ব্যবসা-বাণিজ্য
পাঁচ কার্যদিবস পর সূচকের উত্থান দেখল পুঁজিবাজার
টানা পাঁচ কার্যদিবস পতনের পর অবশেষে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের দেখা মিলল ঢাকার পুঁজিবাজারে। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএএক্স ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।বেড়েছে শরীয়াভিত্তিক এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপের সূচকও। শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লুচিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।লেনদেনে দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। সারাদিন লেনদেন শেষে দাম বৃদ্ধির তালিকায় ছিল ১৭২ কোম্পানি। দাম কমেছে ১৬০ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।লেনদেন হওয়া ২১৭ ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৪, কমেছে ৬৫, অপরিবর্তিত আছে ৩৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৯ শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩০, কমেছে ৪৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।অন্যদিকে সূচক বাড়লেও ‘জেড’ ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারের দাম কমেছে। ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬, কমেছে ৪৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।রবিবার ডিএসইতে বেশিরভাগ মিচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত। ৩৭ মিচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম অপরিবর্তিত ছিল ১৮, বেড়েছে ৬ এবং কমেছে ১৩ কোম্পানির।এদিকে ‘জেড’ ক্যাটাগরি হওয়ার পরেও প্রায়শই লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে থাকা খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং-এর শেয়ারের দাম বৃদ্ধির ব্যাখ্যা চেয়েছে ডিএসই। গত ৪ মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির ৭ টাকায় বিক্রি হওয়া প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ৫৯ টাকা।জবাবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, পরিস্থিতি গোপন করে বাজারে কোনো গুজব ছড়াচ্ছেন না তারা। দাম যা বাড়ছে; তা বাজারে লেনদেনের কারণেই বাড়ছে।গত দিনের তুলনায় সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনও। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ৩৬৩ কোটি টাকার লেনদেন ৫ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৩৬৮ কোটি টাকা।ডিএসইতে সবকটি সূচক বাড়লেও সূচক কমেছে এসএমই খাতের শেয়ারে। লেনদেন শেষে এসএমইএক্স সূচক কমেছে ৭ পয়েন্ট। এ খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা।ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন। রবিবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সিএসসিএক্সের সূচক বেড়েছে ৬ পয়েন্ট এবং মোট লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা।লেনদেন শেষে সিএসইতে দাম বেড়েছে ৮৫, কমেছে ৮১ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
৩ ঘণ্টা আগে
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ বশিরউদ্দীন।রবিবার (১৯ জানুয়ারি) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।ভোক্তাদের অধিকার সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘সঠিক প্রচারপত্র তৈরি করে অংশীজনদের কাছে পৌঁছাতে পারলে সেলফ কারেকশন (আত্মসংশোধন) চলে আসবে। ভোক্তা তার অধিকার জানতে পারলে তার মধ্যে সেটা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হবে।’‘ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে আমরা সবাই ভোক্তা। নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে,’ বলেন বশিরউদ্দীন।‘প্রত্যেক মানুষের সমাজে দায় রয়েছে, সে দায় সম্পর্কে তাদের অবহিত করা দরকার।’
আরও পড়ুন: চালের দাম বৃদ্ধিতে জনদুর্ভোগ হয়েছে, স্বীকার করলেন বাণিজ্য উপদেষ্টাপ্রয়োজনে শিক্ষা কার্যক্রমে ভোক্তার অধিকার ও নৈতিকতা বাড়ানোর কনসেপ্ট (ধারণা) অন্তর্ভুক্ত করার আহবান জানান তিনি।বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল আলিম খান, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রশাসক হাফিজুর রহমান, কনজুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির ভূইয়া, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন।
১০ মিনিট আগে
প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনের শুরুতে সূচকের সামান্য উত্থান
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের সামান্য উত্থান হয়েছে।রোববার (১৯ জানুয়ারি) লেনদেন শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১ পয়েন্ট।বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ পয়েন্ট বাড়লেও ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৫, কমেছে ১১৬ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: পুঁজিবাজারে টানা চার দিন সূচকের পতন
শেয়ার লেনদেনে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি লিমিটেড তাদের প্রাইস লিমিট তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর পাশাপাশি কোম্পানিটি জানিয়েছে গতবছর জুলাই প্রান্তিকে তারা বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না। বিনিয়োগের আলাদা লভ্যাংশ না দিলেও শেয়ারপ্রতি অর্জনের (ইপিএস) মূল্য ৫ টাকা ১ পয়সা হবে বলে প্রকাশ করেছে কোম্পানিটি।এদিকে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারের লেনদেন। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ১১ পয়েন্ট।সিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৭, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। প্রথম ঘণ্টায় সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬২ লাখ ২৯ হাজার টাকা।
৫৮ মিনিট আগে
বিশেষ বিবেচনায় রমজান, মূল্যস্ফীতি কমবে জুন-জুলাইতে: গভর্নর
২০২৫ সালের জুন-জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি জানিয়েছেন, বাজার স্বাভাবিক করতে এরইমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে রমজান মাসকে সামনে রেখে পণ্য আমদানিতে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ সুবিধা।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যয় বাড়াচ্ছে ক্রমাগত। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সুদহার সহনীয় পর্যায়ে রাখার ওপর জোর দেন তিনি।
এছাড়া ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের সুবিধা পেতে প্রায় ৩১ রকমের ডকুমেন্ট প্রদান করতে হয়। এ কারণে অনেক সময় ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন তারা। বিষয়টি সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানান এ ব্যবসায়ী নেতা।
এর বাইরে দেশের অর্থনীতিতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যাংক ঋণের শ্রেণিকরণের সময়সীমা ৩ মাস থেকে আরও ৬ মাস বাড়ানোর দাবি জানান ঢাকা চেম্বার সভাপতি।
জবাবে গভর্নর বলেন, ‘আসন্ন রমজান মাসে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে, বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে কোনো ধরনের মার্জিন ছাড়াই এলসি (ঋণপত্র) খুলতে ব্যাংকগুলোকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
‘মূল্যস্ফীতি কমে এলে পরিস্থিতি বিবেচনায় সুদের হার বাজার পর্যালোচনার ভিত্তিতে আরও হ্রাস করা সম্ভব হবে। ব্যাংক ঋণের শ্রেণিকরণের সময়সীমা বর্তমানে ৩ মাস থেকে বাড়ানো যায় কিনা— সে ব্যাপারে বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।’
দেশের ডলারের বাজার প্রসঙ্গে ইতিবাচক বার্তা দিয়ে গভর্নর বলেন, ‘এ মুহূর্তে বাজারে ডলারের তেমন কোনো সংকট নেই এবং ডলারের মূল্যও বেশ স্থিতিশীল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের মূল্য নির্ধারণ করবে না, এটা নির্ধারিত হবে ডলারের আমদানি ও চাহিদার ভিত্তিতে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে স্থানীয় বাজারে ডলারের মূল্য স্থিতিশীল আছে। রেমিট্যান্স প্রবাহও বেশ ইতিবাচক। রপ্তানি আয় ঊর্ধ্বমুখী এবং রিজার্ভও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এর সুফল শিগগিরই দেশের মানুষ ভোগ করতে পারবে।’
এছাড়া দেশের বাইরে ব্যবসায়িক অফিস খোলার বিদ্যমান শর্তাবলি আরও শিথিল করার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে বলে ব্যবসায়ী নেতাদের আশ্বাস দেন তিনি।
২ দিন আগে
পুঁজিবাজারে টানা পাঁচ কার্যদিবস পতনে শেষ হলো সপ্তাহ
ঢাকার পুঁজিবাজারে টানা পাঁচ কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে শেষ হয়েছে এ সপ্তাহের লেনদেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ পয়েন্ট কমে সার্বিক সূচক দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে।
বছাইকৃত শেয়ার ব্লুচিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৪ পয়েন্ট আর শরীয়াভিত্তিক শেয়ার ডিএসইএসের সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট।
গত দিনের তুলনায় আজ (বৃহস্পতিবার) ৪৩ কোটি টাকা কম লেনদেন হয়েছে। ১ লাখ ২৯ হাজার শেয়ার ১৪ কোটি ৮৩ লাখ বার হাতবদলের মাধ্যমে এদিন মোট লেনদেন হয়েছে ৩৬৩ কোটি টাকা।
সূচক কমার পাশাপাশি দাম কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির। এর মধ্যে ১৪১ কোম্পানির দাম বেড়েছে, ১৯৬টির কমেছে এবং ৬২ কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে।
ডিএসইর ‘এ’ ক্যাটাগোরির ২২০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ৯৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৮৮টি কোম্পানির মধ্যে বেড়েছে ২৪টির, কমেছে ৫৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এছাড়া ‘জেড’ ক্যাটাগরির ৮৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ৪৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিন বেশিরভাগ মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারের দাম কমেছে। ৩৭টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭টির, কমেছে ১২টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮টির দাম।
বৃহস্পতিবার সি অ্যান্ড এ টেক্সটাইল কোম্পানিকে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে ডিএসই। এই কোম্পানির শেয়ার কেনার জন্য কোনো ধরনের ঋণ না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে।
এদিকে, বিনিয়োগকারীদের গত বছর জুলাই প্রান্তিকের লভ্যাংশের টাকা দিয়েছে ইফাদ অটোস পিএলসি। বিগত এক দশকে সর্বনিম্ন লভ্যাংশ দিয়েছে ইফাদ। শেয়ারপ্রতি বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ পেয়েছেন মাত্র ১ শতাংশ হারে।
অপরদিকে, পতনের ধারা অব্যাহত রয়েছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসই-৫০ সূচক ৩ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট ও সিএসই-৩০ সূচক ৫৫ দশমিক ৩১ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১ হাজার ৯৬ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে ও ১১ হাজার ৭৫৯ দশমিক ৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর সিএসআই সূচক ৫ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে ৯৩৪ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
শুধু সূচকের পতন নয়, আজ লেনদেনও কমেছে সিএসইতে। গত দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার ৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার লেনদেন কম হয়েছে। দিন শেষে দেখা গেছে, সারা দিনে লেনদেন হয়েছে মোট ৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৭টির, কমেছে ৯৬টির ও অপরিবর্তিত আছে ২৫টি কোম্পানির শেয়ারদর।
২ দিন আগে
পুঁজিবাজারে টানা চার দিন সূচকের পতন
লেনদেন বাড়লেও টানা চার দিনের মতো সূচকের পতন হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৮ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ব্লুচিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৬ এবং শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস কমেছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৫ কোম্পানির এবং কমেছে ১৮২টির। দাম অপরিবর্তীত ছিল ৬৯ কোম্পানির।
সূচক কমলেও গতদিনের থেকে লেনদেন বেড়েছে ৫৫ কোটি টাকা। ১ লাখ ৪৩ হাজার শেয়ার ১৬ কোটি ৯০ লাখ বার হাতবদলে হয়ে মোট লেনদেন হয়েছে ৪০৬ কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪ কোম্পানির, কমেছে ১২৭ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আরও পড়ুন: ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই পুঁজিবাজারেই সূচকের পতন
বি ক্যাটাগরির ৮৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪১ কোম্পানির, কমেছে ৩৫ এবং অপরিবর্তীত ছিল ১৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
জেড ক্যাটাগরিতে ৮৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৭, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
মঙ্গলবার ডিএসই তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। জিপিএইচ ইস্পাত এবং জেএমআই সিরিঞ্জ অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইস ২০২৪ সালে শেয়ার বিনিয়োগের বিপরীতে ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিয়েছে।
এদিকে তিন কোম্পানিকে এ ক্যটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে ডিএসই। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং সি-পার্ল বিচ রিসোর্ট ক্যাটাগরি হারিয়ে অবস্থান করছে জেডে।
ডিএসই এসব কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের ঋণ সুবিধা না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট কোম্পানিগুলোকে।
আরও পড়ুন: উত্থানে শুরু হলেও শেষমেশ আবারও পতন পুঁজিবাজারে
পতনের ধারা বজায় আছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৫, কমেছে ৮১ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৭ কোম্পানির।
৩ দিন আগে
উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির
সূচকের উত্থান দিয়ে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে পয়েন্ট বেড়েছে তিনটি সূচকেই। দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৫ পয়েন্ট। অন্য দুই সূচক ব্লুচিপ কোম্পানির ডিএস-৩০ ১ পয়েন্ট এবং শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।লেনদেনের শুরুতেই বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বেড়েছে। প্রথম ঘণ্টায় দাম বেড়েছে ২৩৫টি কোম্পানির, কমেছে ৪৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।দিনের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি টাকা। ৩ লাখ ৯১ হাজার ৯৪টি শেয়ার মোট ৬ কোটি ১২ লাখ বার বেচাকেনা হয়ে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১১৭ কোটি টাকা।এদিকে লেনদেনের শুরুতেই তিন কোম্পানিকে এ ক্যাটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করেছে ডিএসই। সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং সি-পার্ল বিচ রিসোর্ট ক্যাটাগরি হারিয়ে অবস্থান করছে জেডে।ডিএসই এসব কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের ঋণ সুবিধা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ব্রোকারেজ হাউস এবং মার্চেন্ট কোম্পানিগুলোকে।দিনের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের উত্থানের ধারা বজায় রেখেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। সিএসইএক্স সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়েছে। প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি টাকা।
৪ দিন আগে
ঢাকা-চট্টগ্রাম দুই পুঁজিবাজারেই সূচকের পতন
ঢাকা-চট্টগ্রাম পুঁজিবাজারে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সোমবারের (১৩ জানুয়ারি) লেনদেন।দিনের শুরুতেই সূচক কমতে থাকে পুঁজিবাজারে। প্রথম ঘণ্টার পর সূচক কিছুটা বাড়লেও লেনদেনে শেষে কমেছে তিনটি সূচকও। এরমধ্যে প্রধান সূচক ডিএসইএস কমেছে ৪ পয়েন্ট।বাছাইকৃত শেয়ার ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে দশমিক ৯৪ পয়েন্ট এবং শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস কমেছে দশমিক ৬১ পয়েন্ট। গত দুই দিনে ডিএসই সূচক হারিয়েছে ৪২ পয়েন্ট।সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে পুঁজিবাজারে। সোমবার পুঁজিবাজারে লেনদেন শেয়ার এবং বন্ড লেনদেন হয়েছে ৩৯৭ কোটি টাকা, যা গতদিনের থেকে ২৬ কোটি টাকা বেশি।লেনদেন হওয়া শেয়ারের মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানিরই দাম ছিল নিম্নমুখী। লেনদেনে দাম কমেছে ২৪৭টি কোম্পানির এবং বেড়েছে ৯১টি কোম্পানির। দাম অপরিবর্তিত ছিল ৬২টি কোম্পানির।একই অবস্থা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই)। সিএসই'র সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩৮ পয়েন্ট। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১৯৮টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১১৮টির, বেড়েছে ৫০টির এবং অপরিবর্তীত আছে ৩০টির।সোমবার চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে মোট ৫৪ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার এবং বন্ড লেনদেন হয়েছে।
৫ দিন আগে
‘শুল্ক ও করহার বাড়ানো অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী’
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি সংকটময় মুহূর্ত ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার মূল কারণ হলো— সীমিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানি ব্যয়, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতাসহ উচ্চ সুদহার।
তাছাড়া বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অর্থনীতির বিদ্যমান এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধিসহ বেশকিছু পণ্যের করহার বৃদ্ধি এবং শিল্পে গ্যাসের মূল্য দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর উদ্যোগ ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতর জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন তিনি।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দেশের সমসাময়িক অর্থনীতির বিভিন্ন দিক উপস্থাপনকালে এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থনীতির ১১টি বিষয়বস্তুর ওপর বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ২০২৫ সালে ডিসিসিআইর কর্মপরিকল্পনার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই সভাপতি।
এ সময় তিনি জানান, বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, আমদানি খরচ বৃদ্ধি, উচ্চ জ্বালানি ব্যয় ও নিরবিচ্ছিন্ন জ্বালানি প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ প্রাপ্তিতে বাধা ও সুদের উচ্চ হার, উচ্চ শুল্কহার, ভ্যাটহার বৃদ্ধি ও সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মতো কারণে দেশের বেসরকারি খাত এমনিতেই বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। এ বছর ঢাকা চেম্বার তাই সুদের হার কমানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার ওপর অধিক হারে গুরুত্বারোপ করবে।
আরও পড়ুন: এসি, মোটরসাইকেল ও ফ্রিজ শিল্পে দ্বিগুণ করের বোঝা
সাংবাদিকদের প্রশ্নত্তোরকালে তাসকীন আহমেদ বলেন, সিএসএমই খাতে ঋণ প্রাপ্তি হলেও তা কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নয়, এটি বাড়াতে হবে এবং এ খাতের উদ্যোক্তারা যেন সহজ শর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ পায় তা নিশ্চিতকরণের কোন বিকল্প নেই। কারণ আমাদের এসএমই খাত সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে থাকে।
অর্ন্তবর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার দ্রুত এ সংস্কার কার্যক্রম লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সম্পন্ন করবে, বেসরকারিখাতের পক্ষ থেকে এটি আমরা আশা করছি।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে যদি সরকার প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়, তাহলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আরও আশাবাদী হবেন এবং বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
নীতির ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদী সহায়ক কর কাঠামো প্রাপ্তি সাপেক্ষে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে উৎসাহিত হন। সেক্ষেত্রে হঠাৎ মাঝপথে কর কিংবা শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত উদ্যোক্তাদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে যা মোটেই কাম্য নয়। এর ফলে স্থানীয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগও বাধাগ্রস্ত হয় এটি মোটেই কাম্য নয়।
এলডিসি উত্তোরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে আমরা অর্থনৈতিকভাবে মোটামুটি সঠিক পথেই এগোচ্ছিলাম। তবে কোডিভ মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা, স্থানীয় রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনসহ আর্থিক খাতে তারল্য সংকটের ফলে এলডিসি উত্তরণ মোকাবিলার প্রস্তুতি বেশ বাধাগ্রসস্ত হয়েছে। এমতাস্থায় বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমরা কতটা প্রস্তুত তা নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি ও অন্যান্য অংশীজনদের মাঝে বিশদ আলোচনার ভিত্তিতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শিল্পে গ্যাসের মূল্য ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে: ডিসিসিআই
বিষয়টি যদি পেছানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভত হয়, তবে দেশের সার্বিক অর্থনীতির কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার এলডিসি উত্তরণে আরও কিছুটা সময় নিতে পারে এবং এ লক্ষ্যে সবার সম্মিলিত সিদ্ধান্তের কোনো বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।
তবে ২০২৬ সালে আমাদের এলডিসি উত্তরণ হলে এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে বেসরকারি খাতকে সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবেও তিনি মনে করিয়ে দেন।
এমনিতেই আমাদের জিডিপিতে করের অবদান বেশ কম। এরূপ পরিস্থিতিতে বিদ্যমান অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলায় সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছসাধনের কোনো বিকল্প নেই বলে মত প্রকাশ করেন ডিসিসিআই সভাপতি। পাশাপাশি সরকারকে এ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
এইসঙ্গে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ না করা এবং এডিপি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতার পাশাপাশি সময় মতো প্রকল্প সমাপ্তিতে নজরদারি বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআই জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী ও সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
১ সপ্তাহ আগে
বিনিয়োগকারীদের বাজার বিমুখের ব্যাখ্যা দিল বিএসইসি
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বর্তমান পুঁজিবাজারে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা ও বিগত সময়ে লটারির মাধ্যমে খোলা বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট বাতিলের ফলে গেল আট বছরে বিও অ্যাকাউন্ট কমেছে বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে।বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম জানান, দেশের পুঁজিবাজারে আইপিও শেয়ার বরাদ্দের ক্ষেত্রে পূর্বে প্রচলিত লটারি সিস্টেমে নামে-বেনামে, নিবাসী-অনিবাসী ব্যক্তিরা একাধিক বিও আকউন্ট খুলে লটারিতে আবেদন করতেন। কিন্তু পরবর্তীতে কমিশন ২০২১ সালে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রে আইপিও শেয়ার বরাদ্দে লটারি সিস্টেম বাতিল করে আনুপাতিক শেয়ার বণ্টনের পদ্ধতি চালু করে।‘এতে আগের তুলনায় শেয়ার প্রাপ্যতার হার কমে যায়। নামে-বেনামে খোলা বিও হিসাবের বার্ষিক হিসাব ফি পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকায় অধিকাংশ বেনামি বিও হিসাব বন্ধ করে দেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে বাজারে সক্রিয় বিও হিসাবের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।’এছাড়া সরকারি সিকিউরিটিজের (সঞ্চয়পত্র, ট্রেজারি বিল, ট্রেজারি বন্ড ইত্যাদি) মুনাফার হার ঊর্ধ্বমুখী এবং ঝুঁকিমুক্ত হওয়ায় অপেক্ষাকৃত ঝুঁকিপূর্ণ পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগকারীদের অনেকে দূরে সরে গেছেন। অনেকে আবার পুঁজিবাজার থেকে কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জন করতে না পারার কারণেও হতাশ হয়ে বাজার ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানায় বিএসইসি।বিগত এক বছরে ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচক কমেছে প্রায় এক হাজার। এ প্রসঙ্গে বিএসইসি জানায়, বিগত কয়েক বছরে পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেনের নিন্মমুখী প্রবণতার কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তাদের কষ্টার্জিত টাকা ঝুঁকিপূর্ণ এ খাতে বিনিয়োগে করছেন না। এছাড়া পুঁজিবাজারে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা কমে যাওয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন।এর বাইরে পারিপার্শ্বিক অস্থিতিশীল বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনৈতিক অবস্থা, কোভিড পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা ও দীর্ঘমেয়াদী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মুনাফা কমে যাওয়ার প্রভাবও বিও অ্যাকাউন্ট কমার পেছন দায়ী বলে মনে করে বিএসইসি।তবে ইতিবাচক বার্তা দিয়ে রেজাউল বলেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা কমলেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে, যা পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক।বর্তমান কমিশনের সংস্কারমূলক কার্যক্রমের ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং আগামীতে বিও হিসাবের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রত্যাশা এ কর্মকর্তার।প্রসঙ্গত গত আট বছরে পুঁজিবাজার থেকে ১২ লাখ বিনিয়োগকারী মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে পুঁজিবাজারে অর্থলগ্নিকারীদের বিনিফিশিয়ারি ওউনার (বিও) অ্যাকাউন্ট কমতে কমতে ২০২৪ এ এসে অবস্থান করছে সর্বনিম্নে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৬ সালে ঢাকার পুঁজিবাজারে মোট বিও অ্যাকাউন্ট ছিল ২৯ লাখ ২৯ হাজার ১৮৯টি, যা ২০২৪ সালে কমে হয়েছে ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৯৫২। এতে করে আট বছরে ১২ লাখ ৬৪ হাজার ২৩৭ জন বিনিয়োগকারী হারিয়েছে পুঁজিবাজার। ২০২৩ সালে বাজারে বিও অ্যাকাউন্টধারী ছিলেন ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ১০৪ জন। সে হিসাবে এক বছরে বিনিয়োগকারী কমেছে ৯০ হাজারেও বেশি।
১ সপ্তাহ আগে