বিএনপি
উস্কানি মামলায় বিএনপি নেতা আমীর খসরুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ চট্টগ্রামে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীরসহ দুজনের বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (নগর শাখা)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার ফারুক-উল-হক বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গু, বন্যা, গুম, খুন যা কিছু হচ্ছে সবই কি গুজব: আমির খসরু
মামলার সূত্রে জানা যায়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে ২০১৮ সালে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের গণআন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অডিও কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে। কল রেকর্ডটি বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর। আন্দোলন চালিয়ে যেতে কুমিল্লার এক ছাত্রদল নেতাকে পরামর্শ দিতে শোনা যায় এই কল রেকর্ডে।
পরে এই বিষয়টিকে ছাত্র আন্দোলনে উস্কানি হিসাবে অভিযোগ করে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি ধারায় মামলা করেন। মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিলহানুর রহমান নাওমী নামে দুজনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় আমির খসরুর আগাম জামিন বহাল
সূত্রে আরও জানা যায়, এই মামলায় গত ২৮ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ থেকে আমীর খসরু ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন। পরে ২১ অক্টোবর আত্মসমর্পন করলে বিচারিক আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান। ১২ নভেম্বর তিনি জামিন পান।
বিরোধিতা করলেও বিএনপি রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নেবে, আশা তথ্যমন্ত্রীর
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপকে বিএনপির স্বাগত জানানো উচিত মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যত কথাই বলুক না কেন আমি আশা করব বিএনপি এই সংলাপে অংশগ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ শুরু করেছেন এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে সংহত করা এবং শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যেই করেছেন। আমি আশা করব বিএনপি যত কথাই বলুক না কেন এই সংলাপে অংশগ্রহণ করবে।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘জাতির পিতা শেখ মুজিব’ প্রামাণ্য গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় হাছান মাহমুদ বলেন, রাষ্ট্রপতির সংলাপকে বিএনপিসহ সবার স্বাগত জানানো উচিত। ভারতে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে কোনো সংলাপ হয় না। অনেক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র যেখানে বহুবছর ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে গণতন্ত্র চর্চা হচ্ছে, সেখানেও নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে কোনো সংলাপ হয় না। বাংলাদেশে যে সংলাপ হচ্ছে এটিকে ইতিবাচক হিসাবে স্বাগত জানানো প্রয়োজন ছিল।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গতবারও রাষ্ট্রপতির সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। সেটি যে সঠিকভাবে গঠিত হয়েছিল, সেটির প্রমাণ হচ্ছে মাহবুব তালুকদার, যিনি নির্বাচন কমিশনের অনেক বিষয়ের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। অনেকে বলেন তিনি বিএনপি বা বিরোধীদের পক্ষ হয়ে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যাদের দেশে গণতন্ত্র হুমকির মুখে তারা অন্য দেশকে সবক দেয়ার অধিকার রাখে কি: প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
হাছান মাহমুদ বলেন, উনিও সংলাপের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশনার হিসাবে স্থান পেয়েছেন। এতেই প্রমাণ হয় সংলাপ কার্যকর।
মন্ত্রী বলেন, এবারও রাষ্ট্রপতি সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে যাচ্ছেন, এজন্য সংলাপ শুরু করেছেন। গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে সংহত করার জন্যই এটি করা হচ্ছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে আবার নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি তোলা হয়েছে। আর সেই সরকার গঠন হলে তারপর ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। তবে সেই ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচন কমিশনের কোনো রূপরেখা দেয়া হয়নি।
ছাগল খুঁজতে সার্চ কমিটি করা হয়’ বলে বিএনপি নেতাদের দাবির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখন নিজেরা বিশেষ কোনো প্রাণির মতো আরচণ করে, তখন তারা অন্যকেও সেই একই প্রাণির মতো মনে করে, বিষয়টি ঠিক সেরকম।
তিনি বলেন, আমি আশা করব বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি পরিহার করবে। সব কিছুতে না বলার যে রাজনীতি বিএনপি অনুসরণ করছে সেটি থেকে সরে আসবে। তাদের কোনো আপত্তি থাকলেও সেটিও সংলাপে অংশগ্রহণ করে রাষ্ট্রপতিকে বলে আসতে পারেন, সেটিই হচ্ছে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি।
তারা যে কথাগুলো রাজপথে বলছেন সে কথাগুলোও তো রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে বলে আসতে পারেন। সেটিই একটি রাজনৈতিক দলের কাজ হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
আরও পড়ুন: মানুষ রক্ষায় নেয়া পদক্ষেপ অপর্যাপ্ত: কপ২৬ বিষয়ক সেমিনারে তথ্যমন্ত্রী
র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ‘অগ্রহণযোগ্য’: তথ্যমন্ত্রী
এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করবে না বিএনপি: মির্জা আব্বাস
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই সরকারের অধীনে আর কোনও নির্বাচন করবে না বিএনপি। একদলীয় নির্বাচন এদেশের সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না; বিএনপি সেই নির্বাচন প্রতিহত করবে।
বুধবার বিকালে যশোরের টাউন হল মাঠের রওশন আলী মঞ্চে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নয়, হুদামার্কা ছাগল খোঁজা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস।
তিনি আরও বলেন, তিন তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজা দেয়া হলেও সেই টাকা কিন্তু সোনালী ব্যাংকে এখন ফুলে ফেঁপে আট কোটি টাকা হয়েছে। আসলে দেশনেত্রীকে আটকে রাখতেই সরকার এই অপকৌশল নিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার মনে করে, তিনি (বেগম জিয়া) বাইরে থাকলে তাদের সমূহ বিপদ।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের হামলায় ৩০০ জন আহত হয়েছে: রিজভী
মির্জা আব্বাস এই সরকারকে জুলুমবাজ আখ্যা দিয়ে বলেন, আমরা সভা-সমাবেশে এই সরকারকে খুন-গুম-লুণ্ঠনের সরকার বলেছি; আজ সারাবিশ্ব সেটি জেনেছে। এই সরকারের প্রধান সেনাপতি আব্দুল আজিজের দুই ভাই কুখ্যাত সন্ত্রাসী জোসেফ ও হারেজকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠালেও অসুস্থ একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সুচিকিৎসা নিতে বাধা দিচ্ছে। সারা বিশ্ব আজ এই সরকারের চিনে ফেলেছে; সে কারণে তাদের আর্মি অফিসার, পুলিশ অফিসার, র্যাব অফিসারসহ দলের শীর্ষ কয়েক নেতার ভিসা বাতিল করে দিয়েছে।
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায়চৌধুরী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্যে আইনগত কোনো বাধা নেই, আইনমন্ত্রী আমাদের এই কথা বললেও তারা সেই ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
গণসমাবেশে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মসিউর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার ভেতরে কোনো মানবিকতা নেই। আপনি চাইছেন বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে সারাজীবন ক্ষমতায় থাকতে। কিন্তু আপনার সে আশা কোনোদিন পূরণ হবে না।
বিএনপির গণসমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, ধর্মবিষয়ক সহ-সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, স্থানীয় বিএনপি নেতা মারুফুল ইসলাম মারুফ, মো. নূর উন নবী, সাবিরা নাজমুল মুন্নী, আবুল হোসেন আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব, নূরুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৯ নেতার পদত্যাগ
হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের হামলায় ৩০০ জন আহত হয়েছে: রিজভী
হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে পুলিশ হামলা চালিয়ে প্রায় ৩০০ জনকে আহত করেছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি। বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, দুপুরে হবিগঞ্জের শায়েস্তানগরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হলে পুলিশ কোনো উসকানি ছাড়াই সমাবেশে হামলা চালায় এবং নির্বিচারে গুলি করে,এতে তিন শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।
রিজভী বলেন, দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: বিএনপি এখনও আমন্ত্রণ পায়নি
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক।
রিজভী জানান, আহতদের মধ্যে হবিগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জেসিডি) সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব আহমেদ রিগান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জালাল, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট শরীফ, জেসিডি নেতা সাইদুর রহমান, আরশাদ, আব্দুল আহাদ তুষার, মৎস্যজীবী দল নেতা মোবারক হোসেন, শিপন আহমেদ শাহজাহান ও জহির আলী রয়েছেন।
তিনি বলেন, হবিগঞ্জে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের হামলা বর্বর ও ন্যাক্কারজনক। অবৈধ শাসন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এই হামলা চালানো হয়েছে। আমরা আমাদের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
বিএনপি নেতা বলেন, জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার লাঠিগুলিকে নিজেদের অবলম্বন মনে করছে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী নাৎসিবাদ এখন চরম মোড় নিয়েছে এবং এটি রক্তের গন্ধ নেয়ার চেষ্টা করছে। তারা জোর করে গুম, হত্যা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সহিংস সন্ত্রাসবাদের অনুশীলন করছে।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য সরকার পুলিশকে তাদের প্রাণঘাতী অস্ত্রে পরিণত করেছে। যখনই তারা গণতন্ত্র স্বীকৃত মিছিল বা সমাবেশ দেখেন, তখনই তারা পুলিশকে দিয়ে তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে বিএনপির বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি
ইসি নিয়ে সংলাপ: বিএনপি এখনও আমন্ত্রণ পায়নি
বিএনপি এখনও নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে সংলাপে যোগ দিতে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে আমন্ত্রণপত্র পায়নি বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এখনও রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে (আলোচনায় যোগ দেয়ার জন্য) আমন্ত্রণপত্র পাইনি। রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর আমরা আমাদের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেব।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অর্পণ বাংলাদেশ আয়োজিত বনানী ফ্লাইওভারের নিচে দুঃস্থদের মাঝে গরম কাপড় বিতরণকালে ফখরুল এ মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে এই বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনায় না জড়ানো দলের সিদ্ধান্ত ছিল। যেহেতু আমরা এখনও রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে কোনও আমন্ত্রণপত্র পাইনি, সেহেতেু আমরা এখনও সংলাপের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: বুধবার বৈঠকে বসবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল
এর আগে সোমবার বঙ্গভবনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রথম বৈঠকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ইসির পুনর্গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা করেছিলেন যা বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল।
আলোচনার পর সার্চ কমিটির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন তাকে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের পরামর্শে গ্রহণযোগ্য ইসি গঠিত হবে: রাষ্ট্রপতি
ইসি গঠন: জাতীয় পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু
চট্টগ্রামে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১০
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভা চলাকালে দুই পক্ষের মারামারি, হামলা ও চেয়ার ছুঁড়ে মারার ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এতে পণ্ড হয়ে গেছে ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির তৃণমূলের প্রতিনিধি সভা।
মঙ্গলবার বিকালে নগরীর নাসিমন ভবন কার্যালয়ে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের উপস্থিতিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতদের কয়েকজন হলেন- সারোয়ার আলমগীর, ফরিদুল আলম চেয়ারম্যান, জাহাঙ্গীর আলম চেয়ারম্যান, আমান উল্লাহ, নাজিম উদ্দিন শাহীন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন জানান, নাসিমন ভবনে ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপির সভা চলাকালে দু’পক্ষের মধ্যে হামলা ও ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর জেলা বিএনপির সম্মেলনকে সামনে রেখে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন নেতাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে প্রতিদিন দুই উপজেলার প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মঙ্গলবার সকালে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রতিনিধি সভা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলেও বিকালে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রতিনিধি সভা বিবাদমান দু’গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে পণ্ড হয়ে যায়।
প্রতক্ষ্যদর্শী কয়েকজন নেতা জানান, দুপুর ২টার দিকে সভা শুরু হওয়ার আগেই সভাস্থল নাসিমন ভবনের তৃতীয় তলায় দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে ফটিকছড়ি বিএনপির আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীরের ২০ থেকে ২৫ জন কর্মী। এ সময় গোলাম আকবর খোন্দকার তাদের বেরিয়ে যেতে বললে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে জানতে গোলাম আকবর খোন্দকারকে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফটিকছড়ি বিএনপির আহ্বায়ক সরোয়ার আলমগীর বলেন, আমাদের পূর্ব নির্ধারিত প্রতিনিধি সভায় কর্নেল বাহার ও তার ভাইয়ের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জনের দল হামলা করেছে। এতে তিনিসহ পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া অত্যন্ত সংকটময় সময় পার করছেন: বিএনপি
সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৯ নেতার পদত্যাগ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে রিট শুনানি হতে পারে বুধবার
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদন শুনবেন হাইকোর্ট। বুধবার (২২ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, মঙ্গলবার রিটটি শুনানির জন্যে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালত বলেছেন, আগামীকাল বুধবার এটি (২২ ডিসেম্বর) শুনানির জন্য আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) থাকবে।
এর আগে সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ওইদিন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রিটটি করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে রিট
রিটকারী এই আইনজীবী জানান, জাতিসংঘের সার্বজনীন ঘোষণার আর্টিকেল ৩, ৫, ১১ ও ১৩(২), সংবিধানের ১১, ৩২ ও ৪৯ অনুচ্ছেদসহ ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১(১) ধারা অনুসারে উন্নত চিকিৎসায় খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নেয়ার অনুমতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব, আইন সচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আমি নিজের দায়িত্ব থেকে একজন অসুস্থ মানুষের মানবাধিকার রক্ষার জন্য জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেছি। কারও প্ররোচনায় বা কারও স্বার্থে এ রিট দায়ের করিনি।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি বুধবার
গত ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি।
খালেদা জিয়া অত্যন্ত সংকটময় সময় পার করছেন: বিএনপি
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে অত্যন্ত সংকটময় সময় পার করছেন বলে জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি বারবার করা সত্ত্বেও সরকার রহস্যজনকভাবে নীরব রয়েছে। দিন যত যাচ্ছে তার অবস্থার অবনতি হচ্ছে ।
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, চিকিৎসকরা বলছেন খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ও অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। তার জীবন বাঁচাতে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: ২২ ডিসেম্বর থেকে ৩২ জেলায় বিএনপির সমাবেশ
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, খালেদা জিয়ার শংকটাপন্ন অবস্থা বিবেচনা না করেই সরকার ‘ভয়াবহ অমানবিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে’। তার চিকিৎসা নিয়ে সরকার নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে তাকে শেষ করে দিতে চাইছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, জীবন- মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে খালেদা জিয়াকে মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আমাদের নেত্রীর বিদেশে চিকিৎসা সম্ভব।
রিজভী বলেন, সরকার দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষের দাবি উপেক্ষা করে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে সরানোর চেষ্টা করছে।
তিনি অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিদেশে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দাবি আদায়ে তাদের দল বুধবার থেকে জেলা শহরে সমাবেশ শুরু করবে।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ মানুষকে প্রকৃত ইতিহাস ভুলিয়ে দিচ্ছে: বিএনপি
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য আর তারেক রহমানের শাস্তি নিয়েই বিএনপি’র রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
ইসি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপ: বুধবার বৈঠকে বসবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল
আগামী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রেখেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বঙ্গভবনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (ইনু) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে জানিয়েছেন, সিরিজের দ্বিতীয় সংলাপটি বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সোমবার সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে সংলাপের সূচনা করেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: ইসি গঠন: জাতীয় পার্টির সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ শুরু
জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিকে (ন্যাপ) ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বিএসডি) একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন আবেদিন।
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ও খেলাফত মজলিশ যথাক্রমে ২৭ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় আলোচনায় অংশ নেবে এবং বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ২৮ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করবেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক দলের পরামর্শে গ্রহণযোগ্য ইসি গঠিত হবে: রাষ্ট্রপতি
২৯শে ডিসেম্বর বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টকে (বিএনএফ) বিকাল ৪টায় সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং একই দিন সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসলামী ঐক্যজোট মতবিনিময় করবে।
ইসির ওয়েবসাইট অনুযায়ী এখন বাংলাদেশে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। কিন্তু সংসদে মাত্র নয়টি দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে।
নয়টি দল হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, গণফোরাম, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন এবং জাতীয় পার্টি-জেপি।
সিরাজগঞ্জে বিএনপির ৯ নেতার পদত্যাগ
সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কসহ ৯ নেতা পদত্যাগ করেছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক আমীরুল ইসলাম খান আলীমের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক বরাবর এ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তারা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পদত্যাগকারী ৯ নেতা হলেন- বেলকুচি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান সরকার, সদস্য গোলাম আজম, রেজাউল করিম, মনোয়ার চৌধুরী বাবু, নজরুল ইসলাম ঝন্টু, মোশারফ হোসেন, মোখলেছুর রহমান, রফিকুল ইসলাম ফারুক ও হাতেম আলী।
আরও পড়ুন: বিসিবি থেকে পদত্যাগ করছেন আকরাম খান, জানালো পরিবার
পদত্যাগপত্রের বরাত দিয়ে সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমীরুল ইসলাম খান আলীমের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বেলকুচিতে বিএনপি আজ দুর্বল হয়ে পড়েছে। দলত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করা হচ্ছে। এতে নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। দেড় বছর আগে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোন সভা করতে পারেনি কমিটি।
জেলা বিএনপির আগামী নির্বাহী সভায় পরবর্তী পদত্যাগপত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।
আরও পড়ুন: মুরাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি
সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে ইউএনবির প্রতিনিধির পদত্যাগ