সাংবাদিক
অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত: টিম হোটেল থেকে সাংবাদিকদের সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষমা চাইলেন লিটন
বাংলাদেশের তারকা ব্যাটসম্যান লিটন দাস ভারতের পুনেতে টিম হোটেল থেকে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সরিয়ে দেওয়ার ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ দলের কোন নির্ধারিত অনুশীলন বা মিডিয়া ইন্টার্যাকশন ছিল না, সাংবাদিকরা তখন টিম হোটেলে যান। লিটন এই বিষয়টিতে খুশি হতে পারেননি। তিনি হোটেলের নিরাপত্তা কর্মীদের ডেকে সাংবাদিকদের দূরে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা
এই ঘটনায় ভারতে আইসিসি বিশ্বকাপ কভার করা বাংলাদেশি সাংবাদিকদের মধ্যে বিতর্ক ও আলোচনার জন্ম দেয়। কিছু সাংবাদিক তাদের টেলিভিশনে প্রচারিত বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করা প্রতিবেদনে লিটনের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন লিটন।
লিটন পোস্ট করেছেন, গতকাল টিম হোটেলে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত… মিডিয়ার প্রতি আমি বরাবরই শ্রদ্ধাশীল। বাংলাদেশ ক্রিকেট এগিয়ে যাওয়ার পেছনে গণমাধ্যমকর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য।’
বাংলাদেশ দল ২০২৩ সালের আইসিসি বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত তিনটি ম্যাচে অংশ নিয়েছে, এরমধ্যে একটিতে জয় পেয়েছে।
আগামী ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ২০২৩: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৮৪ রান করেছে আফগানিস্তান
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ শুরু আফগানিস্তানের
১০২ বার পেছাল সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৬ নভেম্বর ধার্য করেছেন আদালত।
এ নিয়ে ১০২ বার পেছালো প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি।
আরও পড়ুন: ৯৮ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন
এ জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী এ তারিখ ঠিক করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপরিদর্শক আলমগীর হোসেন এ তথ্য জানান।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর ও আবু সাঈদ।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি নিজ ভাড়া বাসায় খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যা মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে: র্যাব
সাগর-রুনি হত্যা: ১০০ বারের মতো পেছালো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় গণমাধ্যমের অন্তর্ভুক্তির নিন্দা শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিকদের
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে মার্কিন ভিসা নীতির আওতায় গণমাধ্যমকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের প্রকাশ্য ঘোষণার সমালোচনা করেছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষাবিদ ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক।
তারা এটিকে ‘একজন বিদেশি কূটনীতিকের দ্বারা দেশের মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর নজিরবিহীন আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এই বিষয়ক একটি প্রশ্নের জবাবে ‘গণমাধ্যম’র বিষয় উল্লেখ করেননি। অথচ রাষ্ট্রদূত হাস এক টিভি সাক্ষাত্কারে বলেছেন, গণমাধ্যমও নতুন ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়তে পারে।
রাষ্ট্রদূতের গণমাধ্যমকে সম্পৃক্ত করা এই মন্তব্যকে কিছু জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার অবমাননা’ বলে অভিহিত করেছেন।
খালেদা জিয়ার প্রাক্তন প্রেস কর্মকর্তা মুশফিক ফজল আনসারী ‘স্বাধীন গণমাধ্যমকে’ ‘সরকারের হাতিয়ার’ হিসেবে বর্ণণা করায় তার তীব্র সমালোচনা করেন সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদরা।
তারা আরও বলেছেন, এর উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনের আগে ‘বিরোধীদের পক্ষে’ কাজ করানোর জন্য মিডিয়া আউটলেট মালিকদের ও সাংবাদিকদের আরও বেশি ভয় দেখানো।
সব ধরনের সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের সংগঠন এডিটরস গিল্ড- একটি বিবৃতিতে জানায়, ‘সাংবাদিকদের উপর ভিসা বিধিনিষেধাজ্ঞা অন্তর্ভুক্তিবিষয়ক রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যকে জনগণের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করার এবং গণমাধ্যমের উপর অদৃশ্য সেন্সরশিপ আরোপ করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে। যা গণতন্ত্র ও সুশাসনের প্রধান স্তম্ভ মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগের বক্তব্য ও পরের বক্তব্যের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় গণমাধ্যম অন্তর্ভুক্ত 'সঠিক সিদ্ধান্ত' নয়: শাহরিয়ার আলম
তিনি বলেন, তখন যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল যে ‘গণমাধ্যমকে বাধা দেওয়া বা ভয় দেখানোর জন্য দায়ী’ অর্থাৎ, গণমাধ্যমকে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া ব্যক্তিরা ভিসা বিধিনিষেধের মুখোমুখি হবে। অন্যদিকে, রাষ্ট্রদূত হাসের মন্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের আগের অবস্থান থেকে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের কথা বলে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও তারা আগে বলেছিল গণমাধ্যমের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীদের শাস্তি দেওয়া হবে, এখন আমরা তাদের আগের অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ ইউ-টার্ন দেখতে পাচ্ছি। এটি বাস্তবায়িত হলে, স্বাধীন সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে এটি।’
কয়েক দশক ধরে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কাজ করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রবীণ সাংবাদিক বলেছেন, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র এই বিষয়ে কথা বলার সময় গণমাধ্যমকে অন্তর্ভুক্ত করেননি।
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি করে। এখন গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের উপর হাসের ঘোষণার সম্ভাব্য প্রভাব দেখা বাকি আছে।’
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তবিউর রহমান প্রধান প্রশ্ন রেখেছেন, ‘একইসঙ্গে আপনারা কীভাবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে অন্যদের পরামর্শ দিতে পারেন এবং গণমাধ্যমকে ভিসা বিধিনিষেধের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন?’
অন্যদিকে, মানবাকারকর্মী সুলতানা কামাল একজন টিভি প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেছেন, ‘একটি দেশের ভিসা বাতিল করার অধিকার আছে। তবে তারা ভিসা দেবে না- এমন একাধিক পূর্ব ঘোষণার পেছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে।’
তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘ঘোষণা জারি করার এই ধরনের পদক্ষেপ কি সত্যিই কূটনৈতিক শিষ্টাচারকে সমর্থন করে?’
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ঘোষণার পর বিএনপি ও জামায়াতপন্থী বেশ কয়েকজন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাক্টিভিস্ট ও নেতা কিছু মিডিয়া আউটলেটের সমালোচনা করেন এবং দলগুলোর সম্পর্কে সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশের জন্যও বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের নামও উল্লেখ করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ও তাদের সমর্থকদের শেয়ার করা ভিডিওগুলোতে তারা ভিসা বিধিনিষেধে গণমাধ্যমকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বিএনপি বর্জন করেছে এমন বেশ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের নাম উল্লেখ করেছে।
এ ছাড়াও, জামায়াতে ইসলামের একটি এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্ট ‘বাঁশেরকেল্লা’তে পোস্ট করা একটি টুইটে বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত হাস ‘বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু।’
এই বিশেষ সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টটি সংখ্যালঘু আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণাত্মক প্রচারণা’ চালানোর জন্য সংবাদ তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: কোনো নিষেধাজ্ঞা শেখ হাসিনাকে থামাতে পারবে না: কাদের
মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা: গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করেননি স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র
পাবনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির মতবিনিময়
পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্যসহ পাবনার সাংবাদিকদের সঙ্গে বুধবার মতবিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সন্ধ্যায় পাবনা সার্কিট হাউজে মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল নির্মাণ, ইছামতি নদী সংস্কারসহ পাবনার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন পাবনার উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: শিশুদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে সুযোগ তৈরির আহ্বান রাষ্ট্রপতির
এ সময় পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আফরোজ আসাদ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিকালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ৩ দিনের সফরে পাবনায় পৌঁছান। হেলিকপ্টারযোগে পাবনা জেলা স্টেডিয়ামে পৌঁছালে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, রাষ্ট্রপতির ছেলে মো. আরশাদ আদনানসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তাকে স্বাগত জানান।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ও পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের সফরে বুধবার নিজ জেলা পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
তথ্য কমিশনকে আরটিআই আইন বাস্তবায়নে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
মিশুক মুনীর স্মারক পুরস্কার পেলেন সাংবাদিক শাকিল হাসান ও নির্মাতা মাসুদুর রহমান
‘মিশুক মুনীর স্মৃতি পুরস্কার’ যমুনা টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাকিল হাসান ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মাসুদুর রহমান।
প্রয়াত এই সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদের সম্মানে দুটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অডিও-ভিজ্যুয়াল ক্যাটাগরিতে শাকিল হাসান লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের অবৈধ দখল নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য এ পুরস্কান পান। এ ছাড়া ‘অপরিচিত’ চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার পেয়েছেন মাসুদুর রহমান।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন তাসকিন
রবিবার রাতে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
লিলি-মুনীর স্মৃতি রক্ষা ট্রাস্টের আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধা, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক কর্মী নাসিরউদ্দিন ইউসুফ ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম।
ট্রাস্টের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদার। বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন।
অনুষ্ঠানে মিশুক মুনীরের জীবন ও কর্মের ওপর আলোকপাত করে নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বলেন, মিশুক মুনীর ছিলেন একজন বিপ্লবী সম্প্রচার সাংবাদিক, যিনি একুশে টেলিভিশনের মাধ্যমে শক্তিশালী প্রভাব বিস্তার করেছিলেন, যা দেশের সম্প্রচার সাংবাদিকতার দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছিল।
একই সঙ্গে তিনি তার ক্লাসের ভেতরে ও বাইরে উভয়ক্ষেত্রেই একজন প্রশংসনীয় শিক্ষাবিদ ছিলেন।
পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক শাকিল হাসান বলেন, আমি আমার প্রতিবেদনের মাধ্যমে কোথায় কী ঘটেছে তা দেখানোর চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি সেই পরিমণ্ডলে গভীর থেকে গভীরে প্রবেশ করে এবং আমার ব্যক্তিগত সততাকে কাজে লাগিয়ে এটি করেছি। মহান সম্প্রচার সাংবাদিক মিশুক মুনীরের নামে এই সম্মাননা পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত।
শিক্ষাবিদ, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার শামীম আখতার, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান জাকির হোসেন রাজু ও ড. গীতিআরা নাসরিনের সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স সংগ্রহের জন্য পুরস্কার পেল ইসলামী ব্যাংক
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের তথ্য দিলে পুরস্কার দেবে সরকার: মোমেন
ঝিনাইদহে চ্যানেল ২৪-এর সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত, বাড়িতে হামলা
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চ্যানেল ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেনকে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। সেই সঙ্গে তার বাড়িঘরে হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাদ্দাম হোসেনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ‘চোর’ সন্দেহে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
চ্যানেল ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন উপজেলার গাড়াগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মহেশপুর গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, রাতে শৈলকুপা উপজেলার গাড়াগঞ্জ বাজার দিয়ে হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। এ সময় বাজারে নিজের ওষুধের দোকান থেকে বিপ্লব হোসেন বেরিয়ে এসে তার সঙ্গে তর্কে জড়ান।
এ সময় বিপ্লবের চাচা ফিরোজ আহমেদ ছুটে এসে সাদ্দামের গায়ে আঘাত করেন। তখন তিনি প্রতিহত করতে গেলে তারা দুজনে মিলে তাকে মারধর করেন। পরে সাদ্দামের পরিচিতজনেরা ছুটে এলে তারা সেখান থেকে সরে যান।
তখন সাদ্দাম হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সাদ্দামের বাড়িতেও হামলা চালানো হয়।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে সাদ্দামের উপর এই ন্যাক্কারজক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন- ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপু, ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শিপলু জামান, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসানসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন: নড়াইলে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুলের জামিন স্থগিত
জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি কারাবন্দি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম বুধবার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামী ২০ নভেম্বর শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতা বড় মনিরের জামিন স্থগিত, নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ
এর আগে ওই মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে চলতি মাসে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন মাহমুদুল আলম। শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল দিয়ে মাহমুদুলকে ছয় মাসের জামিন দেন। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ মঙ্গলবার আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা আজ চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন, সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম সাইফুল আলম। আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ১৪ জুন রাতে বকশীগঞ্জে বাসায় ফেরার পথে উপজেলার পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নাদিম। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জুন বিকাল ৩টায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ১৮ জুন সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় প্রধান আসামি বাবুর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালেরবার্তি গ্রামের ফাহিম ফয়সাল রিফাত, নামাপাড়া গ্রামের ননির ছেলে এমডি রাকিবিল্লাহ রাকিব, আরচাকান্দির গাজী আমর আলী মেম্বার, কাগমারীপাড়া গ্রামের সাফিজল হকের ছেলে শরীফ মিয়া, মালিরচর তকিরপাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে লিপন মিয়া, পূর্ব কামালেরবার্তী গ্রামের মফিজল হকের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির, নামাপাড়ার শেখ ফরিদ, টাঙ্গারীপাড়ার কামালের ছেলে ওমর ফারুক, বটতলী সাধুরপাড়ার আবুল কালামের ছেলে রুবেল মিয়া, খেতারচর দক্ষিণপাড়ার জহুরুল হকের ছেলে সুরুজ মিয়া আইড়মারি শান্তি নগরের জলিলের ছেলে বাদশা মিয়া, মদনেরচরের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আবু সাঈদ, আরচাকান্দির মজিবুর রহমানের ছেলে ইমান আলী, কুতুবের চরের সাবেক মেম্বার রফিকুল ইসলাম ও সুর্য্যনগর গ্রামের কারিমুল মাস্টারের ছেলে আমান উল্লাহ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি: বিএনপি নেতা চাঁদের জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর
আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী’র জামিন মঞ্জুর ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত
জাবি ছাত্রাবাসে সাংবাদিককে মারধর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আসিফ আল মামুন নামে এক সাংবাদিককে মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২১ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টার দিকে হলের ভেতরের খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের ঘটনায় জড়িতরা সবাই একই হলের আবাসিক ছাত্র এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের অনুসারী।
আহত সাংবাদিক আসিফ আল মামুন ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশের (ইউএনবি) ক্যাম্পাস প্রতিনিধি। তিনি হলের প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে পরীক্ষায় অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি শেষে হলের (গেস্টরুমে) ৪৭, ৪৮ ও ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা করছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সন্দেহ হয়, বাইরে থেকে কেউ ভিডিও বানাচ্ছে।
এ সময় আসিফ ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অমর্ত্য রায় হলের ভেতরের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের চিৎকারে ছুটে যান আসিফ ও অমর্ত্য। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অন্ধকারে আসিফকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন।
আসিফ নিজেকে হলের ছাত্র ও সাংবাদিক পরিচয় দিলেও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। মারধরের সময় ছাত্রলীগ নেতারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীকে শনাক্ত করেছেন।
আসিফ আল মামুন বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি ও অমর্ত্য চা খাচ্ছিলাম। তখন আমরা চিৎকার শুনতে পাই। অনেক সময় সাইকেল বা অন্যান্য জিনিসপত্র চুরির ঘটনাও ঘটে। তাই সেই চিৎকার শুনে কৌতূহল থেকেই মাঠে গিয়েছিলাম। সেখানে তারা আমাকে মারধর করে। আমি আমার পরিচয় দিয়েছি। আমি হলের বাসিন্দা। আমি একজন সাংবাদিক। এরপর তারা আমাকে আরও মারধর করে। এমনকি তারা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল যে আমি গেস্ট রুমের আশেপাশে আছি কি না, আমি ভিডিও তৈরি করছি কি না। পরিচয় দেওয়ার পরেও তারা আমাকে নির্মমভাবে মারধর করে।’
প্রত্যক্ষদর্শী ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অমর্ত্য রায় বলেন, ‘ঘটনার এক ঘণ্টা আগে আমি ও আসিফ ভাই একসঙ্গে ছিলাম। বটতলা থেকে হলে আমরা একসঙ্গে চা খাচ্ছিলাম। চিৎকার শুনে আসিফ হলের মাঠে নেমে এলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।’
জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ওয়ার্ডেন পলাশ সাহা বলেন, 'আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রভোস্ট স্যার আজ রাতে একটি সভা ডেকেছেন।’
এ বিষয়ে প্রক্টর এ এস এম ফিরোজ উল হাসান বলেন, 'আমি প্রভোস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’
আরও পড়ুন: জাবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত
সাইবার নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের (সিএসএ) অপব্যবহার হবে না এবং এটি সাংবাদিকদের হয়রানি রোধে খুবই সহায়ক হবে।প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ফলে কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে হয়রানি করা হবে না।
বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিসি মিলনায়তনে পূর্বের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে আত্মসাৎ করে প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের ওপর এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত সিএসএ সাইবার অপরাধ দমনে খুবই সহায়ক হবে। এগুলো ছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে মানুষের মধ্যে যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছিল, উদ্বেগের কারণ হয়েছিল, গণমাধ্যমে অবাধে খবর প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিক সমাজে যে আতঙ্ক দেখা গিয়েছিল, তা দূর হবে।’
তিনি আরও বলেন, ডিএসএ-তে শাস্তি, যা বিতর্কের সৃষ্টি করেছিল, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে (সিএসএ) অনেকাংশে তা কমানো হয়েছে। কিছু অজামিনযোগ্য ধারা জামিনযোগ্য করা হয়েছে। ‘মানহানির অভিযোগ মোকাবিলা করার জন্য ডিএসএর ধারা ২৯ ছিল। প্রস্তাবিত আইনে, একমাত্র শাস্তিই জরিমানা হবে। ধারা ২১-এ ১০ বছরের জেল ছিল, এখন তা কমিয়ে ৭ বছর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আগের আইনের মামলা নতুন আইনে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হবে: আইনমন্ত্রীআইনমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে এক পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। তার মানে এই নয় যে জরিমানা সবসময় ২৫ লাখ টাকা হবে। আদালত অপরাধের প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে একটি জরিমানা আরোপ করবে, এবং এটি আইনে বলা আছে।
এর আগে গত ৭ আগস্ট মন্ত্রিসভা মানহানির অভিযোগে জেলের মতো কিছু কঠোর বিধান বাতিল করে নতুন আইনের খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন করে।
আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে ব্রিফিংয়ে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইন ‘নতুন বোতলে পুরানো মদ’ নয়: আইনমন্ত্রী
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ২৩ আগস্ট
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনে করা মামলায় অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৩ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) মামলাটি অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল।
এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
ডিবি পুলিশ তদন্ত শেষে গত বছর ১১ অক্টোবর রোজিনা ইসলামকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
আরও পড়ুন: অব্যাহতির পর রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে বাদীর নারাজি দেয়ায় বিএসআরএফ’র উদ্বেগ
গত ২৩ জানুয়ারি বাদীপক্ষের নারাজির আবেদন মঞ্জুর করে পিবিআইকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
২০২১ সালের ১৭ মে প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। স্বাস্থ্য সচিবের পিএস সাইফুল ইসলামের রুমে ফাইল থেকে নথি সরানোর অভিযোগে তাকে ওই রুমে আটকে রাখা হয়।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনা ইসলামকে পুলিশ স্বাস্থ্য সচিবের পিএসের রুম থেকে থেকে বের করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।
এরপর মধ্য রাতে তার বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করেন শিব্বির আহমেদ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আর্টিকেল ১৯
মন্ত্রী, সচিব বা রোজিনা ইসলাম কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন: তথ্যমন্ত্রী