বিভ্রান্ত
রাজপথে বিরোধী দলের ব্যাপক উপস্থিতি সরকারকে বিভ্রান্ত করছে: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ব্যাপক গ্রেপ্তার ও দমন-পীড়নের মধ্যেও বিরোধী দলের বিপুল উপস্থিতি দেখে আতঙ্কিত হয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বেপরোয়া মন্তব্য করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। তীব্র দমন-পীড়নের পরও বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিতে জনগণের উপস্থিতি দেখে সরকার বিস্মিত হয়ে পড়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা বেপরোয়া মন্তব্য করছেন।’
আরও পড়ুন: বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: রিজভী
সোমবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বলেন, জনগণের সমর্থন পেলে তাদের চলমান এক দফা আন্দোলনের সাফল্য নিশ্চিত।
এদিকে, অবরোধ কর্মসূচির মধ্যেই সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে পল্লীমা সংসদের সামনে বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে আকস্মিক মিছিল বের করেন রিজভী।
অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে তারা সেখানে কিছুক্ষণের জন্য বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং পরে তড়িঘড়ি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা।
রিজভী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপর দমন-পীড়ন ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সরকার বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক আন্দোলন থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে রিমান্ডে নিয়ে তাদের মনোবল দুর্বল করা সম্ভব হবে না। নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়ছে, আমাদের নেতা-কর্মীরা ততই জোরালোভাবে রাস্তায় নামছে।’
সোমবার (৬ নভেম্বর) ভোরে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) শামসুজ্জামান দুদুসহ আমাদের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। যারা আমাদের ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচির মাধ্যমে পবিত্র হয়ে উঠেছে।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘তারা সারা দেশে গ্রেপ্তারের ঝড় তুলেছে।’
তিনি বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত। সরকারের পতন আসন্ন হওয়ায় আমাদের অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল হবে।’
এদিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আগের মতোই তালাবদ্ধ রয়েছে এবং সেখানে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টিক্কা ও নিয়াজির চরিত্রে অভিনয় করছেন কাদের: রিজভী
পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিন: প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী
১ বছর আগে
জনগণ যেন গুজবে বিভ্রান্ত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান গুজব প্রতিরোধে ডিএমপির সকল সদস্যকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি তাদের (পুলিশ সদস্যদের) জনগণের সামনে সত্য উন্মোচন করে সঠিক তথ্য উপস্থাপনের আহ্বান জানান।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) ডিএমপি সদর দপ্তরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, যারা সমাজকে বিঘ্নিত করবে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: অবসরে যাচ্ছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক
তিনি আরও বলেন, পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা, দক্ষতা, আন্তরিকতা, সততা ও ত্যাগের মাধ্যমে ডিএমপি আজ যে অবস্থানে পৌঁছেছে, আগামী দিনগুলোতেও যেকোনো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিএমপি প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশকে দিনরাত কাজ করতে হয় এবং যেকোনো প্রয়োজনে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় যেতে হয়। এজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য। আমাদের কাজে শৃঙ্খলা আনতে হবে। আমাদের সঠিক নিয়ম অনুযায়ী পোশাক পরতে হবে।
যানজট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যানজট নগরবাসীর সবচেয়ে বড় সমস্যা। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আমরা অনেকেই এর জন্য দায়ী। তাই যানজট নিরসনে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। ট্রাফিক বিভাগকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার পুলিশ কর্মকর্তাদের মামলার তদন্ত ও মনিটরিংয়ে আরও আন্তরিক হওয়ার নির্দেশ দেন, যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করা যায়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কোনো কারণে যেন কোনো অপরাধী বেকসুর খালাস না পায়, তা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার ঢাকা মহানগরীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা রক্ষায় ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের মাঝে আর্থিক পুরস্কার বিতরণ করেন।
এ সময় ডিএমপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাজার নিয়ন্ত্রণকারী দলে সম্পৃক্ত হবে ডিএমপি: ডিএমপি কমিশনার
ডিএমপি কমিশনারের দায়িত্ব নিলেন হাবিবুর রহমান
১ বছর আগে
আ.লীগ নেতারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা আগামী নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক আলোচনা নিয়ে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
‘আওয়ামী লীগ জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে খুব ভালো পারে। আওয়ামী লীগের তিন নেতা সংলাপ নিয়ে তিনভাবে কথা বলেছেন। বিদ্যুৎ সংকটে মানুষ যখন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, তখন সেটিকে সরিয়ে নিতে তারা অন্য ইস্যু তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কাছে সংলাপ নিয়ে আমুর বক্তব্যের কোনো গুরুত্ব নেই: ফখরুল
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু আগামী সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে সংলাপের বিষয়ে তার বক্তব্য দিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পরে আওয়ামী লীগের মুখপাত্র বলেন, এটা তাদের বক্তব্য নয়। আবার বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংলাপের বিকল্প নেই। তাদের মূল লক্ষ্য মানুষকে বিভ্রান্ত করা।’
আরও পড়ুন: পাবনায় বিএনপির মিছিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও তাদের দাবি থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরানোর চেষ্টা করছেন।
নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন।
এর আগে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমু বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপের দরজা খোলা রয়েছে।
আ.লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের একজন প্রতিনিধি আসুক। আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসতে চাই এবং দেখতে চাই পার্থক্য কোথায়।’
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ফেরার জন্য বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে সরকার
১ বছর আগে
সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বরাবরই বলে আসছি সরকার মিথ্যা কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
যেহেতু তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই, তাই এ ধরনের মিথ্যা গোয়েবলসি প্রচার করে প্রচার করতে চায় তারা সফল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরের অনুষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শীর্ষ প্রধানদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সফরে অর্জন শূন্য’।
বুধবার দুপুরে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান অলি আহমেদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক এবং আইএমএফকে তারা মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে কাগজপত্র দেখেছি। তারা ইতোমধ্যে একটা স্টেটমেন্ট পর্যন্ত দিয়েছে যে আমরা (আইএমএফ) এই কথা বলিনি, কেবল তার সঙ্গে মিটিংয়ের কথা বলেছি। এককভাবেই বিশ্বব্যাংকের ঋণ পূর্বনির্ধারিত। আগেই কথা হয়েছে যে তারা এই ঋণ দেবে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে এচিভমেন্ট ইজ জিরো।
ফখরুল বলেন, মিথ্যা কথা বলে মানুষকে বেশি দিন বোকা বানিয়ে রাখা যায় না। আওয়ামী লীগ সেই কাজটাই করে যাচ্ছে। কিন্তু এবার তারা ব্যর্থ হবে। কারণ জনগণ তাদের মিথ্যাচার বুঝে গেছে। জনগণ তাদের সরিয়ে জনগণের একটা শাসন প্রতিষ্ঠা করবে।
দেশের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী তিন দেশ সফরকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো বা পুরো বিষয়টা হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই সমস্ত সফর। এসব করে কোনো লাভ হবে না। জনগণের নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে, আইনের শাসনকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
এছাড়া জনগণ যেন সত্যিকার অর্থেই একটা গণতান্ত্রিক সমাজে বাস করতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভয়েস অব আমেরিকা’য় এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির সঙ্গে সংলাপ করতে চান না বলে যে মন্তব্য করেছে তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা তো তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইনি।
তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার যুক্তি থাকতে পারে না এ জন্য যে, তারা পুরোপুরিভাবে মিথ্যা কথা বলে এবং তারা জাতির সঙ্গে বিট্রে করে, বিশ্বাসঘাতকতা করে। সেই কারণে জনগনের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই জনগন রাজপথে ফয়সালা করে নেবে।
বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করে-যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এ রকম বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের ধারক-বাহক আওয়ামী লীগই। তারাই অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে, তারাই এটা কন্টিনিউ করে, নিজেরা করে উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপায়।
এখানে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে জন্ম এবং সন্ত্রাস করেই তারা টিকে থাকে। তাদের বডি কেমেস্ট্রিতে দুই জিনিস আছে। একটা সন্ত্রাস আরেকটা দুর্নীতি। এই দুইটা ছেড়ে তারা থাকতে পারে না।
আরও পড়ুন: ‘স্বৈরাচারের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শ্রমিকদের প্রতি মির্জা ফখরুলের আহ্বান
বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র সম্পূর্ণ অনুপস্থিত: মির্জা ফখরুল
১ বছর আগে
মিথ্যা বানোয়াট কথায় আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না: মিম
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি তার স্বামী অভিনেতা শরিফুল রাজ ও মিমের সম্পর্কের ইঙ্গিত দিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
সেখানে জড়ানো হয়েছে পরিচালক রায়হান রাফির নামও।
সেই পোস্টে মিমকে ট্যাগ করে পরীমণি লিখেন, ‘নিজের জামাইকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত ছিল।’
বিষয়টি নিয়ে মিম, রাজ ও রাফির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না।
অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুললেন বিদ্যা সিনহা মিম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন মিম।
তার পোস্টটি নিচে তুলে ধরা হলো।
আরও পড়ুন: অনেকে ফোন করে টিকিট চেয়েছে: মিম
'পরাণ' ও 'দামাল' সিনেমার আকাশছোঁয়া সাফল্য আমাকে স্বার্থহীন ভালোবাসায় ভাসাচ্ছে। আমি আপ্লুত, অভিভূত। বলতে পারি, জীবনের সেরা সময় পার করছি। ঠিক এই সময়ে একটা পক্ষ আমার পথচলায় ঈর্ষান্বিত হয়ে, আমাকে থামিয়ে দিতে, আমাকে জড়িয়ে নানা ধরনের কুৎসা রটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। 'পরাণ' ও 'দামাল' যে ভালোবাসা আমাকে দিচ্ছে, দেড় দশক আগে ঠিক একইরকম ভালোবাসায় সবাই আমাকে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার বানিয়েছে। সবার ভালোবাসাকে গুরু দায়িত্ব হিসেবে মেনে নিয়ে আমি আমার পেশাদার অভিনয়জীবন গড়ে তোলা চেষ্টা করেছি, করে যাচ্ছি, আগামীতেও করে যাব। আমি কাজ করছি বাংলাদেশে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। শিক্ষক বাবার আদর্শ ও মায়ের শিখানো সততাকে সঙ্গী করে দারুণ কিছু কাজ করার চেষ্টার মধ্য দিয়ে ভক্ত-শুভাকাঙ্খিসহ সবার মন জয়ের চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত।
কখনোই নিজের পেশাদার জীবনের সঙ্গে এমন কিছু যুক্ত করতে দেইনি যা আমার পথচলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। আমি জানি আমার পারিবারিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ কী, বেড়ে উঠেছি কোন ধরনের পারিবারিক আবহে, আমার চারপাশটা কেমন, এখন যে বা যারা কোনো ধরণের প্রমাণ ছাড়াই আমাকে নিয়ে ভিত্তিহীন কথা বলছে, তাদের প্রতি নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই।
তবে এসবের বাড়াবাড়ি হলে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ভক্ত-শুভাকঙ্খি ও ভালোবাসার মানুষদের এটাও বলতে চাই, কারও কোনো ধরনের মনগড়া মিথ্যা বানোয়াট কথায় আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না।
আমার এই দীর্ঘ পথচলায় সংবাদকর্মী ভাইয়েরা সবসময় আন্তরিক সহযোগিতা করেছেন। আপনারাই আমার যাবতীয় কাজ, ভাবনা-চিন্তা সঠিক ও সুন্দরভাবে ভক্ত-শুভাকাঙ্খিসহ দেশ-বিদেশের সবার কাছে তুলে ধরেছেন। তাই আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ, কোনো ধরনের সত্যতা যাচাই বাছাই না করে বিভ্রান্তিকর কোনো খবর ছড়াবেন না। কোনো ইউটিউব কিংবা পোর্টাল যদি আমাকে জড়িয়ে কোনো ধরনর ভিত্তিহীন খবর ছড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধেও প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হতে হবো।
আরও পড়ুন: অনেকে ফোন করে টিকিট চেয়েছে: মিম
ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হলেন বিদ্যা সিনহা মিম
২ বছর আগে