দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সাহসী নেতার ভূমিকা রেখেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিবার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিশাল অধ্যায়ের সূচনা করেছেন।’
ফরিদপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাজেদা চৌধুরী রবিবার রাতে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৮৭ বছর বয়সে মারা যান।
কোভিড-১৯ জটিলতায় দুই সপ্তাহ আগে সংসদ উপনেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাজেদার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণকারী সাজেদা ২০১৯ সালে টানা তৃতীয় মেয়াদে সংসদের উপনেতা হন। তিনি ভাষা আন্দোলনের একজন সম্মুখ সারির নেতা এবং দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
২০১০ সালে স্বাধীনতা পদক পান।
আরও পড়ুন: সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে