একই সাথে একটি আইসিইউ-সিসিইউ ইউনিট স্থাপন করতে কী পরিমাণ টাকা, কত জনবল ও কতজন বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন হয়, সে বিষয় উল্লেখ করে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আগামী ২৪ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে আদেশ দেয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাখিল করা অগ্রগতি প্রতিবেদনের উপর শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের সকল বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবেরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা নির্ধারণ ও আইন অনুসারেসে তালিকা প্রদর্শনের নির্দেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরর যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বাধীন এ সংক্রান্ত কমিটিকে ৫ মার্চের মধ্যে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। এছাড়া ৭ মার্চ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এ নিয়ে শুনানি হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই দেশের সকল বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল, ল্যাবেরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার মূল্য তালিকা আইন অনুসারে প্রদর্শনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে ওই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। পাশাপাশি দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ অনুসারে নীতিমালা তৈরি এবং বাস্তবায়নের জন্য ৬০ দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়ে ছিল আদালত। এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এসব আদেশ দিয়ে ছিল।