মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি আগামী ২৯ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
শনিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে অতি সম্প্রতি চলমান কোভিড-১৯ অতিমারিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সার্বিক নিরাপত্তার বিবেচনায় এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির সাথে পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এই সময়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ওই বছরের ১৭ মার্চ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর এই ছুটি কয়েকদফা বাড়ানো হয়।
মাঝে দেশে করোনার সংক্রমণ কমে আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত কয়েকদফার কঠোর লকডাউনের কারণে এবং পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় আবারও ছুটি বাড়ানো হলো।
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জন মারা গেছেন। এনিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু ১২ হাজার ১২৪ জনে দাঁড়াল।
শনিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬১ জনের শরীরে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে মোট শনাক্ত ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৭৯৬ জনে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: আরেকদফা বাড়ছে লকডাউন, প্রজ্ঞাপন রবিবার
এর আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় ২৬ জন মারা যায় এবং বৃহস্পতিবার ৩১ করোনায় মৃত্যুবরণ করে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৬.৯৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারির চাদরে মোড়া আরও একটি ঈদ!
নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯৬৪ জন। মোট সুস্থ ৭ লাখ ২১ হাজার ৪৩৫ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫২ শতাংশ। মৃত্যুর হার ১.৫৫ শতাংশ।