রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (এনপিপি) নির্মাণের কাজ চলছে পুরোদমে। কারণ ইউনিট-১ এর চুল্লি ভবনের বাইরের কনটেইনমেন্টের গম্বুজ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। বাইরের যে কোনও গুরুতর ধাক্কা থেকে রক্ষা করার জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলো উন্নত করা হয়েছে।
এটি দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করবে।
রূপপুর এনপিপির রাশিয়ান ঠিকাদার রোসাটম জানায়, কাজের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে গম্বুজের নিচের স্তর স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।
২০০ টন ওজনের এবং ৪৮ দশমিক আট মিটার উচ্চতায় ডিজাইনের অবস্থানে ৪৬ দশমিক তিন মিটার ব্যাসসহ ভারী কাঠামোটি বসাতে সময় লেগেছে পাঁচ ঘন্টা। ওপরের স্তরের বসানো এবং কংক্রিটিং আগামী দিনে সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন: ঘোড়াশালে ৩৬৫ মেগাওয়াট পাওয়ার প্ল্যান্টের কার্যক্রম বন্ধ
এএসই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আলেক্সি ডেরি বলেছেন, ‘বাইরের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা হলো একটি স্থানীয়ভাবে প্রধান নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এটি একটি শক্তিশালী কংক্রিট কাঠামো যা ভূমিকম্প, সুনামি বা হারিকেনসহ গুরুতর বাহ্যিক প্রভাব থেকে চুল্লিকে রক্ষা করে।’
বাইরের কন্টেনমেন্ট ছাড়াও, রিঅ্যাক্টর বিল্ডিংটি ২০২১ সালে ভিতরের বসানো কন্টেনমেন্ট দিয়ে সুরক্ষিত। ডবল কনটেইনমেন্ট হলো ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টরসহ রাশিয়ান ডিজাইনের একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য, যা সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
রোসাটম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি অংশ, ট্রেস্ট রোসেম-এর বিশেষজ্ঞরা গম্বুজ আনয়ন এবং স্থাপনের কাজ করে।
মোট দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি ভিভিইআর-১২০০ চুল্লি দিয়ে সজ্জিত রূপপুর এনপিপি সাধারণ ঠিকাদার হিসেবে রোসাটম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়: মঙ্গলবার থেকে দেশে দৈনিক এক ঘণ্টা লোডশেডিং
জেনারেশন ৩+ রাশিয়ান ভিভিইআর রিঅ্যাক্টরগুলো সমস্ত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা মানদণ্ডগুলো সম্পূর্ণরূপে মেনে চলে।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (বিএইসি) অনুসারে ২০২১ সালে দুটি ইউনিটের দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট রূপপুর এনপিপি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল।
সরকার ২০২২ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৩ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল।
কিন্তু পরবর্তীতে লক্ষ্য পুনঃনির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী প্রথম ইউনিটটি ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এবং দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা