ট্রলারডুবি
ইতালি যাওয়ার পথে ট্রলারডুবিতে ফরিদপুরের ৪ যুবক নিখোঁজ
লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় ফরিদপুরের দুই যুবককে জীবিত উদ্ধার হলেও এখনও চার যুবকের খোঁজ পায়নি পরিবার৷ তাদের পরিবারের সদস্যরা চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে সময় পার করছেন।
এসব যুবক আট থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ করে দালাল চক্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়ে।
গত রবিবার(১২ মার্চ) বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে লিবিয়া থেকে ৩০ ব্যক্তিকে নিয়ে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা নৌকাটি উল্টে যায়। এদের মধ্যে ১৭ জনকে সোমবার পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়। যাদের সবাই অভিবাসন প্রত্যাশী বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের সিসিলির শহর পোজালোতে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে নগরকান্দার ডাঙ্গী ইউনিয়নের বিলগোবিন্দপুর গ্রামের নান্নু সররদারের ছেলে হৃদয় সরদার (২৫) ও আহমেদ ফরাজীর ছেলে রাসেল ফরাজী (২০) নামে দুজন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে করবস্থান থেকে নিখোঁজ ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার
তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের মোস্তফা মাতুব্বরের ছেলে আল আমিন মাতুব্বর (২০), সোবাহান মোল্লার ছেলে মাহফুজ মোল্লা (২২), এসকেন মোল্লার ছেলে নাজমুল মোল্লা (২৩) ও সেকেন ব্যাপারীর ছেলে আকরামুল ব্যাপারী (২৭) নামে চারজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
নিখোঁজ আল আমীনের মা চামেলী বেগম বলেন, দুই মাস আগে তার ছেলে বিদেশ রওনা হয়। এরপর বিভিন্ন দেশ হয়ে গত বৃহস্পতিবার তাদের সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি নেয়ার জন্য ট্রলারে ওঠানো হয়।
তিনি জানান, দালাল চক্রের এক সদস্য কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা মুরাদ ফকির (৩৬) গত সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সাগরে ট্রলারডুবির পর আল আমিনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি জানান।
চামেলী বেগম আরও বলেন, ৯ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তার ছেলের সঙ্গে সবশেষ কথা হয়। ওই দিন ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মুরাদ চামেলী বেগমকে ইমোতে জানান, তাদের ইতালি যাওয়ার জন্য স্পিডবোটে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
নিখোঁজ যুবকদের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৫ জানুয়ারি ইতালির যাওয়ার জন্য ঢাকা যান তারা। এরপর ৮ জানুয়ারি দুবাই যান। দুবাইয়ে চার দিন থাকার পর মিশর হয়ে ১২ জানুয়ারি নাগাদ তারা লিবিয়া পৌঁছান। এরপর বৃহস্পতিবার তাদের ট্রলারে উঠিয়ে দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, দালাল চক্রের মুরাদ ফকিরের সঙ্গে ডাঙ্গী ইউনিয়নের মশাউজান গ্রামের ফরহাদ ফকির, বিলগোবিন্দপুর গ্রামের লিটন সরদার ও আবুল হোসেন এবং বাসাগাড়ি এলাকার কাদের মাতুব্বর নামে আরও চারজন রয়েছেন। মুরাদ ফকির লিবিয়া থাকেন। কিছুদিন আগে তিনি দেশে এসেছিলেন। ১৫ দিন আগে আবার লিবিয়া চলে যান।
ডাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী আবুল কালাম জানান, মুরাদ একজন মানবপাচারকারী। তিনি এ পর্যন্ত অন্তত ২০০ তরুণকে পাঠিয়েছেন। তিনি লোক পাঠিয়ে কয়েক কোটি টাকা আয় করেছেন। তার অবস্থা রাতারাতি ফুলে ফেঁপে উঠেছে। গ্রামে বড় বিল্ডিং করেছেন। এলাকায় তিনি ‘বিদেশে পাঠাইনা মুরাদ’ নামে পরিচিত।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন বলেন, এসব বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় ১৭ বাংলাদেশিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। লিবিয়া থেকে অবৈধ পথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে তারা ইতালি যাচ্ছিলেন। সোমবার ইতালি কর্তৃপক্ষ তাদের উদ্ধার করে উপকূলে নিয়েছে।
ইতালির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এএনএসএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া ১৭ অভিবাসন প্রত্যাশীর সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের ইতালির সিসিলির শহর পোজালোতে রাখা হয়েছে।
ইতালির কোস্টগার্ড জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে ৩০ ব্যক্তিকে নিয়ে ইতালি অভিমুখে যাত্রা করা নৌকাটি গত রবিবার বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে এবং উল্টে যায়।
আরও পড়ুন: অবশেষে বাড়ির পাশের পুকুরে ভেসে উঠলো নিখোঁজ শিশুর লাশ
ইন্দোনেশিয়ায় জ্বালানি ডিপোতে আগুনে নিহত ১৯, নিখোঁজ ৩
বরিশালে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবি, নিহত ১
বরিশালে বাল্কহেডের ধাক্কায় খেয়া পারাপারের একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় ট্রলারের বৃদ্ধ এক যাত্রী নিহত হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
এছাড়া নৌ পুলিশ বাল্কহেডসহ পাঁচ কর্মচারীকে আটক করেছে।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবি: ২৯ রোহিঙ্গাসহ আটক ৩৩
ওই যাত্রীর নাম-মো. নান্নু বেপারী (৬০)। মুলাদী উপজেলার সাহেবের চর এলাকার বাসিন্দা তিনি।
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার বিপুল হোসেন বলেন, গৌরনদী উপজেলার হোসনাবাদ ও মুলাদী উপজেলার সাহেবের চর রুটে খেয়া ট্রলার রয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে আটটায় হোসনাবাদ থেকে ট্রলার সাহেবের চরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এ সময় একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় খেয়া ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা সাতজন যাত্রী তীরে উঠতে পারলেও নান্নু বেপারী নিখোঁজ হয়।
স্টেশন অফিসার আরও জানান, সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজ যাত্রীর সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলে।
বেলা ১১টার দিকে গৌরনদী উপজেলার হোসনাবাদ লঞ্চঘাট এলাকায় নিখোঁজ নান্নু বেপারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর নৌ-পুলিশের ইনচার্য পরিদর্শক প্রদীপ কুমার মিত্র বলেন, বাল্কহেড ও পাঁচ কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।
অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: কক্সবাজারের উপকূলে ১৩ ট্রলারডুবি
করতোয়ায় ট্রলারডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, এখনও নিখোঁজ ৪০
করতোয়ায় ট্রলারডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, এখনও নিখোঁজ ৪০
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বোদা উপজেলা থেকে এ লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যদিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহাবুবুল ইসলাম জানান, আজ সকাল ৬টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের ডুবুরিরা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে ১০টি লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ৩৬
নিহতদের মধ্যে কবিতা রানী (৫০) নামে একজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। অপর ৯জনের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা জানান, নিহত ৪৬ জনের মধ্যে ১৯ জন নারী ও ১২ জন শিশু।
তিনি বলেন, তারা তাদের স্বজনদের কাছ থেকে নিখোঁজ ৪০ জনের তালিকা পেয়েছেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার তদন্তে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) দীপঙ্কর রায়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মহালয়া উপলক্ষে বধেশ্বর মন্দির থেকে ৬০ থেকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ফেরার সময় ট্রলারটি নদীর মাঝখানে ডুবে যায়। যাত্রীদের বেশিরভাগই হিন্দু পুণ্যার্থী ছিল।
সেদিন নদী থেকে ২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয় এবং অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়।
নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবে ১৫ জন নিহত, নিখোঁজ ২৫
পঞ্চগড়ে ট্রলারডুবি: ৮ লাশ ভেসে উঠলো দিনাজপুরে
পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ হওয়া দুই শিশু ও ছয় নারীর লাশ সোমবার দিনাজপুরের আত্রাই নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, জেলার খানসামা ও বীরগঞ্জ উপজেলার নদীতে লাশগুলো ভেসে আসে।
খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় জানান, সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত আত্রাই নদী থেকে এক শিশু ও চার নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
চিত্তরঞ্জন বলেন, ‘লাশগুলোর মধ্যে চারটি তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বীরগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার জানান, একই সময়ে আত্রাই ও ঢেপা নদী থেকে এক শিশু ও দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ‘পঞ্চগড়ের বোদা এলাকায় ট্রলার দুর্ঘটনায় নিহতদের লাশ শনাক্ত করেছে তাদের পরিবার। এরপর যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি আমরা।’
আরও পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ৩৬
করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
মেঘনায় পণ্যবাহী ট্রলারডুবি, মাঝি নিখোঁজ
করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ৩৬
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের আউলিয়ার ঘাট এলাকায় করতোয়া নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ জনে পৌঁছেছে।
মৃতদের একজন কবিতা রানী (৫০)। বাকিদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা জানান, নিহতদের মধ্যে ১৬ জন নারী ও সাত শিশু রয়েছে।
পঞ্চাগড় ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মহাবুবুল ইসলাম জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা নদীর বিভিন্ন জায়গা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে।
জানা যায়, রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বধেশ্বর মন্দিরে (নদীর অপরপাড়ে) মহালয়া উপলক্ষে এক বিশাল ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। এই ধর্মসভায় যোগ দিতে জেলার বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন শ্যালো মেশিন চালিত নৌকা করে যাচ্ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে মাঝনদীতে গিয়ে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। সাঁতার জানা যাত্রীরা তীরে উঠে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। তাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে অনেককে উদ্ধার করে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়।
গতকাল নদী থেকে ২৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল।
নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পড়ুন: করতোয়ায় ট্রলারডুবি: নিহত বেড়ে ২৫
পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবে ১৫ জন নিহত, নিখোঁজ ২৫
মেঘনায় পণ্যবাহী ট্রলারডুবি, মাঝি নিখোঁজ
চাঁদপুরে মেঘনায় একটি পণ্যবাহী ট্রলার ডুবে মাঝি নিখোঁজ রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর থেকে শরিয়তপুরের ডামুডা যাওয়ার সময় ট্রলারটি ডুবে যায়।
নিখোঁজ দেলোয়ার হোসেন প্রধানীয়ার (৩৫) বাড়ি শরিয়তপুরের তারাবুনিয়া।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেছেন, মেঘনা-ডাকাতিয়ার মোহনায় প্রচন্ড ঘূর্ণিস্রোতের কবলে পড়ে পণ্যবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ট্রলারের চারজনের মধ্যে তিনজন সাঁতরে অন্য নৌকার সাহায্যে প্রাণে বেঁচে গেছে। কিন্তু ট্রলারের মাঝি দেলোয়ার হোসেন প্রধানীয়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
পণ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক সাড়ে তিন লাখ টাকা হবে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ধারণা।
আরও পড়ুন: ট্রলারডুবি: ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠালো ভারতীয় কোস্টগার্ড
ট্রলারের বেঁচে যাওয়া যাত্রী ও ব্যবসায়ী হারুণ অর রশিদ জানান, এ ট্রলারে মুদী পণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ছিল। যেমন মাছের খাদ্য (একশ বস্তা), তেলের ব্যারেল, সয়াবিন, হার্ডওয়ারের মালামাল, বিস্কুট, চানাচুর, ধানের বস্তা, পলিব্যাগ ইত্যাদি।
তিনি বলেন, ‘সকালে শহরের ট্রাকঘাট থেকে আমরা যাত্রা করি। মোহনায় এসে পৌঁছালে মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে সৃষ্ট ঘূর্ণিপাকে আচমকা এটি ডুবে যায়। আমরা তিনজন কোন রকমে অন্য নৌকার সাহায্যে বাইচ্চা গেলেও ড্রাইভার এখনও নিখোঁজ রয়েছে।’
ওসি কামরুজ্জামান আরও জানান, এ ব্যাপারে নৌ থানায় মামলা হয়েছে।নিখোঁজ দেলোয়ারকে নদীতে খোঁজা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে দুই জেলের মৃত্যু
বঙ্গোপসাগরে ভোলার ৬ ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ৫৯ জেলে উদ্ধার
ট্রলারডুবি: ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠালো ভারতীয় কোস্টগার্ড
ট্রলারডুবে বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় জলসীমায় ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার ৩২ জেলেকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। মঙ্গলবার বাগেরহাটের মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের কাছে জেলেদেরকে ফেরত পাঠানো হয়। পরে রাত ৯টার দিকে তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোনের অপারেশন বিভাগের স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট এ এস এম লুৎফর রহমান জানান, গত ১৮ ও ১৯ আগস্ট ঝড়ের কবলে পড়ে ইঞ্জিনের ত্রুটিজনিত দেখা দিলে ওই তিনটি মাছধরা ট্রলার ভাসতে ভাসতে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে। ২০ আগস্ট ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের জলসীমায় ভাসমান অবস্থায় প্রথম ১০ জন জেলেকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া জেলেদের কাছ থেকে আরো জেলে নিখোঁজের খবর জানতে পেরে ভারতীয় কোস্টগার্ডের জাহাজ এবং এয়ারক্রাফট টহল চালিয়ে ভাসমান আরও ২২ জেলেকে উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: ১১ জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ৮
তিনি জানান, ভারতীয় কোস্টগার্ড দুদেশের কোস্টগার্ডের সমজতার মাধ্যমে মঙ্গলবার সকালে ৩২ জেলেকে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্র নিয়ন্ত্রণ রেখায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ তাজউদ্দিনের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর সমুদ্রে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড জাহাজ অপরাজেয় বাংলায় ওই জেলেদেরকে হস্তান্তর করে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন সদর দপ্তরে আনা হয়। মঙ্গলবার রাতেই ৩২ জেলেকে স্বজন এবং প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ১৮ ট্রলার ডুবি: নিখোঁজ আরেক জেলের লাশ উদ্ধার
ফিরে আসা জেলেরা জানান, এফবি আব্দুল্লাহ-১, এফবি মায়ের দোয়া এবং এফবি জান্নাতুল ফেরদৌস নামে ৩টি ট্রলার নিয়ে ১৫ আগস্ট ৩২ জেলে মাছ ধরার উদ্দেশে বঙ্গোপাসগরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। সমুদ্রে পৌছে তারা মাছ ধরছিল। কিন্তু ১৮ ও ১৯ আগস্ট ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে পানি প্রবেশ ট্রলারগুলো একে একে ডুবে যায়। এর পর তারা দুই দিন ধরে সাগরে ভাসতে থাকে। পরে ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে।
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে দুই জেলের মৃত্যু
বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে এমভি ভাই ভাই নামে একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই জেলের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ওই ট্রলারের মালিক ও বরগুনার সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রতন মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ১৮ আগস্ট রাতে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
মৃত জেলেরা হলেন-ঢলুয়া ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ছগির হোসেন এবং চট্টগ্রামের বাসিন্দা মো. রফিক। ওই ট্রলারে থাকা অন্য ১৭ জেলে নিরাপদে ভারতের কাকদ্বীপে পৌঁছেছেন। ট্রলার মাঝির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে এসব তথ্য জানিয়েছেন রতন মোল্লা।
রতন মোল্লা বলেন, ১৬ আগস্ট ১৯ জেলেকে নিয়ে তাঁর ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের মাছ ধরতে যায়। তবে ১৮ আগস্ট সাগর উত্তাল হতে শুরু করলে তাঁরা ট্রলারটি নোঙর করে রাখেন। একপর্যায়ে সাগরের ঢেউয়ে ট্রলারের তলা ফেটে যায়। এরপর ট্রলারটি আস্তে আস্তে সাগরে ডুবে যেতে শুরু করলে সেখানে থাকা ১৯ জেলে লাইফ জ্যাকেট পড়ে সাগরে ঝাঁপ দেন। একপর্যায়ে ছগির হোসেন ও রফিক ডুবে যান। তবে অন্য ১৭ জেলে ভাসতে ভাসতে ভারত সীমান্তে চলে যান।
মাঝির বরাত দিয়ে রতন মোল্লা বলেন, ট্রলারে মাঝি জানিয়েছেন তাঁরা এখন ভারতের কাকদ্বীপে আছেন। আটকে পড়া জেলেদের কোনো আইনি বাধা ছাড়াই দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁদের স্বজনেরা সরকারের সহায়তা কামনা করছেন।
মারা যাওয়া জেলে ছগির হোসেনের বড় ভাই সোহরাব বলেন, ‘আমার ভাই আর ফিরে আসবে না। সাগর তাঁকে নিয়ে গেছে। আর কোনোদিন ফিরে আসবে না। ছোট দুইটা ছেলে আছে, ওদের এখন কী হবে!’
ঢলুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আল আমিন হোসাইন আরিফ মৃধা বলেন, বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে ঢলুয়া ইউনিয়নের ভাই ভাই নামে একটি ট্রলার ডুবে গিয়েছিল। এতে ওই ট্রলারের দুই জেলে মারা গেছেন। বাকিরা ভারতের উপকূলে আটকা পড়েছেন। আটকে পড়া জেলেদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
ট্রলারডুবি: দেশে ফেরা অনিশ্চিত ভারতে উদ্ধার হওয়া ৪৪ জেলের
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় ভারতে উদ্ধার হওয়া ৪৪ জেলের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে ট্রলার মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন ও স্বজনরা।
স্বজন ও ট্রলার মালিকরা বলেন, সাগরে থাকলে হয়তো ভাসতে ভাসতে এলেও অন্তত লাশটাও আসতো। এখন তো বেঁচে থেকেও না বাঁচার মতো। এযাবৎকাল বাংলাদেশি জেলে জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় সীমানায় অনুপ্রবেশ করলে ফেরতের বিপরীতে স্থান হয় কারাগারে। যার কারণে বরাবরের মতো এবারও পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের প্রতি ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা।
কিছুদিন আগে সাগর উত্তাল হওয়ায় অনেক ট্রলার ডুবি এবং জেলে নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে পাথরঘাটার ৪৪ জন জেলে ভারতে অবস্থান করছেন।
এসব জেলেদের ফিরিয়ে আনতে জেলে এবং ট্রলার মালিকদের পক্ষে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ভারতে আছেন। কিন্তু জেলেদের ফিরিয়ে আনা তো দূরের কথা, অসুস্থ জেলেদের দেখতেও দেয়নি। আপাতত জীবিত উদ্ধার হওয়া ৪৪ জেলে দেশে ফিরিয়ে আনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মৎস্যজীবী নেতাদের মতে, বিগত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে এ যাত্রায়ও ভারত বাংলাদেশি জেলেদের প্রতি মায়া দেখাবে না।
বিগত বছরে নানা দুর্যোগে সীমানা পেরিয়ে যাওয়ার অপরাধে শত শত জেলে এখনও ভারতের কারাগারে আছে। অথচ ঠিক এমন দুর্যোগে ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশে এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী মোবাইল ফোনে জানান, সাগরে ট্রলারডুবির ঘটনার পর পরই আমি ভারতে আসি জেলেদের ফিরিয়ে নিতে। অথচ এখন পর্যন্ত আমাদের দেখাও দিতে দেয়নি। বরাবরের মতো এবারও তারা একই আচরণ করছে।
আরও্র পড়ুন:ডাকাতিয়ায় ট্রলারডুবির ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভারতীয় এক পুলিশ কর্মকর্তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আরও বলেন, জেলেদের আকুতি দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলেদের দেশে পাঠানোর ব্যাপারে আন্তরিক। তবে দু'দেশের পররাষ্ট্র পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা জরুরি বলে মতামত দেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বহু বছর ধরে ভারতে আটকে থাকা জেলেদের ফেরত দিতে অনেক আন্দোলন, স্মারকলিপিও দিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
বরগুনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা মৎস্য বিভাগ এবং ট্রলার মালিক সমিতিতে জেলেদের তালিকা চেয়েছি। তালিকা পেলেই আমরা তাদের আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবো।
আরও পড়ুন:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রলারডুবির ঘটনায় মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ২৩
রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল: ট্রলারডুবির ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গোপসাগরে ভোলার ৬ ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ৫৯ জেলে উদ্ধার
তীব্র ঝড়ো আবহাওয়ায় গভীর সাগরে ডুবে যাওয়া ভোলার ছয়টি ট্রলারের নিখোঁজ ৬০ জেলের মধ্যে রবিবার ৫৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পল্লব কুমার বলেন, লালমোহন উপজেলার চতলা গ্রামের আবুল কালাম নামের এক জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ছয়টি ট্রলার ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হলো- এফভি লামিয়া, মজিবুল শেখের ট্রলার, সাইফুল মাঝির ট্রলার, জাকির মাঝির ট্রলার, নিজামুদ্দিন মাঝির ট্রলার ও নূরুদ্দিন মাঝির ট্রলার।
ইউএনও আরও বলেন, ডুবে যাওয়া ফারুক মাঝির মালিকানাধীন ট্রলার থেকে চার জেলেকে ভারতীয় নৌবাহিনী উদ্ধার করে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছেন।
তিনি বলেন, অন্যান্য নিখোঁজদের সুন্দরবন ও হাতিয়ার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ইউএনও বলেন, উদ্ধার হওয়া জেলেরা রবিবার অন্য একটি ট্রলারে করে ভোলায় ফিরছেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগর থেকে ১৩ জেলে উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারডুবি: ১৭ জেলে উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে আটকা পড়া ৭ জেলে উদ্ধার