������������������
করোনা: এক বছরে শাবির ল্যাবে ৫৮ হাজার ৫৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে গত বছর এই দিনে নমুনা পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হয়। এক বছরে ৫৮ হাজার ৫৪১ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব পরীক্ষার প্রতিবেদনে ৯ হাজার ৫২৭ জন রোগীকে করোনা পজিটিভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবের সবশেষ তথ্য থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ল্যাব সূত্র জানায়, বর্তমানে সিলেট বিভাগের চার জেলার সর্বত্র এবং সিলেট শহরের সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও সবকয়টি উপজেলা থেকে সংগৃহীত নমুনা শাবিপ্রবির ল্যাবে পরীক্ষা করানো হয়। এছাড়াও সিলেট অঞ্চলের বিদেশ ফেরত সকল যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষা এই ল্যাবে করানো হয়।
আরও পড়ুন: করোনা: শাবির ল্যাবে দশ মাসে ৪৫ হাজার ৮৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা
এছাড়া করোনা শনাক্তকরণ ছাড়াও ল্যাবের গবেষক দল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্রের অর্থায়নে কোভিড-১৯ এর ভাইরাস নিয়ে গবেষণা কাজ অব্যাহত রেখেছে। গবেষক দলটি ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের ৪ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে জিন বিন্যাস (জিনোম সিকোয়েন্স) উন্মোচন করেন।
উন্মোচিত জিন বিন্যাস থেকে ১০টি (সুনামগঞ্জ-৫ ও হবিগঞ্জ-৫) নমুনার জিন বিন্যাস গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটাবেইজে (জিআইএসএআইডি) জমা দেন। যা ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের সহযোগীতায় শাবিপ্রবির ল্যাবে করোনাভাইরাসের (জিনোম সিকোয়েন্স) গবেষণার কাজ চলমান রয়েছে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক প্রধান বলেন, উন্নত দেশগুলোর মতো আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি এই সিলেট বিভাগের মানুষদের সেবা (কমিউনিটি সার্ভিস) দিতে পেরে আন্তরিকভাবে গর্বিত। এই এক বছরে আমাদের ল্যাবের কার্যক্রমে বড় অর্জন "আস্থা ও নির্ভরযোগ্যতা"।
তিনি বলেন, আমাদের জিইবি বিভাগের শিক্ষার্থীদের জিনোম ও জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল ডিএনএ-আরএনএ নিয়ে গবেষণার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় নমুনা পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও নির্ভরতার বিষয়টি থাকছে শতভাগ। এখন পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশে কোনো ধরনের ভুলত্রুটি ধরা পড়েনি। আমাদের ছেলেরা বড় বড় উৎসবের বিশেষ করে পরপর তিনটি ঈদের দিনও ল্যাবের কার্যক্রম চালু রেখেছে। ল্যাবের মেইনটেনেন্স ছাড়া একদিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়নি। প্রথমদিকে আপদকালীন হলেও এখন স্থায়ীভাবে এই ল্যাবে সংশ্লিষ্ট সকলেই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের র্ধ্বতন মহলের প্রতি আহ্বান রাখবো আমাদের এই জিইবি বিভাগের যারা কাজ করছে তাদের স্থায়ী ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নজর রাখতে। আশা রাখছি যতোদিন প্রয়োজন হয় এই সেবা কার্যক্রম চালু থাকবে।
আরও পড়ুন: শাবিতে সিলেটের প্রথম ট্রান্সজেনিক গ্রিনহাউস উদ্বোধন
শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শাবিপ্রবির এই ল্যাব দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষের জন্য একটি আস্থার জায়গা। এই অঞ্চলের মানুষের সেবার মনোবৃত্তি নিয়ে করোনাভাইরাস প্রাদুভার্বের শুরুতে এই ল্যাবটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ল্যাবে যারা কাজ করছেন তারা সবাই আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। সিলেট অঞ্চলের মানবিক সেবায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যতদিন এই সেবা প্রয়োজন হবে সিলেটসহ সারা দেশের জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সর্বত্র পাশে থাকবে।
গত বছর ১৮ মে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শাবিতে আরটি পিসিআর ল্যাবের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। এরপর থেকে এ ল্যাবে করোনা শনাক্তকরণ কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষাভবন ‘ই’-এর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২২৫ নম্বর কক্ষে এ ল্যাব চালু করা হয়। ল্যাবের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ।
এর আগে, মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সংক্রমণ নির্ণয়ের জন্য ২০২০ সালের ৯ এপ্রিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য পিসিআর ল্যাব চালুর অনুমোদন দেয় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: শাবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের দ্বিমুখী লড়াই
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটিও বাড়ল ২৯ মে পর্যন্ত
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান কোভিড ১৯ অতিমারিতে সংক্রমনের ঊধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড ১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, এই সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
শনিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের ছুটি বাড়ল ২৯ মে পর্যন্ত
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য আগামী ২৯ মে পর্যন্ত সকল ধরনের সরকারি/ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
রবিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞতিতে বলা হয়, এ সময়ে নিজেদের ও অন্যদের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞতিতে আরও জানানো হয়, প্রাধনমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনা ও অনুশাসনসমূহ শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবকরা নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবেন।
এতে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে ও নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিবাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন।
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল
শনিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ল
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শনিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এই সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ওই বছরের ১৭ মার্চ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর এই ছুটি কয়েকদফা বাড়ানো হয়।
মাঝে দেশে করোনার সংক্রমণ কমে আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত কয়েকদফার কঠোর লকডাউনের কারণে এবং পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আবারও ছুটি বাড়ানো হলো।
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু ১২ হাজার ১২৪ জনে দাঁড়াল।
শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬১ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৭৯৬ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: আরেকদফা বাড়ছে লকডাউন, প্রজ্ঞাপন রবিবার
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জন মারা যায় এবং বৃহস্পতিবার ৩১ করোনায় মৃত্যুবরণ করে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৬.৯৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারির চাদরে মোড়া আরও একটি ঈদ!
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯৬৪ জন। মোট সুস্থ ৭ লাখ ২১ হাজার ৪৩৫ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫২ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৫ শতাংশ।
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল চেয়ে নোটিশ
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ‘ত্রুটিপূর্ণ ফলাফল’ বাতিল ও সংশোধনপূর্বক নতুন মেধা তালিকা প্রণয়ন করে মেডিকেল কলেজগুলোয় ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ২৪৮ জন পরীক্ষার্থীর পক্ষে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ নোটিশ পাঠান।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে পাঠানো এ নোটিশে বলা হয়, গত ৪ এপ্রিল প্রকাশিত ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে অসংখ্য ভুল এবং বড় ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর প্রকাশিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী, একজন পরীক্ষার্থী কোনও মেডিকেল কলেজে ভর্তি থাকা অবস্থায় তিনি যদি দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তবে তার মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৭.৫ নম্বর কর্তন করা হবে। আবার কোনও পরীক্ষার্থী যদি গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তাহলে তার ৫ নম্বর কাটা যাবে।
আরও পড়ুন: রবিবারের এমবিবিএসের চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষা স্থগিত
কিন্তু প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, অনেক পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই এ নিয়মটি মানা হয়নি। যেসব পরীক্ষার্থীদের ৭.৫ নম্বর কর্তন করার কথা সেখানে মাত্র ৫ নম্বর কর্তন করা হয়েছে। ফলে ওইসব ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ২.৫ নম্বর বেশি দিয়ে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। আবার প্রথমবার পরীক্ষায় যেখানে কোনও নম্বর কাটার কথা নয় সেখানে অনেক পরীক্ষার্থীর ৫ নম্বর কেটে মেধা তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তক অনুযায়ী অন্তত দু’টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের সঠিক উত্তর ছিল দু’টি করে। সেই সঙ্গে অন্তত তিনটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের কোনো সঠিক উত্তর ছিল না। সংরক্ষিত জেলা ও উপজাতি কোটার আসন পূরণেও ব্যাপক অসঙ্গতি রয়েছে।
ঢাকা জেলা কোটায় আবেদনকারী পরীক্ষার্থীকে দেখানো হয়েছে মেহেরপুর জেলার পরীক্ষার্থী হিসেবে।
উপজাতি কোটায় সংরক্ষিত আসনে অসংখ্য সাধারণ ছাত্র ছাত্রীকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে রিট খারিজ
এসব ত্রুটি ও অসঙ্গতি রেখে মেধা তালিকা প্রণয়ন করার ফলে হাজার হাজার যোগ্য ও মেধাবী পরীক্ষার্থী মেডিকেল কলেজগুলোয় ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার পথে। তাই প্রকাশিত ফলাফল বাতিল করে এবং এসব ত্রুটি ও অসঙ্গতি সংশোধন করে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করা হলেও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি মেনে এমবিবিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: মন্ত্রী
ত্রুটিপূর্ণ মেধাতালিকার ভিত্তিতেই মেডিকেল কলেজগুলোয় ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে আগামী ২২ মে থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্ততর।
নোটিশে আগামী তিন দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ত্রুটিপূর্ণ মেধা তালিকার ভিত্তিতে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা এবং ত্রুটিপূর্ণ মেধা তালিকা বাতিল করে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ পূর্বক নতুন মেধা তালিকা প্রণয়ন করতে বলা হয়েছে।
জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেলেন ৩ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ
তিনজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলছে ২৩ মে
নিয়োগপ্রাপ্ত জাতীয় অধ্যাপক তিনজন হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস এবং সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দিন, ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বারডেম) সভাপতি ও প্রফেসর ডা. একে আজাদ খান এবং বাংলাদেশ গ্যাস্ট্রোএনটারোলজি সোসাইটি এবং গ্যাস্ট্রোলিভার ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. মাহমুদ হাসান।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ২৩ মে
বাংলাদেশ জাতীয় অধ্যাপক (নিয়োগ, শর্তাবলী ও সুবিধাদি) সিদ্ধান্তমালা ১৯৮১ অনুযায়ী, উক্ত তিনজন পাচঁ বছরের জন্য জাতীয় অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করবেন এবং সে অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা ও সম্মানি গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দ্বিধা বিভক্ত অভিভাবকরা
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলছে ২৩ মে
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমিতি (এইউবি) জানিয়েছে, আগামী ১৭ মে (সোমবার) থেকে সকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হবে এবং ২৩ মে (রবিবার) থেকে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হবে। এইউবি কর্তৃপক্ষ জানায়, সরকারের পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা কাজ করে যাচ্ছে।
এইউবি সভাপতি এবং চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্যের সভাপতিত্বে বুধবার (৫ মে) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এই সংগঠনের এক ভার্চুয়াল সভার পরই এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
তিনি বলেন, সরকার যেহেতু পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত বদলায়নি, তাই আমরা যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার সকল প্রস্তুতি নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ২৩ মে
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দ্বিধা বিভক্ত অভিভাবকরা
তবে এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খোলার আগে অবশ্যই শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তাদের টিকাদান কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় সমন্বিত ভর্তির ব্যাপারেও আলোচনা হয়। এ ব্যাপারে চুয়েট উপাচার্য জানান, প্রশ্ন তৈরি এবং ছাপানোর জন্য সময় প্রয়োজন, যা শেষ হতে ১৯ জুন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই ঈদের পর সকল সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ট্রাকের ধাক্কায় শাবি শিক্ষার্থী নিহত, বিক্ষোভ
সিলেট নগরীর সুবিদবাজার পয়েন্টে ট্রাকের ধাক্কায় বুধবার রাতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
নিহত মো. সাব্বির বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুস সাত্তার জানান, রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক জব্দ ও চালককে আটক করে। একই সাথে লাশ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: শাবিতে সিলেটের প্রথম ট্রান্সজেনিক গ্রিনহাউস উদ্বোধন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলযোগে সাব্বির সুবিদবাজার পয়েন্টে আসামাত্র পেছন থেকে একটি ট্রাক তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে সাব্বির মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে নিচে পড়ে যান। মাথায় গুরুতর আঘাতের ফলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এসময় স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। প্রায় আধাঘণ্টা অবরোধের ফলে সড়কের দুপাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: শাবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে আওয়ামীপন্থীদের দ্বিমুখী লড়াই
সার্বিক বিষয়ে শাবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আবু হেনা পহিল জানান, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারসহ আমাকে মর্মাহত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাব্বিরের পরিবারের পাশে থাকবে।
সাব্বিরের মর্মান্তিক এই মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাব্বির প্রথম বর্ষ রসায়নের ছাত্র ছিল। আমরা তার অকাল মৃত্যুতে গভীরভাবে মর্মাহত এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আমরা গভীর সমবেদনা জানাই। দোষীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তার দাবিতে শাবি সাংস্কৃতিক জোটের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
এদিকে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার সংবাদে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা।
রাবিতে ছাত্রলীগ-শিক্ষক ধাক্কাধাক্কি, সিন্ডিকেট সভা স্থগিত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) প্রগতিশীল সমাজের ‘দুর্নীতিবিরোধী’ শিক্ষকদের বাধার মুখে সিন্ডিকেট সভা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান মেয়াদের শেষ পর্যায়ে অবৈধভাবে গণনিয়োগ দিতে পারেন, এ আশঙ্কায় সভা বন্ধ দাবি করে আসছিলেন দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকরা।
মঙ্গলবার সোয়া ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সভা বন্ধ করার দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: রাবিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য তিন লাখ আবেদন জমা
তবে তাদের আগেই উপাচার্যের বাসভবনের গেটে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক সদস্যরা। তাদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি প্রত্যাশী। সকাল ১০টার দিকে আন্দোলকারী শিক্ষকরা উপাচার্যের বাসভবনে ঢুকতে চাইলে ছাত্রলীগের নেতারা তাদের বাধা দেন। শিক্ষকরা জোর করে ঢুকতে চাইলে ছাত্রলীগের নেতারা ধাক্কা ও দেন। এসময় আকাশ নামে ছাত্রলীগের এক বহিরাগত কর্মী শিক্ষকদের গুলি করে হত্যার হুমকি দেন। আকাশের বাড়ি মেহেরচন্ডী এলাকায় বলে জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আগামী বৃহস্পতিবার মেয়াদ শেষ হচ্ছে বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের। উপাচার্যের শেষ সময়ে মঙ্গলবার সকালে সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয়। সভায় অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হবে এ আশঙ্কা থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষকদের প্রতিনিধি ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, আমরা উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছি। সাক্ষাৎ না হওয়া পর্যন্ত যাব না। তারা ভাড়াটিয়া নিয়ে এসেছে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করতে।
তবে ছাত্রলীগের হুমকির বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম জানান, শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে আজকের সিন্ডিকেট সভা স্থগিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০১৯ সালের গবেষণায় শীর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
এর আগে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানসহ বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ-বাণিজ্য, আর্থিক লেনদেনসহ ২৫টি অনিয়মের অভিযোগ দেন দুর্নীতিবিরোধী’শিক্ষকরা। ইউজিসি এ পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ১৩টি অভিযোগের প্রমাণও পায়। নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পাওয়ায় গত বছরের ডিসেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে রাবিতে সব ধরনের নিয়োগ স্থগিত রাখাসহ ১২টি নির্দেশনা দেয়া হয়। এরপর থেকে দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকরা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন।
এদিকে, দুপুর ১২টায় শহীদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে উপাচার্যের অপসারণ দাবি করেন শিক্ষকরা।
রাবি উপাচার্যের বাসভবনে তালা ঝুলিয়ে ছাত্রলীগের অবস্থান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের বাসভবনের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতা-কর্মীরা।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্য ভবনে ফাইনান্স কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
জানা যায়, সভা শুরুর আগেই সকাল সাড়ে ৮টায় ভবনের মূল ফটকে তালা লাগায় আন্দোলনকারীরা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ছাত্রলীগের ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী। এর ফলে বন্ধ রয়েছে ফাইনান্স কমিটির সভা।
আরও পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ফারুক হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে গত বছর ডিসেম্বরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছিল। এতে তার দুর্নীতির সাথে সংশ্লিষ্টতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’
তিনি আরও বলেন, উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান তার মেয়াদের শেষ সময়ে এসে আজকের সভায় আরও বড় ধরনের অনিয়ম করবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। এজন্য আমরা মিটিং স্থগিতের দাবিতে অবস্থান নিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান জানান, রবিবার ফাইনান্স কমিটির সভা ছিল, কিন্তু আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে কমিটির কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১১ জানুয়ারি চাকরির দাবিতে উপাচার্য ভবনে তালা লাগিয়েছিল ছাত্রলীগের কর্মীরা।