ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের হালনাগাদ প্রতিবেদন মঙ্গলবার জমা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার ২০০৯ সাল থেকে ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম জানান যে মঙ্গলবার তিনি তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করবেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগে ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়ার অভিযোগ এনে রিটটি করেন।
রিট আবেদনে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সাত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, তাকসিম ২০০৯ সাল থেকে গত ১৩ বছর ধরে ওয়াসার এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, তার মেয়াদে প্রতি ইউনিট পানির দাম ৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তিনি তার পদে বহাল রয়েছেন।
সুমন আরও বলেন, ২০০৯ সালে তার পরীক্ষার ফলাফল পুনর্লিখন ও কারচুপি করার মাধ্যমে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। এমডি পদের জন্য ২০ বছরের প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন, যা তার ছিল না।
তিনি বলেন, ‘তার নিয়োগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পরীক্ষা ও বিবেচনা করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করছে। যার অর্থ হল কিছু কারচুপি হয়েছিল, তবুও তার মেয়াদ পরে বাড়ানো হয়।’
তার নিয়োগ প্রক্রিয়া তদন্তের প্রয়োজনীয়তা দেখায় রিট পিটিশন দাখিল করা হয় বলে জানান তিনি।
সুমন বলেন, ২০০৯ সালে তিন বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পর ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের মেয়াদ তিনবার বাড়ানো হয়েছে।