ব্যবসা-বাণিজ্য
ডিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার কর্মদিবসের শুরুর প্রথম ঘণ্টায় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলছে।
৪৫ হাজার ৩৫৫ লেনদেনের মাধ্যমে ৪ কোটি ৬৩ লাখ শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এ সময়ে ২৬২ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে মূল্যসূচক বাড়ল ১৪. ৪৮ পয়েন্ট
এ সময় ডিএসইতে মোট ৩৭৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩০৬টির, কমেছে ৩৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টি কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
মঙ্গলবার প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইএক্সের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৬৫ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৪৪ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে, ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ২২ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৭৫ দশমিক ২৫ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ স্পেশাল ব্লু চিপ ২৩ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩১ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে ১ ঘণ্টায় সূচক কমল ১০.৭১ পয়েন্ট
১৮ ঘণ্টা আগে
ব্যাংকে চাকরি প্রার্থীদের বয়সসীমা বাড়াল বাংলাদেশ ব্যাংক
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংকগুলোতে প্রবেশ স্তরের চাকরির জন্য নতুন বয়সসীমা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) পরিচালক মোহাম্মদ শাহরিয়ার সিদ্দিকীর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে সরাসরি নিয়োগের বয়সসীমা আগের ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩২ বছর নির্ধারণ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কোটিপতির অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমেছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
গত ১৮ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত একটি অধ্যাদেশে সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং সংবিধিবদ্ধ সংস্থার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয় এমন সরকারি করপোরেশন এবং স্ব-শাসিত সংস্থার জন্য সরাসরি নিয়োগের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩২ বছর করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘অধ্যাদেশের আলোকে এখন ব্যাংকগুলোকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছরের পরিবর্তে ৩২ বছর নির্ধারণের নির্দেশনা দেওয়া হলো।’
২০১৩ সালের ২৩ জুন বিআরপিডি সার্কুলার নম্বর ০৮-এ বর্ণিত পূর্বের নির্দেশনাও বাতিল করা হয়। তবে, প্রত্যাহার করা নির্দেশিকাগুলোর অধীনে পূর্বে নেওয়া পদক্ষেপগুলো বৈধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ডলার বিনিময় হার সংস্কার নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ ব্যাংক-আইএমএফ
১ দিন আগে
বাংলাদেশের জন্য এডিবির ৬০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন
বাংলাদেশের অবকাঠামোগত সংস্কারের জন্য ৬০ কোটি ডলারের নীতি-ভিত্তিক ঋণের (পিবিএল) অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই অর্থ দিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ, সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পের দক্ষতা, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন ও রাষ্ট্র-সংস্কারের জন্য কাঠামোগত সংস্কারের মতো কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি এ তথ্য জানিয়েছে।
এডিবির আঞ্চলিক প্রধান অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন-পরবর্তী উন্নয়ন তহবিলের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে এডিবি এই ঋণের আবেদনে দ্রুত সাড়া দিয়েছে। এই সংস্কারগুলো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও সুশাসনের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য ও প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেয়।’
এডিবির এই কর্মসূচি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। দেশের কর ও মোট দেশজ উৎপাদনের অনুপাত মাত্র ৭.৪ শতাংশ যা বিশ্বে সর্বনিম্ন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে আরও ১০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন এডিবির
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ঋণ বাংলাদেশকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়াতে এবং একইসঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা কার্যকর করতে সাহায্য করবে। এই কর্মসূচিতে ডিজিটালাইজেশন ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ, কর প্রণোদনা ও অব্যাহতির যুক্তিসংগতকরণ এবং করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই ঋণ বেসরকারি খাতের উন্নয়ন ও প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক পরিবেশ সহজ করা এবং সমতাভিত্তিক প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করছে।
এদিকে, বাংলাদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা সহজ করতে একটি অনলাইন একীভূত প্ল্যাটফর্মে ১৩০টিরও বেশি সেবা চালু করা হয়েছে। এর সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সুশাসন ও কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণের উন্নয়ন এবং প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন প্রক্রিয়া সহজতর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে এবং চরম দারিদ্র্য নির্মূলে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এর আগে, ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে সহায়তার জন্য অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ২৪.৩ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
৬ দিন আগে
ডিএসইতে ১ ঘণ্টায় সূচক কমল ১০.৭১ পয়েন্ট
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার কার্যদিবসের প্রথম এক ঘণ্টায় সূচকের পতনে লেনদেন হয়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন রেকর্ডে দেখা যায়, ২৮ হাজার ৮৮৪টি লেনদেনের মাধ্যমে বিনিময় হয়েছে ৩ কোটি ৩১ লাখ শেয়ার ও ইউনিট। এ সময়ে লেনদেন হওয়া শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মূল্য ৮১ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ডিএসইতে দেড় ঘণ্টায় লেনদেন ১১৩ কোটি ৮ লাখ টাকা
এ সময় মোট ৩৬৭টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ১০১টি প্রতিষ্ঠানের, কমেছে ১৭১টি কোম্পানি রএবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৫টি কোম্পানির শেয়ারমূল্য।
বুধবার প্রথম এক ঘণ্টায় ডিএসইএক্সের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ১৫৬ দশমিক ১১ পয়েন্টে দাঁড়ায়। একইভাবে ডিএসইএস শরিয়াহ সূচক ৩ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫০ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ স্পেশাল ব্লু চিপ ৩ দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯০০ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএসইর সূচক বেড়েছে ১৬.৪১ পয়েন্ট, এক ঘণ্টায় ১৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা লেনদেন
৬ দিন আগে
বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে আরও ১০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন এডিবির
বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তার জন্য অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হোয়ে ইউন জিয়ং বলেন, 'এই প্রকল্প বাংলাদেশকে বেসরকারি খাতে অর্থায়ন ত্বরান্বিত করা, অবকাঠামো উন্নয়ন ঘাটতি মেটাতে সরকারি অর্থায়নের ওপর চাপ কমানোসহ আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম করবে।’
তিনি বলেন, ‘এই ঋণ বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেডের (বিআইএফএফএল) আর্থিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, যাতে পিপিপি বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেকসই বেসরকারি বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলা যায়।’
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে ২৪.৩ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
সংস্থাটি বলেছে, ‘অর্থনৈতিক পালাবদল এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ একটি রূপান্তরমূলক পর্যায়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং প্রাথমিকভাবে সরকারিভাবে পরিচালিত দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সীমিত সম্পদ এবং বাস্তবায়নের সীমাবদ্ধতার কারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
এডিবির এই ঋণের লক্ষ্য বিআইএফএফএলকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের মাধ্যমে এই ঘাটতি পূরণ করা। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে এমন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর সমাপ্তি সহজতর করবে।
স্ট্রেনদেনিং দ্য বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড প্রকল্প-অতিরিক্ত অর্থায়ন বেসরকারি খাতে অর্থায়নে বিআইএফএফএল-এর সক্ষমতা জোরদার করবে এবং আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষক ও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের আনা নতুন প্রযুক্তির সুবিধা দেবে।
আরও পড়ুন: এডিবির নতুন প্রেসিডেন্ট মাসাতো কান্ডা
১ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশে নতুন গ্যাস অনুসন্ধানে নজর শেভরনের
বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধানে নতুন করে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক জ্বালানি কোম্পানি শেভরন। বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানিটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) শেভরনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ক্যাসুলোর নেতৃত্বে কোম্পানির একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের এ আগ্রহের কথা জানান।
এ সময় শেভরন কর্মকর্তারা জানান, অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ববর্তী শেখ হাসিনা সরকারের সময় দুই বছর ধরে বন্ধ থাকা কোটি কোটি ডলারের বকেয়া পরিশোধ শুরু করায় তারা সন্তুষ্ট।
ক্যাসুলো বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশের কারণে গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে। এটি শেভরনকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নতুন ড্রিলিং কার্যক্রমে বিনিয়োগে অনুপ্রাণিত করেছে।
নতুন গ্যাসের মজুত দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন অনশোর গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ করব।’
শেভরনের নতুন গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম বৃদ্ধির মধ্যে স্থানীয় কোম্পানিগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। আমরা এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। আমরা দেশে আরও সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।’
দেশে ভালো বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার যেসব সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে, এ সময় তার একটি সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।
অধ্যাপক ইউনূস স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য শেভরনের সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, সরকার আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে শেভরনের বকেয়া পরিশোধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
দেশের ভার গ্রহণের পরপরই শেভরন ও পেট্রোবাংলা ছয় মাসের ঋণ পরিশোধের চুক্তিতে পৌঁছেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
২ সপ্তাহ আগে
টানা চতুর্থ দিনেও পুঁজিবাজারের সূচকে পতন
বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবারও সূচকের পতন হয়েছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টায় ৬৩ হাজার ৩২৬টি লেনদেনের মাধ্যমে ১৭৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের কেনাবেচা হয়েছে। যা মঙ্গলবারের একই সময়ের তুলনায় ৪৭ কোটি টাকা কমেছে। গতকাল মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: ৩ দিনে ডিএসই সূচক কমেছে ১১২.৬৫ পয়েন্ট
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে মোট ৩৭৩টি কোম্পানি লেনদেন করেছে। এর মধ্যে ১৪০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮০টির শেয়ার। এটি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিশ্র মনোভাবকেই তুলে ধরে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৮৩ দশমিক ০৭ পয়েন্টে স্থির হয়। এদিকে ডিএসইএস শরিয়াহ্ সূচক শূন্য দশমিক ৭৯ পয়েন্ট সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫৪ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। তবে ডিএস৩০ এর ব্লু-চিপ শেয়ারগুলোর সূচক ১১ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৩১ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার প্রথম ঘণ্টায় ডিএসই সূচক ৬৪.৭৩ পয়েন্ট বেড়েছে
৩ সপ্তাহ আগে
এডিবি-বিশ্বব্যাংক থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ: অর্থসচিব
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৬০ কোটি ডলার এবং বিশ্বব্যাংক ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ঋণের প্রতিশ্রুতির পরিমাণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মজুমদার বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের মতো দাতা সংস্থাগুলো অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের বাস্তবায়িত নীতিগুলোকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
অর্থ সচিব বলেন, ‘আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নীতিগত পদক্ষেপগুলো ভাল ফলাফল দিয়েছে। তহবিলের ক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা এডিবির সঙ্গে ৬০ কোটি ডলার ঋণ নিয়ে সফলভাবে আলোচনা করেছি এবং ডিসেম্বরের মধ্যে এই তহবিল পাওয়ার আশা করছি।’
একই সময়সীমার মধ্যে ৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দিতে সম্মত হওয়া বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন তিনি। ‘শুরুতে, এই ঋণগুলো যথাক্রমে ৩০ কোটি ডলার এবং ২৫ কোটি ডলার নির্ধারণ করা হয়েছিল, তবে পরে অনুকূল আলোচনার কারণে তা দ্বিগুণ হয়।’
সরকার আইএমএফের কাছে আরও আর্থিক সহায়তা চেয়েছে উল্লেখ করে ড. মজুমদার বলেন, 'আমরা এ বছর আইএমএফের সহায়তায় অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলার চেয়েছি। ৪ ডিসেম্বর আইএমএফ’র প্রতিনিধি দল সফরের সময় আলোচনা শেষ হবে এবং আমরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি হবে ১০.১ শতাংশ: এডিবির পূর্বাভাস
অর্থ সচিব তার নীতিগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে অব্যাহত সমর্থন নিশ্চিত করতে সরকারের সক্ষমতায় আস্থা প্রকাশ করেন।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.১ শতাংশে নামাল এডিবি
৪ সপ্তাহ আগে
মূল্যস্ফীতি রোধে নীতি সুদহার ১০ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাজার থেকে অতিরিক্ত তারল্য তুলে নিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ হিসেবে আবারও নীতি সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে, যা আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকো গ্রুপে রিসিভার হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ইডি
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে নীতি সুদহার (রেপো রেট) ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে সংশোধন করে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যে অর্থ ঋণ নেবে, তার সুদের হার বাড়বে।
সাধারণত, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো প্রাথমিকভাবে মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলা এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য নীতি সুদহার বাড়ায়। সুদের হার বাড়ানোর মাধ্যমে, ঋণের ব্যয়ও বাড়বে, যা ভোক্তাদের ব্যয় এবং বিনিয়োগ হ্রাস করে, শেষ পর্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সহায়তা করে।
বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো দ্রুত বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলায় আর্থিক নীতিগুলো কঠোর করছে। এই পদক্ষেপটিও একটি বৃহত্তর প্রবণতাকে অনুসরণ করে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পলিসি ইন্টারেস্ট করিডোরে স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) সুদের হারের ঊর্ধ্বসীমা ১১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।
এছাড়া পলিসি ইন্টারেস্ট করিডোরের স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) সুদের হারের নিম্ন সীমা ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৮ বেসিস পয়েন্ট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা জারি
শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য আমদানি নীতিমালা শিথিল করল বাংলাদেশ ব্যাংক
১ মাস আগে
এলএনজি প্রকল্পে বাংলাদেশের খরচ হবে ৫০ বিলিয়ন ডলার: রিপোর্ট
ধরা, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মার্কেট ফোর্সেস এক প্রতিবেদনে বলেছে, নতুন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং আমদানি টার্মিনাল উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আনুমানিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হতে পারে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ধরা’র উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার এর সভাপতিত্বে এবং ধরা’র সদস্য সচিব শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মার্কেট ফোর্সেসের এশিয়া অ্যানার্জি অ্যানালিস্ট মুনিরা চৌধুরী।
এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, ইন্সটিটিউট ফর এনার্জি ইকোনোমিকস অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের এনার্জি ফর বাংলাদেশের লিড অ্যানালিস্ট শফিকুল আলম, মার্কেট ফোর্সেস’র এশিয়া এনার্জি ফাইন্যান্স ক্যাম্পেইনার মেগু ফুকুজাওয়া এবং থ্রিফিফটি ডট ওআরজি (350.org) সাউথ এশিয়ার মোবিলাইজেশন কো-অর্ডিনেটর আমানুল্লাহ পরাগ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শিগগিরই আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেটের এলএনজি সরবরাহকারীদের তালিকা করবে পেট্রোবাংলা
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নতুন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) প্রকল্প এবং আমদানি টার্মিনালগুলোর জন্য বাংলাদেশকে প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে। এই প্রকল্পগুলোর কারণে দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়বে। একই সঙ্গে দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব যেমন বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হবে।
এতে বলা হয়, বর্তমানে, বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুৎ খরচের চাপে রয়েছে। ব্যয়বহুল আমদানি করা এলএনজি’র ওপর নির্ভরতা অব্যাহত থাকলে এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। নতুন বিশ্লেষণে আরও প্রকাশ করা হয় যে, যখন দেশ তীব্র তাপপ্রবাহ এবং বিদ্যুতের চাহিদার সঙ্কটে রয়েছে, এলএনজির উপর ৫০ বিলিয়ন ডলারের এ বিনিয়োগের পরিবর্তে বাংলাদেশ ৬২ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করতে পারে, যা দেশের বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার দ্বিগুণ।
‘ব্যয়বহুল এলএনজি সম্প্রসারণ’ শিরোনামে এই নতুন প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের জিই ভার্নোভা ও জাপানের জেরার মতো বহুজাতিক কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে এলএনজি প্রকল্প সম্প্রসারণে আগ্রহী, যা দেশটির পরিবেশ ও স্থানীয় জনগণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে। জাপানের সরকারি সংস্থা জাইকা এবং এনার্জি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইকোনমিক্স জাপান (আইইইজে) বাংলাদেশে আমদানিনির্ভর ও এলএনজি-কেন্দ্রিক শক্তির মহাপরিকল্পনা তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে যে, প্রস্তাবিত ৪১টি নতুন গ্যাস চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন হবে, যা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যাগুলোর প্রকোপ বৃদ্ধি করবে এবং বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম খারাপ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।
ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, এই গ্যাস ও এলএনজি প্রকল্পগুলো আমাদের জনগণের সম্পদ দখল করে গড়ে উঠেছে। যারা এসব স্থাপনা গড়ে আমাদের সম্পদ দখল করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে ফৌজদারি মামলা দিতে হবে। তাদের কাছ থেকে জবাবদিহিতা চাইতে হবে। জনগণের ক্ষতি করে এমন কোনো প্রকল্প আমরা চাই না। অনুমান বাদ দিয়ে, আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিনিয়োগ করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করে সরকারের নীতিমালায় এই দাবি অন্তর্ভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
মার্কেট ফোর্সেসের এশিয়া এনার্জি বিশ্লেষক এবং প্রতিবেদনটির লেখক মুনিরা চৌধুরী বলেছেন, অন্যায্যভাবে বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশকে দূষণকারী তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসে নির্ভরশীল করার চেষ্টা করছে, যা কোটি মানুষের স্বাস্থ্য ও পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর।
বাংলাদেশের জনগণ দূষিত জীবাশ্ম গ্যাস নয়, বরং পরিচ্ছন্ন, নির্ভরযোগ্য এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও শ্বাস নেওয়ার জন্য সুস্থ বায়ু প্রাপ্য। জাপানি কোম্পানি ও অর্থদাতাদের জন্য এটাই বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তর এবং গ্রিড আধুনিকায়নে সহায়তা করার একটি সুবর্ণ সুযোগ।
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক এবং ধরা’র সদস্য সচিব শরীফ জামিল বলেন, জাইকা এবং আইইইজে’র প্রণীত ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি) অবশ্যই সংশোধন করা উচিত। কারণ এটি বাংলাদেশকে এলএনজির ওপর নির্ভরশীল করার দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।
এই প্রস্তাবিত এলএনজি প্রকল্পগুলো শুধু আর্থিকভাবে ক্ষতিকর নয় বরং আমাদের মূল্যবান বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশগত জীববৈচিত্র্যের জন্যও বিধ্বংসী, যার উপর লাখ লাখ মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল। সৌর ও বায়ুবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাংলাদেশের জন্য একটি নিরাপদ ভবিষ্যতের দিশা। যদিও জাপানি সংস্থাগুলোর বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ রয়েছে, জাইকা দ্বারা এই খাতে নীতি প্রণয়ন গুরুতর স্বার্থের দ্বন্দ্বের উদাহরণ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, জীবাশ্ম জ্বালনি এবং এলএনজির আমদানি দেশের জন্য আর্থিক আর্থিক বোঝা এবং প্রাণ-প্রকৃতির বিনাশের সঙ্গে জড়িত। বিগত সরকারের সময়ে এনার্জি সেক্টরে পরিকল্পনা করা হয়। বিশ্বব্যাংক, এডিবি ট্রান্সন্যাশনাল পুঁজির পলিসি উন্নয়নে কাজ করে। বিগত সরকার যে এনার্জি পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে তা অনিবার্য ছিল না। এর পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রযুক্তিগত বিকাশ দামে সস্তা। জীবাশ্মজ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো জলবায়ু বিপর্যয় জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের বাদ দিয়ে বিদেশি বিশেষজ্ঞদেরকে দিয়ে বিগত সরকারের এই জ্বালানি মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। নীতিগত জায়গা থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এই মহাপরিকল্পনা বাতিল করতে হবে। পিএসসিসহ অন্যান্য সকল নীতির পরিবর্তন না হয়, তাহলে বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গঠন করা যাবে না। এজন্য বাংলাদেশি পরিকল্পনাগুলো গ্রহণ করতে হবে আর বিদেশিদের প্রস্তুত সকল পরিকল্পনা বাতিল করতে হবে।
মার্কেট ফোর্সেস-এর এশিয়া এনার্জি বিশ্লেষক মুনিরা চৌধুরী বলেন,‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে যে এই ৫০ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে এলএনজি আমদানি টার্মিনাল এবং ৪১টি নতুন এলএনজি পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্মাণ, যার সম্মিলিত ক্ষমতা দেশের বিদ্যমান বিদ্যুৎ উৎপাদন বহরের চেয়ে বেশি।’
এই প্রকল্পের বিপুল নির্মাণ ব্যয়ের বাইরে, বাংলাদেশকে গ্যাস আমদানি করতে প্রতি বছর ৭ থেকে ১১ বিলিয়ন ডলারের অর্থ ব্যয় করতে হবে।
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য শক্তিতে ২৪০ গিগাওয়াট সৌর এবং ৩০ গিগাওয়াট উপকূলীয় বায়ুশক্তির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। পরিকল্পিত এলএনজি প্রকল্পগুলোর তহবিল নবায়নযোগ্য শক্তি ও গ্রিড উন্নয়নের দিকে পুনঃনির্দেশ করার আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: এলএনজি-সার, সয়াবিন তেল, চিনি ও ছোলা আমদানির অনুমোদন
১ মাস আগে