������������
যুবককে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি, আটক ২
‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে একজনের কল পেয়ে মো. সোলায়মান হক (২৪) নামে অপহৃত যুবককে উদ্ধার ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে দুই সহোদর তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শ্যামলেন্দু ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলেন-লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার বড়খাতা এলাকার ইউসুফ আলীর মেয়ে লিপি বেগম (২৭) ও তার ছোট বোন সীমা বেগম (২৫)।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: সরকারি বিনামূল্যের বই বিক্রির অভিযোগে শিক্ষিকা আটক
মঙ্গলবার দুপুরে জরুরি সেবায় কলার জানান, তার বন্ধু, বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় গিয়েছিল। এরপর তার বন্ধুর ফোন থেকে তাকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না পাঠালে তার বন্ধুকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে। তবে আটক হওয়ার আগে তার বন্ধু হোয়াটসঅ্যাপে তার অবস্থানের গুগল ম্যাপ লোকেশন কলারকে পাঠিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী কলার জানান তার বন্ধু আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল ন্যাশনাল ব্যাংকের পেছনে একটি ভবনে আটক আছেন।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মো. রেজোয়ান মিয়া তাৎক্ষণিকভাবে আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি জানায় এবং কলারের সঙ্গে কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: ফাঁসির দড়ি নিয়ে গাছের ডালে, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার
সংবাদ পেয়ে আশুলিয়া থানার একটি পুলিশ দল অবিলম্বে ঘটনা স্থলে যায়। পরে আশুলিয়া থানার এসআই শ্যামলেন্দু ঘোষ ৯৯৯ কে জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকে রাখার বাড়িটি চিহ্নিত করেন গাজীরচটে তাহের পাটোয়ারীর বাড়ি ‘কুসুম ভিলা’। এরপর বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী মো. সোলায়মান হককে উদ্ধার করা হয়। মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে লিপি বেগম ও সীমা বেগমকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের দুই সহযোগী পালিয়ে যায়।
এ সংক্রান্তে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জে লেপে মোড়ানো নারী-শিশুর লাশ উদ্ধার
মুন্সিগঞ্জে ডোবা থেকে অজ্ঞাত এক নারী (২২) ও এক কন্যা শিশুর (১) লেপে মোড়ানো লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে শ্রীনগর উপজেলার ব্রাহ্মণ পাইকশা গ্রাম থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের প্রায় এক কিলোমিটার ভেতরে ব্রাহ্মণ পাইকশা জামের মসজিদের রাস্তার দক্ষিণ পাশে মোড়ানো লেপের ভেতরে হাত দেখা গেলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে বিকাল ৩টার দিকে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় মোড়ানো লেপ তুলে আনতেই লাশ দুটি বের হয়ে আসে। নারী পরনে সেলোয়ার কামিজ আর শিশুটির পরনে গেঞ্জি ছিল।
ওসি জানান, লাশের শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে গলায় লাল চিহ্ন রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়কের পাশ থেকে পুলিশ কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার
মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারী ও কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক। তবে লাশের পরিচয় জানাতে এবং খুনীদের খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করছে।
ফরিদপুরে অস্ত্রোপচারের ৬ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি রোগীর
ফরিদপুরের একটি ক্লিনিকে এক নারীর অস্ত্রোপচারের ছয় দিনেও জ্ঞান ফেরেনি বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা।
বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ওই নারীর ছেলে মো. শাহ আলম শেখ জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) তার মা লাকী বেগমের পড়ে গিয়ে পা ভেঙে গেলে ওই দিনই ফরিদপুর শহরের দেশ ক্লিনিকে এনে ভর্তি করেন। পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডা. অনাদি রঞ্জন মন্ডল অস্ত্রোপচার করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
তার দাবি, অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার জ্ঞান না ফেরায় এবং অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে তড়িঘড়ি করে ক্লিনিক থেকে রিলিজ করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এখন পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি।
অভিযোগের বিষয়ে অস্ত্রোপচারকারী চিকিৎসক ডা. অনাদী রঞ্জন মন্ডল জানান, অস্ত্রোপচারকালে ওই রোগীর শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অস্ত্রোপচার করা হয়।
রোগীর বর্তমান অবস্থার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ওই রোগী ব্রেইন ও হার্ট স্ট্রোক করে থাকতে পারে। তবে কেনো এমন হলো তা তিনি বলতে পারেননি। তবে পায়ের হাড়ভাঙা অপারেশনের কারণে এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় ভুল চিকিৎসায় নবজাতক মৃত্যুর অভিযোগ
এ ব্যাপারে দেশ ক্লিনিকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহামেদুল বারী বাবু জানান, রোগী অস্ত্রোপচার করার পরেও ঠিক ছিলেন। তবে, অস্ত্রোপচারের কিছু সময় পরে ওই রোগীর ভাইয়ের মৃত্যুর সংবাদ আসে, যা শোনার পর থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং স্ট্রোক করেন বলে ধারণা করছি।
ওয়াজে নেয়ার কথা বলে ভাড়াটে খুনি দিয়ে মাকে হত্যা, মেয়েসহ আটক ২
গাজীপুরে এক নারী হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশ। নিজের মেয়েই মাকে গভীর জঙ্গলে নিয়ে ভাড়াটে খুনি দিয়ে গলা কেটে হত্যার দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মেয়েসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্ব খন্ড গ্রামের মো. ফরিদের স্ত্রী ও নিহতের মেয়ে শেফালী (৩৫), শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী থানার খড়িয়া কাজিরচর গ্রামের মেরাজ উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (২৫)।
নিহত মিনারা (৫৭) শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পুর্ব খন্ডগ্রামে আবু তাহেরের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে মাকে হত্যাচেষ্টা
শুক্রবার (৪ মার্চ) প্রেস ব্রিফিংয়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন এই সব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাড়ি থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে সাধুখার টেক এলাকার নির্জন স্থানে মিনারার গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন শেফালী ও তার সহযোগী সোহেল রানাকে আটক করলে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসে।
উল্লেখিত স্বীকারোক্তির তথ্যের বরাতে সহকারী পুলিশ সুপার জানান, মাকে হত্যার জন্য সহকর্মী সোহেল রানা ১ লাখ টাকা দাবি করেন। এতে শেফালী রাজি হয়ে সোহেলকে অগ্রিম ১৫ হাজার টাকা দেন এবং বাকি ৮৫ হাজার টাকা কাজ শেষে দেবেন বলে জানিয়ে তারা মিনারাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
আরও পড়ুন: স্বামীকে মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় ব্লেড দিয়ে মাকে হত্যা, মেয়ে আটক
পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ১০ ফেব্রুয়ারি মাকে ওয়াজ শোনানোর কথা বলে সন্ধ্যায় মাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। জঙ্গলের ভেতর নিয়ে যেতে যেতে এক সময় শেফালী ইট দিয়ে তার মায়ের মাথায় আঘাত করেন। পরে শেফালী তার মাকে মাটিতে চিৎ করে শুইয়ে বুকের ওপর বসে দুই হাত দিয়ে মাথা ও গলা টান দিয়ে ধরলে সোহেল ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
বর্তমানে তারা গাজীপুর কারাগারে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
নবজাতকের কপাল কাটা: পরিবারের পাশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন
ফরিদপুরে আল মদিনা প্রাইভেট হাসপাতালে নবজাতকের কপাল কাটার ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর স্বপ্রণোদিত হয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে ক্ষতিপূরণ আদায়ের লক্ষ্যে অভিযোগ নিয়েছেন কমিশন।
এর আগে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এর জের ধরে আগামী ৪ এপ্রিল ২০২২ কমিশনের ভার্চুয়াল কোর্টে উপস্থিত হওয়ার জন্য আল মদিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর বুধবার একটি নোটিশ জারি করেছে কমিশন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯’এ কল: রাস্তায় ফেলে যাওয়া নবজাতক উদ্ধার
নোটিশে বলা হয়, কেন হাসপাতালের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না তা ব্যাখ্যা করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কমিশনের ভার্চুয়াল শুনানিতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া শুনানিতে ভুক্তভোগীর প্রতিনিধিকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে একই ঘটনায় গত ২ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের আদালতে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি মামলা করে ভুক্তভোগী পরিবার। মামলায় আল মদিনা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকারিয়া মোল্লা পলাশ, পরিচালক মো. আল হেলাল মোল্লা টগর, মো. গোলাম কিবরিয়া রাসেল, রহিমা রহমান, মো. আরিফুজ্জামান সবুজ ও হাসপাতালটির আয়া চায়না আক্তারকে আসামি করা হয়।
এ ব্যাপারে নবজাতকের বাবা শফি খান বলেন, ‘আমার প্রথম বাচ্চা নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। যে স্বপ্নটা ওরা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দক্ষিণ ময়েজউদ্দিন মণ্ডলপাড়া গ্রামের শফিক খানের স্ত্রী রুপা বেগমকে (২০) সন্তান প্রসবের জন্য ওই হাসপাতালে আনা হয়। সন্তান প্রসবকালে ওই হাসপাতালের নার্স দাবি করা আয়া চায়না বেগম সিজার করলে নবজাতকের কপালের বাম ভ্রুর ওপরে কিছু অংশ কেটে যায়। পরে নয়টি সেলাই দেয়া হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিনই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়।
নারায়ণগঞ্জে বাসা থেকে মা-মেয়ে লাশ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে একটি বাসা থেকে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে শহরের ডালপট্টি এলাকার ছয়তলা ভবনের ষষ্ঠ তলার ফ্ল্যাট থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- রুমা চক্রবর্তী (৪৬) ও তার মেয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ঋতু চক্রবর্তী (২২)।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে গলা কেটে ‘হত্যা’
জানা গেছে, ডালপট্টি এলাকায় স্বপন দাসের মালিকানাধীন ছয় তলা ভবনের ষষ্ঠ তলার ফ্ল্যাট থেকে ওই দু’জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত দু’জনের মধ্যে একজনের লাশ মেঝেতে ও অপরজনের অর্ধেক দেহ খাটের ওপর ও অর্ধেক মেঝেতে পড়ে ছিল। এসময় পুরো ফ্লোর রক্তমাখা ছিল।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ভুট্টা খেত থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজামান বলেন, মা ও মেয়েকে খুন করা হয়েছে। আমরা একজনকে আটক করেছি। তার নাম এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
খামারের আড়ালে ডাকাতি: ৪১টি গরু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬
গাজীপুরে খামারের আড়ালে গরু ডাকাতি চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই সময় ৪১টি গরু উদ্ধার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে জিএমপি সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার মো. জাকির হাসান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, সুমন (৩৫), আসাদুজ্জামান বাবু (৩০), শহিদুল ইসলাম (৪০), আব্দুল মালেক (৪০), দুর্জয় (২৮) ও আলামিন (২৯)। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, বগুড়া ও ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ৮ ‘ডাকাত সদস্য’ গ্রেপ্তার
মো. জাকির হাসান জানান, দিনের পর দিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি করে আসছিলেন ডাকাত চক্র। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের চক্রবর্তী এলাকায় দিনাজপুর থেকে আসা একটি ট্রাক গতিরোধ করে ১৪টি গরু লুট করে ডাকাতরা। পরে এই মামলার সূত্র ধরেই ডাকাত দলের হোতা সুমনের সন্ধান পায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। তার মালিকানাধীন সাদিয়া ডেইরি ফার্ম নামে ওই খামার থেকে ৪১টি গবাদি পশু উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে সাভারের আশুলিয়া, গাজীপুর ও বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরই মধ্যে ১৩টি গরু শনাক্ত করেছেন পশুর মালিকরা। যাচাই বাছাই করে অন্য গরুগুলোও মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ৫০ স্বর্ণের বার উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
আশুলিয়ার নাল্লাপোল্লা গ্রামের ওই খামারেই লুণ্ঠিত সব পশু রাখা হতো বলে জানা গেছে।
ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নিহত
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক নিহত হয়েছেন। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পুখুরিয়া-আটরশি ফিডার সড়কের মানিকদাহ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. শরীফ জাকির (৫০) ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর আরিফ জানান, জাকির হোসেন পুখুরিয়া-আটরশি ফিডার সড়কে রাস্তার পাশে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত একটি গাড়ি তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী তার লাশ উদ্ধার করে।
ওসি জানান, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কাজ করছে।
মুন্সিগঞ্জে ফার্নিচার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড
মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে ফার্নিচার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, রাতে জেলার অন্যতম বৃহৎ এই ফার্নিচার মার্কেটে আকস্মিক আগুন লেগে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। একের পর এক মার্কেটের দোকানগুলো পুড়ে যায়। ফার্নিচার ছাড়াও হার্ডওয়ার, কাগজের ঠোঙ্গাসহ নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আগুনের প্রচণ্ড তাপে আশপাশের মার্কেটেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে আগুনে পুড়ে মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
মুন্সিগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু ইউসুফ জানান, খবর পেয়ে ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দীক জানান, আগুণের ভয়াবহতা অনেক বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণে কিছুটা বিলম্ব এবং ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আগুনে পুড়ে প্রতিবন্ধী কলেজছাত্রের মৃত্যু
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিনহাজ উল আবেদীন জানান, মানুষের জান-মাল রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় পুলিশ পরিদর্শক গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার রাজাবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা পুলিশ। পরদিন সকালে তাকে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় আনা হয়।
গ্রেপ্তার পুলিশ পরিদর্শক মো. শামসুদ্দোহা (৪০) গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের নুরুদ্দিন আহম্মেদের ছেলে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী ফারজানা খন্দকার তুলির দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় তাকে ঢাকার রাজাবাজর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যশোরে স্বর্ণের বার আত্মসাতের অভিযোগে ৩ পুলিশ গ্রেপ্তার
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার পুলিশ পরিদর্শকের স্ত্রী বাদী হয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবি, মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ফারজানা খন্দকার জানান, ২০১৫ সালে তিনি জানতে পারেন তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত। তখন থেকেই তাদের মধ্যে কলহ শুরু হয়। এরপর তার স্বামী তার বাবার কাছ থেকে প্রমোশন বাবদ ৭০ লাখ টাকা দাবি করেন। তিনি ১৫ লাখ টাকা এনে দেয়াতে তার ওপর স্বামীর নির্যাতন বাড়তে থাকে। এছাড়া তার স্বামী প্রতিদিন নেশা করে এসে তাকে মারধর করতো।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে অপহরণ ও ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে মুক্তিপণ দাবি, ২ পুলিশ গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, স্ত্রীর করা মামলায় গ্রেপ্তার পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দোহাকে বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতে হাজির করা হয়।