যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হতাশাজনক পারফরম্যান্স শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আসার পর দলের বোলিং পারফরম্যান্সকে ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর বিপক্ষে দুটিসহ সাত ম্যাচে তিন জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। তাসকিনের সঙ্গে রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান প্রশংসনীয় বোলিং পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন।
পারফরম্যান্সে নজিরবিহীন খারাপ করার কথা উল্লেখ করে ব্যাটিং চেষ্টাকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে স্বীকার করেছেন তাসকিন।
ঢাকায় ফিরে তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রে পরিস্থিতি ব্যাটসম্যানদের অনুকূলে ছিল না।’ তিনি বলেন, ‘পরিসংখ্যান বলছে, শীর্ষ দলগুলোও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বোলারদের একটি স্বতন্ত্র সুবিধা ছিল।’
তিনি বোলিং ইউনিটের সাফল্যের জন্য সময়ের সঙ্গে ধারাবাহিক প্রচেষ্টাকে তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃষ্টির হানা, পণ্ড হলেই ফাইনালে ভারত
বাংলাদেশের জন্য সর্বনিম্ন পয়েন্টটি সুপার এইটে এসেছিল। যেখানে তারা আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রয়োজনীয় মোট রান তুলতে ব্যর্থ হন। এর ফলে ঐতিহাসিক সেমিফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত করার সুযোগ হাতছাড়া করে ফেলেন। ৭৩ বলে মাত্র ১১৬ রান সংগ্রহা করার প্রয়োজন থাকলেও হোঁচট খায় বাংলাদেশ।
লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো ব্যাটসম্যানরা পুরো ইভেন্টে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পারফরম্যান্স দেখাতে ব্যর্থ হন। এটি বিরল ছিল- সব ব্যাটসম্যান একইভাবে তাদের ফর্ম হারায়। ফলে শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে দলের পারফরম্যান্স ভুলে যেতে পারে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত শুরুতেই উইকেট হারানোর পর দলের কৌশলগত পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
তারা সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার আশা ছেড়ে দেওয়ায় ম্যাচ জেতার লক্ষ্য থাকলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন: সেমির দৌড়ে ১১৬ রানের লক্ষ্যে সমীকরণ মেলাতে হচ্ছে টাইগারদের