বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, এই সরকারের অধীনে আর কোনও নির্বাচন করবে না বিএনপি। একদলীয় নির্বাচন এদেশের সাধারণ মানুষ মেনে নেবে না; বিএনপি সেই নির্বাচন প্রতিহত করবে।
বুধবার বিকালে যশোরের টাউন হল মাঠের রওশন আলী মঞ্চে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নয়, হুদামার্কা ছাগল খোঁজা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস।
তিনি আরও বলেন, তিন তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় সাজা দেয়া হলেও সেই টাকা কিন্তু সোনালী ব্যাংকে এখন ফুলে ফেঁপে আট কোটি টাকা হয়েছে। আসলে দেশনেত্রীকে আটকে রাখতেই সরকার এই অপকৌশল নিয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার মনে করে, তিনি (বেগম জিয়া) বাইরে থাকলে তাদের সমূহ বিপদ।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের হামলায় ৩০০ জন আহত হয়েছে: রিজভী
মির্জা আব্বাস এই সরকারকে জুলুমবাজ আখ্যা দিয়ে বলেন, আমরা সভা-সমাবেশে এই সরকারকে খুন-গুম-লুণ্ঠনের সরকার বলেছি; আজ সারাবিশ্ব সেটি জেনেছে। এই সরকারের প্রধান সেনাপতি আব্দুল আজিজের দুই ভাই কুখ্যাত সন্ত্রাসী জোসেফ ও হারেজকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠালেও অসুস্থ একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সুচিকিৎসা নিতে বাধা দিচ্ছে। সারা বিশ্ব আজ এই সরকারের চিনে ফেলেছে; সে কারণে তাদের আর্মি অফিসার, পুলিশ অফিসার, র্যাব অফিসারসহ দলের শীর্ষ কয়েক নেতার ভিসা বাতিল করে দিয়েছে।
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায়চৌধুরী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্যে আইনগত কোনো বাধা নেই, আইনমন্ত্রী আমাদের এই কথা বললেও তারা সেই ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
গণসমাবেশে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মসিউর রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার ভেতরে কোনো মানবিকতা নেই। আপনি চাইছেন বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে সারাজীবন ক্ষমতায় থাকতে। কিন্তু আপনার সে আশা কোনোদিন পূরণ হবে না।
বিএনপির গণসমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বাবু জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, ধর্মবিষয়ক সহ-সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, স্থানীয় বিএনপি নেতা মারুফুল ইসলাম মারুফ, মো. নূর উন নবী, সাবিরা নাজমুল মুন্নী, আবুল হোসেন আজাদ, ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ূব, নূরুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।