���������������-������������������������
আইয়ুব বাচ্চুর জন্মবার্ষিকী আজ
আজ জনপ্রিয় গায়ক, গিটারিস্ট, সুরকার, গীতিকার ও সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর ৫৯তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৬২ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের পটিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের এই কিংবদন্তি, যিনি এবি নামেই বেশি পরিচিত।
সোমবার আইয়ুব বাচ্চুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তার ভক্ত অনুরাগী এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।
১৯৭৭ সালে চট্টগ্রামের স্থানীয় ব্যান্ড ‘ফিলিংস’-এ যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে ব্যান্ড জগতে প্রবেশ করেন আইয়ুব বাচ্চু। এরপর ১৯৮০ সালে তিনি যোগ দেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ‘সোলস’ ব্যান্ডে। ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি এই ব্যান্ডের সাথেই যুক্ত ছিলেন। পরে ১৯৯১ সালে গড়ে তোলেন ব্যান্ডদল (লাভ রানস ব্লাইন্ড) এলআরবি।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
‘আম্মাজান’, ‘আমি তো প্রেমে পড়িনি’, ‘আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘সেই তুমি’, ‘ফেরারি এই মনটা আমার’, ‘চলো বদলে যাই’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো’ সহ আরও অসংখ্য জনপ্রিয় গান। এখনও এসকল সকলের মাঝে, এমনকি বর্তমান প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয় এবং চর্চা চলছে।
আরও পড়ুন: ফিলিপাইনের রিজাল জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু প্রদর্শনী শুরু
২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান জনপ্রিয় সংগীত ব্যান্ড এলআরবি’র প্রতিষ্ঠাতা ও ফ্রন্টম্যান আইয়ুব বাচ্চু। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এলআরবি’র মূল কন্ঠশিল্পী (ভোকাল) ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
‘শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, পড়ুক ঝরে’, - গানের পংক্তির মতোই কোনও এক শ্রাবণের দিনে এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরপারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ ২২ শে শ্রাবণ (শুক্রবার) বিশ্বকবি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০তম মৃত্যুবার্ষিকী।
পৃথিবী যখন সুস্থ ছিল, স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির প্রায় এক শতাব্দী পর বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি আসার আগে, প্রতি বছর বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যথাযথ মর্যাদার সাথে দিবসটি পালন করার জন্য বিশাল কর্মসূচি গ্রহণ করার প্রচলন ছিল। কিন্তু গত বছরের ন্যায় এবছরও করোনার প্রকোপ এবং দেশে লকডাউন চলায় সীমিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হচ্ছে দেশে ও দেশের বাইরে।
জনসমাগম এড়াতে স্বল্প পরিসরে এবার দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভার্চুয়াল কর্মসূচির মাধ্যমে কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন ও কবি ভক্তরা দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানে বাঙালির প্রাণের কবিকে স্মরণ করছে।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সারদা দেবীর ১৩ সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে বাংলা ১২৬৮ সালের ২৫ বৈশাখে (৭ মে, ১৮৬১) জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি প্রায় দুই হাজারেরও বেশি সংগীত রচনা করেছেন যা দুই বাংলায় ‘রবীন্দ্র সংগীত’ হিসেবে পরিচিত। সেই সাথে তিনি প্রায় সাত দশক ধরে তার দীর্ঘ সাহিত্যজীবনে আটটি উপন্যাস, ৮৮টি ছোট গল্প এবং অসংখ্য কবিতা লিখেছেন। তার রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’ ও ‘জন গণ মন’ গান দু’টি যথাক্রমে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীত। এছাড়া অনেক ইতিহাসবিদের মতে শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতের রচয়িতা এবং সুরকার এই মহান কবি।
সংস্কৃতি ও সাহিত্যের চর্চা ছড়িয়ে দিতে এবং ভবিষ্যতের শিল্পী ও সাহিত্যিক তৈরি করতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম বাঙালি এবং অ-ইউরোপীয় কবি হিসেবে ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
ইউরোপে প্রথম গ্যালারি অনিল অ্যাওয়ার্ড পেলেন শিল্পী নিলীমা সরকার
ইউরোপের জার্মানিতে প্রথমবারের মতো গ্যালারি অনিল অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাঙালি নারী শিল্পী নিলীমা সরকার।
২০২১ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১০০জন শিল্পী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী সেরা ১০ জন প্রতিযোগীকে বাছাই করা হয়। তার মধ্য থেকে চূড়ান্ত বাছাইয়ে একজনকে নির্বাচিত করা হয়।
আরও পড়ুন: নুরুল ইসলাম বাবুল পেলেন মরণোত্তর গ্লোবাল সিএসআর অ্যাওয়ার্ড
পুরস্কার জয়ী নিলীমা সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রাচ্যকলা বিভাগ থেকে এমএফএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন প্রাইজমানি, ক্রেস্ট, সাটিফিকেট আর ২০২২ সালের মে মাসে জার্মানিতে দুই সপ্তাহের জন্য একক চিত্র প্রদর্শনীর সুযোগ।
পুরস্কার প্রাপ্তি প্রসঙ্গে শিল্পী নিলীমা সরকার বলেন, ‘আমি অনেক বেশি আবেগাপ্লুত। বাঙালি হিসেবে ইউরোপের মাটিতে এতো বড় সম্মান আমার ভবিষ্যৎ কাজে অনেক বেশি অনুপ্রেরণা যোগাবে। ছবি সম্পর্কে বলতে গেলে, আমি প্রকৃতি খুব ভালোবাসি।’
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ পেলেন ২০ বাংলাদেশি
তিনি বলেন, নিজেকে ভালো রাখতে হলে প্রকৃতির সংস্পর্শে এসে পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে।
কুমিল্লায় জাতীয় কবির ১২২তম জন্মবার্ষিকী পালিত
কুমিল্লায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চেতনায় নজরুল স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসানের নেতৃত্বে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: কবি নজরুলের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
এছাড়াও নজরুল ইন্সটিটিউট কুমিল্লা কেন্দ্র, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল পরিষদ, কুমিল্লা সাংস্কৃতিক জোট, সংঙ্গীত বিষয়ক সংগঠন সা রে গা মা পা সহ বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুস্পার্ঘ অর্পন করা হয়।
এছাড়া, কুমিল্লা নজরুল ইন্সস্টিটিউটসহ বিভিন্ন সংগঠনের দিনব্যাপী আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কবি নজরুলকে নিয়ে আরও অধ্যয়ন করা প্রয়োজন: মোমেন
ফিলিপাইনের রিজাল জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু প্রদর্শনী শুরু
ফিলিপাইনের রিজাল জাদুঘরে জাতির পিতার ওপর দুই মাস ব্যাপী এক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বুধবার সকালে রিজাল জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ফিলিপিনো জাতীয় বীর ডা. হোসে রিজালের যৌথ কাঠের প্রতিকৃতি সম্বলিত একটি শিল্পকর্ম উন্মোচন করার মাধ্যমে প্রদর্শনীটি শুরু হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ফিলিপিনো শিল্পী নিকোলাস পি আকা জুনিয়রের খোদাই করা এই শিল্পকর্মটি ফিলিপাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কালাম্বার শহরে অবস্থিত রিজাল জাদুঘরে উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়।
সকালে রিজাল জাদুঘরে উক্ত শিল্পকর্মটি উদ্বোধন করেন ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসাদ আলম সিয়াম এবং হোসে রিজাল জাদুঘরের কিউরেটর যারাহ এসকুয়েতা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত সিয়াম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও হোসে রিজাল বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মহান দুই নেতা যারা ইতিহাসের সম্পূর্ণ ভিন্ন সময়ে এবং ভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে নিজ দেশের জনগনকে পরাধীনতা থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।
খোদাই কর্মটিতে এই মহান দুই নেতার পোট্রেটের পাশাপাশি লাল রঙের আবহ মানুষ ও জনগণের জন্য এই দুই নেতার আত্মোৎসর্গকে প্রতিফলিত করে বলে শিল্পী নিকোলাস জানিয়েছেন। ২০১৮ সালে এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশে তিনি বাংলাদেশ সফর করেন। সে সময় বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ভ্রমণ করবার পর হোসে রিজাল ও বঙ্গবন্ধুর জীবনের মধ্যে তিনি সাদৃশ্য খুঁজে পান যা তাকে এই শিল্পকর্মটি সৃষ্টির অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
রিজাল জাদুঘরে জাতির পিতার ওপর দুই মাস ব্যাপী এই প্রদর্শনীতে শিল্পকর্মের পাশাপাশি জাতির পিতার আত্মজীবনী, তার ওপর রচিত বিখ্যাত কিছু বই, ঐতিহাসিক ছবি সহ অন্যান্য চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হবে। প্রদর্শনী শেষে শিল্পকর্মটি দূতাবাসের উপহার হিসাবে জাদুঘরের স্থায়ী সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত হবে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য নির্দেশনা এবং অবশ্যপালনীয় সব স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক যথাযথ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কালাম্বা সিটি কাউন্সিল, ফিলিপাইন জাতীয় ইতিহাস কমিশন, ফিলিপাইন তথ্য সংস্থা, ফিলিপাইন পর্যটন ও ক্রীড়া উন্নয়ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে না
দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবস্থা বিবেচনা করে পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
ঢাবির চারুকলার শিক্ষার্থীরা ১৯৮৯ সাল থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে আসছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর মানবতার অধরা বা অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে। মঙ্গল শোভাযাত্রা বাংলাদেশের নবতর সর্বজনীন সংস্কৃতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
আরও পড়ুন: করোনার থাবায় দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড
প্রতি বছর মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় দেশের সংস্কৃতি এবং রাজনীতির সাথে প্রাসঙ্গিক একটি থিমকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন, আজ প্রজ্ঞাপন
মঙ্গল শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ধরনের প্রতীকী শিল্পকর্ম, বাংলা সংস্কৃতির পরিচয়বাহী নানা প্রতীকী উপকরণ, বিভিন্ন রঙের বিশাল মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি যেমন প্রজাপতি, ঐতিহ্যবাহী পুতুল থাকে যা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী লোককাহিনী তুলে ধরে।
আরও পড়ুন: মহামারিতে বৈশ্বিক শান্তি আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে: প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামে ‘৫০ স্প্রিং অব ফ্রিডম’ আর্ট ক্যাম্প সম্পন্ন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে রবিবার চট্টগ্রামে গ্যালারি কসমস আয়োজিত চারদিন ব্যাপী ‘৫০ স্প্রিং অব ফ্রিডম’ আর্ট ক্যাম্প শেষ হয়েছে।
হিডেন হার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং কসমস ফাউন্ডেশনের সার্বিক সহায়তায় বাংলাদেশে’র গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জনের সু্বর্ণজয়ন্তী উৎসব উপলক্ষে বিশেষ চিত্র-কর্মশালাটি আয়োজিত হয়েছে।
আয়োজনটি সম্পর্কে গ্যালারি কসমস এবং কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, ‘স্বাধীনতার এই গৌরবময় সুবর্ণজয়ন্তী অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। আমাদের এই দেশ পৃথিবীর বুকে যেন এক টুকরো ভূ-স্বর্গ, যে দেশে রয়েছেন বিশ্বমানের সব প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী। এই বিশেষ সময়ে আয়োজিত এই বিশেষ চিত্র-কর্মশালাটি আমাদের গ্যালারি কসমস এবং কসমস ফাউন্ডেশনের চলমান চিত্রকর্ম-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম এবং উদ্যোগসমূহের মাঝে অন্যতম এবং আমাদের দেশের এই গুণী এবং প্রতিভাবান চিত্রশিল্পীদের নিয়ে আয়োজিত এই বিশেষ কর্মশালাটির সাথে জড়িত হতে পেরে আমরা খুবই গর্বিত।’
বসন্তের মনোরম পরিবেশে প্রকৃতি এবং জীবনের মাঝে বিদ্যমান সম্পর্ক এবং সংহতি শিল্পীদের রং তুলি এবং ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম শহরের ফিনলে হিলে দেশের আটজন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পীকে সাথে নিয়ে চার দিনব্যাপী এই বিশেষ কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এ বছর লালন স্মরণোৎসব স্থগিত
শনিবার চিত্র-কর্মশালাটিতে উপস্থিত হয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাবতী আমাদের বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এমন মনোরম পরিবেশে গুণী এই চিত্রশিল্পীদের নিয়ে এমন ব্যতিক্রমী একটি আয়োজন সত্যিই ভীষণ প্রশংসার দাবিদার। আমি এই আয়োজনে আসতে পেরে ভীষণ আনন্দিত, একইসাথে আমাদের শহরে বসন্তের এই বর্ণিল আয়োজনে স্বাধীনতার ৫০তম বসন্ত উদযাপনের এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের উদ্যোক্তা গ্যালারি কসমস, আয়োজক হিডেন হার ফাউন্ডেশন এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকা কসমস ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক এবং ডিবিএল গ্রপের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রহিম শুক্রবারে এই বিশেষ চিত্র-কর্মশালার উদ্বোধনী আয়োজনে উপস্থিত থেকে সার্বিক আয়োজনের প্রতি তাদের মুগ্ধতা প্রকাশ করেন।
রুবানা হক বলেন, ‘সাধারণত আমরা এ ধরনের পরিবেশে এরকম বিশেষ আয়োজন সচরাচর দেখতে পাই না। আমি এই চিত্র-কর্মশালায় বিশিষ্ট এই শিল্পীদের অংশগ্রহণ দেখে এবং এই আয়োজনে আসতে পেরে আনন্দিতবোধ করছি।’
চিত্র-কর্মশালাটির আয়োজনে থাকা হিডেন হার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক সুনেহরা ইসলাম বলেন, ‘আমরা আমাদের এই স্বাধীন দেশে প্রকৃতির বর্ণিল সব আয়োজন উপভোগ করতে পারতাম না, যদি আমরা বীরত্বের সাথে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা অর্জন করতে না পারতাম। বসন্তের এই স্নিগ্ধ প্রকৃতির রঙিন আয়োজনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের প্রয়াসে এই কর্মশালা আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত।’
চার দিনব্যাপী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী দেশের আটজন বিশিষ্ট এবং উদীয়মান চিত্রশিল্পীদের নবীন-প্রবীণ এই দলে ছিলেন শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী, কনক চাঁপা চাকমা, আনিসুজ্জামান আনিস, অনুকূল চন্দ্র মজুমদার, আজমীর হোসেন, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, আবদুল্লাহ আল বশির এবং মং মং শো।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অন্যতম চিত্রশিল্পী এবং শিক্ষক বিশ্বজিৎ গোস্বামী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ যেমন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব অর্জনের লড়াইয়ে আমাদের একতাবদ্ধ এবং উজ্জীবিত করেছিল, তেমনি একইসাথে প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেরও এক প্রকার অন্তর্নিহিত শক্তি রয়েছে আমাদেরকে একীভূত করার। আমাদের এই কর্মশালাটির প্রধান উদ্দেশ্য আমাদের এই স্বাধীন দেশে ঋতুরাজ বসন্তের ৫০তম বর্ষ উদযাপন করা, যা কিনা একই সাথে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী-সব মিলিয়ে একসাথে আমাদেরকে প্রকৃতির মাঝে নিজেদের শিল্পসত্ত্বাকে নতুন করে আবিষ্কার করার সুযোগ এনে দেয়া। এই কর্মশালাটির অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত এবং সম্মানিত বোধ করছি।
বার্তা সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) এই কর্মশালার মিডিয়া পার্টনার ছিল।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ঐতিহ্যবাহী ঘৌড়দৌড় প্রতিযোগিতা
এ বছর লালন স্মরণোৎসব স্থগিত
করোনার প্রার্দুভাবের কারণে এবার দোল পূর্ণিমা তিথিতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের আখড়াবাড়িতে লালন স্মরণোৎসব উদযাপন হচ্ছে না।
লালন একাডেমির সভাপতি কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইদুল ইসলাম বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জানান, বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতির কারণে বড় ধরনের গণজমায়েত অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমানে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কুষ্টিয়া জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে ৯১ জন মৃত্যুবরণ করেছেন এবং অনেক মানুষ আক্রান্ত। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যদি বড় ধরনের গণজমায়েত করা হয়, তাহলে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে ফরিদপুরে পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে।
মাগুরায় ঐতিহ্যবাহী ঘৌড়দৌড় প্রতিযোগিতা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় মেলার আয়োজন করা হয়েছে। পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চর-যশোবন্তপুরে সোমবার বিকালে এ ঘোড়দৌড় মেলা অনুষ্ঠিত হয়।