���������������������-���������������������
আরএমজি শিল্পের উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের নীতিগত সহায়তা চান বিজিএমইএ সভাপতি
ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানের সঙ্গে গত ৩১ মে সাক্ষাৎ করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
সাক্ষাতের সময় তারা আরএমজি শিল্পের বর্তমান ব্যবসায়িক পরিস্থিতি এবং আরএমজি শিল্পের চ্যালেঞ্জগুলো; বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টাকে আরএমজি সেক্টরের টেকসই প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে আরএমজি রপ্তানি থেকে ১০০ বিলিয়ন অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: ঈদের আগেই বিজিএমইএ আওতাধীন কারখানার মার্চ মাসের মজুরি পরিশোধ: বিজিএমইএ
এছাড়া বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান আরএমজি শিল্পের জন্য সরকারের কৌশলগত সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
যাতে আগামী দিনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং শিল্পের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়িত করতে এই খাতকে সহায়তা করা যায়।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, শিল্পটি প্রবৃদ্ধির দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের জন্য নন-কটন টেক্সটাইল এবং উচ্চ মূল্য সংযোজিত পোশাকের দিকে ঝুঁকতে গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি বিশেষ করে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, মানবসৃষ্ট ফাইবারভিত্তিক সুতা এবং প্রযুক্তিগত টেক্সটাইল খাতে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া তিনি ব্যবসা করার শর্তাবলী আরও উন্নত করতে এবং ব্যবসা করার সময় ব্যয়-হ্রাস করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিজিএমইএর পরিচালক আহসানুল হক, বাণিজ্যমেলা সংক্রান্ত বিজিএমইএ স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, তফসিল ব্যাংক সংক্রান্ত বিজিএমইএর স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. ইসরাফিল আতিক এবং বিজিএমইএর চ্যালেঞ্জড ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আনিসুর রহমান।
আরও পড়ুন: শিল্পের প্রবৃদ্ধি ছাড়া ৭.৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন অসম্ভব: বিজিএমইএ সভাপতি
এলডিসি উত্তোরণে বাংলাদেশকে সহায়তায় ইইউ’র প্রতি বিজিএমইএ প্রধানের আহ্বান
রাশিয়া থেকে ১.৮০ লাখ টন সার আমদানির চুক্তি সই
২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাশিয়া থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার আমদানি করার জন্য সরকার এবং একটি রাশিয়ান কোম্পানির মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) এবং পডিনটর্গের মহাপরিচালক আন্দ্রে সের্গেইভিচ চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএডিসির সদস্য পরিচালক আবদুস সামাদ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান বদিউল আলম।
আরও পড়ুন: ৯০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভার ক্রয় কমিটি
৮০ হাজার মে. টন ইউরিয়া সার আমদানিসহ ৭ প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য আবারও কমলো, বাংলাদেশে জরুরি অর্থায়নে জাতিসংঘের আহ্বান
জাতিসংঘ অবিলম্বে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তায় নতুন করে ঘাটতির সম্মুখীন হওয়ায় অবিলম্বে তহবিল বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্য আবেদন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাসিক খাদ্য ভাউচার তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার কমানো হচ্ছে, যা হবে দৈনিক রেশনের ৩৩ শতাংশ হ্রাস।
শরণার্থীদের প্রত্যেককে মাত্র ৮ মার্কিন ডলার (৮৪০ টাকা) সমমূল্যের ফুড ভাউচার দেওয়া হবে প্রতি মাসে। এটুকুই শরণার্থীদের জীবনধারণের উপায়, অন্য কোনো বিকল্প তাদের নেই।
মা-বাবারা ইতোমধ্যে কম খাচ্ছেন, যাতে তাদের সন্তানেরা খেতে পায়। রেশনের কাটছাঁট যারা খাদ্য সাহায্যের ওপরেই নির্ভরশীল, যাদের জীবনধারণের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ-সম্ভাবনা নেই এমন প্রায় ১০ লাখ শরণার্থীর জীবনে প্রভাব ফেলবে।
চলতি বছরের শুরুতে শরণার্থীরা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) থেকে মাথাপিছু মাসিক ১২ মার্কিন ডলার মূল্যমানের রেশন পাচ্ছিলেন, যা দিয়ে কেবল তাদের দৈনিক চাহিদাটুকু মিটত। কিন্তু অর্থায়নের অভাবে ১ মার্চ থেকে তাদের মাথাপিছু মাসিক রেশন কমিয়ে ১০ মার্কিন ডলার করা হয়। এখন থেকে তা হবে মাত্র ৮ মার্কিন ডলার মূল্যমানের।
আরও পড়ুন: আইসিজেতে রোহিঙ্গা মামলায় অপর্যাপ্ত তহবিল নিয়ে ওআইসি মহাসচিবের উদ্বেগ
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য হ্রাস করা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের খাদ্য সাহায্য কমাতে বাধ্য হচ্ছে। শরণার্থীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে এর ফল হবে ভয়াবহ। নারী, শিশু ও সবচেয়ে নাজুক মানুষেরা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছি। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তায়, তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, খাদ্য ও শিক্ষার জন্য মোট যে পরিমাণ অর্থ দরকার তার মাত্র ২৪ দশমিক ৬ শতাংশের অর্থায়ন মিলেছে । এই শরণার্থীদের সাহায্য-সহযোগিতার আর কোনো উৎস নেই। রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বসবাসরত মানুষের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। তারা সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থায়নের ওপর।’
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবন-রক্ষাকারী সহায়তায় এই নতুন কাটছাঁটের উদ্যোগ নেওয়া হলো এমন এক সময় যখন তারা বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডব আর সেই সঙ্গে তাদের শিবিরগুলোতে এই বছরের বিরাট এক অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন; যার ফলে হাজার হাজার শরণার্থীর সাহায্য ভীষণ প্রয়োজন।
চলতি বছরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা বিশেষভাবে নাজুক, কারণ ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্যের যে আবেদন ২০২৩ সালে করা হয়েছে, ১ জুন নাগাদ তার মাত্র ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ অর্থায়ন মিলেছে; এর ফলে অন্যান্য জরুরি কর্মসূচি ও কর্মকাণ্ডেও কাটছাঁট করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা মামলা: সদস্য দেশগুলোর সমর্থন চেয়েছেন ওআইসি মহাসচিব
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৫০ কিশোর-কিশোরী
আত্মীয়দের বাসায় বেড়াতে এবং ভালো কাজের আশায় অবৈধ পথে ভারত গিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরল ৫০ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) সন্ধ্যায় তাদের ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মাহাবুবুর রহমান প্রমূখ।
ফেরতআসাদের মধ্যে কিশোর ২৮ জন ও কিশোরী ২২ জন। তাদের মধ্যে ৪৬ জনের বয়স ৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে এবং বাকি চারজনের বয়স ২০ বছরের মধ্যে। দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা তারা।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ৫ বাংলাদেশি
ফিরে আসারা জানায়, তারা বিভিন্ন মেয়াদে ভারতে কারাভোগ করেছে। দুই দেশের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে আজ দেশে ফিরেছে। পরে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে তিনটি এনজিও তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য যশোর শেল্টার হোমে নিয়ে যাবে।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনার কাউন্সিলর তুসিতা চাকমা ওই কিশোর কিশোরীদের সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের আশায়, আবার কেউ আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে তারা ভারতে যায়। বিভিন্ন অঞ্চলে বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর আজ তারা দেশে ফিরে এসেছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবীব বলেন, পাসপোর্ট ছাড়াই সীমান্তের অবৈধপথে ভারতের কলকাতার বিভিন্ন শহর এলাকায় গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন পেশার কাজ করার সময় পুলিশের হাতে আটক হয় তারা। পরে পুলিশ তাদের আদালতে পাঠালে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়। সাজা শেষ হলে তাদের ছাড়িয়ে সে দেশের একটি বেসরকারি এনজিও নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। পরে উভয় দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ৩২ মাস কারাভোগ শেষে ভারত ফিরলেন আফফান
সবুজ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের যাত্রায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে পেরে গর্বিত: ইইউ
বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বৃহস্পতিবার বলেছেন, টিম ইউরোপের মাধ্যমে একটি সবুজ এবং আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে বাংলাদেশ সরকারের পাশে দাঁড়াতে পেরে ইইউ গর্বিত।
রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছে এনার্জি স্টোরেজ রোডম্যাপ উপস্থাপন করতে পেরে আনন্দিত।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল (ইইউডি) রাজধানীর একটি হোটেলে এনার্জি স্টোরেজ রোডম্যাপ প্রেজেন্টেশন অ্যান্ড হ্যান্ডওভার: ড্রাইভিং ইনভেস্টমেন্টস অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন’- অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই ইভেন্টটি বাংলাদেশের টেকসই জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রায় জ্বালানি সঞ্চয়ের কৌশলগত গুরুত্বকেই তুলে ধরেনি বরং এই গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা ও বিনিয়োগের ভিত্তিও তৈরি করেছে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
ড. চৌধুরী গবেষণার জন্য তার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং অন্যান্য দেশ এবং ইউরোপে বিদ্যমান এবং সম্ভাব্য ব্যাটারি জ্বালানি সঞ্চয় অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে আরও জানার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিনি ইইউ এবং এর সদস্য দেশগুলোকে বাংলাদেশে অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রয়োগে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেন।
আরও পড়ুন: এলডিসি উত্তোরণে বাংলাদেশকে সহায়তায় ইইউ’র প্রতি বিজিএমইএ প্রধানের আহ্বান
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (এমওপিইএমআর) অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা-২, পাওয়ার বিভাগ) তানিয়া খান এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জি. মোহাম্মদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
টেকসই ও নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসআরইডিএ) এর চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সরকারি স্টেকহোল্ডার, বিদ্যুৎ বিভাগ, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো), পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (বিআরইবি), ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (আইডিসিওএল), বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এর প্রতিনিধি এবং এইখাত সংশ্লিষ্ট দাতা যেমন- জিআইজেড, এএফডি, এডিবি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইইউ সদস্য রাষ্ট্র, মার্কিন দূতাবাস এবং দুটি বেসরকারি কোম্পানিসহ জ্বালানি সঞ্চয়স্থান সমাধানে সম্ভাব্য বিনিয়োগে আগ্রহী ৪০ জন উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিকে একত্র করা হয়।
দ্য এনার্জি স্টোরেজ রোডম্যাপের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো সমীক্ষা দলের নেতা মোহাম্মদ আরবাজ নাঈম উপস্থাপন করেন, যিনি দর্শকদের প্রশ্ন ও মন্তব্যও তুলে ধরেন।
এই সমীক্ষা টিম ইউরোপ ইনিশিয়েটিভ অন গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশনের কাঠামোর মধ্যে এবং ইইউ গ্লোবাল গেটওয়ে কৌশলের অংশ হিসেবে সংগঠিত হয়েছিল।
অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান এবং ডিজি পাওয়ার সেল উভয়েই এই গবেষণার জন্য অর্থ প্রদানের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা গবেষণায় বর্ণিত প্রকল্পগুলোতে ইইউ-এর সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ঢাকায় ইইউ দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশে সবুজ উত্তরণে সহায়তার জন্য ইইউ জড়িত এবং আর্থিক প্রতিশ্রুতি বিদ্যুৎ খাতের বিভিন্ন দিককে কভার করে।
এই বছর, ইইউ বাংলাদেশের গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশনের জন্য ইইউ অনুদান সহায়তার একটি ব্যাপক অর্থায়ন প্যাকেজ ডিজাইন করেছে।
ইইউ একটি নতুন পাইপলাইন প্রকল্পের মাধ্যমে জ্বালানি এবং জ্বালানি একীকরণ সমর্থন করার লক্ষ্য রাখে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ইইউ 'দ্রুত সময়ে' অংশীদারিত্ব সহযোগিতা চুক্তি চালু করতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
ইইউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক একটি বহুমাত্রিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব: ইইউ
১ কোটি ৪৯ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি ১৭৬টি দেশে কাজ করে
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বাজেট বক্তৃতায় জানান, বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ১ কোটি ৪৯ লাখের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন।
তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিগত ১২ বছরে মোট ৮১ লাখ ৪৭ হাজার ৬৪২ জন কর্মীকে পেশাদার, দক্ষ, আধা-দক্ষ এবং স্বল্প-দক্ষ ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ৭৩টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিকেন্দ্রীকরণ বা সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
একই সময়ে প্রায় ১০ লাখ নারী শ্রমিক বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।
কামাল বলেন, ‘আমরা নতুন শ্রম বাজারের জন্য আমাদের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছি। এরই মধ্যে মূল গন্তব্যের বাইরে পোল্যান্ড, সেশেলস, আলবেনিয়া, রোমানিয়া, স্লোভেনিয়া, উজবেকিস্তান, বসনিয়া হার্জেগোভিনা ও কম্বোডিয়ার মতো দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানো সম্ভব হয়েছে’।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৩-২৪: সাংস্কৃতিক খাতে ৬৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য তরুণ ও নারীদের প্রস্তুত করতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ
বিদেশে মিশনগুলোতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে সরকার
নতুন মিশন প্রধানসহ বিদেশে মিশনগুলোতে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে সরকার।
একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসানকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের বর্তমান হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার সার্কের মহাসচিব হিসেবে যোগ দেবেন।
মিসরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনিরুল ইসলামকে ইতালিতে রাষ্ট্রদূত করা হয়েছে।
ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ মিসরে রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেবেন।
টরন্টোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল লুৎফর রহমানকে ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত করা হয়েছে।
পর্তুগালে রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেবেন মরিশাসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ।
পর্তুগালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসানের অবসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের প্রচারণায় বিদেশে মিশন ব্যবহার করছে সরকার: বিএনপি
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
সিইসি’র সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (১ জুন) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতের সময় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত নির্বাচনের পদ্ধতি, নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ কী, সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচনের দিন কীভাবে নির্বাচনব্যবস্থা পরিচালনা করা হয়, নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত কারা এবং তারা কীভাবে কাজ করে- এসব বিষয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানতে চান।
জবাবে সিইসি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইতোমধ্যে আমাদের রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছি এবং আমাদের প্রতিটি ধাপ নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আগাচ্ছে।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে: সিইসি
তিনি আরও বলেন, সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে অল্প কিছু এলাকাতে পরিবর্তন করতে হবে। সে পরিবর্তনের কাজও শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে আমরা ঘোষণা দিয়ে দেব।
নির্বাচন পদ্ধতি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। ভোটের দিন প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাগণ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে তার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সিইসি বলেন, কিছুদিন আগে আমরা গাজীপুরে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করতে পেরেছি। কোনো সমস্যা হয়নি। আগামী জাতীয় নির্বাচনও আমরা সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে করতে পারব বলে আশা করি। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং সকল কার্যক্রম আমাদের গ্রহণ করা হয়েছে।
নির্বাচন উপলক্ষে বিদেশি পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানাবো। পর্যবেক্ষক দল আসলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করব। এক্ষেত্রে জাপানকে আগামী নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে অনুরোধ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
এই বৈঠকের সময় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্নে প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সিইসি’র
ঢাকা-আঙ্কারা সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে অঙ্গীকার এরদোয়ান ও শেখ হাসিনার
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ করার তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বুধবার রাত সোয়া ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তুরস্কের পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই নেতা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং একে অপরের সঙ্গে ১০ মিনিট কথা বলেন।
শেখ হাসিনা দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়লাভ করায় এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানান। নির্বাচনের এই পর্বে ভোটার উপস্থিতির হার ৮৬ শতাংশের বেশি ছিল।
তুরস্কের জনগণ যে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে তা নিয়ে তার আত্মবিশ্বাস নির্বাচনের পর প্রমাণিত হওয়ায় তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: দ্বিতীয় পর্বের ভোটে লড়তে হতে পারে এরদোয়ান ও কিলিচদারুগ্লুকে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের মতো যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশের জনগণ তুরস্কের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের পাশে দাঁড়াতে অবিচল থাকবে।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে তার বিজয়ে বাংলাদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ তুরস্কের জনগণের সঙ্গে মানসিকভাবে যুক্ত হওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ জন্য তিনি বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান এবং দু'দেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা এরদোয়ান ও তার পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান এবং তার মাধ্যমে তুরস্কের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: এরদোয়ান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত
নিরাপত্তা সহযোগিতা কোনো কৌশলগত জোট বোঝায় না: শাহরিয়ার আলম
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বুধবার বলেছেন, নিরাপত্তা সহযোগিতা বলতে কোনো কৌশলগত জোট বোঝায় না।
তিনি অবশ্য বলেছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তারা সম্ভবত কিছু বড় ক্রয় পরিকল্পনার গতি কমিয়ে দিয়েছে, যা অর্থনৈতিক অবস্থার আরও উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
সরকার আরও অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছে উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতায় আঘাত লাগলে, সার্বভৌমত্বে আঘাত লাগলে তা মোকাবিলায় আমাদের সরঞ্জাম লাগবে।’
রাজধানীর একটি হোটেলে 'বাংলাদেশ অ্যাট দ্য ক্রসরোডস' শীর্ষক এক ইন্টারেক্টিভ সেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
দৈনিক ইত্তেফাকের প্রকাশক ও নির্বাহী পরিচালক তারিন হোসেন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: চীনের জিডিআই নিয়ে এখনই কিছু বলার নেই: শাহরিয়ার আলম
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির অর্থ এই নয় যে, বাংলাদেশ কোনো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়াবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে হবে। আমাদের ফোর্সেস গোল ২০৩০ আছে। দেশের অর্থনৈতিক কল্যাণ এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।’
অবশ্যই চরমপন্থার ঝুঁকি সবসময়ই থাকে এবং বাংলাদেশ তা প্রতিরোধ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে নেই।’
শাহরিয়ার বলেন, ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কিছু কৌশলগত পরিকল্পনা রয়েছে এবং এটি সম্পন্ন হতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।
এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি মিশনের কূটনীতিকরা এবং সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পৃথিবীর বর্ধিষ্ণু অর্থনৈতিক অঞ্চল হলো এশিয়া: শাহরিয়ার আলম