সিভিল সার্জন
ঠাকুরগাঁওয়ে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ৫১, শনাক্তের হার প্রায় ৫২.৫৮
ঠাকুরগাঁওয়ে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. নূর নেওয়াজ আহমেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ঠাকুরগাঁও সদরে ৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাছাড়া পীরগঞ্জে ১৫ জনের মধ্যে ছয় জন, রাণীশংকৈলে সাত জনের মধ্যে একজনের, বালিডাঙ্গীতে চার জনের মধ্যে দুজনের ও হরিপুরে ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন জেলায় ১০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
জেলায় এখন পর্যন্ত আট হাজার ২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৫০৬ জন। মোট মারা গেছেন ২৪২ জন।
সিভিল সার্জন বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। মানুষের মধ্যে রয়েছে উদাসীনতা। এ অবস্থা চলতে থাকলে করোনা সংক্রমনের ঊর্ধ্বমুখীতা ঠেকানো সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে
বাগেরহাটে করোনা শনাক্তের হার ৫৩.৩৯ শতাংশ
‘পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যু বিষয়ে গবেষণা হওয়া উচিত’
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক (ভিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, ‘পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে গবেষণা হওয়া উচিত। সেজন্যে পরিবার ও সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর হার ও তার পরিসংখ্যানও তৈরি করা দরকার।’
শনিবার সকালে চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সভাকক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সমষ্টি’র আয়োজনে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আমাদের এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন এ ব্যাপারে ব্যাপক সচেতনতা। বর্ষা মৌসুমে এই ডুবে মরার ঘটনা বেশি হয়। তাই অল্প বয়স থেকেই শিশুদের সাঁতার শেখাতে হবে। পানির খুব কাছে শিশুদের খেলাধুলা করতে দেয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: নগরকান্দায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সিভিল সার্জন কার্যালয় আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ঈসা রুহুল্লার সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণের সমন্বয়ক আলম পলাশের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, স্বাগত বক্তব্য দেন ‘সমষ্টি’র গবেষণা ও যোগাযোগ পরিচালক মো. রেজাউল হক ও শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা।
যশোরে ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে ১৭ মৃত্যু
যশোরে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৩০ জনে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়াও একই সময়ে ৯৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে ৩১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ও সিভিল সার্জন অফিসের করোনা ফোকাল পার্সন ডা. রেহনেওয়াজ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা রেডজোন ও ইয়েলো জোনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১২ জন ও উপসর্গ নিয়ে পাঁচজন মারা গেছেন। বর্তমানে রেডজোনে ১৬২ জন ও ইয়েলো জোনে ৬৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করতে আর অপেক্ষা নয়: ইউনিসেফ-ইউনেস্কো
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ১৯৩ জন, কেশবপুরে ১২, ঝিকরগাছায় ৫, মনিরামপুরে ১৫, বাঘারপাড়ায় ১১, শার্শায় ১৩, অভয়নগরে ৪৫ ও চৌগাছা উপজেলায় ১৭ জন রয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৬১১ জন। সুস্থ হয়েছে ৯২৭০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৩০ জনের।
যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, সংক্রমণ প্রতিরোধে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। রোগীর চাপ থাকলেও তা সামাল দিতে সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: রামেকের করোনা ইউনিটে একদিনে ১৪ মৃত্যু
বাগেরহাটে করোনা ও উপসর্গে ৪ মৃত্যু, শনাক্ত ১৯৬
চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের হার ১৬.৫৬ শতাংশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ১৬.৫৬ শতাংশ। একই সময়ে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
মঙ্গলবার স্বাস্থ বিভাগের সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় আরও ১১১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৬৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ফলাফল পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: করোনা: দেশে সিনোফার্মের টিকা দেয়া শুরু
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে আসা আরটি পিসিআর ল্যাবের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ২৫ জন। আর স্থানীয়ভাবে করা র্যাপিড এন্টিজেন টেষ্টে ৫৭২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছে ৮৬ জন। যার সংক্রমনের গড় হার ১৬.৫৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফাইজারের টিকাদান সোমবার থেকে শুরু
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেবে জেলায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৯১ জন। আর এ পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ৯৬ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১ হাজার ৩৪৯ জন। এর মধ্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৭২ জন ও অন্যরা প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ কোটি ৮১ লাখের বেশি
এদিকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলায় দ্বিতীয় দফায় এক সপ্তাহের কঠোর বিধি নিষেধের শেষ দিন ছিল মঙ্গলবার।
ফরিদপুরে করোনায় আরও ৬ মৃত্যু
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় আরও ছয় জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ফরিদপুরে। মৃত্যুর দিক দিয়ে গত এক মাসের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ফরিদপুরে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৯ জন।
আরও পড়ুন: করোনায় খুমেকে ২৪ ঘণ্টায় ১১ মৃত্যু
ফরিদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে চার নারী ও দুই পুরুষ।
এছাড়া ৩১৬টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ৭৯টি পজেটিভ হয়েছে। এদের মধ্যে জেলা সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রামেকে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ মৃত্যু
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, ‘গত কিছু দিন ধরে ধারাবাহিক ভাবে নমুনা পরীক্ষার গড়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ হারে বাড়ছে, হঠাৎ করে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়ে গেছে। যা গত এক মাসের তুলনায় সর্বোচ্চ।’
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে জেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে এবং অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।’
করোনাভাইরাস: ঠাকুরগাঁওয়ে ৫০ শতাংশেরও বেশি শনাক্ত
ঠাকুরগাঁওয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২১টি নমুনা পরীক্ষায় এই বছরের মধ্যে সর্বাধিক ৬১ জনের শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫০ দশমিক ৪১ শতাংশ।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ (পিসিআর টেস্ট) দিনাজপুর, সিডিসি (জিন এক্সপার্ট টেস্ট), ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল এবং উপজেলা হাসপাতালগুলো (এন্টিজেন টেস্ট) থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও জেলায় মঙ্গলবার নতুন করে ৬১ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সদর উপজেলার ৩৫ জন, বালিয়াডাঙ্গীর ১১ জন, রানীশংকৈলের ৭ জন, হরিপুরের ৪ জন এবং পীরগঞ্জের ৪ জন। ১২১ জন রোগীর করোনা টেস্ট করা হয়। শনাক্তের হার ৫০ দশমিক ৪১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: রামেক হাসপাতালের করোনায় ১২ মৃত্যু
সিভিল সার্জন আরও জানান, পূর্বের রিপোর্টসহ ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ১২১ জন, যাদের মধ্যে ১ হাজার ৬২৩ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং মোট মৃত্যু ৫১ জন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউন শুরু
জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, এই জেলায় করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখে বেশ কয়েকটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিনোফার্মের দ্বিতীয় দফায় ৬ লাখ টিকা দেশে পৌঁছেছে
ঠাকুরগাঁওয়ে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রতিদিন করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত এক বছরের মধ্যে মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা শনাক্ত হয়েছে একদিনে। এদিন ৩০ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় দেশে একদিনে ৪৪ প্রাণহানি, শনাক্ত ২৩২২
সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, মঙ্গলবার রাতে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও জেলায় নতুন করে ৩০ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছে। এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ (পিসিআর টেস্ট) দিনাজপুর, সিডিসি (জিন এক্সপার্ট টেস্ট), ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল এবং উপজেলা হাসপাতালগুলো (এন্টিজেন টেস্ট) থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ১২ জন, বালিয়াডাঙ্গী ৬ জন, রানীশংকৈল ৭ জন, হরিপুর ২ জন এবং পীরগঞ্জ ৩ জন। মোট ১০৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আক্রান্তের হার ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: সুশাসনের ঘাটতি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণকে দীর্ঘায়িত করছে: টিআইবি
মঙ্গলবার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নিবাসী ৮০ বছর বয়সী একজন করোনা সংক্রমিত রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর করোনা ডেডিকেটেড হাসাপাতালে মারা যান।
সিভিল সার্জন আরও জানান, এ পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলায় সর্বমোট করোনা সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮১২ জন। এদের মধ্যে ১ হাজার ৫৮৫ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং মারা গিয়েছেন ৪১ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: রামেক হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যু
এদিকে ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর পাঠানো হয়েছে।
চলমান লকডাউনে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করোনা শনাক্ত ১৯৬
চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করে ১৯৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৩৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ ফলাফল পাওয়া যায়। এদিকে লকডাউন চলছে।
বুধবার সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু
তিনি জানান, রাজশাহীর পিসিআর ল্যাব থেকে আসা রিপোর্টে ২৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭১ জন শনাক্ত হয়েছে। আর জেলায় র্যাপিড এন্টিজেন্ট টেষ্টে ৮৩ জনের মধ্যে ২১ জন ও জিন এক্সপার্ট টেষ্টে ১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩জন শনাক্ত হয়েছে। আর এনিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হলো ২ হাজার ৩৩ জন। আর এ পর্যন্ত মারা গেছে ৩৭ জন।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: দেশে আরও ৩৮ প্রাণহানি, শনাক্ত ৭.৯১ শতাংশ
এদিকে লকডাউনের নবম দিন চলছে। আজও পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটের বাসসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। ওষুধ, খাবার দোকান ও মুদিখানা ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ আছে। রাস্তায় মানুষের চলাচল একেবারেই কম।
আরও পড়ুন: সরাসরি করোনার টিকা ক্রয়ের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন
লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশের ২৭টি চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কমছে করোনা সংক্রমণের হার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের হার কমেছে বলে জানিয়েছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণের হার কমলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে গেছে বলা যাবে না, এজন্য আরও কয়েকদিন দেখতে হবে।
জাহিদ নজরুল জানান, গতকাল শনিবার রাতে রাজশাহীর পিসিআর ল্যাব থেকে আসা রিপোর্টে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার সংক্রমণ হার ৫৯ শতাংশ।
সিভিল সার্জন জানান, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই নমুনাগুলো রাশাহীর ল্যাবে পাঠনো হয়েছিল। আর গতকাল শনিবার জেলায় র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করা হয়েছে ৪৫৩ জনের, এতে ৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার শনাক্তের হার ১২ শতাংশ। আর এই দুয়ের গড় সংক্রমণ হার ২৫ শতাংশ।
জেলায় চলমান এক সপ্তাহের লকডাউন আরও বাডানো হবে কিনা তা জেলা করোনা
প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ঈদের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনা সংক্রমণের হার ৫০ শতাংশের উপরে হলে জেলা জুড়ে মঙ্গলবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরও ৪ মৃত্যু, লকডাউন চলছে
এদিকে, লকডাউনের আজ ষষ্ঠ দিন চলছে। লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
শহরে পুলিশের ২৭টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। আজ সকাল থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ও ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। ওষুধ, মুদি দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
কুষ্টিয়ায় ভারত ফেরত দুই জনের করোনা শনাক্ত
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বর্ডার দিয়ে ভারত থেকে আসা ৩৬ বাংলাদেশীর মধ্যে শিশুসহ দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রবিবার রাতে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা: এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রবিবার তাদের করোনা শনাক্ত হয়।
ভারত থেকে আসা ওই ৩৬ জনকে কুষ্টিয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণায় ভারত ফেরত ২ জনের করোনা শনাক্ত
সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য রবিবার সকালে ৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনাগুলো কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। রাত আটটার দিকে পাঠানো পরীক্ষার ফলাফলের প্রতিবেদনে শিশুসহ দুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভারত ফেরত ৩ জনের করোনা শনাক্ত
সিভিল সার্জন আরও বলেন, দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ৩৯ বছর। আরেক জনের বয়স ১২ বছর। ১২ বছরের ছেলেকে তার মায়ের সঙ্গে শহরের প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) রাখা হয়েছিল। আক্রান্ত আরেক যুবক শহরের একটি আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। শনাক্ত হওয়ার পর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আক্রান্ত দুজনকেই ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। তবে তাদের শরীরে তেমন কোনো উপসর্গ নেই।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ভারত ফেরত ১১ বাংলাদেশির করোনা শনাক্ত
সিভিল সার্জন জানান, পিটিআইয়ের বীর প্রতীক তারামন বিবি হলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ২৭ জন ও শহরের একটি আবাসিক হোটেলে ৯ জনকে রাখা হয়। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ভারত থেকে দর্শনা বন্দর দিয়ে আসা ৩৬ জন বাংলাদেশীকে বাসে করে কুষ্টিয়া পিটিআইয়ে আনা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাইফুর রহমান জানান, রবিবার দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা আরও ৮২ জনকে কুষ্টিয়ায় কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে কুষ্টিয়ার ৩টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১১৮ জনকে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভারত থেকে আরও মানুষ ফিরলে যাতে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা যায় সেই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।