করোনা
৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
করোনা সংক্রমণ রোধে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো.সাবিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে পাঁচটি বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছে। বিধিনিষেধগুলো হলো-
১. ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকল স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
৩. সামাজিক/ রাজনৈতিক/ধর্মীয়/রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০-র বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবে তাদের অব্যশই টিকা সনদ/২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টফিকেট আনতে হবে।
৪. সরকারি/বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসমুহে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের টিকা সনদ প্রহণ করতে হবে।
৫. বাজার, শপিং মল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সধরণের জসমাবেশে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সরকার ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এর পর দফায় দফায় অনেকবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানো হয়। সর্বশেষ দফায় আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। অবশেষে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৭ মাস পর গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিতের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
করোনার বুস্টার ডোজ নিয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় কাজ করার নির্দেশ
ওমিক্রন ঠেকাতে ১৫ নির্দেশনা
দিনে ১২ হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হচ্ছে বাগেরহাটে
বাগেরহাটে করোনার টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলায় ২৪টি বুথে প্রতিদিন ১২ হাজারে বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে বুথগুলোতে টিকা নিতে আসা মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, এপর্যন্ত বাগেরহাট জেলায় ১০ লাখ ৮৫ হাজার ৬৭০ জনকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ, সাত লাখ ১০ হাজার ৬০৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজ এবং ১৭ হাজার ৮৮২ জনকে বুস্টার ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে জেলায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শতভাগ শিক্ষার্থী অর্থাৎ, এক লাখ ৫০ হাজার ৭৮২ জনকে টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
এছাড়া জেলার ফকিরহাট উপজেলাকে শতভাগ করোনা টিকা গ্রহণকারী উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ১২ থেকে ১৭ বছরের শতভাগ শিক্ষার্থীর টিকাদান সম্পন্ন
তবে, বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাটে ৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে আট জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২ দশমিক ২২ শতাংশ। এপর্যন্ত বাগেরহাটে মোট সাত হাজার ১০১ জনের করোনা শনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে এপর্যন্ত মারা গেছে ১৪৪ জন।
এর পরেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। হাট-বাজারে মানুষ মাস্ক ছাড়া ঘুরে বেড়াচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছেন। স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে অর্থদণ্ড পর্যন্ত করা হলেও মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে না।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, বাগেরহাট জেলায় মোট জনসংখ্যা ১৭ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৭ জন। জেলায় ১২ লাখ ২১ হাজার ১০৬ জনকে টিকা দেয়ার টার্গেট নেয়া হয়েছে। এজন্য জেলায় টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এপর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে ৬২ দশমিক ২৪ শতাংশ, দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে এক দশমিক এক শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফকিরহাটে শতভাগ মানুষকে টিকাদান
চট্টগ্রামে বস্তিবাসীদের টিকাদান শুরু আজ
বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত ৩৪ কোটি ছাড়াল
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে আতঙ্কের মাঝে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। বিশ্বে গেলো ২৪ ঘণ্টায় আরও আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৮৫৭ জনের, যা আগের দিনের তুলনায় পাঁচশোর বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৪ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৪ জনের, যা আগের দিনের তুলনায় সোয়া এক লাখেরও বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় শনাক্ত হয়েছে ৩৪ কোটি ৩০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৩৫ জনের। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৫ লাখ ৯৩ হাজার ১৮৩ জন। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ২৭ কোটি ৬৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৭৫ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ২৩ হাজার ৮৬৬ জন এবং মারা গেছেন ২ হাজার ৫২২ জন। রাশিয়ায় মারা গেছেন ৬৮৪ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৮৫০ জন। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ১ লাখ ৭ হাজার ৩৬৪ জন এবং মৃত্যু ৩৩০ জন। ইতালিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৮৮ হাজার ৭৯৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৮৫ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত ৪ লাখ ২৫ হাজার ১৮৩ জন এবং মৃত্যু ২৪৫ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৩০ জন এবং মৃত্যু ১৭৬ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ৩২৪ জন এবং সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬০ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় তুরস্কে ১৬৬ জন, হাঙ্গেরিতে ৭১ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৩৯ জন, পোল্যান্ডে ৩১৫ জন, কানাডায় ২১২ জন, স্পেনে ১৬২ জন, আর্জেন্টিনায় ১৮১ জন এবং ভিয়েতনামে ১৫২ মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার ১৩৮ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে মারা গেছে ৭ শতাধিক মানুষ। এছাড়া প্রায় ৭’শ মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায়। আর ব্রাজিল, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ইতালি, স্পেনেও দৈনিক সংক্রমণ দেড় থেকে ২ লাখের কাছাকাছি।
বাংলাদেশ পরিস্থিতি
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ১০ হাজার ৮৮৮ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৮০ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৮২ জনে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ হাজার ২৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৩৭।মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭০ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।
চট্টগ্রামে ৮ জনের ওমিক্রন শনাক্ত
চট্টগ্রামে আট জনের শরীরে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জায় (জিআইএসএআইডি) এই তথ্য আপলোড করা হয়েছে।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সারাদেশে ৭১ জনের নমুনায় ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
শনাক্ত আটজনের নমুনা গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৮ জানুয়ারির মধ্যে সংগ্রহ করা হয়। শনাক্তদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ এবং তিনজন নারী।
আরও পড়ুন: ওমিক্রনে আক্রান্তরা সকলেই সুস্থ আছেন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরনিশ্চিত হতে নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।সহকারী অধ্যাপক ও সিভাসুর ল্যাবে দায়িত্বে থাকা ইফতেখার রানা বলেন, বিদেশ থেকে আনা ওমিক্রন শনাক্তের কিটে সাতজনের শরীরে ওমিক্রন ভাইরাসটির অস্তিত্ব মেলে। তাঁরা সবাই চট্টগ্রাম অঞ্চলের বাসিন্দা।সিভাসুর উপাচার্য গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, অধিকতর নিশ্চিত হতে ঢাকায় নমুনাগুলো পাঠানো হবে। আগামী রবিবারের দিকে ফলাফল পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে আসলে ওমিক্রন কিনা।
আরও পড়ুন: দেশে করোনা রোগীর ২০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত
দেশে করোনায় শনাক্ত প্রায় ১১ হাজার
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও ১০ হাজার ৮৮৮ জন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৮০ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৮২ জনে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ হাজার ২৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৩৭।মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭০ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৭৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪৫ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ০৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত প্রধান বিচারপতি, বিএসএমএমইউতে ভর্তি
বিশ্ব পরিস্থিতি
যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ কোটি ৭১ লাখ ৫০ হাজার ৫৯০ এবং মোট মৃতের সংখ্যা ৫৫ লাখ ৬৩ হাজার ৮১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ছয় কোটি ৮৫ লাখ ৮ হাজার ১৮১ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে আট লাখ ৫৭ হাজার ৬৭৪ জন।
এদিকে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ২২ হাজার ১২১ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি ৩৪ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৭ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ৭৯ লাখ ১ হাজার ২৪১ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৮৭ হাজার ২০২ জনে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোনে আরও ১০ জেলা
কুমিল্লায় বিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের করোনা শনাক্ত, বন্ধ ঘোষণা
সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিশ্চিতের আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসকদের। তাছাড়া যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে করোনা মোকাবিলার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে ডিসিদের সঙ্গে অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'যেহেতু কোভিড বাড়ছে,আমরা খুবই আতঙ্কিত না হলেও এটা আশঙ্কাজনক এবং চিন্তার কারণ। আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি গতবার দ্বিতীয় ঢেউ বা প্রথমে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন এবারও সেভাবে সহযোগিতা আপনাদের কাছে আশা করি। আপনারা একটি জেলা পর্যায়ের কমিটির সভাপতিত্ব করেন, সেখানে সকলকে নিয়ে কাজ করবে। আমাদের যে স্থানীয় প্রতিনিধি আছেন তাদেরকে নিয়েও কাজ করবেন। এবং তাদেরকে নিয়ে কাজ করলে আপানাদের কাজ ভালো হবে, সফল হবে।
আরও পড়ুন: ডিসিদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ২৪ দফা নির্দেশনা
তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্যবিভাগ প্রস্তুত আছি। আগের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থায় আছি।আমাদের অক্সিজেনের অভাব নেই। প্রায় ১৩০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন স্থাপন করা হয়েছে, যেটা আগে ছিলো না। আমাদের টেলিমেডিসিনের ব্যবস্থা রয়েছে, ২০ হাজার বেড রয়েছে। ৪০ হাজার নতুন লোক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, ১৫ হাজার ডাক্তার রয়েছে, ২০ হাজার নার্স রয়েছে, টেকনিশিয়ান রয়েছে। সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি ভালো। সামনে চলমান ওমিক্রন যেভাবে বাড়ছে সেটার লাগাম ধরে রাখতে আমাদের কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, ১১ দফা বলতে পারেন। বিধিনিষেধগুলো যাতে বাস্তবায়ন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিয়েসহ বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠান এখন বন্ধ থাকতে হবে। এ বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরেছি। পাশাপাশি আমরা বলেছি ল্যান্ডপোর্ট, সিপোর্ট, এয়ারপোর্টেও স্ক্রিনিং চলছে। তাছাড়া যারা কোয়ারেন্টাইনে থাকে তারা যাতে ঠিকভাবে কোয়ারেন্টাইন মেনে চলে সে ব্যাপারে নজরদারি করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ ডিসি ও ২ বিভাগীয় কমিশনার করোনায় আক্রান্ত
এসময় যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন মন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ১৫ কোটি ডোজ টিকা দিয়েছি, আরও ৯ কোটি হাতে আছে। সবাইকে টিকা দেয়া হবে।সেটি আমরা করতে পারবো। ৯০ ভাগ শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শেষ হয়েছে।বাকীদেরও দেয়া হবে।
সস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত প্রধান বিচারপতি, বিএসএমএমইউতে ভর্তি
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও তাঁর স্ত্রী ডালিয়া ফিরোজ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ জানান, বুধবার রাতে প্রধান বিচারপতিকে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ভিআইপি ডিলাক্সের কেবিন নম্বর ৬১২ তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগে মঙ্গলবার একই হাসপাতালে ভর্তি হন তার স্ত্রী ডালিয়া ফিরোজ।
তিনি জানান, তারা দুজনই সুস্থ আছেন। দুপুরে তাদের বিষয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে, যারা তাদের চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্তের হার ২৫.১১ শতাংশ, মৃত্যু ১২
বিএসএমএমইউর উপাচার্য জানান, প্রধান বিচারপতি ও তাঁর স্ত্রী উভয়ই করোনার মৃদু উপসর্গে আক্রান্ত। বর্তমানে তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে।
তবে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি। অন্যদিকে রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সারাদেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বুধবার থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট উভয়ের কার্যক্রম ভার্চুয়ালি পরিচালনা করার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোনে আরও ১০ জেলা
কুমিল্লায় বিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের করোনা শনাক্ত, বন্ধ ঘোষণা
দেশে করোনায় শনাক্তের হার ২৫.১১ শতাংশ, মৃত্যু ১২
দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্ত হয়েছে আরও সাড়ে ৯ হাজার। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৭৬ জনে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৬ লাখ ৪২ হাজার ২৯৪ জনে পৌঁছেছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোনে আরও ১০ জেলা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ হাজার ৮৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এইদিন শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭২ শতাংশ।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৭৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৮ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৫ লাখ ৫৪ হাজার ছাড়িয়েছে
৩০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ৩০ দিনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। বুধবার তিনি জনস্বার্থে এই আবেদন করেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, করোনা শুরু হলে তখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তাই শিক্ষার্থীরা কম আক্রান্ত হয়েছে। এখন আবার করোনা বাড়ছে। তবে এখন সব খোলা থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুল, মাদরাসা, কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার জন্য গণপরিবহন ব্যবহার করতে হয়। এতে অনেকেই হয়তো করোনাভাইরাস নিয়ে বাসায় ফিরবে। যার ফলে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। তাই করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩০ দিনের জন্য বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আবেদনটি হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হতে পারে। এর আগে ২০২০ সালের ১৫ মার্চ তিনি এ সংক্রান্ত একটি রিট করেছিলেন বলেও জানান।
ওই রিটে সব বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও স্থলবন্দরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্তে এবং সব বন্দরের প্রবেশমুখে মনিটরিংয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আবারও ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনায় যেতে হবে: প্রধান বিচারপতি
এছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশনা, সব বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও স্থলবন্দরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্তে এবং সব বন্দরের প্রবেশমুখে মনিটরিংয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বতীকালীন নির্দেশনা জারির আবেদন জানানো হয়েছিল।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা সচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে ওই রিটে বিবাদী করা হয়।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ১৯ মার্চ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশফেরতদের বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখতে ও স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা করতে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও পররাষ্ট্র সচিবের প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বাস্তবায়ন প্রতিবেদন এখনও পাননি। তাই সেই রিটটি আজ আদালতে উপস্থাপন করেছেন।
আদালত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য রেখেছেন। এছাড়া ওই রিটের সম্পূরক হিসেবে অবিলম্বে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩০ দিনের জন্য বন্ধ চেয়ে আবেদন করেছেন বলেও জানান ইউনুছ আলী আকন্দ।
এদিকে দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের কারণে বুধবার থেকে ভার্চুয়ালি চলছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়ালি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে ৪ দিন ভার্চুয়ালি চলবে চেম্বার আদালত
মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা: তদন্তের নির্দেশ আদালতের
করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোনে আরও ১০ জেলা
ঢাকা ও রাঙামাটির পর আরও ১০ জেলাকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের রেড জোন বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে রয়েছে ৩২ জেলা। আর গ্রিন বা সবুজ জোনে রয়েছে ১৬ জেলা।
গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সাত দিনে দেশজুড়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৪০৫ জন, যা পূর্ববর্তী সাত দিনের (৩ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি) চেয়ে ২৩ হাজার ৯৩১ জন বেশি। এই সময়ে শতাংশ হিসাবে শনাক্ত বেড়েছে ২২৮ দশমিক ৪৮।
করোনা সংক্রমণের মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে নতুন করে ১০টি জেলাকে তালিকাভুক্ত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জেলাগুলোতে সংক্রমণের হার অন্তত ১০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস: সংক্রমণের রেড জোন ঢাকা-রাঙামাটি
লাল তালিকাভুক্ত জেলাগুলো হলো গাজীপুর, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া, বগুড়া, দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, লালমনরিহাট, খাগড়াছড়ি ও পঞ্চগড়। আগের দুটি ঢাকা ও রাঙ্গামাটি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যে দেখা যায়, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ১১ শতাংশ। রাঙামাটিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৭১ শতাংশ।
এ ছাড়া গাজীপুর করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৪৯, রাজশাহী ১৪.৭৪ শতাংশ, যশোর ১১ দশমিক ২১ শতাংশ, কুষ্টিয়া ১১.৩৮ শতাংশ, বগুড়া ১১.৮৪ শতাংশ, দিনাজপুর ১১.২৬ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৮ দশমিক ৪৮, লালমনরিহাটে ১০ দশমিক ৭১, খাগড়াছড়ি ১০ দশমিক ১৯ শতাংশ ও পঞ্চগড় ১০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে থাকা ৩২ জেলার শনাক্তের হার অন্তত ৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাঘাইছড়িতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত ৭৮, সাজেক রেড জোন
জেলাগুলো হলো সিলেট, ফেনী, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, নওগাঁ, ঝিনাইদহ, নাটোর, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, মাগুরা, নড়াইল, পটুয়াখালী, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, শেরপুর, ঝালকাঠি ও ঠাকুরগাঁও।
এছাড়া এখনও করোনা থেকে ঝুঁকিমুক্ত আছে ১৬ জেলা। এই জেলাগুলোতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে।
ঝুঁকিমুক্ত জেলাগুলো হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, ভোলা, নেত্রকোণা, গাইবান্ধা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বরগুনা, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী ও মেহেরপুর।