সন্তুষ্ট
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন রোগীও যেন মারা না যায়: উপদেষ্টা হাসান আরিফ
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, গত বছর এই দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেন। আজ মৃতের সংখ্যা একজন। এতে আমাদের সন্তুষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের লক্ষ্য হবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন রোগীও যেন মারা না যায়।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা নেই: রাজনাথের মন্তব্য প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রবিবার সচিবালয়ে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গু যাতে না বাড়ে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা ও সচেতনতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে প্রতি শুক্রবার মসজিদ, মন্দিরসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে প্রচারণা চালানো হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের বাণিজ্য মেলা জানুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে: উপদেষ্টা
তিনি বলেন, উন্নত দেশের ন্যায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গবেষণামূলক কার্যক্রম নেওয়া হবে। ডেঙ্গুবিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সংস্কৃতি কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে উপদেষ্টা পরিষদ: উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
এমপি আনার হত্যার তদন্তে সন্তুষ্ট ডিবিপ্রধান
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারের চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত সন্দেহভাজন দুই আসামি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ।
শনিবার (১৩ জুলাই) ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হারুন বলেন, 'এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং দুজন এখনও ভারতে রয়েছে।’
গোয়েন্দাপ্রধান বলেন, পুলিশ অযথা কাউকে তলব ও হয়রানি করছে না। ‘তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
হারুন বলেন, বাংলাদেশে থাকা অপরাধীদের দ্রুত ধরতে সক্ষম হয়েছে ডিবি।
আরও পড়ুন: ডিএনএ নমুনা দিতে শিগগিরই ভারতে যেতে পারে আনার পরিবার: ডিবিপ্রধান
গত ১১ মে বাংলাদেশ থেকে সড়কপথে রওনা হন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। ১২ মে দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন (বাংলাদেশের খুলনাকে ভারতের নদীয়ার সঙ্গে সংযোগকারী) এবং বরানগরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
১৩ মে দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ কলকাতার একটি হাসপাতালে নিউরোলজিস্টের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্টের নাম করে ক্যাবে করে বিশ্বাসের বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। আনারকে বহনকারী ট্যাক্সির চালক কলকাতা পুলিশকে জানিয়েছেন, নিউ মার্কেট এলাকা থেকে আরেক বাংলাদেশিকে তুলে নিয়ে নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে ওঠেন তারা। মেডিকেলের অ্যাপয়েন্টমেন্ট যদি প্রথম স্থানে ছিল তবে সেখানে যায়নি।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাজারহাটের অভিজাত উন্নয়ন সংস্থা সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে আনার ছাড়াও দু'জন পুরুষ ও এক নারী ঢোকেন। পরের চারদিন ধরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বাকি তিনজন বিভিন্ন সময়ে ভবন থেকে বের হয়ে গেলেও এমপিকে আর দেখা যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে ঢোকার প্রথম দিনই তাকে হত্যা করা হয়। ওই অ্যাপার্টমেন্টের সেপটিক ট্যাংকে কিছু মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া গেলেও নিহত এমপি আনারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ডিএনএ মিলেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় ২২ মে নিহতের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যার বিষয়ে মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে: ডিবিপ্রধান
ডিবিপ্রধান হারুন এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা এবং কেন ছিলেন তা নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে নানা তত্ত্ব দাঁড় করালেও এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের কোনো উত্তর সন্তোষজনকভাবে পাওয়া যায়নি।
হারুন শুরু থেকেই ঝিনাইদহে এমপির কৈশোরের বন্ধু ব্যবসায়ী মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীনের হাতের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। যিনি একজন মার্কিন নাগরিক। কলকাতার যে ফ্ল্যাটে খুনের ঘটনা ঘটেছে, সেই ফ্ল্যাটটি তিনি এক ভারতীয় আইএএস কর্মকর্তার কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিলেন। কিন্তু যখন ঘটনা ঘটে সেসময় শাহীন নিজে কলকাতায় উপস্থিত ছিলেন না।
মতাদর্শগত পার্থক্য থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক বিরোধেরর সম্ভাব্য কারণও থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন ডিবিপ্রধান।
অতি সম্প্রতি এমপির মেয়ে বলেছেন, তার বাবার হত্যার পেছনের কারণটি শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ঝিনাইদহ শাখার কোন্দল।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৭ আসামিই গ্রেপ্তার: ডিবিপ্রধান
৫ মাস আগে
মিথ্যা বানোয়াট কথায় আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না: মিম
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি তার স্বামী অভিনেতা শরিফুল রাজ ও মিমের সম্পর্কের ইঙ্গিত দিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
সেখানে জড়ানো হয়েছে পরিচালক রায়হান রাফির নামও।
সেই পোস্টে মিমকে ট্যাগ করে পরীমণি লিখেন, ‘নিজের জামাইকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত ছিল।’
বিষয়টি নিয়ে মিম, রাজ ও রাফির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না।
অবশেষে এ নিয়ে মুখ খুললেন বিদ্যা সিনহা মিম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এ বিষয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন মিম।
তার পোস্টটি নিচে তুলে ধরা হলো।
আরও পড়ুন: অনেকে ফোন করে টিকিট চেয়েছে: মিম
'পরাণ' ও 'দামাল' সিনেমার আকাশছোঁয়া সাফল্য আমাকে স্বার্থহীন ভালোবাসায় ভাসাচ্ছে। আমি আপ্লুত, অভিভূত। বলতে পারি, জীবনের সেরা সময় পার করছি। ঠিক এই সময়ে একটা পক্ষ আমার পথচলায় ঈর্ষান্বিত হয়ে, আমাকে থামিয়ে দিতে, আমাকে জড়িয়ে নানা ধরনের কুৎসা রটানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। 'পরাণ' ও 'দামাল' যে ভালোবাসা আমাকে দিচ্ছে, দেড় দশক আগে ঠিক একইরকম ভালোবাসায় সবাই আমাকে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার বানিয়েছে। সবার ভালোবাসাকে গুরু দায়িত্ব হিসেবে মেনে নিয়ে আমি আমার পেশাদার অভিনয়জীবন গড়ে তোলা চেষ্টা করেছি, করে যাচ্ছি, আগামীতেও করে যাব। আমি কাজ করছি বাংলাদেশে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) জাতীয় শুভেচ্ছাদূত হিসেবে। শিক্ষক বাবার আদর্শ ও মায়ের শিখানো সততাকে সঙ্গী করে দারুণ কিছু কাজ করার চেষ্টার মধ্য দিয়ে ভক্ত-শুভাকাঙ্খিসহ সবার মন জয়ের চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত।
কখনোই নিজের পেশাদার জীবনের সঙ্গে এমন কিছু যুক্ত করতে দেইনি যা আমার পথচলাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। আমি জানি আমার পারিবারিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ কী, বেড়ে উঠেছি কোন ধরনের পারিবারিক আবহে, আমার চারপাশটা কেমন, এখন যে বা যারা কোনো ধরণের প্রমাণ ছাড়াই আমাকে নিয়ে ভিত্তিহীন কথা বলছে, তাদের প্রতি নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই।
তবে এসবের বাড়াবাড়ি হলে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ভক্ত-শুভাকঙ্খি ও ভালোবাসার মানুষদের এটাও বলতে চাই, কারও কোনো ধরনের মনগড়া মিথ্যা বানোয়াট কথায় আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না।
আমার এই দীর্ঘ পথচলায় সংবাদকর্মী ভাইয়েরা সবসময় আন্তরিক সহযোগিতা করেছেন। আপনারাই আমার যাবতীয় কাজ, ভাবনা-চিন্তা সঠিক ও সুন্দরভাবে ভক্ত-শুভাকাঙ্খিসহ দেশ-বিদেশের সবার কাছে তুলে ধরেছেন। তাই আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ, কোনো ধরনের সত্যতা যাচাই বাছাই না করে বিভ্রান্তিকর কোনো খবর ছড়াবেন না। কোনো ইউটিউব কিংবা পোর্টাল যদি আমাকে জড়িয়ে কোনো ধরনর ভিত্তিহীন খবর ছড়ানোর চেষ্টা করে তাহলে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধেও প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হতে হবো।
আরও পড়ুন: অনেকে ফোন করে টিকিট চেয়েছে: মিম
ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হলেন বিদ্যা সিনহা মিম
২ বছর আগে