������������������������
শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
শেরপুর সদর উপজেলায় আমবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইলেকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কের সদর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মাসুদুর রহমান মাসুদ (১৮) সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের মুদি দোকানি মতিউর রহমান মতি মিয়ার ছেলে। তিনি তাতালপুর বি এম টেকনিক্যাল মডেল কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রি-টেস্ট পরীক্ষা দেয়ার জন্য মাসুদ সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে কলেজের উদ্দেশে রওনা দেন। পথিমধ্যে মির্জাপুর এলাকায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিশকাকে ওভারটেক করতে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা আমবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া এ সময় ট্রাকটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ট্রাকটিও রাস্তার ওপর উল্টে পড়ে যায়।
শেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) বন্দে আলী মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তবে এ ঘটনার পরপরই ট্রাক চালক পালিয়ে গেছেন বলেও জানান তিনি।
ভোগাই নদী থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, অভিযুক্ত ছেলে আটক
শেরপুরে নালিতাবাড়ীতে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মাকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ঘের ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার আড়াইআনি বাজারের জেলখানা এলাকায় ভোগাই নদী থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নূরভানু (৫৫) নালিতাবাড়ী শহরের নিজপাড়া এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী এবং পেশায় দিনমজুর।
আটক ফারুক আহমদকে (৩৫) অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত নারীর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছেলে ফারুক আহমদকে আটক করা হয়েছে।
জামালপুরে রেকটিফাইড স্পিরিট পানে ২ জনের মৃত্যু, আহত ২
জামালপুরের মাদারগঞ্জে রেকটিফাইড স্পিরিট পানে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও দু’জন অসুস্থ অবস্থায় জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার তেঘরিয়া ঠনঠনিয়া পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মাদারগঞ্জ উপজেলার তেঘরিয়া ঠনঠনিয়া পাড়ার হাফিজুর কাসাই (৭৫) ও একই এলাকার মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে এহসান (৩৫)।
আহতেরা হলেন- একই এলাকার ওবায়দুল্লাহ (৪৫) ও রবিন্দ্র রবিদাস (৪০)।
আরও পড়ুন: জামালপুরে নিখোঁজ বাবা-মেয়ের লাশ উদ্ধার
জানা যায়, ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা মঙ্গলবার রাতে স্থানীয় তেঘরিয়া বাজারের হোমিও ফার্মেসি থেকে রেকটিফাইড স্পিরিট পান করে নিজেদের বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবস্থার অবনতি হলে রাত ১১টার দিকে তাদেরকে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মধ্যে দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া গুরুতর অসুস্থ ওয়ায়দুল্লাহ ও রবিন্দ্র রবিদাসকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ খবর পেয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জামালপুরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত
জামালপুরে নারীর লাশ উদ্ধার, সাবেক স্বামী গ্রেপ্তার
ধনু নদীতে ট্রলারডুবি: নারীর লাশ উদ্ধার, শিশু নিখোঁজ
কিশোরগঞ্জের ইটনার ধনু নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় মহল বেগম (৫০) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলার এলংজুরী বাজার ঘাটের পাশে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে এ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
নিহত মহল বেগম মিঠামইনের ঢাকী ইউনিয়নের চরপাড়ার মৃত ছালেক মিয়ার স্ত্রী। নিখোঁজ শিশু রহমতুল্লার বয়স তিন বছর। তার বাড়ি ইটনা সদরের চরপাড়ায়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মোল্লা। তিনি জানান, সকাল ৮টার দিকে মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের চরপাড়া থেকে ৪০-৫০ জন যাত্রী নিয়ে চামড়াবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রলারটি। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ইটনার এলংজুরী বাজারঘাটের পাশে পৌঁছালে ঘুরাতে গিয়ে এটি ডুবে যায়। পরে সব যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও এক নারী ও শিশু রহমতুল্লাহ নৌকার ভিতরে আটকে যায়। শিশুকে উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে ট্রলারডুবি: আরও একজনের লাশ উদ্ধার, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
বরিশালে ট্রলারডুবি: ৩ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ১
কিশোরগঞ্জে ট্রাকের সঙ্গে মোটর সাইকেলের সংঘর্ষ, শিক্ষার্থী নিহত
কিশোরগঞ্জে ট্রাকের সঙ্গে মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকিবুল হাসান রিয়ান (২১) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২০ মে) রাত ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া সড়কের কালটিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রাকিবুল হাসান রিয়ান জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার জঙ্গলবাড়ি এলাকার মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি পাকুন্দিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
রিয়ান কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বিন্নাটি ইউনিয়নের কয়ারখালি গ্রামে নানা স্বাধীন মিয়ার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতো।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাকিবুল হাসান রিয়ান শুক্রবার (২০ মে) রাত ৯টার দিকে কালটিয়া বাজার থেকে মোটর সাইকেলে করে নানাবাড়ি কয়ারখালিতে ফিরছিল। কালটিয়া আরএস আইডিয়াল কলেজের সামনে পৌঁছুতেই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে রিয়ান মারাত্মক আহত হয়। তার মাথা থেঁতলে যায়। আহত রিয়ানকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্হার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ দাউদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তারা ঘাতক ট্রাকটিকে আটকের চেষ্টা করছেন এবং এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
কিশোরগঞ্জে প্রাইভেটকার চাপায় পথচারী নিহত
রৌমারীতে মা ও ৫ মাসের শিশুকে গলা কেটে হত্যা
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মা ও তার পাঁচ মাসের শিশুকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নতুন বন্দর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু হাবিব (৫ মাস) উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের ওকড়া কান্দা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। আর নিহত মা হাফসা আক্তার হারেছা (২০) সাহেব আলীর স্ত্রী এবং উপজেলার সদর ইউনিয়নের নতুনবন্দর গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে।
স্থানীয় ও রৌমারী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নতুনবন্দর এলাকার একটি পুকুরের পাড়ে এক শিশুর লাশ ও পুকুরে একটি নারীর লাশ দেখতে পায় পথচারীরা। পরে তারা রৌমারী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এসময় মায়ের শ্বাস-প্রশ্বাস চলছিল বুঝতে পেয়ে তাকে দ্রুত রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে রৌমারী হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত!
হাফসার বাবা আব্দুর রশিদ বলেন, আমার মেয়ে হাফসা আক্তার হারেছার সঙ্গে একই উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বাহাদুরের ছেলে সাহেব আলীর সঙ্গে দেড় বছর হল বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। এর মধ্যে গত পাঁচ মাস আগে তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। তার সন্তান আমার বাড়িতেই হয়েছে। এর মধ্যে মেয়ের জামাই তার সন্তানের খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি। ছেলেটি অসুস্থ্য হলে গতকাল সকাল ৮টার নৌকায় তার উকিল বাবার সঙ্গে কুড়িগ্রামের যায় ডাক্তার দেখাতে। এরপর সকালে তাদের লাশ পড়ে ছিল আমাদের বাড়িতে আসার পথের একটি পুকুর পাড়ে-এই বলতেই তিনি আবেগে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর লাশ ও গলাকাটা অবস্থায় তার মাকে উদ্ধার করা হয়েছে। মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পথে তিনি মারা যান। দুজনের লাশ আগামীকাল কুড়িগ্রাম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হোসেনপুরে নসিমন চাপায় শিশুর মৃত্যু
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে স্যালু ইঞ্জিনচালিত নসিমন চাপায় রাব্বী নামের চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হাজিপুর-হোসেনপুর সড়কের পোড়াবাড়িয়া গ্রামে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু রাব্বী পোড়াবাড়িয়া গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের চাচা মোহাম্মদ আলী জানান, রাস্তার পাশে দাঁড়ানো তার ভাতিজাকে স্যালু ইঞ্জিনচালিত একটি নসিমন চাপা দিলে সে গুরুতর আহত হয়।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হোসেনপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান টিটু জানান, অভিভাবকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় অটোরিকশার যাত্রী নিহত
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়েসহ নিহত ৩
খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুই জনের মৃত্যু
নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৮ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সাতগাঁও হাওরে ও রানিচাপুর গ্রামের সামনে বজ্রপাতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো-স্কুলছাত্র মামুন মিয়া (১৪)ও কৃষি শ্রমিক জাকারুল মিয়া (৩৪)। মামুন চাকুয়া ইউনিয়নের রানিচাপুর গ্রামের মাসুদ মিয়ার ছেলে। বজ্রপাতে আহত হওয়ার পর তাকে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে রাত সাড়ে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে জাকারুল আটপাড়া উপজেলার ইকরহাটিয়া গ্রামের আক্কেল আলীর ছেলে। তিনি কিছুদিন ধরে মেন্দিপুর ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামে তার শশুর আব্দুল জলিলের বাড়িতে থেকে ধান কাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি জানান, জাকারুলসহ কয়েক শ্রমিক সাতগাঁও হাওরে ধান কাটছিলেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারা মাথায় করে ধানের বোঝা নিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি হাওরেই মারা যান।
অন্যদিকে কিশোর মামুন বিকেলে রানিচাপুর গ্রামের সামনের মাঠে শুকাতে দেয়া ধান তোলার কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়। পরে স্বজনরা আশঙ্কাজানক অবস্থায় তাকে নিয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে আটটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
খালিয়াজুরী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসিন খন্দকার বলেন, নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে দেয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বজ্রপাতে ২ ধান কাটা শ্রমিকের মৃত্যু
মেহেরপুরে বজ্রপাতে এক ব্যক্তির মৃত্যু
মাথায় সিলিং ফ্যান পড়ে আহত সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ
বৈদ্যুতিক সিলিং ফ্যান মাথায় পরে আহত হয়েছেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে তার নির্বাচনী এলাকা জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের বাড়ির বৈঠকখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তার মাথায় তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে। তবে বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাতে ডা. মুরাদ হাসান তার নিজ গ্রামের বাড়ির বৈঠকখানায় নিজ এলাকার দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন। এসময় পিংনা থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা এক বৃদ্ধ রোগীর মাথার ওপর বৈদ্যুতিক সিলিং ফ্যানটি খুলে পরতে দেখে তাকে দ্রুত সরাতে যান ডা. মুরাদ হাসান। এসময় সিলিং ফ্যানটি তার মাথার উপরই খুলে পরলে তিনি আহত হন।
আরও পড়ুন: নির্যাতনের অভিযোগে মুরাদের বিরুদ্ধে স্ত্রীর জিডি
ডা. মুরাদ হাসানের ব্যক্তিগত সহকারী জাহিদ নাঈম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সিলিং ফ্যান পড়ে মুরাদ হাসান এমপির কপাল ফেটে যায়। পরে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খবর দিলে সেখানকার একটি চিকিৎসক দল তার বাড়িতে গিয়ে তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। এখন তিনি সুস্থ রয়েছেন।
সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার দেবাশীষ রাজবংশী জানান, সিলিং ফ্যান মাথায় পড়ে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান আহত হওয়ার খবর পেয়ে একটি চিকিৎসক দল নিয়ে মুরাদ হাসানের বাড়ীতে যাই। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, তার কপালের ক্ষতস্থানে তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিজ বাড়িতে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে আছেন।
আরও পড়ুন: ডা. মুরাদ ও তার স্ত্রীর আগ্নেয়াস্ত্র জমা নিল পুলিশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ
সরিষাবাড়ীতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত ২
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ট্রেনের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। সোমবার বিকালে পৌর এলাকার সাতপোয়া জামতলীতে ময়মনসিংহ থেকে যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেল স্টেশনগামী ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আলী হাসান (৩৫) সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের মোনাকষা হাট পচিল গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে এবং সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের মিটার টেস্টিং সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অপর জন পল্লী বিদ্যুতের ইলেকট্রিশিয়ান সুলতান মিয়া (৩৩) সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল বিল পাড় গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সরিষাবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশনগামী ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেন পৌরসভার সাতপোয়া জামতলী এলাকার রেললাইন এলাকা অতিক্রমকালে মোটরসাইকেল আরোহী আলী হাসান ও সুলতান মিয়াকে ধাক্কা দেয়। তাদেরকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নুসরাত জামান তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধার মৃত্যূ
পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির সরিষাবাড়ী জোনাল অফিসের এজিএম নুরুল হুদা দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ডোয়াইল ইউনিয়নে মিটার রিডিং সংগ্রহ করতে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে ট্রেনে কাটা পড়ে তাদের এক কর্মকর্তা ও এক কর্মী নিহত হন।
সরিষাবাড়ী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক মুজিবুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।
আরও পড়ুন: নীলফামারীতে দুর্ঘটনায় আহত সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যু
রাজধানীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নারী নিহত