স্বাস্থ্যসেবা
সবার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বিশ্বের পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ধনী দেশগুলোকে এগিয়ে যেতে হবে। এই সংযোগে, তহবিল (অর্থ) বিতরণ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘অ্যাকসেলারেটিং ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজ টুওয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ’- শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেক দেশ এখনো পিছিয়ে আছে। তাদের সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘যেসব এলাকায় এখনো উন্নয়ন হয়নি বা স্বাস্থ্যের দিকে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি সেখানে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকে সমর্থন করার জন্য একটি ভালো তহবিল তৈরি করা উচিত। কারণ স্বাস্থ্যই সমস্ত সুখের মূল।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এসডিজি-৩ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও চ্যাথাম হাউস কমিশনের কো-চেয়ার হেলেন ক্লার্ক।
অনুষ্ঠানটি দুই ভাগে বিভক্ত ছিল- প্রথম ভাগে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
অনুষ্ঠানের এই অংশটি পরিচালনা করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালকের মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক চ্যাথাম হাউস কমিশনের কমিশনার সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার জন্য একটি আন্তর্জাতিক পরিকল্পনার আহ্বান জানিয়ে হাসিনা বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দেওয়া দরকার এবং একটি আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, কোন দেশের বেশি প্রয়োজন তা বের করার জন্য এটা করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এভাবে নির্দিষ্ট করা যেতে পারে এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যেতে পারে। তবে আমি বিশ্বাস করি আমাদের সকলকে একসঙ্গে এটি করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ ব্যাপক সাফল্য বয়ে আনবে: জাপানি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
সামরিক শাসন নয়, রাজনৈতিক নেতৃত্ব বাংলাদেশের সমৃদ্ধির চাবিকাঠি: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনও উন্নত নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালের কাঙ্ক্ষিত সেবা বাদ দিয়ে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন সম্ভব না।
তিনি বলেন, উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনও উন্নত নয়। উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবাতেই আমাদের মূল ঘাটতি রয়ে গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদীর একটি বেসরকারি রিসোর্ট সেন্টারে এক বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যারা দেশ চায়নি তারাই আবার এদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বলেন, উপজেলা পর্যায়ের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর অনেক জায়গায়ই মেশিন নষ্ট ছিল। কিছু জায়গায় মেশিনই ছিল না। লোকবলের তীব্র অভাব ছিল। উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তাররা বদলি নিয়ে ঢাকায় বা জেলা পর্যায়ে চলে যেত।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি পরিবর্তনে উপজেলা পর্যায়ে আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি। নষ্ট মেশিন মেরামত এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন মেশিন কেনা হয়েছে। তদবির করে উপজেলা পর্যায় থেকে বদলি নিয়ে ঢাকায় আসা বন্ধ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত লোকবল নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত টেকনিশিয়ান ও ফার্মাসিস্ট নিয়োগের কাজও চলমান।
এছাড়া উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলো শয্যা বৃদ্ধিসহ নানাবিধ কাজ করে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি স্বাস্থ্যসেবার মান দ্বিগুণ বাড়ানো হচ্ছে।
কারণ আমরা বুঝে গেছি, উপজেলা পর্যায়ে সেবার মান না বাড়িয়ে দেশের মানুষের জন্য কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করা অসম্ভব।
স্বাস্থ্যখাতের সেবার মান বৃদ্ধি করার গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে যায়। অনেক টাকা খরচ করে নিঃস্ব হয়। অথচ আপনাদের (চিকিৎসক ও হাসপাতাল পরিচালক, স্বাস্থ্যখাতের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা) সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা বাড়লে এটি বন্ধ হবে।
তিনি আরও বলেন, এমনভাবে সেবা দিতে হবে যাতে আগামীতে বিদেশ থেকে চিকিৎসা নিতে বিদেশিরা বাংলাদেশে আসে। আপনারা করোনা মোকাবিলায় সফল হয়েছেন। একটু আন্তরিক হলে চিকিৎসা সেবাতেও সফল হবেন।
তিনি বলেন, এখন শুধু আপনাদের (চিকিৎসক ও হাসপাতাল পরিচালক, স্বাস্থ্যখাতের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা) সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা লাগবে। সরকার আপনাদের জন্য সবকিছুই করবে। কিন্তু আপনাদের এই আন্তরিকতা থাকতে হবে মন থেকে।
তিনি আরও বলেন, যিনি যে হাসপাতাল বা সরকারি স্বাস্থ্যখাত পরিচালনায় দায়িত্ব পাবেন তাকে সেই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার সকল দায়ভার নিতে হবে।
এছাড়া আপনাদের একটু প্রচেষ্টাতেই দেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষ অনেক বেশি উপকৃত হবেন। মানুষের অনেক কষ্টের টাকাও বেঁচে যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা শাখার সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক আহমেদুল কবীর।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া। এছাড়া সভায় ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলার সিভিল সার্জনস, জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, এবং ৭৬টি উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এ বছরই দেশের সব হাসপাতালে সান্ধ্যকালীন সেবা চালু হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বেসরকারি হাসপাতালে ৮০% সিজার, মেনে নেওয়া যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিনামূল্যে ৫০ হাজার টাকার স্বাস্থ্যসেবা পাবে ১৫ লাখ পরিবার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকারি খরচে ছয় জেলার ১৫ লাখ পরিবার বিনামূল্যে ৫০ হাজার টাকার সমপরিমাণ স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
তিনি বলেন, মানিকগঞ্জ, বরিশাল, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, কুড়িগ্রাম এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এই সেবা পাওয়া যাবে।
এছাড়া পর্যায়ক্রমে সব জেলায় সেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
আরও পড়ুন: এ বছর নিপাহ ভাইরাসে ৫ জনের মৃত্যু: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দরিদ্র পরিবারকে টার্গেট করেই এই সেবা দেয়া হবে। একটি উপজেলায় ১৫ থেকে ২০ হাজার পরিবারকে তালিকায় নেয়া হয়েছে।
এখন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রতিরোধের ওপর বেশি জোর দিচ্ছি। মানসিক স্বাস্থ্যেও জোর দিচ্ছি। স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের জন্য একটি পুস্তিকা তৈরি করা হয়েছে, সেটি সব স্কুলে দেয়া হচ্ছে।
চতুর্থ ডোজ করোনা টিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চতুর্থ ডোজ যেটি দেয়া হচ্ছে, তার কোনোটিই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়নি। এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কেউ যাতে গুজবে কান না দেয়।
নিপাহ ভাইরাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন নতুন কোনো রোগী শনাক্ত না হওয়ায় ভাইরাসটি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দিচ্ছি। এছাড়া স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের জন্য একটি বুকলেট তৈরি করা হয়েছে, সেটি সব স্কুলে দেয়া হচ্ছে। কিভাবে ছোট ছেলেমেয়েরা সুস্থ্য থাকবে, কি খাওয়া উচিত এ ধরনের সব বিষয়ে সেখানে রয়েছে।
হজযাত্রীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক লাখের বেশি লোক হজে যান। তাদের যে ওষুধ লাগে, সেগুলো অনেক সময় সেখানে পাওয়া যায় না। আমরা সেগুলোর বিষয়ে ভাবছি। হজ পালনের সময় তারা কীভাবে চলবে, সেই নির্দেশনা জানিয়ে একটি স্বাস্থ্যবিধি বই আকারে তৈরি করে তাদের দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সুরক্ষার আওতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন ৬০ লাখ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ওষুধ আইন নিয়ে সরকার গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্পেন: মাদ্রিদে স্বাস্থ্যসেবার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষ
স্পেনের মাদ্রিদে রাজধানীর স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবাগুলো আঞ্চলিক সরকারের ব্যবস্থাপনায় দেয়ার বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছে। এতে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে এটি সবচেয়ে বড় বিক্ষোভে রূপ নিয়েছে।
রবিবার সড়কে এই বিক্ষোভ করে একটি বার্তা দেশটির নাগরিকরা।
দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, শহরের কেন্দ্রস্থলে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ সমাবেশ করেছে। আয়োজকরা দাবি করেছেন কয়েক লাখ মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেছে।
প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারীরা স্প্যানিশ ভাষায় ঘরে তৈরি করা ‘স্বাস্থ্যের অধিকার একটি মানবাধিকার। স্বাস্থ্য পরিষেবা রক্ষা করুন’ সহ বিভিন্ন রকম বার্তার প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: মাদ্রিদ সম্মেলন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা বৃদ্ধি করেছে: তথ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যকর্মী অ্যাসোসিয়েশনগুলোর নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়। মাদ্রিদ অঞ্চলের রক্ষণশীল নেতৃত্বাধীন সরকারের জনস্বাস্থ্য পরিচর্যা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার বিষয়ে বামপন্থী দল, ইউনিয়ন এবং সাধারণ নাগরিকদের সমর্থন ছিল এই আন্দোলনে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই দলগুলো নিয়মিত রাস্তায় নামছে এবং তাদের আন্দোলন জোরদার হচ্ছে।
মাদ্রিদের আঞ্চলিক প্রধান ইসাবেল দিয়াজ আয়ুসো অভিযোগ করেছেন যে বিক্ষোভগুলো স্পেনের বেশিরভাগ অংশে মে মাসের আঞ্চলিক নির্বাচনের আগে বামপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বীদের রাজনৈতিক স্বার্থে অনুপ্রাণিত।
স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা দাবি করেন যে দিয়াজ আয়ুসোর প্রশাসন স্প্যানিশ অঞ্চলের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাতে মাথাপিছু সর্বনিম্ন পরিমাণ ব্যয় করে, যদিও এটির মাথাপিছু আয় সর্বোচ্চ। তারা বলে যে মাদ্রিদে স্বাস্থ্যসেবার জন্য ব্যয় করা হয় জনপ্রতি দুই ইউরো, যা একটি বেসরকারি খাতে চলে যায়।
তার প্রশাসনের সমালোচকরা বলছেন যে ডাক্তার এবং নার্সদের অতিরিক্ত কাজ করা রোগীদের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার সাড়ি তৈরি করে।
স্পেনের একটি মিশ্র স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সরকারি খাত বেসরকারি খাতের চেয়ে বড় এবং রাষ্ট্রের একটি মৌলিক স্তম্ভ হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি স্পেনে আঞ্চলিকভাবে পরিচালিত হয়।
আরও পড়ুন: স্পেনের প্রধানমন্ত্রী করোনা আক্রান্ত
স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যখাতে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ দেশের প্রত্যেক এলাকায় স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করা।
তিনি বলেন, আমাদের জেলা পর্যায় পর্যন্ত মোটামুটি ঠিক আছে, কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবার মান এখনও উন্নত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।’
আরও পড়ুন: ঢাকা শহরে কোনো অননুমোদিত ক্লিনিক নেই: সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যেক উপজেলা সরকারি হাসপাতালে এক্স-রে, আল্টাসনোগ্রাফি মেশিন রয়েছে। কোথাও কোথায় টেকনিশিয়ান না থাকায় সেগুলোতে একটু সমস্যা হচ্ছে। আবার কোথাও মেশিনে কারিগরি ত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু উপজেলা পর্যায়ে এক্স-রে মেশিন নাই এটি সঠিক নয়।
তিনি বলেন, আমরা জেলা প্রশানকদের বলেছি জেলায় স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে যেসব মিটিং হয় সেগুলো তদারকি করতে। একই সঙ্গে বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতেও মাঝে মাঝে ভিজিট করতে অনুরোধ করেছি। যাতে সেখানে রোগীকে বেশি টেস্ট দেয়া না হয় একই সঙ্গে অকারণে সিজার করা না হয়।
মন্ত্রী বলেন, এখন অসংক্রামক বিভিন্ন রোগের পরিমাণ বাড়ছে। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি এটি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা না হয় সে বিষয়ে বিশেষ নজর রাখার জন্য বলেছি।
একই সঙ্গে পানি, বায়ু এবং শব্দ দূষণ প্রতিরোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার অনুরোধ জানিয়েছি।
জেলা প্রশাসকরা স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে প্রশিক্ষিত নার্স নিয়োগ দেয়ার কথা বলেছেন। আমরা এ বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: পহেলা মার্চ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানেই রোগী দেখতে পারবেন সরকারি চিকিৎসকরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিদেশে চিকিৎসার বিকল্প হবে ‘সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল’: প্রধানমন্ত্রী
বিদেশে চিকিৎসার বিকল্প হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নবনির্মিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বুধবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হাসপাতালটির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চিকিৎসকদের আরও বড় পরিসরে আত্মনিয়োগ করতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের সাধারণ ও দরিদ্র জনগণকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে আরও ব্যাপকভাবে আত্মনিয়োগ করার জন্য আমি চিকিৎসকদের অনুরোধ করতে চাই। আপনাকে গ্রামে যেতে হবে এবং গ্রামীণ মানুষের যত্ন নিতে হবে। তাদের সাথে আপনাদের ভালো ব্যবহার করতে হবে।’
ইউনাইটেড এর ১৬ বছর পূর্তিতে সাশ্রয়ী কার্ডিয়াক প্যাকেজের উদ্বোধন
বিশ্বমানের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং সময়োপযোগী ও সাশ্রয়ী করার পুনঃপ্রত্যয় নিয়ে বুধবার ইউনাইটেড এর ১৬ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। মূল অনুষ্ঠানের পর বাদ যোহর হসপিটাল ও রোগীদের দীর্ঘায়ু কামনা করে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত, দোয়া ও মিলাদের আয়োজন হয়।
অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দিন হাসান রশীদ বলেন, ইউনাইটেড হেলথকেয়ার ১৬ বছর অতিক্রম করেছে। আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে ইউনাইটেড হসপিটাল যাত্রা শুরু করেছিলো, আমরা সেখানে সফলতা পেয়েছি। বাংলাদেশে আমরা একটা হেলথ চেইন ব্র্যান্ড তৈরি করতে চাই। এর ফলশ্রুতিতেই আমরা জামালপুরে এম এ রশীদ হসপিটাল, ধানমন্ডিতে মেডিক্স এবং সাঁতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরি করেছি।
তিনি আরও বলেন, ইউনাইটেড গ্রুপের অধীনে ‘ইউনাইটেড হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড’ এর আওতাধীন কয়েকটি নতুন হসপিটালসহ সব মিলিয়ে সারা দেশে অচিরেই ১ হাজার ৭৫০ শয্যা সক্ষমতাসম্পন্ন সেবা পরিচালিত হবে। এ সেবা উত্তরোত্তর বাড়ানো এবং সেবার মান ধরে রাখতে ইউনাইটেড হেলথকেয়ার বদ্ধপরিকর।
ইউনাইটেড হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড এর সিইও এবং ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বলেন, ১৬ বছর ধরে প্রাইভেট হেলথ সেক্টরে আমরা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে আসছি। আমরা বিষয় ভিত্তিক উৎকর্ষতা সাধনে বদ্ধ পরিকর। যার প্রকৃত উদাহরণ হৃদরোগ চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা। এখন আমাদের দেশের বেশিরভাগ হৃদরোগী আমাদের দেশেই চিকিৎসা চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ইউনাইটেড হসপিটালে প্রায় ১৬ হাজারের অধিক হৃদরোগের শল্যচিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন:ইউনাইটেড হসপিটালে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালিত
বাংলাদেশে ইউনাইটেড হসপিটালেই প্রথমবারের মতো মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট, একমো, ট্রান্সক্যাথেটার এওর্টিক ভাল্ভ ইমপ্লান্ট পদ্ধতির চিকিৎসা, র্যাডিক্যাল সিস্টোপ্রোসটেটেকটমি উইথ অর্থোটপিক নিউব্লাডার রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি, বিরল হার্নিয়া সার্জারি, গর্ভবতী মায়ের কীটনাশক পান করার পর বিষাক্রান্ত নবজাতকের দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসায় সুস্থতা অর্জন, ক্যান্সার রোগীকে সফলভাবে ক্রোনোমডুলেটেড কেমোথেরাপী প্রয়োগসহ অনেক সফলতার গল্প তৈরি হয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য বিশ্বমানের স্বাস্থ্য সেবাকে কি কি উপায়ে আরও সাশ্রয়ী করা যায়। এরই অংশ হিসেবে আমরা ঘোষণা করছি ইউনাইটেড হসপিটালে বর্তমান ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি এখন থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ওপেন হার্ট সার্জারি করা যাবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের স্বনামধন্য কার্ডিয়াক সার্জন এবং ইউনাইটেড কার্ডিয়াক সেন্টার এর ডিরেক্টর ডা. জাহাঙ্গীর কবির হার্ট সার্জারির এই সাশ্রয়ী প্যাকেজের উদ্বোধন করেন।
ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, তার উত্তরসূরি হার্ট সার্জনগনই হার্টের এই অপারেশন গুলো করবেন।
উল্লেখ্য ডা. জাহাঙ্গীর কবির এরই মধ্যে ২৫ হাজারেরই বেশি হার্ট সার্জারি করেছেন। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম ৪২ বছর বয়সী এক নারীর হৃদযন্ত্রে মেকানিক্যাল হার্ট ইমপ্ল্যান্ট করেছেন।
১৬ বছর পূর্তির এ অনুষ্ঠানে ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনউদ্দিন হাসান রশীদ এবং ইউনাইটেড হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড এর সিইও এবং ইউনাইটেড হসপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান, ইউনাইটেড গ্রুপের সিএফও মোহাম্মদ মোস্তাক আহমেদ, ইউনাইটেড গ্রুপের সম্মানিত সিএইচআর জনাব নওশাদ পারভেজ সহ বোর্ড মেম্বার্স, সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স, পরিচালক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কেক কাটা ও বিশেষ মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়।
উল্লেখ্য ২০০৬ সালের এই দিনে দেশের বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী ইউনাইটেড গ্রুপের মালিকানা ও তত্ত্বাবধানে ইউনাইটেড আনুষ্ঠানিকভাবে তার কার্যক্রম শুরু করেন।
আরও পড়ুন:ইউনাইটেড হসপিটালে হেপাটাইটিস দিবস পালিত
ইউনাইটেড হাসপাতালে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত
সড়ক নিরাপত্তায় সার্বিক পদক্ষেপ বৃদ্ধির আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সড়ক নিরাপত্তার জন্য সার্বিক পদক্ষেপ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সড়ক নিরাপত্তার উন্নয়নে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গুতেরেস বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে দুর্বল অবকাঠামো, অপরিকল্পিত নগরায়ন, শিথিল সামাজিক সুরক্ষা,স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, সীমিত সড়ক নিরাপত্তা জ্ঞান ও অসমতার বিষয়গুলো ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।
অনিরাপদ সড়ক উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮ মাসে ১৬৭৪ শিশুর মৃত্যু
মহাসচিব বলেন, সড়ক দুর্ঘটনাগুলো একজন উপার্জনকারীর মৃত্যু বা তার জন্য চিকিৎসা খরচবৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবারকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এসব কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলো প্রতি বছর জিডিপির ২ থেকে ৫ শতাংশ হারায়৷
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু এবং আহতের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
তিনি জাতিসংঘ সড়ক নিরাপত্তা তহবিলের মাধ্যমে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আর্থিক ও কারিগরি অবদান বাড়াতে সকল দাতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সবাইকে নিয়ে আমরা জীবন বাঁচাতে পারি, উন্নয়নে সহায়তা করতে পারি এবং আমাদের বিশ্বকে নিরাপদ সড়কের দিকে নিয়ে যেতে পারি।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
বাংলাদেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতের জন্য মনিটরিং বডি প্রয়োজন: টিআইবি
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বেসরকারি খাতের চিকিৎসা সেবায় তদারকি, নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য একটি তদারকি সংস্থা গঠনের আহ্বান জানিয়েছে।
সারাদেশে অবৈধ বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চলমান অভিযানকে ইতিবাচক বলে মনে করে টিআইবি।
এক বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি জানিয়েছে, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দীর্ঘ-চক্র গড়ে তোলায় এ খাতের সার্বিক সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য এ পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়।
টিআইবির মতে, আর এ কারণেই সংস্থাটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হিসেবে একটি তদারকি সংস্থা চেয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩ বিদ্যুৎ প্রকল্পে জমি ক্রয়ে ৩৯০ কোটি টাকার দুর্নীতি: টিআইবি
বেসরকারি চিকিৎসা খাতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে টিআইবির ২০১৮ সালের গবেষণার কথা উল্লেখ করে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ডা. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি অভিযান শুরুর মাত্র একদিন পর বিপুল সংখ্যক লাইসেন্সের আবেদন এবং পুরাতন লাইসেন্স নবায়নের আবেদন জমা দেয়া সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে, বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে যথাযথ তদারকির অভাব রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ পরিস্থিতিতে ‘বর্তমান ও নৈরাজ্যমূলক খাতে’ সুশাসন নিশ্চিত করতে চলমান প্রচারণা কতটা কার্যকর হবে তা প্রশ্নবিদ্ধ।
তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী সুফল পেতে হলে, বেসরকারি চিকিৎসা সেবার নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত খসড়া আইন চূড়ান্ত করা প্রয়োজন এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতের মান পর্যবেক্ষণের জন্য একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ তদারকি সংস্থা গঠন করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে।
‘প্রাইভেট মেডিক্যাল সার্ভিসেস: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ এবং কাটিয়ে ওঠার উপায়’- শীর্ষক প্রতিবেদনে এই খাতের বাণিজ্যিকীকরণের প্রবণতা, মুনাফামুখী সেবাব্যবস্থা এবং সরকারের পরিদর্শন ও তদারকির অভাব কীভাবে সাধারণ মানুষকে তাদের কাছে জিম্মি করে তুলেছে তা তুলে ধরা হয়েছে।
টিআইবি দুর্নীতিবাজদের নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বলে মনে করে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: একুশের চেতনায় দুর্নীতিমুক্ত, গণতান্ত্রিক ও সুশাসিত বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান টিআইবির
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন: গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের অন্তর্ভুক্তির দাবি টিআইবির
করোনা মোকাবিলায় ঢাকা-দিল্লি সহযোগিতার প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বিনিময়কে ‘ভালো প্রতিবেশী’ কূটনীতির রোল-মডেল হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভারতের গুজরাট রাজ্যের জামনগরে গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন (জিসিটিএম) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘পুরো বিশ্ব দেখেছে কীভাবে দুই প্রতিবেশী দেশ একে অপরকে সমর্থন করে এবং সঙ্কটের সময়ে একসঙ্গে কাজ করে।
তিনি বলেন, আধুনিক মেডিসিনের সঙ্গে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের চর্চা হলে সবার জন্য মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্পে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতি: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আস্থা ব্যক্ত করেন যে গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন প্রমাণ-ভিত্তিক গবেষণা এবং ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের মানদণ্ডের জন্য একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হবে।
তিনি বলেন, এসডিজি-৩ লক্ষ্য অর্জনে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পরিষেবার সম্ভাব্য অবদানকে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘আমরা আমাদের পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রে যৌথ চিকিৎসা গবেষণা প্রকল্পগুলোকে ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করব।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে করোনা নিয়ন্ত্রণে এবং ব্যাপক টিকাকরণ কভারেজ অর্জনে দেশটির সরকারের প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন: সব উপজেলায় সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে: প্রধানমন্ত্রী