রাজশাহী
পাবনায় হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পাবনায় হত্যা মামলার এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ধর্ষণচেষ্টার দায়ে পাঁচ বছর কারাদণ্ড অনাদায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং লাশ গুমের দায়ে দুই বছর অনাদায়ে আরও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডবল মার্ডার : বিশ্বনাথে একজনের মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত টুটুল সাঁথিয়া উপজেলার চর পাইকারহাটি গ্রামের আতাহার মুল্লিকের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নিহত আলেয়া খাতুন একই গ্রামের আরদোশ মুল্লিকের স্ত্রী।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, আলেয়া খাতুন বাড়ির পাশে লাকড়ি কুড়াতে যান। এসময় টুটুল তাকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে তাকে শাড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং ধান খেতে লুকিয়ে রাখে। এই ঘটনার ছয় দিন পর সন্দেহজনকভাবে টুটুলকে আটক করলে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করে এবং লুকানো লাশ বের করে দেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণের পর হত্যা, ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড
এ ঘটনায় আলেয়া খাতুনের মেয়ে সাবানা আক্তার বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় টুটুলের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এই রায় ঘোষণা করা হলো।
মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তিনিসহ সাতজনকে আসামি করে চার্জশিট প্রস্তুত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আগামী সপ্তাহে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হবে।
বাবুল আক্তার ছাড়া অন্যরা হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ ভোলো, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু ও শাহজাহান মিয়া।
অন্যদিকে, মিতু খুনের মামলায় গ্রেপ্তার চারজনকে অভিযোগপত্রে অব্যাহতি দিয়েছে পিবিআই।
তারা হলেন- মো. সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু, নুরুন্নবী, রাশেদ ও গুইন্যা।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বাবুল আক্তার বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তার জড়িত ছিলেন। তার পরিকল্পনা ও নির্দেশে খুন হন স্ত্রী মিতু। মূল অভিযোগপত্র ৯ পৃষ্ঠার। তবে এর সঙ্গে ১০ খণ্ডের নথি সংযুক্ত করা হয়েছে। মামলার সাক্ষ্যস্মারকে (এমওই) আমি এরইমধ্যে স্বাক্ষর করে দিয়েছি।
চার্জশিটের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিতু হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা বাবুল আক্তার- এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট। বাবুল আক্তার কক্সবাজারে কর্মরত থাকা অবস্থায় বিদেশি এনজিও সংস্থার কর্মী গায়ত্রী অমর সিংয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়। এ কারণে বাবুল আক্তার তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিন লাখ টাকায় ‘খুনি’ ভাড়া করে স্ত্রীকে খুন করান। নিজেকে আড়ালে রাখতে প্রচার করেন- জঙ্গিরাই মিতুকে খুন করেছে। মিতুকে খুনের মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলের ‘সোর্স’ মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা। সঙ্গে ছিল আরও ছয়জন। হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার মুসাকে ফোনে গা ঢাকা দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
একটি বইয়ের লেখার সূত্র ধরে মামলার জট খোলে বলে তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। মামলার আলামত হিসেবে উপহার পাওয়া বাবুল আক্তারের একটি বই জব্দের পর হত্যাকাণ্ডের জট খোলে। গায়ত্রী বাবুলকে আহমেদ রশিদ রচিত ইংরেজি ভাষার ‘তালিবান’ নামে একটি বই উপহার দেন। ওই বইয়ের তৃতীয় পাতায় গায়ত্রী অমর সিংয়ের নিজের হাতে লেখা এবং শেষ পাতা ২৭৬-এর পরের খালি পাতাটিতে বাবুল আক্তারের হাতে লেখা ইংরেজিতে তাদের ‘প্রথম সাক্ষাত’র বিষয়সহ রোমান্সকর মুহূর্তের কিছু বিবরণ লেখা ছিল।
গ্রেপ্তার ভোলা, ওয়াসিম ও আনোয়ার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে মিতু হত্যার দায় স্বীকার করেছে। এর মধ্যে ভোলা তার জবানবন্দিতে অপর আসামি মুসার সঙ্গে কথোপকথনের বিষয় উল্লেখ করে। সেখানে বাবুল আক্তার যে মুসাকে তার (বাবুল আক্তারের) স্ত্রীকে হত্যার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন সেটি উল্লেখ আছে। তাছাড়া সাইফুল ইসলাম নামে নিজের এক ব্যবসায়ীক অংশীদারের মাধ্যমে বাবুল আক্তার তার স্ত্রী মিতুকে হত্যার জন্য তিন লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন সেটিও জবানবন্দিতে এসেছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে মুসা ও কালু পলাতক বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। কারাগারে আছেন- বাবুল আক্তার, ওয়াসিম, শাহজাহান মিয়া ও আনোয়ার হোসেন।
মিতু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে হদিস মিলছে না কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসার। তার স্ত্রী পান্না আক্তার দাবি করেন, মুছাকে হত্যাকাণ্ডের পর ২০১৬ সালের ২২ জুন প্রশাসনের কিছু লোক ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ মিলছে না। মিতু হত্যা মামলায় মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে ৯৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এর মধ্যে মুসার স্ত্রী পান্না আক্তার এবং বাবুলের বন্ধু সাইফুলও রয়েছেন।
২০২১ সালের ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। পরদিন বাবুল আক্তার মামলায় আদালতে ৫৭৫ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। ওই বছরের ১২ মে বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন:বার্মিজ সেনাদের নৃশংসতা মানবতার বিরোধী এবং গণহত্যার পর্যায়ে পড়ে: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মামলার বাকি সাত আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু, মো. সাইদুল ইসলাম।
চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের পর্যবেক্ষণ মেনে মোশাররফের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। একইসঙ্গে ওই মামলার ডকেট প্রথম মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে তদন্তের জন্য আবেদন করেন। আদালত অনুমতি দিলে শুধু বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলাটির তদন্তই চলমান থাকে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে স্ত্রীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক
শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা: সাতক্ষীরায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
নুডলস খেতে গিয়ে শিশুর গলায় আটকে গেল সেফটিপিন!
নাটোরের লালপুর উপজেলার বড় বাড্ডা এলাকায় মায়ের হাতে নুডলস খেতে গিয়ে তিন বছরের শিশু জিদনীর গলায় আস্ত একটা সেফটিপিন আটকে গেছে।
শুক্রবার সকালে শিশুর বাবা শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার রাত ১২টার দিকে জিদনীকে নুডলস খাওয়ান মা জুলেখা বেগম। ওই সময় নুডুলসের সঙ্গে মিশে থাকা একটি সেফটিপিন জিদনীর গলায় আটকে যায়। তৎক্ষণাত সে বমি করতে শুরু করে। ধীরে ধীরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওই রাতেই বাঘার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরে ওই রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
জিদনীর মা জানান, নুডলস খাওয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গলায় কি যেন আটকে যায়। সে তৎক্ষণাত বমি করতে শুরু করলে রাতেই বাঘার ক্লিনিক থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং অপারেশনের মাধ্যমে সেফটিপিন বের করা হয়। রামেকের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করানো হয়। এখন স্যালাইন চলছে। তবে চিকিৎসক বলেছেন আর কোনো সমস্যা নেই।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
দুই শিশুকে বেঁধে নির্যাতন, চট্টগ্রামে ৩ পুলিশ প্রত্যাহার
বল তুলতে গিয়ে পদ্মায় ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু!
বল তুলতে গিয়ে পদ্মায় ডুবে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। রাজশাহী মহানগরী সংলগ্ন পদ্মা নদীর টি বাঁধ এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত এরফান (১৬) নগরীর বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা এবং স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
আরও পড়ুন:সিলেটে সুরমা নদীতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুর রউফ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বন্ধুদের নিয়ে মহানগরের টি-বাঁধ সংলগ্ন নদীর তীরে ফুটবল খেলতে গিয়েছিল এরফান। একপর্যায়ে বলটি নদীতে পড়ে গেলে তুলতে যায় সে। এরপর সে আর তীরে ফিরে আসতে পারেনি।
স্থানীয়রা সদর দমকল বাহিনীকে ফোন দেয়। খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে নদীতে নেমে অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এরফানের লাশ খুঁজে পায়। মহানগরের শ্রীরামপুর এলাকায় থাকা জেলা পুলিশ সুপারের বাসভবনের বিপরীতে পদ্মা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পরে সেই লাশ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন:পদ্মা নদীতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
শিবগঞ্জে পাগলা নদীতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
নাটোরে বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
নাটোরে বন্ধুর হাসুয়ার আঘাতে শাওন আহমেদ (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মল্লিকহাটী এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শাওন একই এলাকার মো. দেলুর ছেলে।অভিযুক্রে নাম আলিফ।
আরও পড়ুন:চোর সন্দেহে ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা
এলাকাবাসী জানায়,পূর্ব বিরোধের জের ধরে সকালে ওই এলাকার একটি চা-দোকানে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে দুই বন্ধু শাওন ও আলিফ। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আলিফ হাসুয়া দিয়ে শাওনকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। সেখানে থাকা লোকজন শাওনকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে শাওনের মৃত্যু হয়।
নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানিয়েছেন,অভিযুক্ত আলিফকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন:জিয়া মারা না গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামি হতেন: আইনমন্ত্রী
পাবনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
বগুড়ায় বড় ভাইয়ের ঘুষিতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
বগুড়ায় বড় ভাইয়ের কিল-ঘুষিতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে গাবতলী উপজেলার সোনারায় মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ঠান্ডা মিয়া (৫০) ওই এলাকার কোরবান আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় ট্রাকচাপায় নিহত ১, চালক-সহকারী আটক
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, ঠান্ডা মিয়ার বড় ভাই নুরু মিয়া ও তার স্ত্রী মাজেদা বেগম তাদের ছেলে শাহ আলমের স্ত্রীকে নিয়ে সব সময় ঝগড়া করতেন। মঙ্গলবার রাতে তারা আবারও ঝগড়া করেন। এসময় ঠান্ডা মিয়া তার বড় ভাইকে ঝগড়া করতে নিষেধ করেন। এতে বড় ভাই ক্ষিপ্ত হয়ে ঠান্ডা মিয়াকে কিল-ঘুষি মারেন। এতে ঠান্ডা মিয়া অসুস্থ হয়ে কিছুক্ষণ পর সেখানেই মারা যান।
ওসি জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় অতিরিক্ত ধান মজুদ, ৭ লাখ টাকা জরিমানা
বগুড়ায় হত্যা মামলার আসামির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বগুড়ায় ট্রাকচাপায় নিহত ১, চালক-সহকারী আটক
বগুড়ার শেরপুরে শালফা বাজার এলাকায় ট্রাকচাপায় ৬৫ বছর বয়সী এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত অনাথ আলী মন্ডল উপজেলার শালফা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আফাজ মন্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: সাজেকে চাঁদের গাড়ি উল্টে ব্যবসায়ীসহ নিহত ২
আটক ব্যক্তিরা হলেন, টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের আবু হাসানের ছেলে ট্রাকচালক আরমান (১৯) ও ভূঞাপুরের বাসেদ মন্ডলের ছেলে চালকের সহকারী শামীম মন্ডল (২২)।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় সাতক্ষীরায় আখ ব্যবসায়ী নিহত
শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিথুন সরকার জানান, অনাথ আলী আঞ্চলিক সড়কের পাশ দিয়ে হাঁটছিলেন। এ সময় শেরপুর থেকে ছেড়ে আসা ধুনটগামী একটি ট্রাক তাকে চাপা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক অনাথ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
বগুড়ায় হত্যা মামলার আসামির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
বগুড়ার নন্দীগ্রামে তিনটি হত্যা মামলার আসামি ও বালু ব্যবসায়ী আখের আলীর (৪০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার ওমরপুর এলাকার একটি ধান খেত থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আখের আলী বগুড়া সদরের সাবগ্রাম চান্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে। আখের আলীর নামে তার আপন বড় ভাই রাশেদ, যুবলীগ নেতা মানিক ও বালু ব্যবসায়ী সবুজ হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়াও তার নামে ডাকাতি, ছিনতাইসহ আরও ৭-৮ টি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন:রাজশাহীতে বৃদ্ধার গলাকাটা লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের পাশে ওমরপুর এলাকায় একটি ধান খেতে স্থানীয় লোকজন গলাকাটা লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, আখের আলী সরাসরি রাজনীতি না করলেও সরকারি দলের নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করতেন। এক সময় তিনি শ্রমিক লীগ সাতমাথা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুবলীগ নেতা মানিক ও বালু ব্যবসায়ী সবুজ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন আখের আলী। নিজের বড় ভাই রাশেদের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে ভাবীকে বিয়ে করতে ভাইকে খুন করে। পরে আখের আলীর ভয়ে তার ভাবী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
বর্তমানে তিনি লেবানলে শ্রমিকের কাজ করেন। আখের আলীর সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তাদেরও ঘনিষ্ঠতা ছিল। পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আখের আলীর একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া গেছে। ছয় মাস আগে জামিনে জেলখানা থেকে বের হন আখের আলী। এরপর গত ছয় মাসে তার নামে কোন অভিযোগ এলাকায় নেই। রবিবার সন্ধ্যার পর সাবগ্রামের পাশে ফনির মোড় এলাকার বাপ্পী নামের এক বালু ব্যবসায়ীর মোটর সাইকেল চেয়ে নেন আখের আলীর। লাশ উদ্ধারের পর সেই মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে আখের আলীর ঘনিষ্ঠ জন কেউ ডেকে এনে গলা কেটে হত্যা করেছে। তার নামে তিনটি হত্যাসহ অসংখ্য মামলার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:বাগান থেকে হত্যা মামলার আসামির গলাকাটা লাশ উদ্ধার!
মানিকগঞ্জে শ্বশুরবাড়ি থেকে নববধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
পাবনায় বিরোধের জেরে সাবেক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
পাবনার সুজানগর উপজেলার তাতিবন্দে জাহাঙ্গীর আলম (৬৭) নামের এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে তাতিবন্দ ইউনিয়নের বনগ্রাম বাজারের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার ভবানীপুর গ্রামের মৃত হাসান খন্দকারের ছেলে। তিনি ২০২১ সালে পাবনা সদর থানা থেকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে অবসরে যান।
আহতরা হলেন, নিহতের ভাই মতি খন্দকার, একই এলাকার আরফান মোল্লার ছেলে আয়েনউদ্দিন ও নজিমউদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিম। আহত বাকিদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
নিহতের ছেলে জুবায়ের খন্দকারের দাবি, হামলাকারীরা চরমপন্থী দলের সদস্য। অবসর গ্রহণের পর এলাকার জুয়া খেলা নিয়ে প্রতিবাদ করে আসছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। পরে তিনি পেনশনের টাকা দিয়ে নতুন বাড়ি করতে গেলে চরমপন্থীরা চাঁদা দাবি করে। জুয়া খেলা ও চাঁদাবাজি নিয়েই এলাকার চরমপন্থি হিসেবে পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ চলছিল তার।
সেই বিরোধের জেরেই সোমবার বেলা ১১টার দিকে তারা একযোগে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলায় জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং মতি খন্দকারসহ আহত হন অন্তত ১০ জন।
আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মতি খন্দকারের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, পাঁচ বছর আগে তাদের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলা হয়েছিল। সেই শত্রুতার জের ধরেই আজকের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এখানে চরমপন্থীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পরিত্যক্ত গোডাউন থেকে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার
বগুড়ায় খুঁটি স্থাপনের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ক্রেনের চালক নিহত
বগুড়ার আদমদীঘিতে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ক্রেন চালক নিহত এবং চালকের সহকারী আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় আদমদীঘি উপজেলার রেলওয়ে স্টেশন এলাকার খামারবাড়ির সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজিম উদ্দিন (৩৬) কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার নেমশিকালি গ্রামের তাজু মিয়ার ছেলে।
আহত হারুনুর রশিদ (২১) চট্রগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাড়িগ্রামের শফিউল আলমের ছেলে। তারা নেসকো লিমিটেডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারায়ণগঞ্জে ৩ জায়ের মৃত্যু
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, সান্তাহার নেসকো বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের আওয়ায় আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে নতুন করে বৈদ্যুতিক খুঁটি বা পোল স্থাপনের জন্য বেশ কিছু শ্রমিক দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আদমদীঘির রেলওয়ে স্টেশনের কাছে খামার বাড়ি এলাকায় সিমেন্টের তৈরি খুঁটি বা পোল ক্রেনের মাধ্যমে স্থাপন করার সময় পাশের বৈদ্যুতিক তারে স্পর্শ লেগে ক্রেনের চালক নাজিম উদ্দিন ও চালকের সহকারী হারুনুর রশিদ গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভ্যানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ১০
পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে আদমদীঘি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক চালক নাজিম উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত চালকের সহকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।