অন্যান্য
বাংলাদেশের সংগীত নিয়ে কাজ করতে চান রাহাত ফাতেহ আলী খান
বাংলাদেশের সংগীত নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী রাহাত ফাতেহ আলী খান। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়নেও কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে রবিবার (২২ ডিসেম্বর) তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে নিজের এই আগ্রহের কথা জানান তিনি।
এ সময় তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘রাহাত ফাতেহ আলী খান একজন গুণী ব্যক্তি। তিনি শুধু পাকিস্তানের নন, উপমহাদেশ তথা সারা বিশ্বের সংগীত জগতের সম্পদ। বাংলাদেশে তার অনেক ভক্ত রয়েছে।’
শনিবার ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্টের জন্য রাহাত ফাতেহ আলীকে ধন্যবাদ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এ ধরনের একটি কনসার্ট আয়োজনের প্রয়োজন ছিল।’
বাংলাদেশে আমন্ত্রণের জন্য রাহাত ফাতেহ আলী খানও বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ ওয়াসিফ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৬ ঘণ্টা আগে
ক্ষমা চেয়ে টিএসসিতে 'প্রিয় মালতি'র পোস্টার ছিঁড়লেন মেহজাবিন
আগামীকাল শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত 'প্রিয় মালতি' সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে ছোট পর্দার অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরীর।
এই অভিনেত্রী ও পুরো টিম যখন সিনেমার প্রচারে ব্যস্ত, তখন বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) সোহাগী জাহান তনুর দেয়ালচিত্রের ওপর পোস্টার লাগানো নিয়ে হঠাৎ বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
২০১৬ সালের মার্চে কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী এবং ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সদস্য সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণ করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পোস্টার লাগানোর ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠলে অবশেষে বুধবার সন্ধ্যায় টিএসসিতে গিয়ে সোহাগী জাহান তনুর দেয়ালচিত্রের ওপর লাগানো পোস্টারটি ছিঁড়ে ফেলেন মেহজাবিন।
এর আগে সিনেমার প্রচারের জন্য টিএসসিতে গিয়ে নিজ হাতে বিভিন্ন দেয়ালে 'প্রিয় মালতি'র পোস্টার লাগিয়ে দেন এই অভিনেত্রী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে মেহজাবিনকে তনুর গ্রাফিতি আঁকা দেয়ালে পোস্টার লাগাতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খানের ঢাকা কনসার্টের টিকেট কিনবেন যেভাবে
বিষয়টি নিয়ে অভিনেত্রী সমালোচনার মুখে পড়েন এবং নেটিজেনদের কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন, তার মতো একজন তারকা কীভাবে তনু বা জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতিতে পোস্টার লাগিয়ে নিজের সিনেমার প্রচার করতে পারেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রিফাত রশিদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে মেহজাবিনকে নেটিজেনদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তারা।
রিফাত ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘মেহজাবিন আমার শহীদ বোন তনুকে চেনে না? দেয়ালচিত্রের উপর পোস্টার লাগানোর সাহস হয় কী করে? টিএসসিতে এই পোস্টার আমরা ছিঁড়ব না, মেহজাবিন চৌধুরী। আপনারা নিজেরাই এসে এই পোস্টারটি ছিঁড়ে ফেলবেন।’
এর কিছুক্ষণ পর মেহজাবিন টিএসসিতে হাজির হয়ে নিজ হাতে সরিয়ে ফেলেন তার প্রথম চলচ্চিত্র 'প্রিয় মালতি'র পোস্টার। বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি।
ওই পোস্টে মেহজাবিন লেখেন, 'প্রিয় মালতি' ছবির প্রচারণার জন্য আমাদের দল আজ (১৮ ডিসেম্বর) টিএসসিতে গিয়েছিল। ছবিটির প্রচারে অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন এবং প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে প্রচারটি দ্রুত শেষ করতে হয়েছিল। প্রয়াত সোহাগী জাহান তনুর দেয়ালচিত্রের ওপর ভুল করে ও অনিচ্ছাকৃত একটি পোস্টার লাগানো হয়। তনুর মর্মান্তিক ঘটনার কথা আমরা সবাই জানি এবং তার হত্যার বিচারের জন্য লড়াই এখনও চলছে।’
তিনি আরও বলেন, 'পোস্টার নিয়ে যা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত, ভুল। আমরা তৎক্ষণাৎ পোস্টারগুলো সরিয়ে ফেলি এবং এক মিনিটের নীরবতাও পালন করি। আশা করি আমাদের অনিচ্ছাকৃত অব্যবস্থাপনা ক্ষমা করে দেবেন।’
তবে অনেক নেটারিক এই ঘটনাকে নেতিবাচক প্রচার এবং বিপণন কৌশল বলে অভিহিত করেছেন। ঘটনাটিকে বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন।
'প্রিয় মালতি' ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবিন চৌধুরী। সামাজিক সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা নিম্ন-মধ্যবিত্ত নারীর চরিত্র মালতি রানী দাস। প্রাথমিকভাবে টেলিভিশন এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ১৫ বছরের ক্যারিয়ারের পরে চলচ্চিত্রটি তার প্রথম বড় পর্দায় উপস্থিতি।
২০ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাওয়া 'প্রিয় মালতি' সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে 'ইউ' রেটিং (সব বয়সের দর্শকদের জন্য উপযুক্ত) পেয়েছে এবং এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন উৎসব থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকির সহযোগিতায় ফ্রেম পার সেকেন্ড প্রযোজিত এই ছবির লেখক ও পরিচালক শঙ্খ দাশগুপ্তের ফিচার ফিল্ম।
আরও পড়ুন: কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন
৩ দিন আগে
ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খানের ঢাকা কনসার্টের টিকেট কিনবেন যেভাবে
বহুল প্রতীক্ষিত ‘ইকোস অফ রিভোলিউশন’ কনসার্টের মাহেন্দ্রক্ষণ একদম সন্নিকটে। আগামী ২১ ডিসেম্বর শনিবার কনসার্টের মধ্যমণি হয়ে পারফর্ম করবেন প্রখ্যাত পাকিস্তানি সঙ্গীতশিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান। এই জমকালো আয়োজন উপভোগের জন্য রাখা হয়েছে ডিজিটাল টিকেট বুকিং পদ্ধতি। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে অনলাইন টিকেট বিক্রির কার্যক্রম। চলুন, রাহাত ফতেহ আলী খানের ঢাকা কনসার্টের টিকেট কেনার এই ইলেক্ট্রনিক প্রক্রিয়া সহ কনসার্টটির বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ফতেহ আলী খানের কনসার্টের টিকেট কেনার উপায়
প্রথমে সরাসরি চলে যেতে হবে গেট সেট রক নামক অনলাইন টিকেটিং প্ল্যাটফর্মে (https://getsetrock.com/buy-ticket/echoes-of-revolution-j01)। শুরুতেই দেখা যাবে তিন ধরনের টিকেট ক্যাটাগরি, যেগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে কনসার্টে অবস্থানের ভিত্তিতে। ভিআইপি (১০ হাজার টাকা), ফ্রন্ট রো ( সাড়ে ৪ হাজার টাকা) এবং জেনারেল (আড়াই হাজার টাকা)।
তিনটির যেকোনোটিতে ক্লিক করলে নিচে ‘বাই এ টিকেট নাউ’ শিরোনামের ফর্মটি আসবে। এখানে ক্রমানুসারে নাম, ই-মেইল ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার ও জন্ম তারিখ বসাতে হবে।
আরো পড়ুন: ঈদুল ফিতর ২০২৫-এ মুক্তি বরবাদ ও দাগি: আবারও মুখোমুখি শাকিব খান ও আফরান নিশো
এই সিস্টেমের মাধ্যমে একবারে সর্বোচ্চ ৫টি টিকেট বুক দেওয়া যাবে। তাই সে অনুসারে প্রযোজ্য সংখ্যাটি টিকেট কোয়ান্টিটির ঘরে বসাতে হবে। তবে প্রত্যেকটিতেই থাকবে একক ও অদ্বিতীয় টিকেট নাম্বার এবং একটি টিকেট শুধুমাত্র একজনের জন্যই প্রযোজ্য।
ফর্মের নিচে উল্লেখিত র্শত স্বীকারক্তিতে টিক চিহ্ন দিয়ে ‘বাই নাউ’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর আসবে টিকেট মূল্য পরিশোধের পালা। এখানে অনলাইন পরিশোধের মাধ্যম হিসেবে মোবাইল পেমেন্ট গেটওয়ে, অনলাইন ব্যাংকিং এবং কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এই পরিশোধের সঙ্গে সঙ্গেই কনসার্টের জন্য টিকেট নিশ্চিত হয়ে যাবে। আর এর ফলে টিকেট ক্রেতার নাম চূড়ান্তভাবে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে কনসার্টের জন্য নিবন্ধিত হবে।
‘ইকোস অফ রিভোলিউশন’ কনসার্টে প্রবেশের নির্দেশনা
শুধুমাত্র অনলাইন নিবন্ধনই কনসার্টের দর্শক হিসেবে তালিকাভুক্তির একমাত্র মাধ্যম। কোনো ধরনের কাগজের টিকেট অনুমোদনযোগ্য নয়। প্রবেশের সময় ছবির মাধ্যমে যাচাইয়ের জন্য টিকেটধারীদের অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের মতো বৈধ নথি সঙ্গে রাখতে হবে।
আরো পড়ুন: আল্লু অর্জুনের পুষ্পা-২ রিভিউ: ছবি নিয়ে যত হইচই
প্রবেশকালে যাচাইকরণ সম্পন্ন হয়ে গেলে একটি টোকেন দেওয়া হবে। আর এই টোকেনটিই মূলত টিকেটের হার্ডকপি হিসেবে কাজ করবে, যার মাধ্যমে দর্শকরা কনসার্টে প্রবেশ করতে পারবেন। তাই এটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে সংরক্ষণ করতে হবে।
রাহাত ফতেহ আলীর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য কনসার্টের বৃত্তান্ত
কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে শনিবার (২১ ডিসেম্বর)। দর্শকদের জন্য প্রধান ফটক খোলা হবে দুপুর ২টায় এবং কনসার্ট বিকাল ৪টায় শুরু হয়ে চলবে সন্ধ্যা ৭টার আগ পর্যন্ত।
ফতেহ আলী খান ছাড়াও এই আয়োজনে থাকবে আর্টসেল, চিরকুট এবং আফটারম্যাথ ব্যান্ডের সঙ্গীত পরিবেশনা। বিনোদনে বৈচিত্র্য আনতে যোগ করা হয়েছে র্যাপ শিল্পী শেজান ও হান্নান এবং কাওয়ালি শিল্পীগোষ্ঠী সিলসিলাকে। এছাড়াও রয়েছে জুলাই বিপ্লব নিয়ে গ্রাফিতি প্রদর্শনী এবং একটি মঞ্চ নাটক।
আরো পড়ুন: ৩৬-২৪-৩৬: কারিনা কায়সার বনাম সমাজে নারীর প্রথাগত সৌন্দর্য্যের মাপকাঠি
আয়োজক হিসেবে রয়েছে শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তৈরি সংগঠন ‘স্পিরিট অব জুলাই’। সামগ্রিক অর্থায়নে রয়েছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি।
কনসার্টটির মূল উদ্দেশ্য জুলাই আন্দোলনে শহীদদের পরিবার এবং আহতদের সহায়তা করা। তাই এর টিকেট বিক্রি থেকে আয়কৃত অর্থ কাজে লাগানো হবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদানে।
উল্লেখ্য যে, ফতেহ আলী খান তার এই পরিবেশনের জন্য কোনো পারিশ্রমিক নিচ্ছেন না।
আরো পড়ুন: লাকি ভাস্কর মুভি রিভিউ: সততা বনাম লোভের এক জমজমাট গল্প
পরিশিষ্ট
ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খানের ‘ইকোস অফ রিভোলিউশন’ কনসার্টের বিশেষত্বের নেপথ্যে রয়েছে বিগত জুলাই বিপ্লবের চেতনা। আয়োজনে ব্যান্ড, র্যাপ, কাওয়ালি সঙ্গীত, গ্রাফিতি প্রদর্শন এবং মঞ্চ নাটকের বৈচিত্র্যময় সংযোজন দর্শকদের আগ্রহের খোরাক যোগাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজনে আগ্রহীদের যোগদানের প্রক্রিয়াকে সহজ করে তুলেছে গেট সেট রক। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটির সহজবোধ্য ইন্টারফেস কারিগরি জটিলতামুক্ত থেকে টিকেট সংগ্রহের ক্ষেত্রে সহায়ক। কনসার্টের টিকেট বিক্রি থেকে সংগৃহীত অর্থ ব্যয় হবে বিপ্লবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার কাজে।
আরো পড়ুন: মুক্তি পাচ্ছে মেহজাবীনের প্রথম চলচ্চিত্র ‘প্রিয় মালতী’
৪ দিন আগে
কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন
দ্রোহ আর প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ মারা গেছেন। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) শাহবাগের সুপার হোম হোস্টেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
সুপার হোস্টেলের ওয়াশরুমের দরজা খুলে মৃত অবস্থায় দেখতে পাওয়া গেছে। দুপুর সোয়া ২টার দিকে ওয়াশরুমের দরজা খোলা হয়।
জানা যায়, পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন, এতে রক্তক্ষরণও হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে তার মরদেহ আছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকে হোটেলের লোকজন তাকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসেন। পুলিশ বিষয়টি তত্বাবধায়ন করছে।’
আরও পড়ুন: জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর নেই
গত কয়েক বছর ধরে গ্লুকোমা, কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়বিক ব্যাধিসহ একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন প্রতিভাধর এই কবি।
সাংবাদিক মাহমুদ হাফিজ জানিয়েছেন, আগামীকাল (শনিবার) বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে কবির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
কবি হেলাল হাফিজ ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা খোরশেদ আলী তালুকদার পেশায় ছিলেন স্কুলশিক্ষক আর মা কোকিলা বেগম গৃহিণী।
অনেকটা বোহেমিয়ান জীবন কাটালেও সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন কবি হেলাল হাফিজ।
সাংবাদিক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করেছেন তিনি। সর্বশেষ দৈনিক যুগান্তরে কর্মরত ছিলেন কবি।
হেলাল হাফিজের প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'যে জলে আগুন জ্বলে' প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। তার দ্বিতীয় এবং শেষ কাব্যগ্রন্থ 'বেদনাকে বলেছি কেঁদো না' প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালে।
সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৩ সালে তিনি কবিতায় বাংলা একাডেমী পুরস্কার পান।
১ সপ্তাহ আগে
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর নেই
বাংলাদেশের কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
তার স্বামী সারোয়ার আলম গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
তিন বছর ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে চলা একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সংগীতশিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বুধবার তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী ও দুই মেয়ে জারা সারোয়ার ও জিশা সরওয়ার পাপিয়াকে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফরে সঙ্গীতশিল্পী রাহুল আনন্দের স্টুডিও পরিদর্শন করবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
২১ নভেম্বর বরিশালের এক সংগীতপ্রেমী পরিবারে জন্ম নেওয়া পাপিয়া সরওয়ার ভারত সরকারের বৃত্তির মাধ্যমে ১৯৭৩ সালে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীত শেখেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম এই বৃত্তি লাভ করেন।
এর আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে প্রখ্যাত গুরু আতিকুল ইসলাম, ওয়াহিদুল হক, সন্জীদা খাতুন এবং জাহিদুর রহিমের কাছ থেকে তার প্রাথমিক সংগীত প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। পরে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টসে (বাফা) নিয়মিত ছিলেন।
পাপিয়া সারোয়ার তার বর্ণাঢ্য সংগীত জীবনে রবীন্দ্রসংগীতে দক্ষতার জন্য ব্যাপক প্রশংসা এবং অসংখ্য স্বীকৃতি অর্জন করেছেন।
১৯৯৬ সালে, তিনি উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীদের মাঝে তার জ্ঞান বিতরণের জন্য গীতোসুধা নামে একটি সংগীত দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তার গাওয়া আধুনিক গান 'নাই টেলিফোন নে রে পিঁও নেই রে টেলিগ্রাম' বাংলা সংগীতপ্রেমীদের মাঝে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
এছাড়া নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে টেলিভিশন জগতে সুপরিচিত ও প্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন তিনি।
দেশের সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার, ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ এবং ২০২১ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন।
আরও পড়ুন: ম্যাজিকাল নাইট ২.০ আতিফ আসলাম: অব্যবস্থাপনায় বিপর্যস্ত এক সঙ্গীতানুষ্ঠান
১ সপ্তাহ আগে
বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার লাইফ সাপোর্টে
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। গত তিন বছর ধরে ক্যান্সারে ভোগা এই শিল্পী রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বামী সারোয়ার আলম।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, জীবনের শেষ প্রান্তে পাপিয়া। আমাদের দুই মেয়ে জারা সারোয়ার ও জিশা সারোয়ার যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বসবাস করছে। তারা ফেরার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দীর্ঘদিন ধরেই জটিল রোগে ভুগছিলেন পাপিয়া সারোয়ার। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বছর তাকে দিল্লিতেও নিয়ে যাওয়া হয়।
পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পরে ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান।
তার আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সানজীদা খাতুন ও জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন।
দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন। আধুনিক গানেও তিনি সফল। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দেয়।
পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভের পর ২০২১ সালে একুশে পদক পান এই সংগীত শিল্পী।
১ সপ্তাহ আগে
পঞ্চম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছে ৬৮ দেশ
পঞ্চম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪ অধিবেশনে অংশগ্রহণ করবে ৬৮টি দেশের প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্র।
উৎসবের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো- ২৬ দেশের ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয় ও চলচ্চিত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নির্মিত চলচ্চিত্র ও অংশগ্রহণে ‘ইন্সটিটিউট ফোকাস’ সেকশন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে পঞ্চম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পোস্টার উন্মোচন করা হয়েছে।
এবার উৎসবের স্লোগান হয়েছে ‘রক্তের ঋণে স্বাধীনতা/জাগ্রত হোক মানবতা।’
পোষ্টারে তুলে ধরা হয়েছে জুলাই ৩৬ বিপ্লবের রক্তাক্ত জমিন। পোস্টারে স্থান দেওয়া পেয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ আবু সাইদের স্কেচ।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে শহীদ আবু সাইদের এই স্কেচটি করেছিলেন ভারতীয় চিত্রকর কৌশিক সরকার।
কৌশিক বলেন, উৎসব কর্তৃপক্ষ আমার স্কেচটি সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের পোস্টারে ব্যবহারের জন্য অনুমতি নিয়েছিলেন।
এছাড়া পৃথিবীর বহুদেশে আমার স্কেচ উৎসবের মাধ্যমে পৌঁছাবে এটা আমার জন্য আনন্দের বলে জানান ভারতীয় চিত্রকর কৌশিক সরকার
সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (সিআইএফএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করেছেন তরুণ শিক্ষার্থীরা ও গণতন্ত্রকামী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করলেও দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে।
এছাড়া চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বহুদেশীয় সম্পর্ক স্থাপন এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছে সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বলে জানান সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিষ্ঠাতা।
তিনি আরও বলেন, পঞ্চম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৬৮টি দেশের চলচ্চিত্র সিলেকশন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪: চলচ্চিত্রে সেরা দিলজিৎ-কারিনা
আমেরিকার- নিউইর্য়ক ফিল্ম একাডেমি, চায়নার-বেইজিং ফিল্ম একাডেমি, রাশিয়ার-মস্কো স্টেট ইন্সটিটিউট অফ কালচার, ভারতের-সত্যজিৎ রায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্সটিটিউট, কাতারের-নর্দান ইস্ট ইউনিভার্সিটি ইন কাতার, ইন্দোনেশিয়ার-ইন্দোনেশিয়ান এডুকেশন ইউনির্ভাসিটিসহ ২৬টি দেশের ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণদের এবার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকছে উৎসবে।
মনজুরুল বলেন, তরুণরা আগামী পৃথিবীর নির্মাতা। আশা করছি এই উৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণদের সঙ্গে সারা পৃথিবীর তরুণদের একটি সেতুবন্ধন তৈরি হবে। বাংলাদেশের তরুণরা জুলাই ৩৬ বিপ্লবে একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত। আমরা তরুণদের এই সাহসিকতা পৃথিবীর তরুণদের কাছে তুলে ধরতে চাই। জুলাই ৩৬ বিপ্লবের গণহত্যা তুলে ধরে সারা পৃথিবীতে হানাহানি, যুদ্ধ ও নৃশংসতা বন্ধ করে শান্তির আহ্বাবান করছি আমরা।
তিনি বলেন, উৎসবে উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে থাকছে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস উদ্ভাবিত তথ্যের ওপর বেলজিয়ামের চলচ্চিত্র পরিচালক আনি ক্লার্ক, মিশেল ভ্যান ডের ভেকেন পরিচালিত ‘এ ওয়ার্ল্ড অফ থ্রি জিরোস, জিরো নেট কার্বন ইমিশন, জিরো প্রভারটি, জিরো আনএমপ্লাইমেন্ট’ প্রদর্শিত হবে।
এছাড়া পরিচালকরা উৎসবে অংশগ্রহণ করে একটি মাস্টার ক্লাস পরিচালনা করবেন বলে জানান মনজুরুল ইসলাম মেঘ।
উল্লেখ্য, পঞ্চম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৪ এ ইউরোপ, আমেরিকার ও এশিয়ার ত্রিশের অধিক চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা-অভিনেত্রী ও কলাকুশলী সরাসরি অংশগ্রহণ করবে। এইবার উৎসব অনুষ্ঠিত হবে অনলাইন ও অফলাইন অধিবেশনে। অনলাইন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে ২২ ফেব্রুয়ারি হতে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
এই অধিবেশনে বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত থাকবেন এবং চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক কর্মশালা, সেমিনার, মাস্টার ক্লাসে অংশগ্রহণ করবেন।
এই অধিবেশনে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র বিনিময় বিষয়ক বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও গ্রহণ করা হবে।
উৎসব আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শন ছাড়াও থাকবে ‘ফ্যাসিবাদের কবলে চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি’, ‘মানবিক পৃথিবী প্রতিষ্ঠায় চলচ্চিত্রের ভূমিকা’, ‘জুলাই ৩৬ প্রেক্ষিত কালচারাল পলিটিক্স’।
দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন।
উৎসবের সমাপনী চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হবে- জুলাই ৩৬ গণহত্যার তথ্যচিত্র নির্ভর পূর্ণদৈর্ঘ্য ডকুমেন্টারি চলচ্চিত্র ‘নেক্সট জেনারেশন লিডার’।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ৩ ডিসেম্বর
১ সপ্তাহ আগে
‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের রচয়িতা আবু জাফর আর নেই
‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’-এক সময়ের ব্যাপক জনপ্রিয় এসব গানের গীতিকার ও সুরকার আবু জাফর আর নেই।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
তার কন্যা জিহান ফারিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুই ছেলে এক কন্য সন্তানের জনক আবু জাফর বেশ কিছু দিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
তিনি একাধারে গীতিকার, সুরকার, কবি ও সংগীতশিল্পী ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ২০০০ সালে এই কলেজ থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
জানা যায়, আবু জাফর ১৯৪৩ সালের ১৫ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম খোন্দকার মো. জমির উদ্দিন। কুষ্টিয়া শহরের আডুয়াপাড়ায় তিনি বসবাস করতেন।
আবু জাফর রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত সংগীতশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন। তার রচিত দেশাত্মবোধক ও আধুনিক গান তুমুল আলোড়ন তুলেছিল। একাধিক কালজয়ী গানের স্রষ্টা তিনি। এর মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ ‘তোমরা ভুলেই গেছো মল্লিকাদির নাম’, ‘নিন্দার কাঁটা যদি না বিঁধিল গায়ে’ উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও বেশ কিছু বই লিখেছেন আবু জাফর। এর মধ্যে নতুন ‘রাত্রি পুরোনো দিন’ (কাব্য), ‘বাজারে দুর্নাম তবু তুমিই সর্বস্ব’ (কাব্য), ‘বিপ্লবোত্তর সোভিয়েত কবিতা’ (অনুবাদ কাব্য) ‘তুমি রাত আমি রাতজাগা পাখি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
আবু জাফরের বিখ্যাত গানের মধ্যে ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানটি বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি গানের মধ্যে স্থান দখল করে। তার রচিত সব গানের বাণীতে অসামান্য সুর সংযোজনও করেন তিনি। এছাড়াও নিজের রচিত ও সুর সংযোজিত বেশির ভাগ গানে তিনি নিজেই কণ্ঠ দিয়েছেন। কোনো কোনো তার সঙ্গে যুগলে কণ্ঠ দিয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন।
তার জানাজা শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ আসর কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা শেষে তাকে কুষ্টিয়া পৌরগোরস্থানে সমাহিত করা হবে।
২ সপ্তাহ আগে
ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডস-২০২৪: চলচ্চিত্রে সেরা দিলজিৎ-কারিনা
রবিবার (১ ডিসেম্বর) মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডসের পঞ্চম আসর।
সেখানে বিনোদন জগতের তারকা-নক্ষত্ররা উপস্থিত হয়েছিলেন। এই বছরের অনুষ্ঠানে ওয়েব সিরিজ ও চলচ্চিত্র বিভাগের পুরস্কার দেওয়া হয়। এসব ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ৩৯টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান নির্বাচিতরা।
অনুষ্ঠানে ওটিটি ইন্ডাস্ট্রির অভিনেতা, পরিচালক, টেকনিক্যাল এক্সপার্টও উপস্থিত ছিলেন।
'অমর সিং চামকিলা' ওয়েব ছবিতে কিংবদন্তি গায়ক অমর সিং চামকিলার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতেছেন অভিনেতা-গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জ।
ইমতিয়াজ আলী পরিচালিত 'অমর সিং চামকিলা' পাঞ্জাবের আসল রকস্টারের অকথিত সত্য কাহিনী উপস্থাপন করা হয়েছে এই সিনেমায়।
অন্যদিকে 'জানে জান' ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন কারিনা কাপুর খান।
সুজয় ঘোষ পরিচালিত ছবিটি কালিম্পং ভিত্তিক এবং কেইগো হিগাশিনোর সর্বাধিক বিক্রিত উপন্যাস 'ডেভিশন অব সাসপেক্ট এক্স' এর অফিসিয়াল রিমেক।
যারা পেলেন পুরস্কার
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ২০২৪ ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যাওয়ার্ডস ফিল্মস ক্যাটাগরি থেকে বিজয়ীদের সম্পূর্ণ তালিকা:
সেরা চলচ্চিত্র (ওয়েব অরিজিনাল): অমর সিং চামকিলা
সেরা পরিচালক (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): ইমতিয়াজ আলি (অমর সিং চমকিলা)
সেরা অভিনেতা (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): দিলজিৎ দোসাঞ্জ (অমর সিং চামকিলা)
সেরা অভিনেত্রী (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): কারিনা কাপুর খান (জানে জান)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): জয়দীপ আহলাওয়াত (মহারাজ)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): ওয়ামিকা গাব্বি (খুফিয়া)
সেরা সংলাপ (ওয়েব ছবি): ইমতিয়াজ আলি ও সাজিদ আলি (অমর সিং চমকিলা)
সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): ইমতিয়াজ আলি ও সাজিদ আলি (অমর সিং চমকিলা)
সেরা চিত্রগ্রাহক (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): সিলভেস্টার ফনসেকা (অমর সিং চামকিলা)
সেরা প্রোডাকশন ডিজাইন (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): সুজান ক্যাপলান মেরওয়ানজি (দ্য আর্চিস)
সেরা সম্পাদনা (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): আরতি বাজাজ (অমর সিং চামকিলা)
সেরা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): এ আর রহমান (অমর সিং চামকিলা)
সেরা সাউন্ড ডিজাইন (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): ধীমান কর্মকার (অমর সিং চামকিলা)
সেরা কাহিনী ও ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম: জোয়া আখতার, অর্জুন বরাইন সিং ও রিমা কাগতি (খো গায়ে হাম কাহাঁ)
সেরা মিউজিক অ্যালবাম (ওয়েব অরিজিনাল ফিল্ম): এ আর রহমান (অমর সিং চামকিলা)
সেরা নবাগত পরিচালক (ওয়েব ফিল্ম): অর্জুন বরায়ন সিং (খো গায়ে হাম কাহাঁ)
সেরা ডেবিউ মেল (ওয়েব ফিল্ম): বেদাং রায়না।
২ সপ্তাহ আগে
ঢাকায় ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ৩ ডিসেম্বর
আর একদিন পরই ঢাকায় শুরু হচ্ছে ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আগামী মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় এ্ উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।
এই চলচ্চিত্র উৎসব চলবে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
এছাড়া অনুষ্ঠানে থাকবেন বাংলাদেশে ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি এবং ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মির মুহাম্মদী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শাহ মোহাম্মদ নিস্তার খান কবিরসহ আরও অনেকে।
উদ্বোধনী দিনে প্রদর্শন করা হবে ইবরাহিম হাতামি কিয়া পরিচালিত বডিগার্ড।
উৎসবের অন্য দিনে ইরানের বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা মাজিদ মাজিদির দি চিল্ড্রেন অব হ্যাভেন, দি সংস অব স্প্যারো, দি কালার অব প্যারাডাইস, আব্বাস কিয়ারোস্তামির টেস্ট অব চেরি এবং সাইফুল্লাহ দাদ পরিচালিত চলচ্চিত্র দি সারভাইভার দেখানো হবে।
৩ সপ্তাহ আগে