বিএনপি
শুধু নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে: বিএনপি
শুধু নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে বিএনপি ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক দল আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হবে না এবং বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক ও স্বদেশপ্রেমী দল ওই নির্বাচনে অংশে নেবে না।’
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপিপন্থী স্বাধীনতা ফোরামের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাঁর দল বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না এবং কোনো সংলাপেও যাবে না।
বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, বর্তমান সরকার সহজে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ফিরিয়ে আনবে না। ‘এ জন্য আমাদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সব গণতান্ত্রিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সরকারের সাথে আলোচনার কোন সম্ভাবনা নেই: বিএনপি
ঢাকা এখন বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে: বিএনপি
নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ
সরকারের সাথে আলোচনার কোন সম্ভাবনা নেই: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের সাথে কোনও ধরনের আলোচনায় বসবে না বিএনপি। এছাড়া এই সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনে অংশ নেবে না দলটি।
মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) প্রেসক্লাবের সামনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’ নামক সংগঠনের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
এসময় আমির খসরু আরও বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে বিএনপি যেমন কোনও নির্বাচনে অংশ নেবে না, তেমনি নির্বাচনের আগে কোনও আলোচনায়ও বসবে না। কারণ এর আগেও আমরা তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। দেশের জনগণ দেখেছে তার কি ফল পেয়েছি আমরা।
আরও পড়ুন: ঢাকা এখন বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে: বিএনপি
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ছাড়া বিএনপি কোনও আলোচনায় বা নির্বাচনে অংশ নেবে না মন্তব্য করে বিএনপির জেষ্ঠ্য এই নেতা বলেন, নিরপেক্ষ সরকার গঠনের আগে আলোচনায় বসার কোনও সম্ভাবনা নেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে জনগণের কোনও সরকার নেই। যে দল এখন দেশ শাসন করছে, তাদের কাছে জনগণের কোনও মূল্য নেই।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটের অধিকার, আইনের শাসন ও গণমাধ্যমের স্বাধীণতার সাথে এখন জনগণের ধর্ম পালনের অধিকার পর্যন্ত ‘ছিনিয়ে নিয়েছে’।
আরও পড়ুন:সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাথে আ’লীগ জড়িত: বিএনপি
তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) যা বলে, ঠিক তার উল্টো কাজ করে। মুখে মুখে তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলে, অথচ তারা নিজেরাই গুজব ও সন্দেহ ছড়িয়ে হিন্দুদের দুর্গোৎসব নষ্ট করেছে। তাদের এসব কাজকর্মে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে এবং বর্হিবিশ্বের সামনে আমাদের মাথা নত হয়ে গেছে।
বিএনপির নেতা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আমাদের দেশ ধ্বংস করতে দিতে পারি না। সরকার সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের শাস্তি দিতে চান না। বরং এর বদলে এইসব ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালোতে চায় তারা।
আমির খসরু আরও বলেন, গত ৯ বছরে সাম্প্রদায়িক হামলায় কমপক্ষে তিন হাজার হিন্দু জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ একটা ঘটনারও কোনও বিচার হয়নি, এমনকি এখনও পর্যন্ত একজন অপরাধীও শাস্তির আওতায় আসেনি।
আরও পড়ুন:পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে: ফখরুল
খালেদা জিয়ার বায়োপসি প্রতিবেদন বিদেশে পাঠানো হয়েছে: ডা. জাহিদ
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বায়োপসি প্রতিবেদন পর্যালোচনার জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
সোমবার ডা. জাহিদ ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা ম্যাডামের (খালেদা) বায়োপসি প্রতিবেদন পেয়েছি এবং পর্যালোচনার জন্য তা বিদেশ পাঠানো হয়েছে।’
বায়োপসি প্রতিবেদন অনুযায়ী খালেদার চিকিৎসা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তবে প্রতিবেদন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান জাহিদ। তিনি বলেন, ‘পর্যালোচা প্রতিবেদন ছাড়া ফলাফল সম্পর্কে আমরা কোনো মন্তব্য করতে পারবো না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক জ্যৈষ্ঠ নেতা বলেন, ফলাফল নিয়ে কিছু দ্বিধা দূর করতে খালেদার বায়োপসি প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে।
২৫ অক্টোবর খালেদা জিয়ার শরীরের একটি অংশে ছোট লাম্প থাকায় বায়োপসি করানো হয়।
১২ অক্টোবর খালেদা জিয়া জ্বর এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় দ্বিতীয়বারের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ভালো আছেন: ফখরুল
এর আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি বাত, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার এই বছরের মে এবং আগস্ট মাসে দুইবার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির এই সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নেন।
পড়ুন: খালেদা জিয়া বিপদমুক্ত: মির্জা ফখরুল
ঢাকা এখন বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে: বিএনপি
ঢাকা এখন বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন, ঢাকাসহ বাংলাদেশের বড় শহরগুলো ব্যাপক দূষণের কারণে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে।
সোমবার (০১ নভেম্বর) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা জেলা বিএনপি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ
বিএনপির জেষ্ঠ্য এই নেতা বলেন, ‘জলবায়ু বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী গ্লাসগো গেছেন। অথচ, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ঢাকায় বায়ুদূষণের হার সবচেয়ে বেশি। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের অন্যান্য শহরগুলো এক একটি বিষাক্ত গ্যাস চেম্বার। আসলে পুরো বাংলাদেশই একটি বিশাল বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের গাছ, মাছ ও পানি ধ্বংস করার পর এখন জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধী সম্মেলন কপ-২৬ এ অংশ নিতে গেছেন। এই সম্মেলন তাদের কার্যক্রমের একেবারে স্ববিরোধী কাজ।’
আরও পড়ুন:পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে: ফখরুল
বিএনপি নেতা বলেন, সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় সব বিরোধী দল, পরিবেশবাদী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরোধিতা করলেও সরকার তা স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে।
যে প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছেন, তিনিই গ্লাসগোতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে গেছেন। বিষয়টা এমন যে একজন বৃদ্ধ মহিলা নাচতে চান, কিন্তু তিনি জানেন না যে তার অভিনয় দেখে আর কেউ মজা পাচ্ছে না।’
উল্লেখ্য, রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ‘জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলন কপ-২৬’ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে দুই সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় সফরে স্কটল্যান্ড গেছেন।
আরও পড়ুন: ই-কমার্স কেলেঙ্কারির সঙ্গে আ.লীগের লোকেরা জড়িত: বিএনপি
এখন সর্বত্র ‘চরম নৈরাজ্য’: মির্জা ফখরুল
দেশে সুশাসনের অভাবে সব মহলে ‘চরম পর্যায়ের নৈরাজ্য’ বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে ১৭টি ফাইল গায়েব হয়েছে এবং এ ব্যাপারে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এটি বর্তমান শাসন ব্যবস্থার অবস্থা।’
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক ভিসি ড. আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরীর ওপর লেখা বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘শুধু স্বাস্থ্য খাতে নয়, প্রতিটি সেক্টরে এবং সর্বত্র চরম নৈরাজ্য বিরাজ করছে। কারণ তাদের (ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের) মূল লক্ষ্য অর্থ উপার্জন করা।’
ফখরুল বলেন, ‘করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে যখন মানুষ মারা যাচ্ছে এবং ভয়ঙ্কর সময় পার করছে, তখন ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ও সরকারি কর্মচারীরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দ্রুত টাকা আদায়ে ব্যস্ত।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবি: মির্জা ফখরুল
এমনকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির একজন চালক ৪০০ কোটি টাকার মালিক। দেশে এখন এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে,’ বলেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একজন ভিসি টাকা কামানোর জন্য এক রাতে ১৬৯ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। আমরা যে বর্তমান সমাজ তৈরি করেছি তার থেকে ভালো কিছু আশা করা খুবই কঠিন।’
তিনি বলেন, ‘সরকার শিক্ষা খাতের উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয় না। কারণ মেগা প্রকল্প গ্রহণ করে দুর্নীতি করাই এর মূল উদ্দেশ্য। তারা মেগা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করে যেখান থেকে তারা কমিশন পেতে পারে এবং সম্পদ অর্জন করতে পারে।’
জনগণের কল্যাণে কাজ করা এবং বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার দিকে সরকারের কোনো মনোযোগ নেই বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।
তবে তিনি সবাইকে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানান কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, একটি ইতিবাচক পরিবর্তন অবশ্যই আসবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী মাঠ খালি করছে সরকার: ফখরুল
তিনি বলেন, এখন জনসাধারণের মনে একটি বড় প্রশ্ন আসলে কবে পরিবর্তন আসবে এবং কবে আমরা এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারব? আমি বলতে চাই, আমাদের এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হবে। কারণ এই দেশের মানুষ কখনো পরাজিত হয়নি,’ বিএনপি নেতার পর্যবেক্ষণ।
তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে ১৯৭১ ও ১৯৯০ সালের মতো আবারও জনগণকে জেগে উঠতে হবে।’
আরও পড়ুন: পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে: ফখরুল
খালেদা জিয়া ভালো আছেন: ফখরুল
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘গতকাল আমি ম্যাডামকে (খালেদা) হাসপাতালে দেখে এসেছি। আল্লাহর রহমতে তিনি ভালো আছেন।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান মির্জা ফখরুল। খালেদার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়াও চেয়েছেন তিনি।
১২ অক্টোবর খালেদা জিয়া জ্বর এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় দ্বিতীয়বারের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
এর আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি বাত, ডায়াবেটিস, চক্ষু ও দাঁতের জটিলতায় ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তার পরিবার এই বছরের মে এবং আগস্ট মাসে দুইবার সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির এই সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই।
গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসা নেন।
আরও পড়ুন: আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে খালেদা জিয়াকে
খালেদা জিয়া বিপদমুক্ত: মির্জা ফখরুল
খালেদাকে ধীরে ধীরে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: আব্বাস
নির্বাচনী মাঠ খালি করছে সরকার: ফখরুল
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী মাঠ খালি করতে সরকারের নীল নকশার অংশ হিসেবে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো ঘটনার পর সত্যতা যাচাই না করে বিরোধীদের দমন ও সরিয়ে দিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয় সরকার। একইভাবে পূজামণ্ডপের হামলার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের অভিযুক্ত করা হচ্ছে।’
বুধবার রাজধানীর নয়া পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই নেতা আরও অভিযোগ করেন সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে সরকার প্রকৃত দোষীদের রক্ষা করতে চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবি: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ‘এসব মামলা দায়েরের মূল উদ্দেশ্যে হলো বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা; তাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখা এবং আগামী নির্বাচনের আগে মাঠ খালি রাখা। আমরা মনে করি রাজনীতিতে টিকে থাকতে আওয়ামী লীগ সব সময় এসব করছে।’
এ সময় বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৯৬ জনকে আসামি করে ৬০টি মামলা হয়েছে এবং দলটির ১৪৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলটির উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উল্লেখ করে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী এসব ঘটনায় জড়িত নয় বলেও দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে: ফখরুল
মির্জা ফখরুলই ভালো জানেন কুমিল্লার ঘটনা কিভাবে ঘটেছে: তথ্যমন্ত্রী
সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবি: মির্জা ফখরুল
সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে সরকার পরিবর্তন এখন জনগণের দাবি। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। কারণ তারা কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার তাদের 'দুঃশাসন' ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডে জনজীবন দূর্বিষহ করে তুলেছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘শান্তি সমাবেশ’ এ মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া বিপদমুক্ত: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, আমরা সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে বলছি, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জন্য যাতে সবাই ভোট দিতে পারে এবং তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।
সকাল ১১টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমুখে এই ‘শান্তি সমাবেশ’ বের করার কথা ছিল। কিন্তু সকাল থেকে নয়াপল্টন এলাকায় সরকার বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করায় তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে কর্মসূচি শেষ করার ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব। সমাবেশে যোগ দিতে নয়াপল্টন এলাকায় জড়ো হন বিএনপির শত শত নেতাকর্মী।
ফখরুল বলেন, সরকারের পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাব অভিমুখে শান্তি সমাবেশ করার জন্য তারা এর আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সকাল থেকেই আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুতরাং, আমরা এখন একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করছি।
আরও পড়ুন: জনগণের হাতে শাসনব্যবস্থা তুলে দিন: মির্জা ফখরুল
তিনি অভিযোগ করেন, কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশ তাদের প্রায় ৫০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে এবং তাদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন তিনি।
কোনো সমাবেশ না করে কর্মসূচি শেষে শান্তিপূর্ণভাবে এলাকা ছাড়ার জন্য দলের নেতাকর্মীদেরও আহ্বান জানান বিএনপি নেতা। কিন্তু বিএনপির কয়েকজন নেতা ‘শান্তি সমাবেশ’ শেষে কাকরাইল ক্রসিংয়ের দিকে মিছিল বের করে।
পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরের ফলাফল শূন্য: মির্জা ফখরুল
একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে, এতে অনির্দিষ্ট সংখ্যক আহত হয়।
আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে খালেদা জিয়াকে
নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সার্জিক্যাল আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার খালেদার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেছেন,ম্যাডামকে (খালেদা) সোমবার রাতে একটি কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয় এবং তিনি ভালো আছেন। সকালে তাকে তরল খাবার দেয়া হয়েছে।
সোমবার তিনি জানিয়েছেন,খালেদা জিয়ার শরীরের একটি অংশে ছোট লাম্প থাকায় বায়োপসি করানো হয়েছে।লাম্পের উৎপত্তির ধরন শনাক্ত করতে বায়োপসি করা হয়েছে। বায়োপসি করার পর তাকে সার্জিক্যাল আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক: ফখরুল
বায়োপসি রিপোর্ট কবে পাওয়া যাবে জানতে চাইলে জাহিদ বলেন, বায়োপসির ফলাফল পেতে ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় লাগতে পারে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দ্রুত আরোগ্যের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
গত ১২ অক্টোবর জ্বর ও অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় খালেদা জিয়াকে দ্বিতীয়বারের মতো এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ল
এর আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। তাঁর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস,ডায়াবেটিস,চোখ ও দাঁতের সমস্যায় ভুগছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তাঁর পরিবার এই বছরের মে ও আগস্ট মাসে দুবার সরকারের কাছে আবেদন করলেও সরকার তা প্রত্যাখান করে।
উল্লেখ্য ২৭ এপ্রিল খালেদাকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার প্রয়োজন আছে কি না, প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ
রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় মঙ্গলবার বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী তাদের কার্যালয়ের সামনে ‘শান্তি সমাবেশ’ শেষে কাকরাইলের দিকে একটি মিছিল বের করলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ মিছিলে বাধা দিতে গেলে বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাথে আ’লীগ জড়িত: বিএনপি