বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের সাথে কোনও ধরনের আলোচনায় বসবে না বিএনপি। এছাড়া এই সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনে অংশ নেবে না দলটি।
মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) প্রেসক্লাবের সামনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ‘অন্তরে মম শহীদ জিয়া’ নামক সংগঠনের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
এসময় আমির খসরু আরও বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে বিএনপি যেমন কোনও নির্বাচনে অংশ নেবে না, তেমনি নির্বাচনের আগে কোনও আলোচনায়ও বসবে না। কারণ এর আগেও আমরা তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। দেশের জনগণ দেখেছে তার কি ফল পেয়েছি আমরা।
আরও পড়ুন: ঢাকা এখন বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে: বিএনপি
নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ছাড়া বিএনপি কোনও আলোচনায় বা নির্বাচনে অংশ নেবে না মন্তব্য করে বিএনপির জেষ্ঠ্য এই নেতা বলেন, নিরপেক্ষ সরকার গঠনের আগে আলোচনায় বসার কোনও সম্ভাবনা নেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে জনগণের কোনও সরকার নেই। যে দল এখন দেশ শাসন করছে, তাদের কাছে জনগণের কোনও মূল্য নেই।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের ভোটের অধিকার, আইনের শাসন ও গণমাধ্যমের স্বাধীণতার সাথে এখন জনগণের ধর্ম পালনের অধিকার পর্যন্ত ‘ছিনিয়ে নিয়েছে’।
আরও পড়ুন:সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাথে আ’লীগ জড়িত: বিএনপি
তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) যা বলে, ঠিক তার উল্টো কাজ করে। মুখে মুখে তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলে, অথচ তারা নিজেরাই গুজব ও সন্দেহ ছড়িয়ে হিন্দুদের দুর্গোৎসব নষ্ট করেছে। তাদের এসব কাজকর্মে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে এবং বর্হিবিশ্বের সামনে আমাদের মাথা নত হয়ে গেছে।
বিএনপির নেতা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আমাদের দেশ ধ্বংস করতে দিতে পারি না। সরকার সাম্প্রদায়িক হামলাকারীদের শাস্তি দিতে চান না। বরং এর বদলে এইসব ঘটনাকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালোতে চায় তারা।
আমির খসরু আরও বলেন, গত ৯ বছরে সাম্প্রদায়িক হামলায় কমপক্ষে তিন হাজার হিন্দু জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ একটা ঘটনারও কোনও বিচার হয়নি, এমনকি এখনও পর্যন্ত একজন অপরাধীও শাস্তির আওতায় আসেনি।