আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
সরকার গণমাধ্যমের সঙ্গে বৈরীতা চায় না: কাদের
সরকার গণমাধ্যমের সঙ্গে বৈরীতা চায় না বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের সঙ্গে সরকারের বৈরীতা হোক, বৈরী সম্পর্ক হোক এটা আমি চাই না। কোনো সংঘর্ষ চাই না, একটা সুসম্পর্ক থাকুক। এটা সরকারের জন্য ভালো, গণমাধ্যমের জন্য সুখকর।’
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোজিনা ইস্যুতে সাংবাদিকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম এবং সংবাদপত্রশিল্প নিয়ে, কিছু বিষয় নিয়ে, অধিকার নিয়ে, দাবি-দাওয়া নিয়ে সরকারের সঙ্গে কিছু বিষয় আছে। এগুলো আমাকে রোলিং পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে তারা অবহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের ৬৩.২ শতাংশ কাজ শেষ: কাদের
রোজিনা ইসলামের মামলা প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়ার বিষয়গুলো নিয়ে কাদের বলেন, ‘এখানে তো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আছে। তথ্য মন্ত্রণালয় আছে, আইন মন্ত্রণালয় আছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে। বিশেষ করে কিছু কিছু বিষয় আছে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা। সমস্যাগুলো তারা বলেছেন আমি সমাধানের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। দাবি দাওয়াগুলো নেত্রীকে জানাব।’
মামলা প্রত্যাহারের করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় তারা বলেছেন। আলাপ করতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন আমি তো এভাবে মন্তব্য করতে পারি না। এখানে সরকারের ব্যাপার আছে। মামলাটা আদালতে গেছে। আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করতে হবে। সার্বিক বিবেচনা করার পর, সবার সঙ্গে আলাপ করার পর বলতে পারব।’
৩ বছর আগে
বিচার বিভাগ স্বাধীন, রোজিনার জামিন বিষয়ে কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন প্রমাণ করে যে বিচার বিভাগ স্বাধীন।
রবিবার কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের জামিন প্রমাণ করে যে বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং সরকার এই বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার গ্রেপ্তারে জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ
এর আগে রবিবার সকালে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত জামিন শুনানি শেষে রোজিনাকে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত জামিন প্রদানের আদেশ দেয় আদালত।
তবে তাকে ৫ হাজার টাকা মুচলেকা ও পাসপোর্ট জমা দেয়ার শর্তে জামিন প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: রোজিনা ইস্যুতে সাংবাদিকদের ধৈর্য ধরার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
এর আগে গত বৃহস্পতিবর তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হলেও, তাকে তাৎক্ষণিকভাবে জামিন না দিয়ে রবিবার রায় প্রদানের দিন ধার্য করা হয়।
৪২ বছর বয়সী এই নারী সাংবাদিক অত্যন্ত সুপরিচিত তার অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য। সোমবার দুপুর থেকে প্রায় ৫ ঘণ্টা তাকে সচিবালয়ে আটকে রাখার পর গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের ৬৩.২ শতাংশ কাজ শেষ: কাদের
গত সোমবার রাতেই রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৭৯, ৪১১ ধারা এবং অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট এর আওতায় মামলা দায়ের করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
মঙ্গলবার অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টের মামলায় অভিযুক্ত রোজিনা ইসলামকে কারাগারে পাঠায় আদালত। অপরদিকে পুলিশের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনও বাতিল করে দেয়া হয়। ওইদিন ই তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের নারী সেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
করোনার বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করে কাদের বলেন, আন্ত:জেলাসহ সকল গণপরিবহন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা বজায় রেখে ও অর্ধেক যাত্রী বহন করে এখন থেকে চলাচল করতে পারবে।
৩ বছর আগে
যেভাবেই হোক করোনার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হবে: কাদের
জনগণের জীবন বাঁচাতে যে কোনও উত্স থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলে বুধবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন।
তিনি সকালে সাংবাদিকদের বলেন, 'কারোনার ভ্যাকসিন পেতে কারও সাথে বিশেষ সম্পর্কের দরকার নেই ... সরকার যে কোনও উত্স থেকে এটি সংগ্রহ করবে।'
আরও পড়ুন: বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহে ২ সপ্তাহ সময় লাগবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এর আগে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছেলে শহীদ শেখ জামালের ৬৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
দলের প্রবীণ এই নেতা প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে এবং এরপরে দলের হয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, এখন দলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো দল মত নির্বিশেষে সকলের অভিন্ন শত্রু করোনাভাইরাসকে মোকাবেলায় দোষারোপের রাজনীতি এড়ানো।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনই একমাত্র সমাধান নয়: কাদের
শেখ জামালের সাহস ও মেধার রাজনীতিকে বঙ্গবন্ধু পরিবারের অনন্য উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে কাদের বলেন, 'জাতিকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেকে বের করে আনতে হবে। হত্যার রাজনীতি কোনও দলেরই কাম্য নয়।'
১৯৭৫ সালের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ছেড়ে দেয়া হয়নি, তিনি বলেছিলেন, 'হত্যা হত্যাকাণ্ড ঘটায়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করা হলে খুনিদের আরেকটি দল জিয়াউর রহমানকে হত্যার সাহস না করত।'
কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান নিজে বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এবং এর পরিণতিই তাকে ভোগ করতে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপিকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, 'বিএনপি এখন শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।'
বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাদের বিএনপিকে হত্যা, ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসের পথ থেকে দূরে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
৩ বছর আগে
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের
দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার জাতীয় নেতা শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে এই আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
দলের পক্ষে আওয়ামী লীগের এই নেতা যথাযথ স্বাস্থ্য নির্দেশনা বজায় রেখে সকাল ৯টার দিকে জাতীয় নেতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনই একমাত্র সমাধান নয়: কাদের
পবিত্র কুরআন থেকে সূরা ফাতিহা তেলাওয়াত শেষে তারা জাতীয় নেতার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।
কাদের বলেন, মহামারিকালীন সময়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানো উচিত।
নির্বাচনে জয়ী হতে ব্যর্থ হওয়ার পাশাপাশি বিএনপি যেকোন আন্দোলন করতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি একটি দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে জনগণের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।'
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে অবিরাম কাজ করছেন।
মন্ত্রী বলেন, 'ক্ষমতায় আসার পর অনেকে জনগণের জন্য কাজ করে না। তবে শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো নেতারা ব্যতিক্রম ছিলেন। তাদের পথ অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা একই কাজ করছেন।'
শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আবারও কঠোর লকডাউন আসতে পারে: কাদের
ফজলুল হক একজন বিশিষ্ট জননেতা ছিলেন। তিনি কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩) এবং পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী (১৯৫৪), পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (১৯৫৫) এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরসহ (১৯৫৬-৫৮) অনেক উচ্চ রাজনৈতিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
১৯১৩ থেকে ১৯১৬ সাল পর্যন্ত ফজলুল হক বেঙ্গল প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সেক্রেটারি এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপরে তিনি ১৯১৬ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
৩ বছর আগে
অপরাধীদের আশ্রয় দেয়া রাজনীতিবিদদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা অপরাধীদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।
৪ বছর আগে
নিজ দলের অপরাধীদের শাস্তি দেয়ার সাহস আ’লীগের আছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বুধবার বলেছেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য নেতা-কর্মীদের শাস্তি দেয়ার নৈতিক সাহস ক্ষমতাসীন দলের রয়েছে।
৪ বছর আগে