ন্যায্য মূল্যের দোকান
কুমিল্লায় ছাত্রদের ন্যায্য মূল্যের দোকানে ব্যাপক সাড়া
কুমিল্লার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা ন্যায্য মূল্যে নিত্য পণ্য বিক্রি করছে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে কুমিল্লা নগরীর পূবালী চত্বরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা এই কার্যক্রম শুরু করেন।
নায্যমূল্যে শাক-সবজি কিনতে পেরে খুশি হয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে ছাত্রদের ন্যায্য মূল্যের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৮০ পয়সা দরে। আলু ৫৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ১০০ টাকা, রসুন ২১০ টাকা, মাঝারি লাউ ৩০ টাকা, কচুরছড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বাজারে শাকসবজিসহ নিত্য পণ্যের যে ঊর্ধ্বগতি তা কমিয়ে আনতে পাইকারি আড়ৎ থেকে কেনা দামে সাধারণ মানুষের কাছে পণ্য বিক্রি করা শুরু হয়েছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের যে সিন্ডিকেট আছে তা ভাঙতেই এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে সেক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাজার মনিটরিং টিমের সহায়তা চেয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থী মো. নাজমুল হোসেন জানান, আরও ১০ দিন এই কার্যক্রম চলবে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কুমিল্লার পূবালী চত্বরে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
ক্রেতারা জানান, শিক্ষার্থীরা যে দামে বিক্রি করছে তা বাজার থেকে কেজিতে অন্তত ৫ থেকে ১০ টাকা কম মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ স্বল্প মূল্যে যেখানে পাবে সেখান থেকেই বাজার করবে। শিক্ষার্থীরা যে বাজার বসিয়েছে তা সাধারণ মানুষের খুব উপকারে আসবে। প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং আরও শক্তভাবে করা।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন আসিফ নজরুল
৪ সপ্তাহ আগে