বৃহস্পতিবার নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাম্প্রতিক নারীর প্রতি অবমাননা এবং সহিংসতার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও সরকার নিজস্ব অবস্থান স্পষ্ট করেছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নোয়াখালীর ঘটনাসহ প্রতিটি ঘটনায় অভিযুক্তদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।
এসব ঘৃণ্য অপরাধীদের কোনো দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না এবং দলীয় পরিচয়কে তাদের রক্ষার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
একটি দল এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘বিএনপি এসব ঘটনাকে অন্যদিকে ঘোরানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত। যখনই কোনো ইস্যু পায় তা খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরে তারা সরকারবিরোধী আন্দোলনের অপপ্রয়াস চালায়।’
তিনি বলেন, ‘অপরাধী ও খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া, পুনর্বাসন করা, খুনিদের লালন-পালন এবং খুন, সন্ত্রাস আর ষড়যন্ত্র বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতি।’
‘বিএনপি ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশে হত্যা, সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভয়ারণ্য তৈরি করেছিল তা কি তারা ভুলে গেছে? জাতি তা জানতে চায়,’ প্রশ্ন করেন সেতুমন্ত্রী।
অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের জন্য যেকোনো ধরনের অপরাধের বিষয় গোপন না রেখে যেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সময়মতো অবহিত করা হয় সেই আহ্বানও জানান ওবায়দুল কাদের।