ব্যবসা-বাণিজ্য
রবিবার সফল রপ্তানিকারকদের মধ্যে জাতীয় ট্রফি দেবেন প্রধানমন্ত্রী
সফল রপ্তানিকারকদের মধ্যে ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরের ট্রফি পাবে ৭৭টি প্রতিষ্ঠান।
প্রধানমন্ত্রী রবিবার (১৪ জুলাই) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ ট্রফি তুলে দেওয়া হবে।
এ উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর টিসিবি ভবনে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
আরও পড়ুন: শহরের নির্ধারিত আয়ের মানুষ খুব বেশি চাপে আছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
এসময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হস্তশিল্পকে বর্ষপণ্য ঘোষণার পর থেকে হস্তশিল্পকে যেন রপ্তানি করা যায় সেলক্ষ্যে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। রপ্তানি বাড়লে দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে। রপ্তানি বাণিজ্যকে বাড়াতে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি সহায়ক ভূমিকা রাখবে। চীন, ভারত, জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজার সুবিধা নিতে কর্মতৎপরতা চালাচ্ছে। সম্প্রতি চীন সফরে বাংলাদেশকে ম্যানুফেকচারার হাব করতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দেখছি, যাতে চীনা সরকার সহযোগিতা করবে৷ রপ্তানি বাড়াতে ভারত সফরে বিমসটেক কী করে আরও কার্যকর করা যায় তা আলোচনা হয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে বিভিন্ন দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধি দল ব্যবসা, বিনিয়োগ সম্প্রসারণে বাংলাদেশে আসবে।’
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, আরজেএসসির নিবন্ধক (অতিরিক্ত সচিব) মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জাতীয় রপ্তানি ট্রফি নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণে বাছাই কমিটির মাধ্যমে মোট ৩২টি খাতের রপ্তানিকারকদের মধ্যে থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের রপ্তানি আয়, আয়গত প্রবৃদ্ধি, নতুন পণ্যের সংযোজন, নতুন বাজারে প্রবেশ, কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন ইত্যাদি মূল্যায়নপূর্বক বিজয়ী প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হয়। প্রতিটি খাতের জন্য কৃতি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণ, রোপ্য ও ব্রোঞ্জ ট্রফি প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়া সব খাতের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় অর্জনকারী প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি’ শিরোনামে একটি বিশেষ ট্রফিসহ (স্বর্ণ) মোট ২৯টি স্বর্ণ, ২৭টি রৌপ্য ও ২১টি ব্রোঞ্জ ট্রফি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: রপ্তানি উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে ইপিবি: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দিয়ে করেছেন প্রধানমন্ত্রী: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
ভারতের টাইটান ও বাংলাদেশের রিদম গ্রুপের চুক্তি সই
বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে যাচ্ছে ভারতের অন্যতম প্রধান লাইফস্টাইল কোম্পানি টাইটান।
বিখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড তানিষ্কের ঘড়ি, চশমা, পারফিউম বাংলাদেশে বাজারজাত করবে রিদম গ্রুপ।
শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে টাইটানের সদর দপ্তরে টাইটান কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের রিদম গ্রুপের মধ্যে এ সংক্রান্ত এক যৌথ উদ্যোগ চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ২০০ ব্রডগেজ বগি কেনার চুক্তি সই
টাইটান কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সি.কে. ভেঙ্কটরামান এবং রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন চুক্তিতে সই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাইটানের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের সিইও কুরুভিলা মার্কোস।
চুক্তির আওতায়, নারায়ণগঞ্জের মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে তানিষ্কের গয়না তৈরির একটি অত্যাধুনিক কারখানা স্থাপন করা হবে। এই কারখানা স্থানীয় বাজারের জন্য গয়না তৈরি করবে এবং পরে খুচরা বাজারে পণ্য বিক্রি করবে।
গত তিন বছরে, তানিষ্ক সফলভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে কার্যক্রম শুরু করেছে। রিদম গ্রুপের সঙ্গে এই যৌথ উদ্যোগ তানিষ্কের বাংলাদেশি বাজারে প্রবেশের একটি বড় পদক্ষেপ।
বাংলাদেশে তৈরি গয়না স্থানীয় চাহিদা মেটাবে এবং ভারতের ৪৫০টি আউটলেট ও অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হবে, যা বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: রেল যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ঢাকা-দিল্লির মধ্যে ১০ চুক্তি সই
কুরুভিলা মার্কোস বলেন, ‘আমরা রিদম গ্রুপের সঙ্গে এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে পেরে উচ্ছ্বসিত। আমাদের সম্মিলিত শক্তি কাজে লাগিয়ে আমরা কারিগর, বিক্রেতা ও গ্রাহকদের কাছে সেরা মূল্য দিতে চাই।’
সি.কে. ভেঙ্কটরামান বলেন, ‘বাংলাদেশি বাজারে টাইটানের প্রবেশের এই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উদযাপন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা একসঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পকে উঁচুতে নিয়ে যেতে এবং তানিষ্কের পণ্য তৈরি কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’
রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন বলেন, ‘টাটা গ্রুপের অধীনে ভারতের প্রধান লাইফস্টাইল কোম্পানি টাইটানের সঙ্গে অংশীদারত্ব আমাদের দেশ ও ব্যবসার জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।’
তিনি আরও জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা স্থাপনের পর শিগগিরই তারা ঢাকায় তানিষ্কের পাঁচটি জুয়েলারি আউটলেট খোলার পরিকল্পনা করছেন।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে, টাটা গ্রুপের অধীনে টাইটানের জুয়েলারি ব্র্যান্ড তানিষ্ক গ্যারান্টিযুক্ত পণ্যের মানের জন্য পরিচিত।
আরও পড়ুন: দ্রুত নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই নগর উন্নয়ন অপরিহার্য: বিশেষজ্ঞরা
দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ এলসি খোলা হয়েছে মে মাসে
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলমান বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের মধ্যেই চলতি বছরের মে মাসে বিগত ২৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে, যার পরিমাণ ৬.৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এর আগে ২০২২ সালের জুনে সর্বোচ্চ এলসি খোলার রেকর্ড হয়েছিল, যা ৭.০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছিল। এরপর থেকে ডলারের বিনিময় হার ও টাকার মূল্যমানের ওঠানামায় এলসি খোলা কমতে থাকে।
আরও পড়ুন: ‘শুধু বাংলাদেশের ক্রেতাদের এলসির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ধারা সমর্থন করে না বিজিএমইএ’
২০২৪ সালের এপ্রিলে ৫.৬৮ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়। এপ্রিলের তুলনায় মে মাসের পরিসংখ্যানে ২০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি দেখা যায়। ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় মে মাসে এলসি ওপেনিং বেড়েছে ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেষে কর সুবিধা এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন পণ্যের ওপর কর ছাড় প্রত্যাহারের প্রত্যাশাসহ বেশ কয়েকটি কারণে এই প্রবণতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশ্লেষকরা।
বিষয়টি ইউএনবিকে ব্যাখ্যা করে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, অর্থবছরের শেষের দিকে কিছু পণ্যের ওপর আরও নমনীয় আমদানি নীতি মে মাসে এলসি খোলার বাড়ার অন্যতম কারণ বলা যায়।
এছাড়া ২০২৪ সালের ৮ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের বিনিময় হার ৭ টাকা বাড়ানোর পর ব্যবসায়ীরা ডলারের বিনিময় হার আরও বাড়ার আশঙ্কায় এলসি খোলার দিকে ছুটে যান।
বাণিজ্য বিশ্লেষক ড. এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, রেমিট্যান্স ও বৈদেশিক ঋণ বিতরণের কারণে ডলারের সরবরাহ বাড়ার কারণে দীর্ঘদিন পর এলসি খোলার পরিমাণ বেড়েছে।
বাংলাদেশে চলমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাণিজ্যের পরিমাণ ও ব্যবসায়িক লেনদেন বেড়েছে। মূলধন আমদানিতে সরকারের নীতি সহায়তাও এলসি খোলার ওপর প্রভাব ফেলেছিল বলেও জানান ড. রিয়াজ।
এছাড়াও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে নতুন করের ঘোষণার ফলে এলসি খোলা বাড়াতে অবদান রেখেছিল।
ড. রিয়াজ বলেন, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি এতদিন করমুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসির লাইসেন্স পেল নগদ
বিওয়াইএলসির সিগনেচার লিডারশিপ প্রোগ্রামের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান সম্পন্ন
মুদ্রানীতি কঠোর করা ও মুদ্রা ছাপানো কমানোর আহ্বান বক্তাদের
এমসিসিআই বাজেটোত্তর আলোচনায় মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মোকাবিলায় মুদ্রানীতি কঠোর ও বিনিময় হার উদারীকরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বক্তারা।
বুধবার(১২ জুন) মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা (এমসিসিআই) গুলশান কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর একটি উপস্থাপনায় উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলারের ঘাটতির কারণে আমদানি হ্রাস এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধির শ্লথগতিসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
তিনি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, মূল্য স্থিতিশীলতা অর্জন এবং বিনিময় হারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একটি কঠোর মুদ্রানীতি অবস্থানের পক্ষে মত দেন এবং বাজারকে সুদের হার নির্ধারণের অনুমতি দেওয়ার কথা বলেন।
আহসান সরকারি ব্যয় বিশেষ করে প্রশাসনিক ব্যয় ও ভর্তুকির ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যাতে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ সীমিত করা যায়।
তিনি সতর্ক করে বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে রক্ষার জন্য অর্থনীতিকে বলি দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, 'নীতি অবশ্যই বজায় রাখতে হবে, আমরা সরে যেতে পারি না। যেসব বাণিজ্যিক ব্যাংক নিজেদের কারণে তারল্য সংকটে রয়েছে, তাদের অর্থায়ন করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আরও দুই পোশাক কারখানা পেল এলইইডি সনদ
মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়া বন্ধ করতে বাংলাদেশ ব্যাংককেও পরামর্শ দেন তিনি।
অপর একটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় অর্থবছর ২০২৪-২০২৫ থেকে নির্বাচিত আয়কর ও ভ্যাটের বিধান নিয়ে আলোচনা করেন এমসিসিআইয়ের ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশন কমিটির সদস্য আদিব এইচ খান।
তিনি কর ও ভ্যাটের জন্য দুটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠনের আহ্বান জানান এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং বিশেষজ্ঞদের একীভূতকরণ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ব্যাংক একীভূতকরণের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার এবং এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান।
আরও পড়ুন: মোবাইল খাতে কর বৃদ্ধি জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে: এমটব
প্রস্তাবিত বাজেটে ১৫টি প্রস্তাবের সবগুলোই উপেক্ষা করায় ক্ষুব্ধ বাজুস নেতারা
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) ১৫টি প্রস্তাবের একটিও না থাকায় ক্ষুব্ধ স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও জুয়েলার্স খাতের ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন।
রবিবার (৯ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে সংস্থাটির কার্যালয়ে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাজুস নেতারা।
তারা বলেন, জুয়েলার্স সেক্টর বাজেট থেকে কিছুই পায়নি এবং গয়না ব্যবসায়ীদের টিকে থাকার জন্য বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে আবারও ১৫ দফা দাবি বিবেচনার অনুরোধ করেন তারা।
আরও পড়ুন: দেশে প্রতিদিন ২৫০ কোটি টাকার পাচারের স্বর্ণ, গহনা ঢুকছে: বাজুস
এছাড়া স্বর্ণালঙ্কারের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা এবং কর কর্মকর্তাদের সব ধরনের হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে বাজুসের পক্ষে বক্তব্য রাখেন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটির ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশন সম্পর্কিত চেয়ারম্যান ও নির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, জুয়েলারি শিল্পে উদ্যোক্তা উন্নয়নে বাজুস উৎসাহিত করলেও এনবিআর নীতি সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসছে না। পাশাপাশি তারা (কর কর্মকর্তারা) ভ্যাট আদায়ের নামে সারাদেশে গয়না ব্যবসায়ীদের হয়রানি করছে। ১০ টাকা ভ্যাট আদায়ের নামে ৯০ টাকা ঘুষ নেওয়ার সংস্কৃতি থেকে এনবিআরকে বেরিয়ে আসতে হবে।
কর ফাঁকি বন্ধ না হলে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন বলে হুমকি দেন তিনি।
এ সময় আরও ছিলেন- বাজুসের মুখপাত্র ড. দিলীপ কুমার রায়, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, বাজুস ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের স্থায়ী কমিটির সদস্য সচিব পবন কুমার আগরওয়াল।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকুফ চায় বাজুস
কর কাঠামো সংস্কারকে স্বাগত জানিয়েছে আইসিএবি, ব্যাংক ঋণের কারণে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকির বিষয়ে সতর্কতা
আয়কর-সংক্রান্ত কিছু নিয়ম পরিবর্তনের কারণে প্রস্তাবিত বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)।
আইসিএবি বলছে, দুই বছরের জন্য করহার কমানো হয়েছে। বেসরকারি কোম্পানি, একক ব্যক্তি মালিকানা কোম্পানি (ওপিসি) এবং কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের করহার কমায় বাণিজ্যে গতি আসবে।
শনিবার(৮ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সি এ ভবনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আইসিএবি নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন এফসিএ, সচিব হুমায়ুন কবির এফসিএ এবং স্নেহাশীষ মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার স্নেহাশীষ বড়ুয়া বাজেটে বিভিন্ন কর সংস্কারের চিত্র তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: দক্ষ শ্রমিক তৈরিতে প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান
তারা বলেন, এনবিআর ও আইসিএবির যৌথ উদ্যোগে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যা বাজেট সমর্থিত এবং রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।
আইসিএবি নেতারা আপিল ট্রাইব্যুনাল ও আপিল কমিশনারেটে আপিলের আবেদন দাখিলের সময় আদেশে বর্ণিত জরিমানা ব্যতীত চাহিদার ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ প্রদানের পরিবর্তনকে স্বাগত জানান।
চার্টার অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছে, ভিডিএস কর্তৃপক্ষ ১০ কোটি টাকার বেশি টার্নওভার রয়েছে এমন ব্যবসা পরিবর্তন করলে ভ্যাট আদায় বাড়বে।
তারা আরও বলেন, বিল অব এন্ট্রি বা রপ্তানি বিলের পরিবর্তে নির্দিষ্ট ফরমের মাধ্যমে শুল্ক আদায় করায় আমদানি পণ্য খালাস সহজ হবে।
আইসিএবি নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের ওপরে, যা উচ্চ মূল্যস্ফীতির ইঙ্গিত দেয়। এ অবস্থায় বাজেটে মোট বাজেটের প্রায় ২০ শতাংশ ঘাটতি বা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নিয়ে মেটানো ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা মূল্যস্ফীতি আরও বাড়াতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশে প্রতিদিন ২৫০ কোটি টাকার পাচারের স্বর্ণ, গহনা ঢুকছে: বাজুস
দেশে প্রতিদিন ২৫০ কোটি টাকার পাচারের স্বর্ণ, গহনা ঢুকছে: বাজুস
দেশে সোনা ও হীরার ব্যাপক চোরাচালানের বিষয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ২৫০ কোটি টাকার মূল্যবান এসব বস্তু অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
সোমবার (৩ জুন) রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে বাজুস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে একথা বলা হয়।
এ ধরনের অবৈধ বাণিজ্য মোকাবিলা করতে শক্তিশালী নীতি সমর্থন ও সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাজুস কর্মকর্তারা। চোরাচালান বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রচেষ্টা জোরদার করতে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বাজুসের সহ-সভাপতি এবং চোরাচালান ও আইন প্রয়োগ-সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মো. রিপনুল হাসান জানান, দেশের ভেতর দিয়ে প্রতি বছর প্রায় ৮০ হাজার ৩০০ কোটি টাকার স্বর্ণ এবং ১০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকার হীরা পাচার হয়। এই অবৈধ বাণিজ্যের কারণে রেমিট্যান্সের প্রবাহ হ্রাস পায় এবং মানি লন্ডারিং বেড়ে যায়, যা অর্থনীতিকে উল্লেখযোগ্য হারে ক্ষতি করে।
আরও পড়ুন: ২১ দিনে চারবার স্বর্ণের দাম বাড়াল বাজুস
বাজুস নেতারা বলেন, প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বার্ষিক চোরাচালান বন্ধ করতে সরকারকে অবশ্যই জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশে চলমান ডলার সংকটের কারণে এই বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে বিবেচনা করার গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাজুসের তথ্যানুসারে, ভারত-সংলগ্ন ৩০ জেলা, বিশেষ করে মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর ও সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণের চোরাচালান হয়ে থাকে। চোরাচালান হওয়া স্বর্ণের বেশিরভাগই এসব রুট দিয়ে ভারতে পাঠানো হয়।
চোরাচালান ঠেকাতে কয়েক দফা সুপারিশ করেছে বাজুস:
১. চোরাচালানকারীদের ধরতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তৎপরতা জোরদার করা।
২. বাজুসের সঙ্গে সমন্বয় করে বিশেষ সরকারি মনিটরিং সেল গঠন।
৩. স্বর্ণের বার আমদানি রোধে ব্যাগেজ আইনের সংশোধন।
৪. করমুক্ত স্বর্ণালঙ্কার আমদানির পরিমাণ ১০০ গ্রাম থেকে কমিয়ে ৫০ গ্রাম করা।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
৫. যাত্রীদের একই ধরনের দুটির বেশি অলঙ্কার আনতে সীমাবদ্ধ করা।
৬. যাত্রীদের বছরে মাত্র একবার ব্যাগেজ আইনের সুবিধা দেওয়া।
এসব সুপারিশ সত্ত্বেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকটি বিভাগের ভেতরের কর্মকর্তারা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, স্বর্ণ চোরাচালানের বিরুদ্ধে আকস্মিক তৎপরতা এই বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। ঝুঁকি কমাতে স্বর্ণ ও অলঙ্কার আমদানিতে একটি ঐক্যবদ্ধ ও সরল নীতি বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বিদেশে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে, দেড় কোটির বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি থাকায় দেশে ভালো মানের স্বর্ণ আনার চাহিদা রয়েছে। একটি আধুনিক ও সহজ নীতি চোরাচালান কমিয়ে দিতে পারে বলে একজন কর্মকর্তা বলেছেন।
দক্ষ শ্রমিক তৈরিতে প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান
দেশে দক্ষ জনবল তৈরিতে উন্নত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ওপর আরও জোর দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (১ জুন) বিকালে এফবিসিসিআইর দক্ষতাবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ কথা বলেন তারা।
ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, দেশের শিল্প কারখানায় দক্ষ জনশক্তির অভাবে মেশিনারিজ ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনায় অনেক সময় বিদেশ থেকে লোকবল আনতে হয় এবং তাদের অনেক বেশি বেতন দিতে হয়। অন্যদিকে দক্ষতার অভাবে বিদেশে গিয়েও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর শ্রমিকদের তুলনায় কম বেতনে কাজ করতে হয় বাংলাদেশি শ্রমিকদের।
দেশে দক্ষ জনবল তৈরিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল শিক্ষা অন্তর্ভুক্তিসহ শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও একাডেমিয়াগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম দেশের জনবলের দক্ষতা উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তা, শিল্পমালিক, ব্যবসায়ীসহ স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে এফবিসিসিআইতে একটি সেমিনার আয়োজনের পরামর্শ দেন।
এ সময় এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশের বিপুল জনসংখ্যা দেশের জন্য সম্পদ। এ সম্পদকে কাজে লাগাতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন জরুরি।
তিনি আরও বলেন, দক্ষ জনবল তৈরিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সদিচ্ছা রয়েছে। সরকারকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করতে হবে আমাদের ব্যবসায়ীদের।
কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ বি. এম. শোয়েব বলেন, গার্মেন্টস, স্পিনিং ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে জনবলের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু দক্ষতার অভাবে চীন, জাপানের তুলনায় এখানে উৎপাদন কম। এখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন খাতভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নের বিষয় একাডেমিক কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান ভুঁইয়া। তিনি বলেন, উন্নত দেশে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য দক্ষতা উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। দক্ষতার অভাব থাকলে উৎপাদনশীলতা, রপ্তানি ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি-সবকিছুই বাধাগ্রস্ত হবে।
সভায় বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্র ও করণীয় নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়। প্রেজেন্টেশনে উন্নত শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ প্রাপ্তি সহজিকরণ, শিল্পের সঙ্গে একাডেমির সমন্বয়, উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সমন্বয় করে একাডেমিক কারিকুলাম সাজানো, লিঙ্গ বৈষম্য কমানো ইত্যাদির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় আরও ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক নিয়াজ আলী চিশতী, কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
পোশাকশিল্পের সাফল্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচারে এনডিসি প্রতিনিধিদলকে বিজিএমইএ সভাপতির আহ্বান
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সাফল্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) প্রতিনিধিদলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প ও এ শিল্পের উন্নয়নে বিজিএমইএর কার্যক্রমগুলো সম্পর্কে জানতে মঙ্গলবার (২৮ মে) উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে এনডিসির প্রতিনিধি দল।
এনডিসি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের অবস্থা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)।
তিনি আরও বলেন, পোশাক শিল্প বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন এবং নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
আরও পড়ুন: পোশাককর্মীদের কল্যাণে বিজিএমইএর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ইন্ডাস্ট্রিঅল
সভায় বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ পোশাক শিল্পের রূপকল্প, শিল্পের টেকসই উন্নয়নে বিজিএমইএ এর গৃহীত কার্যক্রমগুলো তুলে ধরেন।
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, প্রযুক্তির মানোন্নয়ন, দক্ষতা উন্নয়নসহ শিল্পের প্রধান অগ্রাধিকারগুলো সম্পর্কেও প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন তারা।
বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়ন, বিশেষ করে পোশাকখাতে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের বিষয়ে প্রশংসা করেন এনডিসি প্রতিনিধিদল।
দলটির নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল এস এম কামরুল হাসান।
আরও পড়ুন: পোশাকশিল্পের সক্ষমতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করতে চায় জ্যাক-বিজিএমইএ
মেজর জেনারেল এস এম কামরুল হাসান বলেন, বিজিএমইএ যেভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে এগিয়ে নিচ্ছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পোশাক শিল্প তার রূপকল্প অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন রপ্তানি করতে সমর্থ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় স্ব স্ব অবস্থান থেকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সাফল্যের গল্পগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার জন্য এনডিসি প্রতিনিধিদলের সদস্যদের আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
১২০ জন সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলে এনডিসি কোর্সের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, সিভিল সার্ভিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাসহ মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, ভারত, কুয়েত, কেনিয়া, চীন, দক্ষিণ সুদান, তানজানিয়া, নেপাল, জর্দান, মালি, ওমান, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, জাম্বিয়া, সৌদি আরব, কাতার থেকে আগত বিদেশি সামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্টাফ অফিসাররা।
এ সময় আরও ছিলেন- বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিন, সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক হারুন আর রশিদ, পরিচালক শামস মাহমুদ, পরিচালক আবরার হোসেন সায়েম, পরিচালক নুসরাত বারী আশা, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল, পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম এবং পরিচালক মো. রেজাউল আলম (মিরু)।
বিজিএমইএ পরিদর্শনের পূর্বে এনডিসি প্রতিনিধিদলটি সাভারে একটি ‘সবুজ’ পোশাক কারখানা ফোর এ ইয়ার্ন ডাইং লিমিটেড পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পখাত ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনে দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী: বিজিএমইএ সভাপতি
মূলধন লাভের ওপর নতুন কর আরোপ না করতে ডিএসই চেয়ারম্যানের আহ্বান
বাজারের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের কথা বিবেচনা করে মূলধনী লাভের ওপর নতুন করে কর আরোপ না করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু।
সোমবার(২০ মে) বাবু এ সংক্রান্ত একটি চিঠি এনবিআরে পাঠিয়েছেন বলে ডিএসইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘অর্থনীতির অন্যান্য খাতের মতো কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও দেশের পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আরও উন্নয়ন ও গতিশীল করতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে অন্তর্ভুক্তির জন্য কর সংক্রান্ত বেশকিছু প্রস্তাব ইতোমধ্যে এনবিআরে জমা দিয়েছে ডিএসই।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ শেয়ারবাজার গড়তে মার্চেন্ট ব্যাংকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: ডিএসই চেয়ারম্যান
কিন্তু সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে এনবিআর কর্তৃক পুঁজিবাজারে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের ওপর মূলধনী লাভের ওপর নতুন করে কর আরোপ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে। এ খবর পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। এ কারণে বাজার ক্রমাগত নিম্নমুখী হচ্ছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
পুঁজিবাজারের এই ক্রান্তিকালে বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজারের স্বার্থ বিবেচনায় এনবিআরকে মূলধনী লাভের ওপর নতুন করে কর আরোপ না করার অনুরোধ জানান ডিএসই চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্ট, ডিএসই পরিচালক ও রাষ্ট্রচিন্তার সমন্বয়ক কারাগারে