ইতিবাচক
ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে হবে: নবনিযুক্ত সচিব
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব নাসরীন জাহান বলেছেন, সময়ের পরিবর্তিত চাহিদা অনুসারে সরকারি কর্মকর্তাদের দেশ ও সমাজের কাঙ্ক্ষিত ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
নবনিযুক্ত সচিব বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার পাশাপাশি দেশপ্রেমের অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি চান ২৫ ক্যাডারের ‘বঞ্চিত’ ১৯৪ কর্মকর্তা
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে নবনিযুক্ত সচিব এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি নিরাপদ, দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য বিমান পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করার মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান উন্নয়নসহ জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া বাংলাদেশকে একটি অন্যতম প্রধান এভিয়েশন হাব এবং আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে উন্নীতকরণে নবনিযুক্ত সচিব অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাতেমা রহিম ভীনা, মুহম্মদ আশরাফ আলী ফারুক, মো. আনিসুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: নবনিযুক্ত সচিব আনোয়ার উল্যাহর সংসদ সচিবালয়ে যোগদান
২ মাস আগে
আমরা আশাবাদী এই রূপান্তর ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে নেবে: অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ বলেছে, দৃঢ় প্রত্যয়ের সাহস, প্রশাসনের সংস্কার এবং মানবাধিকার রক্ষায় শিক্ষার্থীদের আপসহীন অঙ্গীকার একটি ন্যায়বিচার ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে তরুণদের অপরিহার্য ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করে বেসরকারি সংস্থাটি।
এতে বলা হয়, ‘যারা অধিকার ও ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে সাহস নিয়ে নিজের কণ্ঠ তুলে ধরেছে, সেই তরুণদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ।’
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ আরও বলেছে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, তবুও আমরা আশাবাদী এই রূপান্তর ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।
এতে বলা হয়, প্রত্যয়ের সাহস, সুশাসন সংস্কার ও শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার রক্ষায় আপসহীন অঙ্গীকার একটি ন্যায়সঙ্গত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে তরুণদের অপরিহার্য ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: রিজভী-খসরুসহ বিএনপি-জামায়াতের সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর জামিন
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ বলছে, স্বাধীনতার মূল্য দিতে হয় এবং বৈচিত্র্যকে সম্মান করতেহয়। একই সঙ্গে সকল নাগরিকের সমতা বজায় রাখবে এমন একটি জাতি গঠনের প্রচেষ্টায় আত্মত্যাগকারীদের অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যদিও আমরা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন তবুও আমরা আশাবাদী যে, তরুণদের নেতৃত্বে এই রাজনৈতিক রূপান্তর ইতিবাচক পরিবর্তনের অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। মানবাধিকার, সার্বিক অন্তর্ভুক্তি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে আমাদের জাতীয় এজেন্ডার অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে আমরা দেশের কর্তৃত্বশীল ও কর্মকর্তাদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিবৃতির শেষ অংশে বলা হয়, ‘আসুন আমরা একসঙ্গে এমন একটি ভবিষ্যত গড়ে তুলি যেখানে লিঙ্গ, শ্রেণি, বর্ণ বা জাতি নির্বিশেষে সবাই মূল্যবান হবে এবং সবার মতামত শোনা হবে।’
আরও পড়ুন: ‘রাজনৈতিক শূন্যতা’ পূরণে অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের আহ্বান ড. দেবপ্রিয়র
৩ মাস আগে
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে ইতিবাচক মিয়ানমার
মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিটে যোগদানের পাশাপাশি ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার এ মনোভাব ব্যক্ত করেন।
রিট্রিটের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ড. হাছান মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাদের পূর্বের আলোচনাগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, তারা তাদের দেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা নাগরিকদের ফেরত নিতে সম্মত আছে। কিন্তু এটি কার্যকরের কোনো চিহ্ন এখনো দেখা যাচ্ছে না।
'প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলেই কেবল মিয়ানমার তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার নজির রাখতে পারে' উল্লেখ করে বিষয়টির ওপর গভীর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন এবং তার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর অভিপ্রায় পুণর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: সবার সঙ্গে দেশের সুসম্পর্ক দেখে গাত্রদাহ হচ্ছে বিএনপির : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এদিকে রিট্রিটের শেষ দিন শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এ দিন সকালে নয়া দিল্লির কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পঞ্চবটিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ রিট্রিটে যোগদানকারী ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ও নেপালের পররাষ্ট্র সচিব ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৭টি দেশের আঞ্চলিক জোট 'বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)' সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই রিট্রিটে বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কার্যকর অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও সংক্ষিপ্ত পার্শ্ববৈঠকে নিত্যপণ্য আমদানি সুবিধা অব্যাহত রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরি দল পাঠানোর বিষয়সহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে বিমসটেক রিট্রিটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান
৪ মাস আগে
বোলিংয়ের দিকটি ছিল ইতিবাচক, বললেন তাসকিন
যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্স শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আসার পর দলের বোলিং পারফরম্যান্সকে ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর বিপক্ষে দুটিসহ সাত ম্যাচে তিন জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তাসকিনের সঙ্গে রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান প্রশংসনীয় বোলিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন।
পারফরম্যান্সে নজিরবিহীন খারাপ করার কথা উল্লেখ করে ব্যাটিং চেষ্টাকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে স্বীকার করেছেন তাসকিন।
ঢাকায় ফিরে তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রে পরিস্থিতি ব্যাটসম্যানদের অনুকূলে ছিল না।’ তিনি বলেন, ‘পরিসংখ্যান বলছে, শীর্ষ দলগুলোও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বোলারদের একটি স্বতন্ত্র সুবিধা ছিল।’
তিনি বোলিং ইউনিটের সাফল্যের জন্য সময়ের সঙ্গে ধারাবাহিক প্রচেষ্টাকে তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃষ্টির হানা, পণ্ড হলেই ফাইনালে ভারত
বাংলাদেশের জন্য সর্বনিম্ন পয়েন্টটি সুপার এইটে এসেছিল। যেখানে তারা আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রয়োজনীয় মোট রান তুলতে ব্যর্থ হন। এর ফলে ঐতিহাসিক সেমিফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করার সুযোগ হাতছাড়া করে ফেলেন। ৭৩ বলে মাত্র ১১৬ রান সংগ্রহা করার প্রয়োজন থাকলেও হোঁচট খায় বাংলাদেশ।
লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো ব্যাটসম্যানরা পুরো ইভেন্টে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পারফরম্যান্স দেখাতে ব্যর্থ হন। এটি বিরল ছিল- সব ব্যাটসম্যান একইভাবে তাদের ফর্ম হারায়। ফলে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্স ভুলে যেতে পারে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত শুরুতেই উইকেট হারানোর পর দলের কৌশলগত পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
তারা সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার আশা ছেড়ে দেওয়ায় ম্যাচ জেতার লক্ষ্য থাকলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন: সেমির দৌড়ে ১১৬ রানের লক্ষ্যে সমীকরণ মেলাতে হচ্ছে টাইগারদের
৪ মাস আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মার্কিন প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সফরে আসছেন এটা একটা 'ভালো বিষয়' বলে মনে করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এটা একটা ভালো ব্যাপার যে তারা পরিদর্শন করছে। তারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন কী ঘটছে।’
তিনি বলেন, 'তারা মনে করে বাংলাদেশ খুবই দরিদ্র একটি দেশ। তারা মনে করে আমাদের দেশে খ্রিস্টান ও হিন্দু জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা সত্য নয়। তারা যদি পরিদর্শনে আসে, তারা নিজেরাই দেখতে পাবে যে আমাদের দেশে এসব ঘটছে কি না, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে: ভারতীয় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলকে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, তারা প্রধানত রোহিঙ্গা সংকট, সার্বিক অবস্থা ও তহবিলসংক্রান্ত বিষয় পর্যবেক্ষণ করতে এখানে আসেন।
এ ছাড়া বিরোধীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের কারণেই বিদেশিরা আসে বলেও ইঙ্গিত দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘আমাদের বিরোধী দলের সদস্যরা এবং কিছু প্রবাসী বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করে। সে কারণেই এই সমস্যাগুলো আলোচনা আসে’ বলেও মন্তব্য তিনি।
আরও পড়ুন: অনেক বৈশ্বিক নেতৃত্ব এই মুহূর্তে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চান না: মোমেন
১ বছর আগে
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন, ইইউ-মার্কিন সফর ইতিবাচক: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'আমাদের দেশে নির্বাচন হবে আমাদের সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানের একচুল ব্যত্যয় হবে না। সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।'
শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার আগে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ভারত, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ইউরোপের ফ্রান্স, জার্মানিসহ সব গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনকালে সরকারই দায়িত্ব পালন করে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করে না।
আর বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি দিচ্ছে, তা শুধু পাকিস্তানে আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'আমার প্রশ্ন- তারা শুধু পাকিস্তানকে কেন অনুসরণ-অনুকরণ করে! মির্জা ফখরুল সাহেব ক'দিন আগেও বলেছেন- পাকিস্তানই ভালো ছিল। তারা পাকিস্তানকে অনুকরণ করবে এটাই স্বাভাবিক।'
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
এ সময় বিএনপির আন্দোলন নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, 'এখন বিএনপি হচ্ছে পা ভাঙা বাঘ আর খাঁচায় বন্দী সিংহ। তাদের তর্জন-গর্জনই সার। অন্য কিছু করার সামর্থ্য তাদের নেই। আর তারা যদি দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা-স্থিতি বিনষ্টের অপচেষ্টা করে, সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে। আওয়ামী লীগও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করবে।'
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইইউ প্রতিনিধি দল এসেছে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে। অন্য কারো আমন্ত্রণে নয়। যেহেতু নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে এসেছে, তারা কমিশনের সঙ্গে, সরকারি দল, বিরোধী দল -সবার সঙ্গেই বৈঠক করেছে। তাদের এই আসা অত্যন্ত ইতিবাচক কারণ, নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে ইইউ প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ইইউ তাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে। এটি খুবই ইতিবাচক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারিসহ উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দলের সফর সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের চমৎকার বহুমাত্রিক সম্পর্ক। তারা আমাদের উন্নয়ন অভিযাত্রার সহযোগী এবং কিছুদিন আগে আমরা দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছি। সেই আলোকে এই চমৎকার সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যেই তাদের এই সফর।
হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে দেশে আশ্রয় দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল সেই আশ্রয় ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। যাওয়ার আগে তারা বলেছেন, আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে যাবে। অর্থাৎ তাদের সফরও আমাদের সম্পর্ককে দৃঢ়তর করেছে।
এ দিন কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ হলে আয়োজিত বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জাফর আলীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর সঞ্চালনায় সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির আহমেদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য সফুরা বেগম রুমি, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: হামলার দায় ফেসবুক এড়াতে পারে না: তথ্যমন্ত্রী
ডিস লাইন ডিজিটালাইজড করার সময় বাড়ানো হবে: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
মার্কিন কর্মকর্তাদের 'ঘন ঘন সফর' ইতিবাচক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ যেকোন দূরত্ব কমাতে ‘গঠনমূলক ও অত্যন্ত ইতিবাচক’ ভূমিকা রাখে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘আরও অনেক ভালো সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে চায়।
মার্কিন কর্মকর্তাদের 'ঘন ঘন সফর' সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইতিবাচক মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই খুশি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গঠনমূলক সম্পৃক্ততা বাড়ছে।’
সোমবার তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দুই দেশের মধ্যে আরও ভালো সম্পর্কের কিছু কারণ রয়েছে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার মতো একই মূল্যবোধ ও নীতিতে বিশ্বাস করে এবং অনুসরণ করে।
তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) সংক্রান্ত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের কোথাও গ্যাপ বা দুর্বলতা থাকতে পারে। বন্ধুত্বপ্রতীম দেশটি যখন এই সম্পর্কিত সমস্যাগুলো উত্থাপন করে, আমরা তখন সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে পিইউআইসি প্রতিনিধিদলকে কাজ করার আহ্বান মোমেনের
মোমেন বলেন, তারা ডিএসএ-তে কিছু দুর্বলতার কথা জানিয়েছিলেন, তবে ব্যাপকভাবে এটির সংশোধন করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা গঠনমূলক সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সবসময় বলেছেন যে কারও কিছু বলার থাকলে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খুব ইতিবাচক রয়েছি। যদি কিছুর অভাব থাকে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের জানাবে। আমরা এটি সমাধান করব।’
মোমেন জানান, তার জানা মতে গত তিন বছরে জোরপূর্বক কোনো গুমের ঘটনা ঘটেনি। যেটিকে তিনি বড় উন্নতি হিসেবে মনে করেন।
তিনি বলেন, ‘হাতের পাঁচটা আঙুল সমান না। কেউ কোনো সমস্যা সৃষ্টি করলে আমরা বষয়টি দেখি।’
মন্ত্রী বলেন, কয়েক বছর ধরে র্যাবের পক্ষ থেকে কোনো বাড়াবাড়ি করা হয়নি।
মোমেন বলেন, এলিট বাহিনী বছরের পর বছর ধরে অনেক পরিপক্কতা তৈরি করেছে এবং তাদের একটি অভ্যন্তরে জবাবদিহি ব্যবস্থা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা কোথাও কোনো অন্যায় দেখতে চাই না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্ট (জিএসওএমআইএ) এবং অ্যাকুইজেশন ক্রস-সার্ভিসিং এগ্রিমেন্ট (এসিএসএ) - দুটি প্রস্তাবিত চুক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘আমাদের প্রধান ফোকাস জনগণের কল্যাণ। কিন্তু আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন রক্ষার জন্য নিরাপত্তাও অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বহুমুখী সম্পর্ক বজায় রাখে এবং শান্তিরক্ষা, সন্ত্রাসবাদ দমন, জলবায়ু সমস্যা এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করে।
মন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রসীমা আরও সুরক্ষিত রাখতে তারা (মার্কিন) আমাদের সহায়তা করেছে।’
মোমেন ঢাকার সঙ্গে তাদের স্থায়ী অংশীদারিত্বের স্বীকৃতি এবং গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ‘একটি অসাধারণ গল্প’ বলে অভিহিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাম্প্রতিক বক্তব্যের উল্লেখ করেন।
হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের প্রমাণপত্র গ্রহণ করে বাইডেন বলেন, ‘আমি আশা করি আমাদের দেশগুলো গণতান্ত্রিক শাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, শরণার্থী এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবে। আমরা আপনাদের সাফল্যে বিনিয়োগ করছি এবং সকল বাংলাদেশিদের স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণ এবং তাদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষমতাকে সমর্থন করি।’
মার্কিন কর্মকর্তাদের ঘন ঘন সফর সম্পর্কে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, এটি একটি বরং ভালো উন্নয়ন, যে দুই দেশের মধ্যে সম্পৃক্ততা বাড়ছে এবং এটি প্রতিফলিত করে যে বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি প্রবাসীকে হত্যা ও বর্ণ বিদ্বেষের নিন্দা জানিয়েছেন মোমেন
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন: মোমেন
১ বছর আগে