দম্পতি
সাগর-রুনি হত্যা: ৯৪ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ৯৪ বারের মতো পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদুল আলম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ঠিক করেন।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আট জন।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ৯৩ বার পেছাল মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা: ১০ বছর পর হাইকোর্টের জারি করা রুল শুনানিতে উঠছে
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা: তদন্তের অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা ডিআরইউ’র
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র মামলায় ভারতীয় দম্পতির কারাদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র মামলার রায়ে এক ভারতীয় দম্পতিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের পর অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে স্ত্রী কলাবতী চৌধুরীকে ১০ বছর ও স্বামী রামবিলাস চৌধুরীকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
বুধবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক রবিউল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ভারতীয় নাগরিক আব্বাস
কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- ভারতের পচিমবঙ্গের মালদা জেলার হবিপুর থানার গৌরীমারী ধুমবালু কলোনীর মৃত রামপরিয়াক চৌধুরীর ছেলে রামবিলাস চৌধুরী (৫৫) ও তার স্ত্রী কলাবতী চৌধুরী (৪৫)।
রাষ্ট্রপক্ষের মো. রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার সীমান্তবর্তী দলদলী ইউনিয়নের মহামারী এলাকা থেকে একটি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিনসহ ভারতীয় নাগরিক রামবিলাস চৌধুরী ও তার স্ত্রী কলাবতী চৌধুরীকে আটক করে র্যাব।
পরে র্যাবের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইউসুফ আলী ভুইয়া বাদি হয়ে ভোলাহাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: কারাভোগ শেষে ৩ ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর
বাগেরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরল ১৩৫ ভারতীয় জেলে
ময়মনসিংহে খুনের অভিযোগে দম্পতি গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় পরকীয়ার জেরে এক ব্যক্তিকে খুন করার অভিযোগে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বাক্তা দক্ষিণপাড়া এলাকায় রফিকুল ইসলাম রফিজ ড্রাইভারের বসত ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত জাকির হোসেন (৩৬) একই গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে এবং পেশায় চা দোকানদার।
অভিযুক্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আফরোজা বেগম।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে শাকিল হত্যা মামলার আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার বাক্তা দক্ষিণপাড়া গ্রামের গাড়িচালক রফিকুল ইসলামের স্ত্রী আফরোজা বেগম বৃহস্পতিবার সকালে থানায় এসে জানায় তার স্বামী বাড়ি না থাকার সুযোগে ভোর রাতে জাকির নামে এক ব্যাক্তি ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে সম্ভ্রম বাঁচাতে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন তিনি। এসময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। দুপুরে আফরোজার স্বামী রফিকুল ইসলাম রফিজ ড্রাইভারকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
জাকির হোসেনের পরিবার জানায়, প্রতিদিনের মতো বুধবার (২ নভেম্বর) রাতে তার দোকান বন্ধ করে বাড়ির উদ্দেশে চলে যায়। সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারে একই এলাকায় রফিজ ড্রাইভারের ঘরে জাকিরের রক্তমাখা লাশ পড়ে আছে। পরে সেখানে গিয়ে লাশ শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভূঁঞা জানান, প্রাথমিকভাবে জানা যায় পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড। রফিজ ড্রাইভারের স্ত্রীর সঙ্গে জাকিরের পরকীয়া প্রেম চলছিল। প্রেমিকা আফরোজাকে ব্ল্যাকমেইল করে তাকে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করতো। এর জের ধরেই স্বামী-স্ত্রী মিলে জাকিরকে হত্যা করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন বাদী হয়ে ফুলবাড়িয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়া’-এর ২৬ সদস্য গ্রেপ্তার: র্যাব
গাজীপুরে ডাকাতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ৯
মোহাম্মদপুরে ফ্ল্যাট থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে এক দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন, সৌদি প্রবাসী নোমান (৩২) এবং তার স্ত্রী শামীমা (২৪)। তারা প্রায় এক বছর আগে বিয়ে করেছেন।
মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রব বলেন, রবিবার রাতে ফ্ল্যাটের নিরাপত্তাকর্মীরা অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ এসে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় নোমানকে এবং ফ্লোরের বিছানায় শামীমার লাশ দেখতে পায়।
আবদুর রব বলেন, পারিবারিকভাবে বিয়ে মেনে না নেয়ায় এই দম্পতি সমস্যায় ছিলেন।
পুলিশের ধারণা এটি একটি আত্মহত্যা।
তিনি আরও বলেন, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
পড়ুন: নিজ বাড়ির টয়লেটে মিলল দলিল লেখকের বিবস্ত্র লাশ
চুয়াডাঙ্গায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত শাওনের লাশ দাফন
চুয়াডাঙ্গায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় এক প্রৌঢ় দম্পতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার পুরাতন বাজার পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- আলমডাঙ্গার পুরাতন বাজার পাড়ার বাসিন্দা নজির উদ্দির (৭০) ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন (৬০)।
স্থানীয়রা জানান, সকালে নজির উদ্দিনের বাড়িতে কোনো সাড়া না পেয়ে ডাকাডাকি করেন প্রতিবেশিরা। পরে জানালা দিয়ে তাদের লাশ দেখতে পান তারা।
তাদের ধারণা, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের কারণে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ করছে। তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ প্রাথমিকভাবে এখনও জানা যায়নি। তাদেরকে হত্যা করে ঘরের মধ্যে রেখে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়া হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত শাওনের লাশ দাফন
পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নজির উদ্দিনকে শৌচাগারের ভেতর হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে ও তার স্ত্রীকে ঘরের মেঝেতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনা তদন্তের জন্য পিবিআই ও সিআইডিকে খবর দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পৃথক স্থান থেকে ২জনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে সড়কের পাশ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রাইভেটকার উল্টে দম্পতিসহ নিহত ৩
কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্চে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দম্পতিসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। বরিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ফেনী জেলার ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ ফরাজী, তার স্ত্রী জাহানারা আক্তার ও শ্যালিকা সালমা আক্তার।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে শ্রমিকবাহী বাসে ট্রেনের ধাক্কা: নারীসহ নিহত ২
টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ২ চালক নিহত
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে ক্রসিং ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) প্রেমধন মজুমদার জানান, আনুমানিক সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বৃষ্টি থাকায় ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় মহাসড়কে একটি প্রাইভেটকারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এরপর সেটি উল্টে রাস্তার পাশে খাদে পেড়ে যায়। এতে গাড়িতে থাকা তিন জনই ঘটনাস্থলে নিহত হন। লাশগুলো ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইয়াবা জব্দ, দম্পতিসহ গ্রেপ্তার ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভা এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে এক হাজার ২০০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় দম্পতিসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন-লিটন দেব, তার স্ত্রী মনি রানী দেব ও সহযোগী মাইনুল ইসলাম। তারা নবীনগর পৌরসভার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্বামীকে ফাঁসাতে ইয়াবা ক্রয়, নারী আটক
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে মাদক ব্যবসায়ী লিটন দেবের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে তিনজনের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড
ওসি জানান, আটকদের বিরুদ্ধে এর আগেও মাদক ব্যবসার একাধিক মামলা রয়েছে।
কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় জালাল উদ্দিন (৭০) নামে বাড়িওয়ালা এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যার দায়ে সাহাবুল ও তার স্ত্রী মারিয়া খাতুনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মিরপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত মুন্তাজ মন্ডলের ছেলে সাহাবুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মারিয়া খাতুন।
আদালতে রায় ঘোষণার সময় আসামি সাহাবুল উপস্থিতিত থাকলেও তার স্ত্রী মারিয়া খাতুন পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি আসামি সাহাবুল ও তার স্ত্রী মারিয়া বাড়িওয়ালা জালালের বাসায় চুরি করার পরিকল্পনা করেন। নিহতের স্ত্রী রিনা খাতুন বাড়ির বাইরে গেলে আসামিরা মেইন গেট দিয়ে বাসায় ঢুকে বাড়ির মালামাল চুরি করে। চুরি বিষয়টি বাড়ি মালিক জালাল টের পেয়ে চিৎকার করা শুরু করলে আসামি সাহাবুল ও তার স্ত্রী মারিয়া বাড়ির মালিককে কৌশলে মাটিতে ফেলে দিয়ে মুখ হাত পা চেপে ধরে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
এ বিষয়ে একই দিন বিকালে নিহতের স্ত্রী রিনা খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর স্বামী-স্ত্রী দু’জন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় এবং আদালতে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত এ মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদক মামলায় ২ আসামির কারাদণ্ড
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় স্বামী উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সাহাবুলের স্ত্রী আসামি মারিয়া উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
ব্যতিক্রমী রায়ে ঘর ভাঙন থেকে বাঁচল ৪৫ দম্পতি
৪৫ দম্পতির বিচ্ছেদ ঠেকিয়ে সংসারের বন্ধনে ফিরিয়ে দিলেন সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন।
বুধবার সকাল থেকে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত প্রাঙ্গণ ছিল আনন্দ ও উল্লাসে ভরপুর। কারণ আজ ৪৫ দম্পতির মধ্যকার ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে আবারও ভালোবাসার মানুষগুলো একত্রিত হয়ে ফিরেছেন আপন ঘরে। শুধু তাই নয়, আদালতের এমন যুগান্তকারী এই রায় দুটো মানুষকে আবারও একসঙ্গে জীবন কাটানোর সুযোগ করে দেয়ায় হাসি ফোটালো তাদের সন্তানদের মুখেও।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে নিজেদের স্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মামলাগুলো করেছিলেন সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার ৪৫ নারী। কিন্তু বিচ্ছেদ কোন প্রকৃত সমাধান নয়, তাই এই ৪৫ দম্পতিকে সুখী জীবনে ফেরানোর প্রয়াস নেন সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন। কোনো আসামিকে কারাগারে না পাঠিয়ে সংসার চালিয়ে যাওয়ার শর্তে বাদীদের সঙ্গে আপোস করিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: একরাতে ৪ বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন সিরাজগঞ্জের সেই ইউএনও
বিচারকের হস্তক্ষেপে ফের ১৭ বছরের পুরনো সংসারে ফিরলেন তারা
পঞ্চগড়ে দাম্পত্য কলহের জেরে ধরে রাগের বশবতি হয়ে স্বামী শাহানুর ইসলাম (৪২) প্রায় ছয় মাস আগে স্ত্রী আকতারা বানুকে (৩৬) তালাক দেন। এতে ভেঙে যায় ওই দম্পতির ১৭ বছরের সংসার।
এদিকে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী গত ৩০ মার্চ আদালতে যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করলে অবশেষে বিচারকের হস্তক্ষেপে পুনরায় বিয়ের মাধ্যমে আবারও সংসার শুরু করলেন তারা।
রবিবার পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মতিউর রহমানের হস্তক্ষেপে বিচ্ছেদ থেকে মুক্তি পান ওই দম্পতি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বৃদ্ধ দম্পতিকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
বিচারকের খাস কামরায় মৌলভী ডেকে দুই আইনজীবী ও পরিবারের লোকজনের সামনে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক ১ হাজার টাকা নগদ দেন মোহরানায় তাদের পুনরায় বিয়ে পড়ানো হয়।
জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের বারপাটিয়া গ্রামে বসবাস করে আসছেন এই দম্পতি।
আদালত, আইনজীবী ও দম্পতি জানায়, দাম্পত্য কলহের জেরে ১৭ বছরের সংসার জীবনে গত ছয় মাস আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। দুই মেয়েকে নিয়ে আকতারা বানু বাবার বাসায় ফিরে যান। ছেলে সন্তান রয়ে যায় বাবার সঙ্গে। এ ঘটনার পর আকতারা বানু স্বামীর বিরুদ্ধে গত ৩০ মার্চ আদালতে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন। রবিবার আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন শাহানুর। তার ইচ্ছে ছিল আদালতেই দেনমোহরের ১ লাখ ১ হাজার টাকা পরিশোধ করবেন। কিন্তু আদালতের এজলাসে জামিন নিতে উপস্থিত হলে নাটকীয়তার মোড় নেয়। তিন সন্তানকে দেখে ওই দম্পত্তি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। জামিন আবেদনের শুনানির সময় বিচারকও তিন সন্তানের মুখ চেয়ে এই দম্পতিকে কলহ ভুলে আবার সংসারে ফেরার অনুরোধ করেন। বিচারকের কথায় কিছুক্ষণ চিন্তা ভাবনা করে ওই দম্পতি আবারও সংসারে ফিরতে সম্মতি জানান। পরে বিচারকের খাস কামরায় আদালত মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুল খালেক তাদের বিয়ে দেন। পরে আপোষনামা দাখিলের পর আদালতের আইনী প্রক্রিয়া শেষে তিন সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান শাহানুর ও আকতারা বানু দম্পতি।
আকতারা বানু বলেন, ‘আমি আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। এখন আমরা আবারও এক সাথে থাকবো। আমি বিচারকের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে নদীতে গোসল করতে নেমে নব দম্পতির মৃত্যু
শাহানুর রহমান বলেন, ‘আমরা সুখে ছিলাম কিন্তু পারিবারিক কাজ কর্ম নিয়ে একটু ঝগড়া বিবাদ হলেই আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে চলে যেতো। তাই রাগে আমি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করায় আমি আরও রেগে যাই। আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক আমাকে তিন সন্তানের দিকে চেয়ে আপোষের কথা বলেন। তখন ভেবে চিন্তে আমি আপোষ করার সিদ্ধান্ত নেই।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাজিজুর রহমান বলেন, খুব সামান্য বিষয়ে তালাক দিয়েছিলেন শাহানুর। এই বিচারে একটি সংসার রক্ষা পেয়েছে। আমরা বাদী বিবাদী আইনজীবীরাও এতে খুশি।