‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে একজনের কল পেয়ে মো. সোলায়মান হক (২৪) নামে অপহৃত যুবককে উদ্ধার ও মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে দুই সহোদর তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শ্যামলেন্দু ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলেন-লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার বড়খাতা এলাকার ইউসুফ আলীর মেয়ে লিপি বেগম (২৭) ও তার ছোট বোন সীমা বেগম (২৫)।
আরও পড়ুন: ৯৯৯ এ কল: সরকারি বিনামূল্যের বই বিক্রির অভিযোগে শিক্ষিকা আটক
মঙ্গলবার দুপুরে জরুরি সেবায় কলার জানান, তার বন্ধু, বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করার জন্য ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় গিয়েছিল। এরপর তার বন্ধুর ফোন থেকে তাকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না পাঠালে তার বন্ধুকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়েছে। তবে আটক হওয়ার আগে তার বন্ধু হোয়াটসঅ্যাপে তার অবস্থানের গুগল ম্যাপ লোকেশন কলারকে পাঠিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী কলার জানান তার বন্ধু আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল ন্যাশনাল ব্যাংকের পেছনে একটি ভবনে আটক আছেন।
৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মো. রেজোয়ান মিয়া তাৎক্ষণিকভাবে আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি জানায় এবং কলারের সঙ্গে কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: ফাঁসির দড়ি নিয়ে গাছের ডালে, ৯৯৯-এ কলে উদ্ধার
সংবাদ পেয়ে আশুলিয়া থানার একটি পুলিশ দল অবিলম্বে ঘটনা স্থলে যায়। পরে আশুলিয়া থানার এসআই শ্যামলেন্দু ঘোষ ৯৯৯ কে জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকে রাখার বাড়িটি চিহ্নিত করেন গাজীরচটে তাহের পাটোয়ারীর বাড়ি ‘কুসুম ভিলা’। এরপর বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী মো. সোলায়মান হককে উদ্ধার করা হয়। মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে লিপি বেগম ও সীমা বেগমকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের দুই সহযোগী পালিয়ে যায়।
এ সংক্রান্তে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।