দুদক
৩ ইসলামী ব্যাংকের কেলেঙ্কারি তদন্ত করবে দুদক
তিন ইসলামী ব্যাংকের ৩৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনের সচিব মো. মাহবুব হোসেন গণমাধ্যম ব্রিফিংয়ে বলেন, শিগগিরই তারা কাজ শুরু করবেন।
ব্যাংক তিনটি হলো- ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।
মাহবুব বলেন, ইসলামি শরিয়াভিত্তিক তিনটি ব্যাংকের ঋণ নিয়ে কথিত অনিয়মের তদন্তের জন্য দুদকের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগের পর তিনি কার্যক্রম শুরু করবেন।
অপর এক কর্মকর্তা জানান, দুদকের উপ-পরিচালকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে গত ১ ডিসেম্বর তিন ব্যাংকের কেলেঙ্কারি নিয়ে তিনটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে তদন্ত চেয়ে দুদক ও বিএফআইইউকে চিঠি দেন পাঁচ আইনজীবী।
আরও পড়ুন: মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে ঋণ: দুদককে ৩ মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষের নির্দেশ
দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক এনামুল বাছিরের জামিন বহাল
ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের হালনাগাদ প্রতিবেদন মঙ্গলবার জমা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার ২০০৯ সাল থেকে ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম জানান যে মঙ্গলবার তিনি তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করবেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগে ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়ার অভিযোগ এনে রিটটি করেন।
রিট আবেদনে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সাত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, তাকসিম ২০০৯ সাল থেকে গত ১৩ বছর ধরে ওয়াসার এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, তার মেয়াদে প্রতি ইউনিট পানির দাম ৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তিনি তার পদে বহাল রয়েছেন।
সুমন আরও বলেন, ২০০৯ সালে তার পরীক্ষার ফলাফল পুনর্লিখন ও কারচুপি করার মাধ্যমে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। এমডি পদের জন্য ২০ বছরের প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন, যা তার ছিল না।
তিনি বলেন, ‘তার নিয়োগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পরীক্ষা ও বিবেচনা করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করছে। যার অর্থ হল কিছু কারচুপি হয়েছিল, তবুও তার মেয়াদ পরে বাড়ানো হয়।’
তার নিয়োগ প্রক্রিয়া তদন্তের প্রয়োজনীয়তা দেখায় রিট পিটিশন দাখিল করা হয় বলে জানান তিনি।
সুমন বলেন, ২০০৯ সালে তিন বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পর ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের মেয়াদ তিনবার বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি পদে তাকসিমের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে রিট
ওয়াসার এমডির বেতন-বোনাসের হিসাব দিতেই হবে: চেম্বার আদালত
আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশ যেতে পারবেন না বিডিনিউজের সম্পাদক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর রায়ের জন্য ১ ডিসেম্বর দিন রেখেছেন হাইকোর্ট। এই সময় পর্যন্ত আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তৌফিক ইমরোজ খালিদীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শাহরিয়া কবির বিপ্লব।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, তৌফিক ইমরোজ খালিদীর জামিন বাতিলের জন্য দুদকের করা রিভিশন আবেদনের শুনানি আজ শেষ হয়েছে। রায় ১ ডিসেম্বর। এ সময়ের মধ্যে খালিদী বিদেশ যেতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত তৌফিক ইমরোজ খালিদীকে জামিন দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক আবেদন করে। একই বছরের ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট জামিন বাতিলে ১০ দিনের রুল জারি করেন।
আরও পড়ুন: মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে ঋণ: দুদককে ৩ মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষের নির্দেশ
২০২০ সালের ৩০ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ ওই মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তৌফিক ইমরোজ খালিদী এইচএসবিসি, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন হিসাবে ৪২ কোটি টাকা জমা রেখেছেন, যার বৈধ কোনো উৎস নেই।
ভুয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে তিনি ওই টাকা অর্জন করেছেন বলে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্তে প্রমাণিত। তৌফিক ইমরোজ খালিদী ওই অস্থাবর সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন, যা তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে এজাহারে অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বর থেকে জঙ্গি ছিনতাই: গ্রেপ্তার ১
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠিত
মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে ঋণ: দুদককে ৩ মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষের নির্দেশ
রাজধানী ঢাকার উত্তরার আজমপুর অংশে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সরকারি জমি বন্ধক রেখে বেসরকারি সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ঘটনা অনুসন্ধান করতে তিন মাসের সময় বেঁধে দিলেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটি শুনানির জন্য আসবে এবং সঙ্গে সঙ্গে সোসাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ওইদিন জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে। কি কারণে ভুয়া ডকুমেন্টে ঋণ দেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করার জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়ে ওই দিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত এর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এ ছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জমি বন্ধক রেখে দুর্নীতির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার এক জঙ্গির জামিন প্রত্যাহার করলেন হাইকোর্ট
আজ বিএফআইইউ এর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।
উল্লেখ্য, এর আগে এ বছরের ২১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওবায়েদ আহমেদ বাদী হয়ে এ রিট করেন। রিট আবেদনে গত ১৬ এপ্রিল দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত ‘মহাসড়ক বন্ধক দেখিয়ে লুটপাট ১৫ কোটি টাকা’- শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মহাসড়কের সরকারি জমি বন্ধক রেখে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ১৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন মো. গোলাম ফারুক নামে এক ভয়ঙ্কর প্রতারক। ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তিনি মোটা অঙ্কের এ ঋণ বাগিয়ে নেন। তবে সেটি ধরা পড়ার পর আবার দলিল সংশোধন করেন। এবার আগের বন্ধককৃত জমির দাগ নম্বর পরিবর্তন করে ব্যাংকে জমা দেন। সংশোধিত দলিলের জমিতে বন্ধকি সম্পত্তির সাইনবোর্ড স্থাপনের চেষ্টা করলে ব্যাংক জানতে পারে সেটিও ভুয়া। সংশোধিত দলিলের জমির আসল মালিক জামির আলী। ২৭ শতাংশ ওই জমি দখলে নিতে একাধিকবার তার ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা চলে।
অবশেষে গত ১৪ এপ্রিল রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে ফারুকসহ তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ফিরোজ আল মামুন ওরফে ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরে ১৫ এপ্রিল দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
রিটের পর আইনজীবী জানান,মহাসড়কের জায়গা বন্ধক দিয়ে ঋণ নিয়েছেন, একটি পত্রিকায় ও একটি বেসরকারি টিভিতে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। সম্প্রতি গোলাম ফারুক একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু মহাসড়কের জমি বন্ধকের ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ওই ঘটনার তদন্ত চেয়ে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চেয়ে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: বিচারের দাবিতে আদালতে শিশু, বিজিবি সদস্যের খালাস বাতিল করল হাইকোর্ট
ঢাকার ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া উত্তোলনে জড়িতদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
‘বিতর্কিত’ সাকিবকে শুভেচ্ছা দূত না রাখার সিদ্ধান্ত দুদকের
অল-রাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে চুক্তি নবায়ন করবে না দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুদকের অনুসন্ধান বিভাগের কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান বৃহস্পতিবার এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: আমাদের উন্নতি করতে হবে: সাকিব
তিনি বলেন, 'চুক্তি অনুযায়ী তিনি এখনও শুভেচ্ছাদূত হলেও চুক্তি নবায়ন করা হবে না। তিনি আসন্ন আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না’, নিয়ম অনুযায়ী তার সঙ্গে দুদকের এখনও চুক্তি রয়েছে। তবে সাকিব আল হাসানকে এখন বিভিন্ন ইস্যুতে 'বিতর্কিত' হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। দুদক কোনো বিতর্কিত ব্যক্তির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে চায় না বলে জানান হক।
এর আগে, অল-রাউন্ডার সাকিবকে বাংলাদেশের দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য দুর্নীতি বিরোধী পর্যবেক্ষকের গুডউইল অ্যাম্বাসেডর করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এ ঘোষণা দেয় দুদক।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: পেসারদের ওপর আস্থা বেড়েছে সাকিবের
লিটন-সাকিবের ব্যাটে পাকিস্তানকে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
দুদকের মামলায় সম্রাটের চার্জ শুনানি পিছিয়ে ৮ নভেম্বর
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের চার্জ শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৮ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ আদালত- ৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে মামলাটি চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
কিন্তু আসামিপক্ষের আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা চার্জ শুনানি পেছানোর সময় আবেদন করে। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির এ তারিখ ধার্য করেন।
এদিন সম্রাট আদালতে হাজিরা প্রদান করেন। গত ২২ আগস্ট সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন বাড়লো ২০ অক্টোবর পর্যন্ত
দুদকের আবেদনে সম্রাটের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন
৩৭০০ কোটি টাকা লুটপাট: দায়ীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা লুটপাটের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচ অভিযুক্ত ডেপুটি গভর্নর ও অন্যান্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
২৭ অক্টোবরের মধ্যে এ বিষয়ে দুদককে জানাতে বলেছেন আদালত।
সম্প্রতি দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন।
ডিএজি আমিন উদ্দিন বলেন, আজ শুনানি শুরুর আগে বেঞ্চ আইনজীবীদের প্রতিবেদনটি পড়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফসি) এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) আর্থিক কেলেঙ্কারিতে পাঁচ ডেপুটি গভর্নরসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৪৯ জন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানারাতের ট্রাস্টি বোর্ড পুনর্গঠন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিন বিভাগের এসব কর্মকর্তার সহায়তায় প্রশান্ত কুমার হালদার ও মেজর (অব.) মান্নান বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে এ সংক্রান্ত দুটি প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিআইএফসি ও আইএলএফএসএল থেকে অবৈধভাবে জামানতবিহীন ঋণ নিয়ে মোট তিন হাজার ৭৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এর মধ্যে আইএলএফএসএল শুধু ভারতে কারাবন্দি প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) এবং তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামেই নেয়া হয়েছে তিন হাজার ১৩০ কোটি টাকা। আর বিআইএফসি থেকে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নান ও তার প্রতিষ্ঠান নিয়ে গেছে ৬০০ কোটি টাকা। বছরের পর বছর ধরে এই লুটপাটের ঘটনা ঘটলেও নিশ্চুপ ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
তদন্ত প্রতিবেদনে এই লুটপাটের জন্য প্রধানত নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগকে দায়ী করা হয়েছে। এতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগে ২০০৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকারী তিনজন ডেপুটি গভর্নর, ৬ জন নির্বাহী পরিচালক, ১১ জন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এবং ১৫ জন উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এবং বিভিন্ন পর্যায়ের আরও ১২৪ কর্মকর্তাকে দায়ী করা হয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের দুজন ডেপুটি গভর্নর, নির্বাহী পরিচালকসহ মোট ৫১ জনকে দায়ী করা হয়েছে। এ ছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের দুজন ডেপুটি গভর্নর, আটজন নির্বাহী পরিচালক, পাঁচজন জিএমসহ মোট ২৯ কর্মকর্তার নাম এসেছে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদ দখলকারীদের তালিকা চান হাইকোর্ট
ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
যুক্তরাজ্যে বিমানের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
প্রায় এক কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের লন্ডন স্টেশনের সাবেক কান্ট্রি ম্যানেজার আখতারউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তদন্ত শেষে ঢাকা সমন্বিত কার্যালয়, দুদক-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়।
সোমবার দুদকের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ইউএনবিকে জানান, উপপরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, লন্ডনের সিটি অফিসে অফিসের যন্ত্রপাতি ও টেলিফোন সংযোগ প্রদানের জন্য তিনটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে বিমান বাংলাদেশ।
অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) আখতারউদ্দিন বিমানের হেড অফিসের কোনো অনুমোদন ছাড়াই সব চুক্তি নবায়ন করেন, যার ফলে প্রায় ৯৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের মাস্টার অপারেটর ও তার স্ত্রীর হিসাব জমার নির্দেশ দুদকের
দুর্নীতি মামলার আসামিদের অব্যাহতি, দুদকের আইওকে হাইকোর্টে তলব
খুলনায় গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সেলিম চেয়ারম্যানের জামিন স্থগিত, আত্মসমর্পণের নির্দেশ
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় চাঁদপুর সদরের লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম খানকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে সেলিম খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট তাকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। একইসঙ্গে চার সপ্তাহ পর তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
পড়ুন: দুর্নীতির মামলায় সেলিম চেয়ারম্যানের ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন
ওই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন। আজ দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি হয় চেম্বার আদালতে।
গত ১ আগস্ট সেলিম খানের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ এই মামলা করে দুদক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সেলিম খান অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন করে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
পড়ুন: জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট
ডেসটিনি পরিচালনায় বোর্ড গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট
সম্রাটের জামিন বাড়লো ২০ অক্টোবর পর্যন্ত
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের জামিন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন আদালত।
সেই সঙ্গে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্যও ওই দিন ধার্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন সম্রাট
সোমবার ঢাকার বিশেষ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. সিফুজ্জামানের আদালতে মামলাটি চার্জ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য ছিলো। কিন্তু এদিন সম্রাটের প্রধান আইনজীবী দেশের বাইরে থাকায় চার্জ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
এদিন সম্রাটের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন অ্যাডভোকেট শাহনাজ পারভীন হীরা। স্থায়ী জামিনের বিরোধীতা করেন দুদকের পক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে স্থায়ী জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত সম্রাটের জামিন বর্ধিত করেন আদালত।
গত ২২ আগস্ট সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলাটি তদন্ত করে সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
আরও পড়ুন: দুদকের আবেদনে সম্রাটের জামিন কেন বাতিল করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে দুদকের আবেদন