ময়মনসিংহ
শ্যালো মেশিনের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চিনারচর পূর্বপাড়ায় শ্যালো মেশিনের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে রাশেদা বেগম (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: ঢাকা কলেজের পাশ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
রাশেদা বেগম চিনারচর পূর্বপাড়া গ্রামে মৃত শক্কুর আলীর স্ত্রী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাশেদা বেগম বাড়ির পাশে ফসলের মাঠে কাজ করার সময় অসাবধানতাবশত শ্যালো মেশিনে গলার ওড়না পেঁচিয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার বলেন, ‘এ ঘটনায় ইসলামপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে আবাসিক হোটেল থেকে লাশ উদ্ধার
মানিকগঞ্জে পিকনিকের ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ২ জনের লাশ উদ্ধার
জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারাই রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি: ধর্মমন্ত্রী
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, ‘জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারাই রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি। এছাড়া জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করলে কোনো বাধাই সামনে দাঁড়াতে পারবে না।’
শুক্রবার (১২ জুলাই) ইসলামপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারী মন্ডল মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: হজ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করছে সরকার: ধর্মমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে আমাদের সবাইকে যে যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। সরকারের সব উন্নয়ন নীতির মূলে রয়েছে সবার জন্য ন্যায়সঙ্গত কাজের সুযোগ সৃষ্টির প্রয়াস। এছাড়া প্রতিটি সেক্টরে আমরা যাতে সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারি সেজন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আখন্দ, আবিদা সুলতানা যুঁথী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএএম আবু তাহের, সহকারী পুলিশ সুপার (ইসলামপুর সার্কেল) অভিজিৎ দাস, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈদ মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনুষঙ্গ: ধর্মমন্ত্রী
বিশ্বের অন্যতম স্মার্ট হজ ব্যবস্থাপনা হবে বাংলাদেশে: ধর্মমন্ত্রী
জামালপুরে বন্যার পানিতে ডুবে যুবকের মৃত্যু
জামালপুরে বন্যার পানিতে ডুবে সোহেল (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে মেলান্দহ উপজেলার নাংলা নইলা ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সোহেল মেলান্দহ উপজেলার বারুইপাড়া গ্রামের শওকত আলীর ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, বন্ধুরা মিলে স্থানীয় নাংলা নইলা ঘাটে বন্যার পানিতে গোসল করতে যায় সোহেল। এক পর্যায়ে অন্য বন্ধুরা তীরে উঠলেও সোহেল পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেয়। ডুবুরি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
মেলান্দহ থানার কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ বলেন, জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া সোহেলের লাশ উদ্ধার করেছে। অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেরপুরে বন্যার পানিতে ডুবে মাদরাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু
শেরপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ৩
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ট্রাকচাপায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক যাত্রী।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের হারুয়া বাস স্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নে চরশিহারি গ্রামের আব্দুল কদ্দুস তালুকদারের ছেলে অটোরিকশাচালক তসলিম মিয়া (২৮), বড়হিত ইউনিয়নের নশতি গ্রামের আব্দুল খালেকের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৩৫) এবং ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া চরপাড়া গ্রামের আমিনুল হকের ছেলে আরিফুজ্জামান রাকিব (২০)।
নিহত রাকিব পিতাম্বর পাড়া হোসাইনিয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার বিএম শাখার ছাত্র ছিলেন। পরীক্ষা দেওয়া উদ্দেশ্যে তিনি ঈশ্বরগঞ্জ যাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে কাভার্ডভ্যানের চাপায় অটোরিকশাচালকসহ নিহত ২
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের লক্ষীগঞ্জ বাজার থেকে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশাকে একই দিক থেকে আসা ময়মনসিংগামী একটি ট্রাক পেছন থেকে ধাক্কা দিলে অটোরিকশাটি সড়কের পাশে পড়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় অটোরিকশার চালক ও এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। স্থানীয়দের সহায়তায় ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গুরুতর আহত আরও দুই যাত্রীকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহানারা বেগমের মৃত্যু হয়।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় স্থানীয়রা ঘাতক ট্রাক ও এর চালককে আটক করে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশে সোপর্দ করে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে আম কুড়াতে গিয়ে পানিতে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু
শেরপুরে বন্যার পানিতে ডুবে মাদরাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু
শেরপুরের নকলায় বন্যার পানিতে ডুবে রিফাত আলম নামে এক মাদরাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ডুবে যাওয়ার প্রায় ১০ ঘণ্টা পর শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (৭ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপজেলার উরফা ইউনিয়নের হাসখিলা উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিফাত আলম (৮) ওই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে এবং স্থানীয় তারাকান্দা হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: শেরপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
উরফা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম তালুকদার ভূট্টো জানান, শনিবার দুপুরের দিকে রিফাত বন্যার পানিতে কলাগাছের ভেলা নিয়ে খেলতে যায়। কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও সে আর ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য জায়গায় তাকে খোঁজাখুঁজির পাশাপাশি স্থানীয়দের জানান। পরে রাত ৯টার দিকে স্থানীয়রা বন্যায় ডুবন্ত মাঠ থেকে রিফাতের লাশ উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে নকলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে বর্তমানে এলাকার প্রতিটি নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা পানিতে ভরে গেছে। এমনকি নিচু এলাকার প্রতিটি বাড়ির আশেপাশের জমিতেও পানি জমে আছে। এতে যে কোনো সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য তিনি সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশের ৪ জেলায় পানিতে ডুবে ৫ জনের মৃত্যু
শেরপুরে পাহাড়ি ঢলের তীব্রতা কমেছে, পানিবন্দি প্রায় ২০ হাজার মানুষ
শেরপুরে নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢলের তীব্রতা কমায় নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি উজানের দিকে উন্নতি হয়েছে।
তবে ওই তিনটি উপজেলায় নিন্মাঞ্চলের ছয়টি ইউনিয়নের ১৬টি গ্রামে এখনও পানিবন্দি রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
প্রায় ছয় দিন ধরে পানিবন্দি এসব পরিবারগুলোর দুর্ভোগ বেড়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও বেসরকারিভাবে কয়েকটি এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি
এদিকে, গত তিন দিন ধরে উজান থেকে আসা পানিতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ ও দশানী নদীতে পানি বেড়েছ। এতে কামারেরচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর চর ও ৭ নম্বর চর এবং চরপক্ষীমারি ইউনিয়নে কুলুরচর, বেপারীপাড়া, জঙ্গলদী ও ভাগলদী গ্রামের নদী তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এতে অনেক কৃষকের খেত ডুবে গেছে ও নদী ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদে পানির তীব্র স্রোত সৃষ্টি হওয়ায় ৬ নম্বর চরের পশ্চিম পাড়া ও মধ্যপাড়া এলাকায় প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা এবং দশানী নদীর ৭ নম্বর চর বাজার থেকে ব্রহ্মপুত্রের মোহনা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
উভয় নদীতে পানি বৃদ্ধি ও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত দুই দিনের ব্যবধানে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে অন্তত ১০০ মিটার সরে এসে ভিটেমাটি গ্রাস করেছে। হুমকিতে রয়েছে ৭ নম্বর চর বাজার ও জামে মসজিদ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
কামারেরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান হাবীব বলেন, ‘নদী ভাঙনের কারণে সাতটি পরিবার তাদের ভিটেমাটি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। বেশকিছু ফসলি জমি ডুবে গেছে। বিষয়টি আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, ‘উজানের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে শেরপুরের বেশ কয়েকটি নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা নদীগুলোর ভাঙন এলাকার খোঁজখবর নিচ্ছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দি অর্ধলক্ষেরও বেশি মানুষ
শেরপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শেরপুর নকলায় পুকুরের পানিতে ডুবে তামান্না বেগম (৪) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের কান্দাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নিহত তামান্না বেগম ওই এলাকার ভ্যানচালক লিচু মিয়ার মেয়ে।
বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত বলেন, বাড়ির উঠানে খেলতে খেলতে তামান্না সবার অজান্তে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে স্থানীয়রা তাকে বাড়ির পাশের পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তামান্নাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পুকুরে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ভোলায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শেরপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শেরপুরে শ্রীবরদী উপজেলার পুটল গ্রামে পানিতে ডুবে রুমান মিয়া (৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুটি মারা যায়।
আরও পড়ুন: দেশের ৪ জেলায় পানিতে ডুবে ৫ জনের মৃত্যু
নিহত শিশু রুমান মিয়া ওই গ্রামের আব্দুর রশীদের ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রুমান বাড়ির উঠানে খেলার সময় সবার অজান্তে রুমান বাড়ির পাশেই পুকুরে পানিতে পড়ে ডুবে যায়।
পরে তাকে পুকুরে পানিতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চৌদ্দগ্রামে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ঝালকাঠিতে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শেরপুরে সড়কের পাশ থেকে লাশ উদ্ধার
শেরপুর শহরে সড়কের পাশ থেকে মোস্তাইন বিল্লাহ নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে জামালপুর-শেরপুর সড়কের গৌরিপুর এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মোস্তাইন বিল্লাহ (৪০) ঝিনাইগাতী উপজেলার কালীবাড়ী বানিয়া পাড়া গ্রামের মৃত শামছুলহকের ছেলে। তিনি রিকশাযোগে কালিবাড়ী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে কাপড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
আরও পড়ুন: ইটভাটা থেকে শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, মোস্তাইন বিল্লাহ সোমবার রাত ৯টার দিকে শেরপুর শহরের তাতালপুর মহল্লার বাসিন্দা মুরগী ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়ার সঙ্গে শহরে আসেন। এরপর রাতে তিনি আর বাড়ি ফিরে যাননি। পরদিন সকালে খোয়ারপাড় এলাকা-সংলগ্ন গৌরিপুরের শেরপুর-জামালপুর সড়কের পাশে ঝোপের ভেতর থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে তার রিকশাভ্যানটিও পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের ডান চোখের পাশে সামান্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদনের পর ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ১০ দিন পর পাটখেতে তরুণীর লাশ উদ্ধার
ইট ভাটার পরিত্যক্ত ঘর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার
শেরপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক নিহত
শেরপুর সদর উপজেলায় জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৯ জুন) সকাল ৭টার দিকে সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীমুরা নামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ছামিদুল হক কেনা (৬৫) ওই এলাকার মৃত সায়েদ আলী মণ্ডলের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছামিদুল হকের সঙ্গে প্রতিবেশী হারুন ও সিদ্দিক খলিফাদের এক খণ্ড জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শনিবার সকালে ওই জমিতে কলাগাছ লাগাতে যান সিদ্দিক ও তার লোকজন। এসময় বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন ছামিদুল হকের ওপর হামলা চালান। হামলায় ছামিদুল জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত ছামিদুলের ছেলে পারভেজ মিয়াসহ তিনজন আহত হন। আহতদের জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হোসেনসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহসানুল মতিন সৈকত বলেন, ‘সকাল ৯টায় ছামিদুল হককে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।’