পাবনার সুজানগর উপজেলার তাতিবন্দে জাহাঙ্গীর আলম (৬৭) নামের এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে তাতিবন্দ ইউনিয়নের বনগ্রাম বাজারের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার ভবানীপুর গ্রামের মৃত হাসান খন্দকারের ছেলে। তিনি ২০২১ সালে পাবনা সদর থানা থেকে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে অবসরে যান।
আহতরা হলেন, নিহতের ভাই মতি খন্দকার, একই এলাকার আরফান মোল্লার ছেলে আয়েনউদ্দিন ও নজিমউদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহিম। আহত বাকিদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
নিহতের ছেলে জুবায়ের খন্দকারের দাবি, হামলাকারীরা চরমপন্থী দলের সদস্য। অবসর গ্রহণের পর এলাকার জুয়া খেলা নিয়ে প্রতিবাদ করে আসছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। পরে তিনি পেনশনের টাকা দিয়ে নতুন বাড়ি করতে গেলে চরমপন্থীরা চাঁদা দাবি করে। জুয়া খেলা ও চাঁদাবাজি নিয়েই এলাকার চরমপন্থি হিসেবে পরিচিত কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ চলছিল তার।
সেই বিরোধের জেরেই সোমবার বেলা ১১টার দিকে তারা একযোগে জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলায় জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং মতি খন্দকারসহ আহত হন অন্তত ১০ জন।
আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মতি খন্দকারের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান জানান, পাঁচ বছর আগে তাদের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলা হয়েছিল। সেই শত্রুতার জের ধরেই আজকের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এখানে চরমপন্থীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পরিত্যক্ত গোডাউন থেকে যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
ঠাকুরগাঁওয়ে নদীতে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর শিশুর লাশ উদ্ধার