আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদীয় উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দ্বিতীয় জানাযা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে বনানীর কবরস্থানে দাফন করা হয়। কবরে শায়িত করার আগে পুলিশ বাহিনী তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে সকাল ১১টায় ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার এমএন একাডেমি স্কুলে তার প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষ জানাযায় অংশ নেয়।
পড়ুন: আ.লীগ নেত্রী সাজেদা চৌধুরী মারা গেছেন
জানাযা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাজেদা চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা মরদেহ নিয়ে ঢাকায় পৌঁছান দুপুর ১২টার দিকে। এরপর তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ২টা ৪০ মিনিট থেকে ৪টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয়।
দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতির পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল সালাউদ্দিন ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কিবরিয়া আহমাদ সাজেদা চৌধুরীর কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আওয়মী লীগের পক্ষ থেকে দলের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সেক্রেটারি লেখক ভট্টাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ডা. শরীফু্দ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ড. মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে এফবিসিসিআই সভাপতির শোক
সাজেদা চৌধুরির মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাজেদা দলের দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সাহসী নেতার ভূমিকা রেখেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিবার অত্যন্ত বিশ্বস্ত সহচর ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বিশাল অধ্যায়ের সূচনা করেছেন।’
ফরিদপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সাজেদা চৌধুরী রবিবার রাতে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৮৭ বছর বয়সে মারা যান।
কোভিড-১৯ জটিলতায় দুই সপ্তাহ আগে সংসদ উপনেতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাজেদার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণকারী সাজেদা ২০১৯ সালে টানা তৃতীয় মেয়াদে সংসদের উপনেতা হন। তিনি ভাষা আন্দোলনের একজন সম্মুখ সারির নেতা এবং দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
২০১০ সালে স্বাধীনতা পদক পান।