উন্নয়ন
খুলনায় খাল-পুকুর উন্নয়নে ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প
খুলনা মহানগরীর চারটি খাল খনন ও পাড় বাঁধাই, ২৩টি পুকুর খনন করে সংরক্ষণ, দুটি স্থানে শহর বাঁধ নির্মাণসহ নানান কাজে প্রায় ৪৯৭ কোটি টাকার বড় প্রকল্প পেয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)।
বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন হয়েছে।
ইতোমধ্যে এই প্রকল্পে ৩১২ কোটি টাকা অনুদান দিতে সম্মত হয়েছে জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (কেএফডব্লিউ)।
এছাড়াও, কেসিসি এক কোটি এবং বাকি ১৮৪ কোটি দেবে সরকার।
প্রকল্পের আওতায় নগরীর নবীনগর, বাস্তুহারা খাল, দেয়ানা চৌধুরী খাল এবং নিরালা খাল খনন ও পাড় বাঁধাই এবং সংযুক্ত সবগুলো ড্রেন পুননির্মাণ করা হবে। এছাড়া দৌলতপুর এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, মহেশ্বরপাশা শ্মশান ঘাট এলাকায় বাঁধ নির্মাণ, আলুতলায় ১০ গেটের স্থলে ১১ গেট স্লুইচগেট পুননির্মাণ, লবণচরা খালে পাম্প স্টেশন নির্মাণ করা হবে। একই প্রকল্পে নগরীর বিভিন্ন এলাকার ২৩টি পুকুর উন্নয়ন ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিনোদনের জন্য পার্ক নির্মাণ হবে রূপসা ফেরিঘাটের পাশে।
কেসিসির প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবির উল জব্বার জানান, অনেক আগেই প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ শেষ হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রতিটি কাজের নকশা, ব্যয় প্রাক্কলন শেষ করেছে। জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে কেসিসির চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। পিইসির সভায় অনুমোদনের পর এখন শুধু একনেকে অনুমোদন বাকি রয়েছে। একনেকে অনুমোদনের পরই দরপত্র আহ্বান করে কাজ শুরু হবে।
কেসিসি থেকে জানা গেছে, পাঁচ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের নাম ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অভিযোজনে নগর উন্নয়ন (ফেজ-২)’। আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে প্রকল্পের কাজ চলবে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যার ক্ষতি হ্রাস করা এবং অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করাই প্রকল্পের মূল্য উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রেনের ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়মিত অফিস করতে হবে: খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
সিলেটের চা শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ভিয়েতনাম
চায়ের দেশ সিলেট ও ভিয়েতনামের চা শিল্পের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ভিয়েতনাম। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের বিকাশেও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সর্ম্পক উন্নয়নের আগ্রহী দেশটি।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে নগর ভবনে ঢাকাস্থ ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সিলেট তথা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সর্ম্পক সূদৃড় করা, সিলেটের ও ভিয়েতনামের চা শিল্পের মানোন্নয়ন ও বাজার বৃদ্ধিতে এক সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করেন। এসময় পর্যটন, তথ্প্রযুক্তি, নাগরিক সেবার মান উন্নয়ন সহ আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনায় এক সাথে কাজ করার বিষয়েও সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ঊর্মি গ্রুপের নতুন পণ্য ‘টুর্যাগ অ্যাক্টিভ’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিসিক কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস, কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, কাউন্সিলর ফয়ফুল আমীন, কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছুর রহমান,কাউন্সিলর রকিবুল ইসলাম ঝলক, কাউন্সিলর আব্দুল মুহিত জাবেদ, কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আলম, মেয়রের সহকারি একান্ত সচিব মো. সোহেল আহমদ, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, আইটি কনসালটেন্ট মো. সাদাৎ থান সায়েম এবং ঢাকাস্থ ভিয়েতনাম দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ।
আরও পড়ুন: ‘বৈধ পথে আরও বেশি রেমিট্যান্সের জন্য ডিজিটাল অবকাঠামোর উন্নয়ন জরুরি’
আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারিতে পাওয়া যাবে: অর্থমন্ত্রী
রূপপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (এনপিপি) নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে। কারণ ইউনিট-১ এর চুল্লি ভবনের বাইরের কনটেইনমেন্টের গম্বুজ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। বাইরের যে কোনও গুরুতর ধাক্কা থেকে রক্ষা করার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলো উন্নত করা হয়েছে।
এটি দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করবে।
রূপপুর এনপিপির রাশিয়ান ঠিকাদার রোসাটম জানায়, কাজের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে গম্বুজের নিচের স্তর স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।
২০০ টন ওজনের এবং ৪৮ দশমিক আট মিটার উচ্চতায় ডিজাইনের অবস্থানে ৪৬ দশমিক তিন মিটার ব্যাসসহ ভারী কাঠামোটি বসাতে সময় লেগেছে পাঁচ ঘন্টা। ওপরের স্তরের বসানো এবং কংক্রিটিং আগামী দিনে সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: ঘোড়াশালে ৩৬৫ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম বন্ধ
এএসই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আলেক্সি ডেরি বলেছেন, ‘বাইরের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হলো একটি স্থানীয়ভাবে প্রধান নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এটি একটি শক্তিশালী কংক্রিট কাঠামো যা ভূমিকম্প, সুনামি বা হারিকেনসহ গুরুতর বাহ্যিক প্রভাব থেকে চুল্লিকে রক্ষা করে।’
বাইরের কন্টেনমেন্ট ছাড়াও, রিঅ্যাক্টর বিল্ডিংটি ২০২১ সালে ভিতরের বসানো কন্টেনমেন্ট দিয়ে সুরক্ষিত। ডবল কনটেইনমেন্ট হলো ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টরসহ রাশিয়ান ডিজাইনের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য, যা সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
রোসাটম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি অংশ, ট্রেস্ট রোসেম-এর বিশেষজ্ঞরা গম্বুজ আনয়ন এবং স্থাপনের কাজ করে।
মোট দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ভিভিইআর-১২০০ চুল্লি দিয়ে সজ্জিত রূপপুর এনপিপি সাধারণ ঠিকাদার হিসেবে রোসাটম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়: মঙ্গলবার থেকে দেশে দৈনিক এক ঘণ্টা লোডশেডিং
জেনারেশন ৩+ রাশিয়ান ভিভিইআর রিঅ্যাক্টরগুলো সমস্ত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মানদণ্ডগুলো সম্পূর্ণরূপে মেনে চলে।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (বিএইসি) অনুসারে ২০২১ সালে দুটি ইউনিটের দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট রূপপুর এনপিপি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল।
সরকার ২০২২ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৩ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল।
কিন্তু পরবর্তীতে লক্ষ্য পুনঃনির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী প্রথম ইউনিটটি ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা
এখন মেগাপ্রজেক্ট নয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ক্ষুদ্র, গ্রামীণ বা জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে আসতে বলেছেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মেগাপ্রজেক্ট করা যাবে না, তবে ক্ষুদ্র, গ্রামীণ প্রকল্প বা কল্যাণমুখী প্রকল্পে কোনও আপস করা যাবে না।’
আরও পড়ুন: এখনও ৫ মাসের খাদ্য আমদানি করার জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যথেষ্ট: প্রধানমন্ত্রী
একনেক সভাপতি শেখ হাসিনা যে কোনও বড় প্রকল্প গ্রহনের ক্ষেত্রে পুঙ্খানুপুঙ্খ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি দেশের সর্বত্র অনাবাদি জমি চিহ্নিত করে চাষের জন্য প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেন।
‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না’ উদ্বৃতি দিয়ে মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জেলা প্রশাসকদের সহায়তায় অনাবাদি জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী চলমান বিশ্ব মন্দার মধ্যে সবাইকে মিতব্যয়ী হতে এবং অপচয় বন্ধ করতে বলেছেন।
আরও পড়ুন:কৃষি উৎপাদন ও জীবিকা নির্বাহের জন্য সমবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: যুবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
একনেক সভায় মোট তিন হাজার ৯৮১ দশমিক ৯০ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ের সাতটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে (শুধুমাত্র তিনটি সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় এখানে গণনা করা হয়েছে)।
ব্যয়ের মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে তিন হাজার ৩৯২ দশমিক ৩৩ কোটি টাকা, সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৬৭ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ৩৩২ দশমিক ২১ কোটি টাকার যোগান আসবে।
আরও পড়ুন: ২৫ জেলায় ১০০টি সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
জাইকার সঙ্গে সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন বৃত্তির চুক্তি সই
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) মানব সম্পদ উন্নয়ন বৃত্তি (জেডিএস) প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে অনুদান চুক্তি সই করেছে।
একটি বিবৃতিতে বলা হয়, জেডিএস হলো একটি অনুদান সহায়তা যার মাধ্যমে জাপানে বাংলাদেশি তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল কর্মকর্তাদের প্রাসঙ্গিক মাস্টার্স বা ডাক্তারের কোর্সে কঠোর গবেষণার মাধ্যমে জনসাধারণের ভালো সেবা করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে জাইকার অংশীদারিত্ব আরও জোরদারের আশা
বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরীফা খান, নিজ নিজ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে নোট বিনিময় ও অনুদান চুক্তিতে সই করেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য জেপিওয়াই সর্বোচ্চ ৪৭৬ মিলিয়ন (প্রায় ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রদান করবে। জি/এ সাক্ষরের মাধ্যমে জাপানের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুলে পড়ার জন্য বাংলাদেশের সরকারি কর্মচারীদের মোট ৩৩টি বৃত্তি প্রদান করবে (৩০টি মাস্টার্স এবং ৩টি ডক্টরাল) জাইকা।
এই কর্মসূচিটি একটি একাডেমিক বিনিময়ের পরিবেশ তৈরি করে। এর মধ্যে নিমজ্জন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের এক্সপোজার অন্তর্ভুক্ত যেগুলো আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার একটি মাধ্যম হয়ে ওঠে।
এখন পর্যন্ত ৪৯২ ফেলো (৪৭৭ মাস্টার্স এবং ১৫ ডক্টরাল ফেলো) জাপানে অধ্যয়ন করেছেন।
এ বছর জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরপূর্তি হয়েছে।
জাইকা বাংলাদেশ অফিস বিশ্বাস করে যে জেডিএস চিরস্থায়ী জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: দেশে ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে জাইকা
বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের নামে সরকারের ব্যাপক লুণ্ঠন প্রকাশ পেয়েছে: বিএনপি
সারাদেশে ‘নজীরবিহীন’ লোডশেডিংয়ের জন্য সরকারকে নিন্দা জানিয়ে বিএনপি বলেছে, এতে বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের নামে সরকারের ব্যাপক লুণ্ঠন প্রকাশ পেয়েছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট এখন প্রকাশ পেয়েছে। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের লুণ্ঠনের অভয়ারণ্য হচ্ছে বিদ্যুৎ খাত। সে কারণে লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুতের আসল চিত্র ফুটে উঠেছে।’
রবিববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ বিভ্রাট জনসাধারণের জন্য একটি ভয়ানক বিপদে পরিণত হয়েছে, যা মানুষকে হতাশায় ফেলেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ (রবিবার) যখন বাড়ি থেকে আসছিলাম, তখন অন্য দিনের মতো রাজধানীর মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ লোডশেডিং চলছিল।’
তিনি বলেন, ‘লোডশেডিংকে জাদুঘরে পাঠিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বড়াই করেছেন। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কঙ্কাল জীবন্ত হয়ে এখন জাদুঘর থেকে এসে নৌকায় উঠে(আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক) নাচানাচি করছে।’
রিজভী বলেন, ‘জবাবদিহিতা না থাকলে উন্নয়ন হয়ে পড়ে ফাঁপা, যা হাইড্রোজেন বেলুনের মতো বাতাসে উড়ে যাবে। এ কারণে দেশ এখন ভয়াবহ লোডশেডিং দেখছে।’
আরও পড়ুন: ত্রয়োদশ সংশোধনীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফর্মুলা পেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘সরকারের মূল লক্ষ্য ছিল জনগণের টাকা লুটপাট করা এবং ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট কোম্পানিগুলোকে বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়নের নামে বিপুল অর্থ উপার্জনের সুযোগ তৈরি করে দেয়া। এজন্য তারা একটি আইন প্রণয়ন করে তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে।’
ডিসি ও এসপিদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বৈঠক প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, কমিশন মূলত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার বিভিন্ন মন্তব্যের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত ও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন; যেমন তারা (ইসি) মূলত প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন তাই করবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ভয়ংকর স্বৈরাচারী’ বলে অভিহিত করেছে বিএনপি
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দলের অবস্থান পরিষ্কার যে বর্তমান সরকার ও ইসির অধীনে কোনো বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং সেই নির্বাচনে বিএনপি যোগ দেবে।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে চায়: বিএনপি
আপনাদের উন্নয়নের জন্যই আপনাদের গণতন্ত্র: দোরাইস্বামী
বাংলাদেশের বিদায়ী ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রায় সুখী, সমৃদ্ধ ও সফল দেখতে চায়।
তিনি বলেন, আপনাদের গণতন্ত্র আপনাদের উন্নয়নের জন্য।
শনিবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসময় তিনি বীর শহীদদের স্বরণে এক মিনিট নিরাবতা পালন করেন ও স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হৃদয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত: দোরাইস্বামী
দোরাস্বামী যুক্তরাজ্যে ভারতের হাইকমিশনার নিযুক্ত হওয়ায় তিনি আগামীকাল বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিদায়ী সংবর্ধনায় দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক একটি ট্রেনের মতো এবং ট্রেনটিকে অবশ্যই একসঙ্গে চলে আরও মহৎ কিছু করা অব্যাহত রাখতে হবে।
দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত মনে-প্রাণে সম্পর্কিত, এটি রক্তের বন্ধনের চেয়েও শক্তিশালী। আমরা সর্বদা এই সম্পর্কে বিশ্বাস করি।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভারতের ইমিগ্রেশন খুলে দেয়া হবে: দোরাইস্বামী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে: দোরাইস্বামী
উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আ.লীগকে ভোট দিবে জনগণ: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নিশ্চয়ই ভোট দিবে জনগণ।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে। এবং যদি তারা তা না চায় তাহলে কিছু করার নেই। এটি তাদের ওপর নির্ভর করছে।’
আরও পড়ুন : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা বিশ্বব্যাংকের
বুধবার বিকালে সরকারি বাসভবন গণভবনে সম্প্রতি ভারত সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ চায় তার দল আওয়ামী লীগ, সেহেতু পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক জোট গঠনে দোষের কিছু নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সকলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। যদি কেউ অংশগ্রহণ না করে তাহলে তার দায় সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের। কিন্তু আমরা সংবিধানের ধারা লঙ্ঘন করতে পারি না। সংবিধান অনুযায়ী, গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে: দোরাইস্বামী
আল্লাহ হয়তো আমাকে সাহায্য করছেন: হামলায় বেঁচে যাওয়া প্রসঙ্গে এএনআইকে শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভারত নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে থাকবে: দ্রৌপদী মুর্মু
বাংলাদেশ তার জনগণের আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধিতে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে পাশে থাকবে।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় মুর্মু এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক সবসময় সহযোগিতার মনোভাব এবং পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে।’
রাষ্ট্রপতি মুর্মু মহামারি ও বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় ভারত ও বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরও বেশি সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক আরও পরিপক্ক ও বিকশিত হবে।
ছিটমহল বিনিময়ের ৭ বছর: উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে দাসিয়ারছড়া
বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়ের সাত বছর পূর্তি আজ। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্য রাতে দীর্ঘ ৬৮ বছরের বন্দিদশা ও গ্লানি কেটে প্রথম নাগরিক পরিচয় পায় সাবেক ছিটবাসীরা। সংযুক্ত হয় স্ব-স্ব দেশের মূল ভূখন্ডে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ছিটমহল দাসিয়ারছড়ার মানুষ জানিয়েছে এই সাত বছরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফলে বদলে গেছে দাসিয়ারছড়া। বদলে গেছে তাদের জীবনমান।
২০১৫ সালের ৩১ জুলাই ছিল সাবেক ছিটমহলবাসীদের জন্য একটি মুক্তির মাহেন্দ্রক্ষণ। এইদিনে রক্তপাতহীনভাবে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ পান রাষ্ট্রীয় অধিকার। এসময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১১১টি ছিটমহল বাংলাদেশে এবং ৫১টি ছিটমহল একীভূত হয় ভারতের সাথে। এর ফলে মুজিব-ইন্দিরা ছিটমহল বিনিময় চুক্তির সফল সমাপ্তি ঘটে শেখ হাসিনা ও মোদি সরকারের উদ্যোগের কারণে।
ছিট মিনিময়ের পর থেকেই বাংলাদেশ সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম চালায় দেশের বৃহত্তম ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায়। এই সাত বছরে সরকার ৫৭ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করে ২ হাজারেরও বেশি পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। পাকা করা হয়েছে ২৬ কিলোমিটার সড়ক ও পাঁচটি ব্রীজ-কালভার্ট। নতুনভাবে তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ করে দিয়েছে। এমপিওভুক্ত করেছে নিম্নমাধ্যমিক ও মাদরাসাসহ চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তিনটি কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, মন্দিরসহ তৈরি করে দেয়া হয়েছে রিসোর্স সেন্টার। ৩ হাজার ভিজিডিসহ শতভাগ বাড়িতে নিশ্চিত করা হয়েছে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা। এছাড়াও শতভাব সেচের আওতায় নেয়া হয়েছে কৃষি জমি। সরকারের এই উন্নয়ন পদক্ষেপে ব্যাপক খুশি সাবেক ছিটমহলবাসী।