বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বৃহস্পতিবার বলেছেন, টিম ইউরোপের মাধ্যমে একটি সবুজ এবং আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথে বাংলাদেশ সরকারের পাশে দাঁড়াতে পেরে ইইউ গর্বিত।
রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকার এবং সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের কাছে এনার্জি স্টোরেজ রোডম্যাপ উপস্থাপন করতে পেরে আনন্দিত।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল (ইইউডি) রাজধানীর একটি হোটেলে এনার্জি স্টোরেজ রোডম্যাপ প্রেজেন্টেশন অ্যান্ড হ্যান্ডওভার: ড্রাইভিং ইনভেস্টমেন্টস অ্যান্ড কোঅর্ডিনেশন’- অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই ইভেন্টটি বাংলাদেশের টেকসই জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রায় জ্বালানি সঞ্চয়ের কৌশলগত গুরুত্বকেই তুলে ধরেনি বরং এই গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা ও বিনিয়োগের ভিত্তিও তৈরি করেছে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
ড. চৌধুরী গবেষণার জন্য তার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং অন্যান্য দেশ এবং ইউরোপে বিদ্যমান এবং সম্ভাব্য ব্যাটারি জ্বালানি সঞ্চয় অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে আরও জানার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিনি ইইউ এবং এর সদস্য দেশগুলোকে বাংলাদেশে অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রয়োগে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেন।
আরও পড়ুন: এলডিসি উত্তোরণে বাংলাদেশকে সহায়তায় ইইউ’র প্রতি বিজিএমইএ প্রধানের আহ্বান
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের (এমওপিইএমআর) অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা-২, পাওয়ার বিভাগ) তানিয়া খান এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জি. মোহাম্মদ হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
টেকসই ও নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এসআরইডিএ) এর চেয়ারম্যান মুনিরা সুলতানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সরকারি স্টেকহোল্ডার, বিদ্যুৎ বিভাগ, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো), পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান (বিআরইবি), ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (আইডিসিওএল), বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) এর প্রতিনিধি এবং এইখাত সংশ্লিষ্ট দাতা যেমন- জিআইজেড, এএফডি, এডিবি, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, ইইউ সদস্য রাষ্ট্র, মার্কিন দূতাবাস এবং দুটি বেসরকারি কোম্পানিসহ জ্বালানি সঞ্চয়স্থান সমাধানে সম্ভাব্য বিনিয়োগে আগ্রহী ৪০ জন উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধিকে একত্র করা হয়।
দ্য এনার্জি স্টোরেজ রোডম্যাপের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো সমীক্ষা দলের নেতা মোহাম্মদ আরবাজ নাঈম উপস্থাপন করেন, যিনি দর্শকদের প্রশ্ন ও মন্তব্যও তুলে ধরেন।
এই সমীক্ষা টিম ইউরোপ ইনিশিয়েটিভ অন গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশনের কাঠামোর মধ্যে এবং ইইউ গ্লোবাল গেটওয়ে কৌশলের অংশ হিসেবে সংগঠিত হয়েছিল।
অতিরিক্ত সচিব তানিয়া খান এবং ডিজি পাওয়ার সেল উভয়েই এই গবেষণার জন্য অর্থ প্রদানের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে তাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তারা গবেষণায় বর্ণিত প্রকল্পগুলোতে ইইউ-এর সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ঢাকায় ইইউ দূতাবাস জানিয়েছে, বাংলাদেশে সবুজ উত্তরণে সহায়তার জন্য ইইউ জড়িত এবং আর্থিক প্রতিশ্রুতি বিদ্যুৎ খাতের বিভিন্ন দিককে কভার করে।
এই বছর, ইইউ বাংলাদেশের গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশনের জন্য ইইউ অনুদান সহায়তার একটি ব্যাপক অর্থায়ন প্যাকেজ ডিজাইন করেছে।
ইইউ একটি নতুন পাইপলাইন প্রকল্পের মাধ্যমে জ্বালানি এবং জ্বালানি একীকরণ সমর্থন করার লক্ষ্য রাখে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ইইউ 'দ্রুত সময়ে' অংশীদারিত্ব সহযোগিতা চুক্তি চালু করতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
ইইউ’র সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক একটি বহুমাত্রিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব: ইইউ